মার্কিন নির্বাচন ও আমাদের রাজনীতি
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:৩৮:২২ দুপুর
শুনেছিলাম হোয়াইট হাউসের অধিকাংশ কর্মকর্তাই ইহুদী। আমেরিকার নীতি নির্ধারক ও বড় বড় সচিবদের বেশির ভাগই লা'নত প্রাপ্ত ইহুদী জাতি। ইহুদীদের বুদ্ধি পরামর্শ ছাড়া নাকি মার্কিনিরা অচল।
তাই প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা ভোটের জন্য অন্য কোন দেশের সমর্থন পাক আর না পাক, ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সমর্থন অবশ্যই চান।
গত নির্বাচনেও পৃথিবীবাসী দেখেছে, বারাক ওবামা নির্বাচন উপলক্ষ্যে অন্য কোন দেশ সফর না করলেও ঠিকই ইস্রাইল সফর করেছেন, তাদের সমর্থন নিয়েছেন, তাদের সু-রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগামী নির্বাচনে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা পৃথিবীময় ছড়িয়ে আছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষও এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে হিলারিই হবেন আগামীর প্রেসিডেন্ট। যা হিলারি ও ট্রাম্পের আলোচিত সম্মুখ আলোচনায় পৃথিবী প্রত্যক্ষ্য করেছে।
কিন্তু গত কয়েক দিনের খবর সম্পূর্ণ উল্টো, হটাৎ করে ট্রাম্প নাকি নির্বাচনের আগেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবী করে বসেছেন।
এর পেছনের তথ্য তালাশ করে যা পেলাম, তা হল: ট্রাম্প ইসরাইলকে সু-রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আর তাতে করে ইহুদীদের নিকট নিজে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতিও পেয়েছেন।
আল্লাহই ভালো জানেন, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।
এবার আমাদের দেশীয় রাজনীতির প্রসঙ্গে আসা যাক:
হাসিনা সরকার আমেরিকা ইউরোপকে তোয়াক্কা না করে হিন্দুস্থানের আস্কারা পেয়ে গনতন্ত্রকে কবর দিলেন, অথচ আমেরিকা, ইউরোপ, চীন, রাশিয়া সবাই এখন পাকিস্তান ইস্যুতে মোদী'র সরকারের দাবীকে ডোন্ট কেয়ার দেখিয়েছে। অথচ হাসিনা ঠিকই গুরুর অন্ধ ভক্তের মত ইয়েস হুজুর বলে এসেছেন। শুধু ইয়েস হুজুর নয় বরং তেল মেরে এসেছেন।
ভারত বিরোধী বি,এন,পি এতদিন ইন্ডিয়ার কাছে বাধ্য হয়ে ছোট খোকার মত ইয়েস মার্কা ভাব দেখালেও সময় মতো ঠিকই জবাব দিচ্ছে ও দিবে। কিছু দিন আগের দুদু'র বক্তব্য থেকে স্পষ্টই বুঝা গেছে। "বাংলার জনগন কাশ্মীরের সঙ্গে আছে" এতে করে ভারত বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করে যাচ্ছে, অন্য দিকে মোদী'র বক্তব্যকে ডিনাই করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দল থেকে প্রার্থী হওয়া হিলারির সাথে বি,এন,পি নেতাদের দহরম মহরম দেখে হাসিনা সরকারের কলিজায় কাঁপন ধরছে।
ভারতের বন্ধু ইসরাইল, ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিল ইসরাইল রক্ষা করার।
আমেরিকার আগামী নির্বাচন নির্ভর করছে বাংলাদেশের অনেক কিছু পরিবর্তনের।
আল্লাহ তায়ালা ইসলাম ও মুসলমানদের সহায় হোক।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫২ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেমন ধরুন: কংগ্রেস ও বিজেপি, দুটো দলই ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেশি। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপন্থা সম্পূর্ণ আলাদা। ধন্যবাদ।
ইসরাইলের বিষয়ে প্রথমে ইংল্যান্ড এবং পরবর্তীতে আমেরিকার একই নীতি হতেই হবে - এটাই ইংল্যান্ড ও আমেরিকার ডেসটিনি এবং তাদের ডিভাইন পারপাস্।
পৃথিবীর ইতিহাসে হঠাৎ করে ১৯৪৮ এ ''ভূমি'' হতে জন্ম নেওয়া এ ''পশু'' স্বত্তা 'ইসরাইল' কে নিশ্চিতই - ঐ পয্যন্ত বেঁচে থাকবে (ইনশাল্লাহ্) - যে পয্যন্ত না এ স্বত্তাটি
১। ন্যাটো বনাম রাশিয়া ও চায়না এ্যালায়েন্স এর মধ্যে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ সম্পন্ন হয় এবং ইস্তাম্বুল ন্যাটোর মুষ্ঠি হতে মুক্ত হয়।
২। ইংল্যান্ড ও আমেরিকার ন্যায় অবশিষ্ট পৃথিবীকে কম বেশী ৭ বছরের ন্যায় কিছুটা সময় জেরুজালেম হতে শাসন করবে।
৩। যে পয্যন্ত না আল আকসা মসজিদ ভেংগে সে স্থানে সলোমন টেম্পল নির্মান করবে ও অর্থোডক্সি সেক্রিফাইশিয়াল রিচ্যুয়াল সমূহ নিশ্চিত করবে।
৪। যে পয্যন্ত না ঈসা মসীহ ইবনে মারিয়াম আঃ জেরুজালেম এর দায়িত্বভার গ্রহন করে অবশিষ্ট পৃথিবীকে শাসন করে।
আল্লাহ এ্যাবসুলুট সত্য জানেন।
ধন্যবাদ।
তবে দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
ইহুদী।ইসলাম ও মুসলমানদের কেউ সহায়ক নয়।
ইসলাম ও মুসলমানদের সহায়ক শুধুমাত্র আল্লাহ সোবহানাল্লাহু তায়ালা এবং তিনিই সর্বোত্তম এবং একমাত্র সহায়ক। আলহামদুলিল্লাহ্।
অনেক দিন পর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় পাঠকের গোচরে নিয়ে আসার জন্য খুব ভাল লাগল।
তবে এ বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল মুসলিম উম্মাহর সচেতন হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী। অমুসলিম গোষ্ঠী নির্বাচিত হয়ে মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করবে এই ধারণার সাথে দ্বিমত পোষণ করি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
শ্রদ্ধেয়া আন্টিজ্জ্বী, সুন্দর অনুভুতির জন্য শুকরিয়া।
মুসলমানদের বন্ধু অমুসলিমরা কখনো হয়েছে এমন নজীর খুবই বিরল।
জান্নাতকে সাইকেল শিখিয়েছি, এখন নিয়মিত রিহার্সেল চলছে। অনেক অনেক দোয়া চাই প্রিয় খালাম্মুনি। শুকরিয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন