আল-কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে রামাদানের ফজিলত

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ০২ জুন, ২০১৬, ০৩:১৮:১৪ দুপুর



রামাদান মাস সিয়াম সাধনা ও তাকওয়ার মাস, কল্যাণ ও বরকতের মাস, রহমত ও মাগফিরাত এবং জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি লাভের মাস। মহান আল্লাহ এ মাসটিকে বহু ফযীলত ও মর্যাদা দিয়ে অভিষিক্ত করেছেন।

১. রামাদান আল-কুরআনের মাসঃ আল্লাহ একে কুরআন নাযিলের মর্যাদাপূর্ণ সময়রুপে চয়ন করেছেন। তিনি বলেন,

﴿شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ﴾ [البقرة: 185]

‘‘রামাদান মাস - এতে কুরআন নাযিল হয়েছে।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫)

২. এ মাসে জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত রাখা হয়, জাহান্নামের দ্বারসমূহ রুদ্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তান ও দুষ্ট জিনদের শৃংখলিত করে রাখা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ»

‘‘রামাদান মাসে এলে জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত রাখা হয় জাহান্নামের দ্বারসমূহ রুদ্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের শৃংখলিত করা হয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০০, ৩১০৩ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং২৫৪৭)

৩. এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রজনীঃ

মহান আল্লাহ বলেন,

﴿لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡر مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡر ٣ تَنَزَّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذۡنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمۡر ٤ سَلَٰمٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطۡلَعِ ٱلۡفَجۡرِ ٥﴾ [القدر: 3-5]

‘‘লাইলাতুল ক্বদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাত্রে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হন প্রত্যেক কাজে, তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় এ রজনী, ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।’’ (সূরা আল-ক্বদরঃ ৩-৫)

৪. এ মাস দো‘আ কবুলের মাসঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«إِنَّ لِلَّهِ عُتَقَاءَ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ لِكُلِّ عَبْدٍ مِنْهُمْ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَة»

‘‘(রামাদানের) প্রতি দিন ও রাতে (জাহান্নাম থেকে) আল্লাহর কাছে বহু বান্দা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক বান্দার দো‘আ কবুল হয়ে থাকে (যা সে রামাদান মাসে করে থাকে)।’’ (সহীহ সনদে ইমাম আহমদ কতৃক বর্ণিত, হাদীস নং ৭৪৫০)

ত্বাকওয়া অর্জনের এ মুবারক মাসে মুমিনদের উপর অর্পিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, সৃষ্টি হয়েছে পূণ্য অর্জনের বিশাল সুযোগ এবং প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মহান চরিত্র অর্জনের সুন্দর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। এ অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আজ সারা বিশ্বের মুসলিমদের উচিত চারিত্রিক অধ:পতন থেকে নিজেদের রক্ষা করা, নেতিয়ে পড়া চেতনাকে জাগ্রত করা এবং সকল প্রকার অনাহুত শক্তির বলয় থেকে মুক্ত হয়ে হক প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞাকে সুদৃঢ় করা, যাতে তারা রিসালাতের পবিত্র দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে এবং কুরআন নাযিলের এ মাসে কুরআনের মর্ম অনুধাবন করতে পারে, তা থেকে হিদায়াত লাভ করতে পারে এবং জীবেনের সর্বক্ষেত্রে একেই অনুসরণের একমাত্র মত ও পথ রূপে গ্রহণ করতে পারে।

পবিত্র রামাদান মাসে যেসব দায়িত্ব ও কাজ শরীয়ত কর্তৃক অর্পিত হয়েছে কিংবা যা পালনে শরীয়ত আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে ও যা বর্জন করতে নির্দেশ দিয়েছে, পবিত্র আল কুরআন ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে সেগুলো নিচে আমরা দু’ভাগে আলোচনা করব।

প্রথম ভাগঃ যা করতে শরীয়ত নির্দেশ দিয়েছে এবং উদ্বুদ্ধ করেছে সেগুলো নিম্নরূপ:

একঃ সিয়াম বা রোযা

রমাদান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজই হল সিয়াম। আর সিয়াম হল ফজরের উদয়লগ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়্যাতসহ পানাহার ও যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।

সিয়াম পালন তথা রোযা ফরয এবং এটি ইসলামের অন্যতম একটি রুকন। আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ أَيَّاما مَّعۡدُودَٰتۚ﴾ [البقرة: 183-184]

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমদের উপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার - নির্দিষ্ট কয়েকদিন মাত্র ......।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৩-১৮৪)

﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ﴾[البقرة: 185]

‘‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোযা পালন করে।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫)

রোযার গুরুত্ব আরো প্রকটিত হয় সে সব ফযীলতের দ্বারা, যদ্বারা একে বিশেষত্ব দান করা হয়েছে। সে সবের মধ্যে রয়েছেঃ

১. রোযার পুরস্কার আল্লাহ স্বয়ং নিজে প্রদান করবেনঃ

একটি হাদীসে কুদসীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ»

আল্লাহ বলেন, ‘‘বনী আদমের সকল আমল তার জন্য, অবশ্য রোযার কথা আলাদা, কেননা রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর পুরস্কার দিব।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫, ৫৫৮৩ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬০)

২. রোযা রাখা গোনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং ক্ষমালাভের কারণঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه»

‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রামাদান মাসে রোযা রাখবে, তার পূর্বের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯১০ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮১৭)

৩. রোযা জান্নাত লাভের পথঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«إِنَّ فِى الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ يَدْخُلُ مَعَهُمْ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَدْخُلُونَ مِنْهُ فَإِذَا دَخَلَ آخِرُهُمْ أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ»

‘‘জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’ - কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না..... রোযাদারগণ প্রবেশ করলে এ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৬ )

৪. রোযাদারের জন্য রোযা শাফায়াত করবেঃ

উত্তম সনদে ইমাম আহমাদ ও হাকেম বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ الصِّيَامُ أَيْ رَبِّ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَيَقُولُ الْقُرْآنُ مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ قَالَ فَيُشَفَّعَانِ»

‘‘রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য শাফায়াত করবে। রোযা বলবে, হে রব! আমি তাকে দিবসে পানাহার ও কামনা চারিতার্থ করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছি। অতএব, তার ব্যাপারে আমাকে শাফায়াত করার অনুমতি দিন.....।’’ (মুসনাদ, হাদীস নং ৬৬২৬, আল-মুস্তাদরাক, হাদীস নং ২০৩৬)

৫. রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের সুগন্ধির চেয়েও উত্তমঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ»

‘‘যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তার শপথ! রোযাদারের মুখের গন্ধ কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে মিসকের চেয়েও সুগন্ধিময়।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৪ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬২)

৬. রোযা ইহ-পরকালে সুখ-শান্তি লাভের উপায়ঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّه»

‘‘রোযাদারের জন্য দু’টো খুশীর সময় রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় এবং অন্যটি স্বীয় প্রভু আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়ার সময়।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫ ও সহীহ মুসলিম, হদীস নং ২৭৬৩)

৭. রোযা জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তিলাভের ঢালঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ بَعَّدَ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنْ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا»

‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোযা রাখে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর বৎসরের দূরত্বে নিয়ে যান।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬৮৫ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৭ )

ইমাম আহমাদ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেন - রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«الصَّوْمُ جُنَّةٌ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ كَجُنَّةِ أَحَدِكُمْ مِنْ الْقِتَالِ»

‘‘রোযা ঢাল স্বরূপ-যদ্বারা বান্দা নিজেকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে পারে, যেভাবে তোমাদের কেউ একজন যুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করে।’’ (মুসনাদ, হাদীস নং ১৭৯০৯)

রোযার আরো ফযীলতের মধ্যে রয়েছে - এতে ইচ্ছা ও সংকল্পে দৃঢ়তা সৃষ্টি হয়, চারিত্রিক মাহত্ম্য অর্জিত হয়, শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায় এবং সর্বোপরি তা মুসলিম উম্মাহ্ একতাবদ্ধ হওয়ার এক বাস্তব নিদর্শন।

বিষয়: বিবিধ

২৩৯৪ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370741
০২ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:২৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মাশা'আল্লাহ খুবই ভালো লাগলো লেখাটি অনেক অনেক ধন্যবাদ
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪২
307654
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ, অনেক শুকরিয়া।
370742
০২ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:২৫
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বানির রাজীম

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

সাবধান! সাবধান!! সাবধান!!!

মাহে রমজান সমাগত

যারা রমজান মাসে নাযিলকৃত ক্বোরআনের নির্দেশাবলীকে মানব সমাজে বর্ণনা না করে, অর্থাৎ গোপন করে, অনুষ্ঠান সর্বস্ব বাৎসরিক পার্বণরুপে রোজার উপবাস করে ও ঈদের উৎসব করে , তারা ভূপৃষ্ঠে নিকৃষ্টতম অভিশপ্ত জাত । প্রমাণ:

إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَىٰ مِن بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ ۙ أُولَٰئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللَّهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُونَ

আল্লাহ বলেন: “ আমি গোটা মানব জাতির পথ নির্দেশ রুপে দ্ব্যর্থহীন ভাবে যা’ আল কোরআনে নাযিল করেছি , তাকে যারাই গোপন করে , তাদের সকলকে আমি আল্লাহ স্বয়ং এবং আমার সাথে আমার সৃষ্ট সকল অভিসম্পাতকারী অবশ্যই অভিসম্পাত করে ।” (বাক্বারা-১৫৯)

রমজান মাস রহমত , গুনাহ্ মাফ্ ও জাহান্নাম হতে মুক্তির মাস ।।

রমজান মাস অভিশাপ , লা’নত্ ও আল্লাহর গজবের মাস।।

রহমতের মাস তাদের জন্য-যারাঃ-

আল্লাহর বাণীতে বিশ্বাস স্থাপন করে যে, شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ

* এই সেই রমজান মাস , যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে মানুষ মাত্রের পথ নির্দেশনার জন্য , যাতে সবিস্তার হেদায়াত রয়েছে , যা ন্যায় অন্যায় যাচাইয়ের কষ্টিপাথর।”

* আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূল(সাHappy এর আমল অনুযায়ী সাধনা করবে ।

* কুরআন শিখবে ও শিখাবে , অর্থ বুঝে আমল করবে ।

* না বুঝে কুরআন খতমের প্রচলন ত্যাগ করে পরিবার ও সমাজে ক্বোরআন বুঝে পড়ার প্রচলন করবে ।

* ব্যবসায়ী হলে রমজান মাসে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি করবে না।

* জনসাধারণ হলে রমজান মাসে কম খেয়ে বেশী এবাদতের দ্বারা সংযমের অনুশীলন করবে ।

* বেশী খেয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কারণ হবে না। “রমজান মাসে খাওয়ার হিসাব হয় না” এ কথা ভুল এবং এটা ধর্ম ব্যবসায়ী পরভুক শ্রেনীর বানোয়াট ।

* অফিস আদালতে রোজার মাসে বেশী খাওয়া ও ঈদের জন্য ঘুষ খাবে না ।

* হালাল খেয়ে রোজা থাকবে এবং হালাল দিয়ে ইফ্তার করবে ।

* না বুঝে “তাড়াহুড়ার তারাবী” ত্যাগ করে মধ্যরাতের পর উঠে কুরআন বুঝে পড়ে আল্লাহর সামনে সালাত বা নামাজে দাঁড়াবে , যেমন আখেরী নবী (সঃ) করতেন।

* মেয়েরা বে-পর্দা হাটে-বাজারে না ঘুরে বাড়িতে বসে কুরআন শিক্ষা ও সিয়াম সাধনায় রমজান মাস কাটাবে।

* রমজান মাসে যে সমস্ত নারী বাড়তি আয়ের জন্য স্বামীদের ঘুষ ও হারাম উপার্জন থেকে বিরত রাখবে।

* পিতা-মাতারা রমজান মাসে কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে সন্তানদের চরিত্র গঠনের বিশেষ উদ্যোগ নিবে।

* বে-রোজদারদের ‘ইফ্তার পার্টি’তে কোন পরিস্থিতিতেই যোগ দিবে না।

* যে সমস্ত আলেম রোজার মাসে যাকাত, ফেতরার ভিক্ষায় না নেমে বিনা পারিশ্রমিকে জনগনকে রমজান ও কুরআনের শিক্ষাদানের এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে।

* সাধ্য মতো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গরীব মিসকিনদের হালাল মালের যাকাত সদ্ক্বাদানে সাহায্য করবে। হারাম মালের যাকাত সদ্ক্বা হয় না।

* সিয়াম সাধনার মাধ্যমে বিগত বছরের পাপ থেকে খাঁটি তওবা করে আগামী এগারো মাস পাপমুক্ত জীবন যাপনের শপথ নিবে।

* অর্থবহ সিয়াম সাধনার মাধ্যমে “শবেক্বদরের” অন্বেষা এবং এ’তেকাফের অনুশীলন করে আত্মশুদ্ধির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং

* সবশেষে আল্লাহর শুকুরের জন্য রমজান পালনকারীদের সাথে এক কাতার হয়ে ঈদের নামাযান্তে ঈদের আনন্দ উদযাপন করবে। একমাত্র এদের জন্যই “খুশীর ঈদ”
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
307655
আবু জান্নাত লিখেছেন : প্রায়োজনীয় আলোচনা ও সুন্দর পরামর্শ, চমৎকার লিখেছেন। অনেক অনেক শুকরিয়া।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৪৯
307673
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শুকরিয়া @ মুহাম্মদ ২
370745
০২ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam.......
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
307656
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
370753
০২ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:১২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় আংকেলজ্বী। হৃদয়গ্রাহী অনেক সুন্দর একটি লিখা মাশাআল্লাহ।

কোরআন ও হাদীসের আলোকে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর প্রাণবন্ত উপস্থাপনাসহ চম্ৎকার লিখাটি ভীষণভাবে দিলে রেখাপাত করলো। আলহামদুলিল্লাহ্‌।

অনেক যত্ন ও মন দিয়ে লিখাটি পড়লাম। প্রত্যেকটি কথা ও বাক্যের ভার ও মূল্য অতুলনীয়।

মাহে রামাদ্বানের দ্বিতীয় লিখায় আপনাকে মুবারকবাদ। আংকেলজ্বী.........
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
307657
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ শ্রদ্ধেয়া খালামনি। শুধুমাত্র মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও হাদীসের কিছু অংশের অনুবাদ করেছি।

নিজের থেকে মানুষকে বুঝানোর মত তেমন যোগ্যতা আমার নেই।

ইনশা আল্লাহ বাকী পর্বগুলোতেও লিখার ইচ্ছা আছে।

রামাদানে এই আঙ্কেলের জন্য দোয়া করতে ভুলবেন না কিন্তু।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রামাদানের ক্বদর করার তাওফীক দান করুক। আমীন।

রামাদানে কারীম।

০৪ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৪৬
307817
সন্ধাতারা লিখেছেন : অবশ্যই দোয়া করি আংকেলজ্বী। আপনার দোয়ায় আমীন।
370759
০২ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
Thumbs Up Rose Praying Praying

প্রথম ভাগঃ যা করতে শরীয়ত নির্দেশ দিয়েছে এবং উদ্বুদ্ধ করেছে সেগুলো নিম্নরূপ:

খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে থাকলাম, কিন্তু কোথাও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাগ খুঁজে পেলামনা!!
*****
বিশেষতঃ (১)মন্দ অভ্যাস বর্জন করা এবং (২)বর্জিত অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্যপালন শুরু করা- এ দুয়ের জন্য রমাদান মাস খুবই অনুকূল- এ বিষয়ে কিছু কথা থাকলে আরো সুন্দর হতো!

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
307658
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ শ্রদ্ধেয় কাকাজান।

লিখাটি লম্বা হয়ে যাওয়ার ভয়ছিল। ইন শা আল্লাহ পরবর্তীতে বাকীটুকু লিখবো।

আপনার পরামর্শ শিরোধার্য্য, অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর।

370766
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : কোরান হাদিসের আলোকে সুন্দর লিখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
307659
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান।

আপনার আজকের ফেবুর ভিডিও দেখে হাঁসতে হাঁসতে শেষ। কোথা থেকে সংগ্রহ করেন এত কিছু?
০২ জুন ২০১৬ রাত ১০:৫০
307708
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাই, আমি জনগনের খেদমতে সদা নিবেদিত। তাই মাঝেমাঝে সবার মনের খোরাক যোগানোর ও চেষ্টা করি। বেশি করে হাসুন, হাসিটা শরীলের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় হুজুর
370769
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১০
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক সুন্দর এবং গুরুত্ববহ লেখা-আশাকরি মাহে রমাদানের প্রস্তুতিতে সবার সহায়ক হবে এবং বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।জাযাকাল্লাহ!
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০৪
307662
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের শুকরিয়া। আপনার আশা কিছুটা পুরণ হলেও অনেক ছাওয়াবের আশা করতে পারি। জাযাকাল্লাহ খায়ের।

370783
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪২
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মাশা আল্লাহ্‌, অনেক তাৎপর্য সমাহার নিয়ে লিখার জন্য। ভাইজান কে অশেষ মোবারকবাদ।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০৫
307663
আবু জান্নাত লিখেছেন : মূল্যায়নের জন্য শুকরিয়া, আপনার রামাদানের প্রস্তুতী কেমন? এ নিয়ে একটি কবিতা লিখেপেলুন। অনেক শুকরিয়া।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৪৮
307672
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : লিখেছি একখান। নির্বাচনের জায়গায় একটা ডুমারেন
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৫৮
307675
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : নির্বাচিত জায়গায় আছে.।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:০৪
307677
আবু জান্নাত লিখেছেন : দারুন হয়েছে মাশা আল্লাহ।
370805
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৫৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বিলম্বের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা সাড়া দেন বলেই এমন আয়োজন করার সাহস পাই।
খুব মনোযোগ দিয়ে লিখলাম। আলহামদুলিল্লাহ। বেশ ভালো হয়েছে।
বাকি অংশ ৮ তারিখ দিয়ে দিবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইর
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:১১
307678
আবু জান্নাত লিখেছেন : সমস্যা নেই, ব্যস্ততা-ফুরসত নিয়েই দুনিয়া। আপনার আয়োজনেই আজ ব্লগ পাড়ায় মহা ধুমধাম।
ইন শা আল্লাহ, মানে থাবকে।
অনেক অনেক শুকরিয়া হে আবিত্ত্যা যুবক।

০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:২৯
307680
সন্ধাতারা লিখেছেন : লিখলেন বুঝি ছোট ভাই?!! বুঝতে পাচ্ছি ভাইটি অনেক...... জাস্ট ফান
১০
370829
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:২৮
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৪৩
307685
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আনতি ফাজাযাকাল্লাহ উকতী। শুকরিয়া।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৪৪
307686
আবু জান্নাত লিখেছেন : এত দিন পর ব্লগে হাজির হলেন এত ছোট কমেন্ট নিয়ে? ব্যস্ততা যাচ্ছে বুঝি!
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৪
307688
আফরা লিখেছেন : জী না আপনাদের সাথে রাগ করেছিলাম জান্নাতের বাবা আমার ভাইয়া Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

০২ জুন ২০১৬ রাত ১১:০৯
307710
সন্ধাতারা লিখেছেন : আমাদের সকলের চোখের মণি আফ্রাম্নি। তাইতো অন্নেক অভিমান। রমযানে রাগ অভিমান বর্জনীয় তাই না ছোট আপি?
০৪ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
307834
আবু জান্নাত লিখেছেন : বেশি রাগ ভালো নয়, এবার রামাদান উপলক্ষে লিখে পেলুন। শুনেছি আপনাদের দেশে নাকি সবচেয়ে দীর্ঘ রোজা হয়, বিস্তারীত লিখে পোষ্ট করবেন। ধন্যবাদ।

১১
370861
০৩ জুন ২০১৬ রাত ০২:২৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! মাশা-আল্লাহ্‌ অনেক তাৎপর্য সমাহার নিয়ে লিখার জন্য। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
০৪ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
307835
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ আপি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ.
১২
370866
০৩ জুন ২০১৬ রাত ০৩:১৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

দলীল সহকারে সংযোজনার আলোকে লিখা সমগ্র পোস্ট পড়ে ভালোলাগলো আলহামদুলিল্লাহ। গুছানো লিখা পড়তে আসলেই ভালো লাগে, ভালো লাগার রেশ রয়ে যায়...
জাযাকাল্লাহ খাইর।
০৪ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪০
307836
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ আপি। হারিয়ে গিয়েছিলেন বুঝি!

অনেক দিন দেখি নাই, মনে করেছিলাম এবার বুঝি সত্যিই ইন্টারনেট লাইন কেটে দিয়েছে।
যাক বাবা, বাঁচা গেল।

অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর।


১৩
370889
০৩ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
০৪ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪১
307837
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আনতা ফাজাযাকাল্লাহ আখি।

১৪
370893
০৩ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:৩৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। ভালো লাগলো ধন্যবাদ। https://m.facebook.com/photo.php?fbid=858788034231177&id=100002999668667&set=gm.1273732555989621&source=48
০৪ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
307839
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, ভালো লাগার জন্য শুকরিয়া।

শেয়ার করার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর।

১৫
370956
০৪ জুন ২০১৬ বিকাল ০৪:০৬
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : Good Luckআসসালামু আলাইকুম,

আলহামদুলিল্লাহ্‌ Good Luck

পূরনাঙ্গ একটি লিখা, ভাবছি শেয়ার দিব,
অনুমতি না দিলে ও চলবে Tongue
১৬
370993
০৪ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ সন্ধাপি। শেয়ার দেওয়ার জন্য অনুমতি নয় বরং বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। কারণ লিখাগুলো আমি জোগাড় করলেও মুল বাণী আল কুরআন সহীহ হাদিস থেকে নেওয়া।

শুকরিয়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File