একটি সংবাদের কপিপেষ্ট ও কিছু ভাবনা।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৪ মে, ২০১৬, ০৯:১১:০০ রাত
৮ ইসলামি ছাত্র সংগঠনের জোট ও আন্দোলন
বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো অগণিত দলে বিভক্ত, সবাই ঐক্যের বয়ান করলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে ঐক্য সম্ভব হয় না। আর ঐক্য ছাড়া ইসলামের কোন স্বার্থও রক্ষা হবে না এটাই সত্য। ঐক্য হওয়া কুরআনের আহবান ও সময়ের দাবী।
আজ সংবাদটি পড়ে মনে অনেকটা আনন্দ অনূভুত হলো। কারণ আমরা জানি, যুবকরাই ইসলামের প্রাণ, যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা যুবকদের ঐক্য প্রচেষ্টার দ্বারাই ইসলামের সোনালী সূর্য আমাদের যুগ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন।
বর্তমান যামানার ফেরআউন খ্যাত সরকার যখন ইসলামী শিক্ষা, তাহযীব তামাদ্দুন ও ইসলামী ব্যক্তিত্বদের উপর ফাঁসী, বন্দি সহ অবর্ণনীয় জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে যুবক ছাত্র সমাজের এই ঐক্য আশার আলো হিসেবে মনে হচ্ছে।
সংবাদটি সংক্ষেপে নিচে পেষ্ট করলাম।
সমমনা ইসলামি ছাত্রসংগঠনসমূহের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে ‘সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্রঐক্য’। এগুলো হচ্ছে, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এ সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুহা. নাছির উদ্দিন খান।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল এবং সেকুলার পাঠ্যসূচি সংশোধনের দাবিতে সমমনা ইসলামি ছাত্র সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করবে।’
জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইনকে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে এটি বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুহা. নাছির উদ্দিন খান। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচি ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র ঐক্য আগামীকাল ২৫ মে থেকে ১৫ জুন দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া ২৬ মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ৩০ মে জাতীয় রাজনীতিবিদ ও শিক্ষবিদদের সাথে মতবিনিময়, ২ জুন সিলেট বিভাগীয় ছাত্র গণসমাবেশ। পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগে বিভাগীয় ছাত্র গণসমাবেশ করা হবে এবং ৩ জুন বাদ জুমা বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় সরকারের সমালোচনা করে ছাত্র ঐক্যের নেতারা বলেন, ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিল ও বিতর্কিত সেক্যুলার পাঠ্যসূচি সংশোধন করে মুসলিম শিক্ষর্থীদের জন্য শিক্ষর সর্বক্ষেত্রে ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
আরো যে সকল ইসলামী ছাত্র সংগঠন রয়েছে, তারাও যদি ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে এক হয়ে কাজ করে, ইন শা আল্লাহ এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে। আল্লাহ তায়ালা সকল মতানৈক্য ও মতভেদ ভুলে সকলকে এক কাতারে আসার তাওফিক দান করুক।
বিষয়: বিবিধ
২৫২৪ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
র্যাব-পুলিশ-বিজিব দিয়ে দাবড়ানি দিলে উনাদের চাচাদের মত কর্মসূচি আজ দেবে কাল প্রত্যাহার করবে - এরকম স্ট্যাটাসে চলে যাবে ।
মানব বলতে সবাই রক্তে মাংসে গড়া, তাই স্বার্থের বেলায় সবাই সচেষ্ট।
তবে যদি স্বার্থ ত্যাগ করে ঐক্যতা বজায় রাখতে পারে আরকি।
বামেরা এমন যে এরা নিজেরাও নিজেদের ভোট দেয় কি না সন্দেহ । এরাও এই একটা ব্যাপারে একাট্টা । অস্বীকার করতে পারবেন ?
ইসলামী দলগুলো কি এরকম করতে পেরেছে ও তা ধরে রাখতে পেরেছে কখনও ? ইসলামী দলগুলো আওয়ামী লীগের সাথেও চুক্তি করে আবার মহিলাদের নেতৃত্বেও মাঠে নামে।
তাই সরকার কখনও এই ইসলামীদলগুলোর ঐক্য করা নিয়ে শংকিত হয় না , কারণ এদেরকে খুব সহজেই কিনে নেওয়া যায় , বশে আনা যায়। এদেরকে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ+সাধারণ+বোকা মুসলমানদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা খুব ইজি।
মুসলিম বিরোধী শক্তিগুলো ইসলামের বিরোদ্ধে এক হতে পারলেও, ইসলামী শক্তিগুলো বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে।
শুরুতেই যাদের নাম, তারা যখন হেফাজতের আন্দোলনে খুব সম্ভাবনাময় সময়ে পিছুটান নিয়েছে, আজ তারা এমন কঠিন বোইরি পরিবেশে অনেক কিছু করে ফেলবে!
আমার আজো চোখে ভাসে সেই দৃশ্য, এক সঙ্গে চল্লিশ জনকে গ্রেপ্তার করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১৫ জনকে ছেড়ে দেয়, যারা ছিল এই ওইক্যের প্রথম শ্রেণীর লোক, বাকিদের মাসের পর মাস জেল খাটতে হয়। এরা করবে ঐক্য.
দেখা যাক, কতটুকু ঐক্য বজায় রাখতে পারে। তবে আমি ব্যক্তিগত তাদের সফলতাই কামনা করি। কারণ একে একে সবাই যদি পিছুটান করে, ইসলামের জন্য কারা এগিয়ে আসবে।
তাই কৌশলে যে কোন একটি ইস্যুতে এক হয়ে মাঠে নামাই ভালো মনে করছি, হয়তো এ একটি ইস্যুতেই সরকারের পতন হতে পারে।
আপনাকে একটা বাস্তবতা বলি, আমাদের আলেম সমাজ যতদিন পর্যন্ত পীর আর উস্তাদের বিশেষ বিশেষ ফতোয়া তথা মতামত কুরআন সুন্নাহর আলোকে যাচাই করার মানসিকতা পোষণ করবেননা, ততদিন ঐক্যের কোন ছায়া দেখারও কল্পনা করি না আমি।
আসলে যারা রাজনীতিতে জড়িত তারা কিন্তু রাজপথের লডাকু সৈনিকে পরিণত হয়।
হেফাজত তো নতুন এবং অরাজনৈকিত ধর্মীয় সংগঠন বিধায় এদের রাজ পথের অভিজ্ঞতা নেই।
তাছাড়া এটি একটি মাদরাসা বা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সংগঠন, এদের মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম নেই বললেই চলে, তবুও একটু একটু করে এগিয়ে যাবে আমার বিশ্বাস।
ছাত্র সংগঠনগুলো হেফাজতের বাহিরেও আছে।
ধন্যবাদ নিবেন।
সামনে এমন যেন না হয়, সে প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ।
ধারণার উপর ভিত্তি করে মনমত কাওকে যাচ্ছে তাই বলেফেলা কোন দায়িত্ববান ব্যক্তিত্বের কাজ নয়, এগুলো নিজেদের হিংসারই বহিঃপ্রকাশ।
আর হিংসুকরা আজিবনই নিজেদের আগুনে জ্বলতে থাকে।
এতো এতো বিজ্ঞজনে মন্তব্য করেছেন, আমারও চূপ থাকা উচিত নয়!
মূল সংগঠনগুলোর খবরদারী এড়িয়ে যদি ছাত্র অংগনে ইসলামের প্রশ্নে ওরা এক থাকতে ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচিতে চলতে পারে তবে কিছুটা হলেও কল্যান আসতে পারে!
এখন কথা হলো ঐ যদি টা নিয়ে!!
নিরাশ হওয়া দুষণীয়!
আশাবাদী হতে দোষ কী!!
বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের ময়দানের মূল শক্তিকে উপেক্ষা করে "ঐক্য-সম্ভাবনা"র স্বপ্ন কতটা বাস্তবসম্মত সেটাও বিবেচ্য বিষয়!! তবু একটা কিছু হোক! সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজে লাগতেও পারে!
আপনার বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যটি আমার ভালো লেগেছে কাকাজান। আপনার মতও প্রায় আমারই মত। অনেক অনেক শুকরিয়া।
লেখাটা রেডি করে ফেলেন। আগামী কাল সন্ধ্যা সাতটায়
মন্তব্য করতে লগইন করুন