ব্লগে দু'বছর ও শততম পোষ্ট
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২১ মে, ২০১৬, ০৩:৪৮:৪৩ দুপুর
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শ্রদ্ধেয়/শ্রদ্ধেয়া ব্লগার/ব্লাগারানী বৃন্দ।
২০১৪ সালের এই দিনে আপনাদের মেলায় যোগ হতে পেরে অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম, নিজের কাছে লিখার মত কোন যোগ্যতা ছিলনা, তবুও আপনাদের পোষ্টে কমেন্ট করতে পারবো ভেবে।
দেখতে দেখতে হায়াতে জিন্দেগী থেকে দুটি বছর খসে গেল। এ দুটি বছরে, জানিনা আখিরাতের জন্য কতটুকু জোগাড় করতে পেরেছি।
ব্লগে আসার পর থেকে এতটুকু উপলব্ধি করেছি যে, জ্ঞানীদের এই রাজ্যে আমি অযোগ্য, তবুও (খেতে খেতে গলা আসে, হাঁটতে হাঁটতে নালা আসে) এই আঞ্চলিক প্রবাদের মত টুকিটাকি লিখতে থাকি।
এখন খুব কাবেল হয়ে উঠেছি এমন নয়, তবে এতটুকু বলতে পারি যে, টুকিটুকি লিখার চেষ্টা করলে সামান্য হলেও লিখতে পারি, এটি ব্লগের অনস্বীকার্য্য অবদান।
ছোট কালে বিভিন্ন মাসিক ম্যগাজিনে লিখক তৈরী করার জন্য লিখা আহবান করা হতো, দ'টাকার খামে ভরে চিঠি পাঠাতে হতো, উনাদের মত হলে ছাপতো, না হলে রিজেক্ট। একটি লিখা পাঠিয়ে ৩ থেকে ৪ মাস অপেক্ষা করতে হতো, হতাশ হয়ে কেউ হয়তো পুণঃরায় আর লিখতো না, লিখক হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত।
কিন্তু বর্তমানে ফেবু/ব্লগের কল্যানে লিখক হওয়া অনেকটা সহজ, তবে লিখার মান যাচাই করতে ব্লগই সর্বশ্রেষ্ঠ প্লাটফরম মনে হয় আমার কাছে।
আমার এ ব্লগীয় জীবনে অনিয়মিত কখনো হয়নি, দেশে গেলে হয়তো ব্যস্ততায় দু'এক মাস নিয়মিত হওয়া কষ্টকর হয়ে যায়, তবুও অন্তত দিনে একবার করে হলেও হেড লাইনগুলো দেখে যেতাম।
এ'দুবছরে প্রায় অনেক সম্মানিত ব্লগার ভাই/বোনকে আপন করে পেয়েছি, দু'তিন জন ব্লগারের সাথে মতভিন্নতার কারণে তর্কাতর্কিও হয়েছে, তবুও কারো দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে মনটা কেমন যেন আহত হয়। আমায় কথায় প্রিয় ভাই/বোন বিদায় হয়ে যায়নি তো! ফিরে এলেই শুকরিয়া জানাই, নিয়মিত হওয়ার আহবান জানাই।
হারিয়ে যাওয়া ব্লগার যার সাথে আমার তর্ক হয়েছিল: "ইমরান ভাই" এর সাথে ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতিহা পড়া নিয়ে। ইসলামীক স্কলারদের মাঝে সবচেয়ে বড় মতভিন্নতা হল এই মাসআলাটি। কেউ বলছে ছাড়লে নামায হবে না, আবার কেউ বলছে পড়লে নামায হবে না। অর্থাৎ হারাম হালালের পর্যায়ে মতানৈক্য শুধু এই মাসআলাটি নিয়ে। বাকি সব মত ভিন্নতা উত্তম অনুত্তম, সুন্নাহ মুস্তাহাব নিয়ে।
সেই ইমরান ভাইকে আজো খুজি, আল্লাহ ওনার মঙ্গল করুক।
দু'বছরের চলার পথে যাদের অাপন করে পেয়েছি, তাদের ফিরিস্তিও অনেক লম্বা, কারো সাথে ইতি মধ্যে দেখা হয়েছে, কারো সাথে দুনিয়াতে না হলেও আখিরাতে সাক্ষাতের অপেক্ষা করবো ইন শা আল্লাহ।
এক আন্তরীক মায়ার টানে কথাগুলো বলা, এই টান ও অনুভূতি একমাত্র মুসলিম ও ইসলামকে ভালোবেসেই তৈরী হয়।
আসলে ব্লগের কল্যাণে এমন এক বন্ধনে জড়িয়েছি যে, কয়েকদিন ব্লগে না এলে মনে হয় কিছু যেন হারিয়ে যাচ্ছে, পরে এসে পিছনের পোষ্টগুলো একটু ঘুরে দেখি। না সব ঠিকই আছে। মনের যে এক আবেগী টান এখানের ব্লগারদের প্রতি, তা লিখে বুঝানো যাবে না।
দু'বছর ফুর্তি ও শততম পোষ্টে সবার জন্য ভার্চুয়াল মিষ্টি ও সুগারীদের জন্য ভার্চয়াল বিরিয়ানীর আয়োজন।
সবার জন্য শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা রইল। আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুক।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪২ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুকরিয়া।
বিবর্ণাপু, এভাবে হাসির মানেটা কি?
নাহ, আজ বিরিয়ানি নয়,
মিষ্টি ই হয়ে যাক।
( যদি ও আজ বৃষ্টির দিন,
বিরিয়ানিতে ই জমতো বেশ )
" কারো সাথে ইতি মধ্যে দেখা হয়েছে, কারো সাথে দুনিয়াতে না হলেও আখিরাতে সাক্ষাতের অপেক্ষা করবো ইন শা আল্লাহ। "" মহান আল্লাহ, আপনার ইচ্ছা পূরণ করুন, আমিন
সত্যিই কথাগুলো মন থেকে বলেছি, কেমন যেন সবার সাথে একটা আন্তরীকা গড়ে উঠেছে, অথচ মানুষগুলো চিনিনা জানি না, শুধু ব্লগেই পরিচয়, তবুও কেমন যেন যুগযুগান্তরের আপন। শুকরিয়া আপু।
বিরানি রান্না কোন ব্যাপার নাকি??
শুধু বিরানির এক প্যাকেট মসলা হলে ই হলো।
আমাদের কথা ভেবে, রান্না বান্নার বিষয় গুলো এখন অনেক সহজ লভ্য করা হচ্ছে, আমাদের কে শুধু পেটের ক্ষিদাটা কে খিলি মেরে, রান্না সম্পন্ন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী প্রবাসে খুবই প্রসিদ্ধ, আবুধাবীতে এসব দোকানে সমসময় ভিড় লেগেই থাকে।
আপনার জানা থাকলে বিস্তারীত রিসিপি দেন, আমিও দেশে গেলে ট্রাই করে দেখবো।
আপনার টুডে ব্লগ জীবন আরও দীর্ঘায়ু লাভ করুক - আমিন ।
জাযাকাল্লাহ, অনেক অনেক শুকরিয়া।
আমীন ছুম্মা আমীন।
শুকরিয়া আপু।
রান্না বান্না
কান্না কাটি,
খানা পিনা কি হলো কিছু??
নাকি রান্নার লোকের অভাবে,
পেটের ক্ষিদা, পেটে ই মরচ্ছে??
ঠিকানা তো দেও না যে খুজ খবর নিবো
আচ্ছা, আখেরাতে ঘুম কর্মীকে চিনবেন কেমন করে? সেখানেও কি ঘুম কর্মী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবে?
অনেক অনেক শুকরিয়া ছোট।
ব্লগে তো আপনার মাথা নষ্ট করা জনপ্রিয়তা। খালামুনি সন্ধা তারা, আদরের বোন আফরা, আপুনি ঘুম, আপি মাহবুবা, শোকাহত বন্ধু দিল, প্রতিবেশী রহিম, চাচা শেখ, আত্মীয় স্বজনের অভাব নাই, তাই আপনার ব্লগ ছেড়ে যাওয়ারও উপায় নাই।
লিখতে থাকেন, আর সাথে চালাইতে থাকেন বড় ছোট হাতুড়ি, ঠুক ঠুক মেরামত করতে থাকেন ব্লগ বাড়ি। অনেক অনেক শুভকামনা
দুষ্ট লোকদের জন্য হাতুড়ির বিকল্প নেই।
মায়া মমতা শ্রদ্ধা স্নেহের সাথে সাথে হাতুড়িও কাজে আসে।
অন্নেক অন্নেক শুকরিয়া।
এবার রামাদানে গত রামাদানের মত হারিয়ে যাবেন নাতো!
এইতা কিতা কল্লেন আপা, দুইটার বাপকে আম্নে বেবি বানায়ে দিলেন!!!!!
দোয়া চাই, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন