সন্তানের চাওয়া পুরণে পিতার যে কি আনন্দ!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৮ মে, ২০১৬, ১১:৩২:২২ রাত
ছোট্ট জান্নাতমনি, বছর খানিক আগেও আমার সাথে ফোনে তেমন কথা বলতো না, মাঝে মাঝে অনেক কষ্টে ফোন হাতে নিত, যখনি আমি সালাম দিতাম, সঙ্গে সঙ্গে লজ্জায় ফোনটি তার মাকে দিয়ে দিত।
এখন নূরানীতে পড়ে, মাদরাসায় নিয়মিত, পড়া লিখায় মাশা আল্লাহ ভালই আগ্রহ। আমি এখন ফোন করলে সালাম দিতে হয় না, জান্নাত আগেই সালাম দিয়ে দেয়, মনটা যেন আনন্দে ভরে যায়।
রামাদানের শেষের দিকে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা, জান্নাততে জিজ্ঞাস করলাম, তোমার জন্য কি আনবো, উত্তরে বললো, একটি ব্যাগ, একটি সাইকেল।
আগের ব্যাগটি ছিড়ে গেছে, তাই নতুন ব্যাগ লাগবে। সাইকেল দিয়ে কি করবে জিজ্ঞেস করতেই লজ্জায় লাল হয়ে গেল, বার বার জিজ্ঞাস করলাম কি মাদরাসায় যাবে? না কোন উত্তর দিতে পারলো না।
তবুও বাবার মন বলে কথা, একটি মিনি সাইকেল নিয়েই নিলাম। ভিডিও পাঠালাম, মাশা আল্লাহ, সেকি আনন্দ, এখন থেকে দিন গননা শুরু হয়েছে, কবে তার সাইকেল হাতে পাবে। মেয়ে চাওয়া পূরণ করতে পেরে আমারও আনন্দ কম নয়।
আমার মনে হয় প্রতিটি মা বাবাই সন্তানদের চাহিদা পূরণ করতে পারলে এভাবেই আনন্দিত হন। যেভাবে সন্তানরা আনন্দিত হয়।
আল্লাহ তায়ালা মহব্বতের সামান্য অংশ দুনিয়াতে দিয়েছেন, তাতেই আমরা নিজের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দেই, জানি না! মহান প্রভূ কত বড় দয়ালু।
আল্লাহ তায়ালার সেই মহাব্বতের ঝর্ণা নিয়ে আসছে রহমত মাগফিরাত ও মুক্তির মাস পবিত্র রামাদানুল মুবারাক। এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, রামাদানে যেন বেহুদা একটি মুহুর্তও নষ্ট না হয়।
সালাত, সিয়াম, তিলাওয়াত, জিকর, তাসবীহ, দান সাদাকাহ দ্বারা পূর্ণ হয়ে উঠুক রামাদান সবার তরে।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করুক। আমীন।
জাযাকাল্লাহ খাইর।
সত্যিই এটি এমন এক আনন্দ, যা কাগুজে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
আপনার দোয়ায় আমীন। জাযাকিল্লাহ....
সামনে আবার রামাদানের ব্যস্ততায় সময় পাবেন না। শুকরিয়া।
২/৪ বার না পড়ে কিন্তু সাইকেল চালানো শিখা যাবে না তখন কিন্তু আবার বাবা মেয়ে এক সাথে কাঁদিয়েন না ভাইয়া ।
আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন প্রথম সাইকেল চালানো শিখি প্রথম দিনই পড়ে যেয়ে হাটুতে এমন ব্যাথা পাই ডিসিশন নিয়েই ফেলেছিলাম যা--- এটা আমি শিখবই না একটু পড়েই না এটা হতেই পারে না আমাকে পারতেই হবে ---- এর পর ইনশা আল্লাহ ! তিন দিনেই বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে সাইকেল চালিয়েছি ।
জান্নাত অবশ্য ছোট ওর তেমন কষ্ট হবে না ।
অামি তো সাইকেল শিখার সময় পড়ে গিয়ে পা কেটে ফেলেছি, তা ছিল বড় সাইকেল, আমি ছিলাম এগার বছরের।
জান্নাতের সমস্যা হবে না ইনশা আল্লাহ, কারন সাইকেল ছোট, তাছাড়া চাকার দুপাশে ছোট চাকার স্টেন আছে।
তাহলে আপনিও পারেন! মাশা আল্লাহ।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন