হায়রে মানবতা! এ লজ্জার শেষ কোথায়? (রোহিঙ্গা মেয়েদের ধর্ষণ)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ০৯:২৮:৪৯ রাত
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নির্যাতিতা রোহিঙ্গা মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে সু-কৌশলে!
বার্মায় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমরা জুলুম-নির্যাতন ও ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ অংশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সরকার বরাবরের মতোই রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় নিতে বাধা দিচ্ছে।
অন্যদিকে যারা গোপনে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছেন, তাদের মধ্যে তরুণীদেরকে একশ্রেণীর দুষ্কৃতকারি অসহায়ত্বের সুযোগে শ্লীলতাহানি করছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
তা'ছাড়া একশ্রেণীর দালালেরা আগত রোহিঙ্গা মেয়েদেরকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ করছে।
কিছুক্ষণ আগে আমি মুঠোফোনে কক্সবাজার-টেকনাফের বিশিষ্ট সাংবাদিক তাহের নাঈমের সাথে এ প্রসংগে কথা বলি। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন দালালকে এসব অপরাধের জন্য আটক করা ও সাজা দেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে এসব দুষ্কৃতকারি মূলত সরকারের পলিসির সুযোগ নিয়ে এমনসব গর্হিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।সরকার যেহেতু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে না তাই যারা গোপনে ঢুকছে তারা শরনার্থীর মর্যাদাও পাচ্ছে না। সংগত কারণে তারা কোন অন্যায়ের বিচারও চাইতে পারে না। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সীমান্ত-অঞ্চলের একশ্রেণীর দালাল রোহিঙ্গা মেয়েদের ইজ্জত লুটছে। অন্তত মানবিক দৃষ্টিকোণে প্রশাসন ও জনগণের এই বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া উচিত।
------সংগৃহীত -MGRI
আমার মন্তব্য, নির্যাতিতা রোহিঙ্গা মুসলিম নারীরা যেন বাঘের মুখ থেকে রেহাই পেয়ে সিংহের মুখে পড়েছে! এ লজ্জা সামলাই কী করে? ধিক্কার শত ধিক্কার!
শুধু শুধু পাকিস্থানীদের দোষ দিয়ে লাভ কি! তারা নাকি ৭১ এ আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ করেছে। বাঙ্গালী কি এর চেয়ে কোন অংশে কম? অসহায় রোহিঙ্গা মা বোনদের যেখানে সহযোগীতার হাত বাড়ানোর কথা, সেখানে নিজেরাই জালিম ও ধর্ষকের ভুমিকায়। হায়রে মানবতা ......... মানবতা আজ দূয়ারে দূয়ারে কাঁদছে ......... দেখার কেউ নেই।
বিষয়: বিবিধ
২০৭০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লজ্জা থাকলেই না ঢেকে রাখার প্রশ্ন আসে!!!
মানুষ আজ বর্বর হিংস্র জানোয়ারকেও হার মানিয়েছে!!!
খরবটি পড়ার পর কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়ে রইলাম, হায়তে মানবতা, হায়রে মুসলমান।
আমরা না হয় ভারত - মায়ানমারের মারের ভয়ে চুপ আছি। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের উদারমনা ভাইদেরকে তো অনুরোধ করতে পারি রোহিঙ্গাদেরকে তাদের ওখানে নিয়ে আশ্রয় দিতে!
ওদের তো আর ভারত-মায়ানমারের ভয় নেই !
এখানে প্রয়োজন সাউথ আফ্রিকার দেশগুলোর মত ইউ এন. এর পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু রোহিঙ্গারা যে মুসলিম, তাই বলে মানবাধিকার থাকতে নেই।
কিন্তু বাংলার মুসলমানদের এ সুযোগের সৎব্যবহার না করে অসৎ ব্যবহারে মানবতার বিদায়ের ধ্বনি বেঝে উঠলো।
শুনেছি, বিজেবি ও পুলিশও একই কাজ করে যাচ্ছে। রক্ষকই আজ ভক্ষক হয়ে আছে।
আল্লাহই উত্তম হেফাজত কারী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন