কিছু কথা হৃদয়ে দাগ কাটেঃ ভাবতে শেখায়ঃ নিজেকে শুধরায়!
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:৪৬:৩৪ দুপুর
সবটা বলবো না। যদিও পুরো বয়ানই হৃদয় নাড়া দেয়। নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। কী করছি? কিভাবে করছি? এর জবাব খুঁজতে পাগলপারা করে দেয়।
বলছিলাম মুখলিস দায়ীয়ে ইসলাম মাওলানা কালীম সিদ্দীকী সাহেবের কথা।
আজ মুখলিস দাঈ, যার ইখলাস ও দ্বীনী দাওয়াতের কর্মতৎপরতা আমাকে ঈর্ষান্বিত করে, সেই বড় ভাই মাওলানা যুবায়ের ভাইয়ের মান্ডার দাওয়া ইনষ্টিটিউটে চলছিল প্রোগ্রাম।
এসেছেন উম্মত দরদী, নববী আখলাকী দাঈ মাওলানা কালীম সিদ্দীকী হাফিজাহুল্লাহ।
হযরতের পূর্ণ বয়ান ছিল নববী শিক্ষায় ভরপুর। হযরতের বয়ানের দুটি পয়েন্ট হয়তো আমার মত আপনাদের ও উপকারে আসবেঃ
১-বাড়ী নির্মাণে কিছু ভাই ইট এগিয়ে দেয়। কেউ প্লাষ্টার করে। কেউ ইট জোড়া লাগায়। কেউ পিলার তৈরী করে। সবার কাজেই বাড়ীওয়ালা সন্তুষ্ট হয়। আত্মতৃপ্ত হয়ঃ "সবাই আমার বাড়ী নির্মাণ করছে"।
বাড়ী নির্মাণে সহযোগীতাকারী সদস্যদের কাজের ভিন্নতা হলেও তাদের প্রতি কোন খেদ থাকে না। বরং সবাইকে নিজের মনে হয়। আপন মনে হয়।
তেমনি ইসলাম নামক পূর্ণাঙ্গ দ্বীন প্রতিষ্ঠায় কেউ তাবলীগ করছে, কেউ তালীম দিচ্ছে, কেউ জিহাদ করছে, কেউ তাসাওউফের মেহনত করছে, কেউ রাজপথে সংগ্রাম করছে। সবার মনে রাখতে হবে এরা সবাই আমার মালিকের দ্বীনের কাজ করছে। কারো প্রতি কোন অভিযোগ থাকবে না। দ্বীনের সব কাজকে নিজের কাজ মনে করবে। তাহলেই পারস্পরিক মোহাব্বাত বাড়বে। কাজে গতি আসবে।
২-প্রতিদিন সকালে কুরআনে কারীমকে দাওয়াতের কিতাব মনে করে, বুঝে শুনে, চিন্তা ফিকির ও গবেষনার মানসিকতা নিয়ে তিলাওয়াত করবে। সারাদিন কাজের ফাঁকে তিলাওয়াতকৃত আয়াত নিয়ে ফিকির করবে। আর প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে রাসূল সাঃ এর জীবনী থেকে কিছু অংশ পড়বে। তারপর ঘুমাবে। তাহলে রাতটি মনে হবে আমার প্রিয় দ্বীন ইসলামের মাঝেই দিনটি কাটালাম। সুবহানাল্লাহ।
উপরোক্ত দু'টি নসীহতের উপর ইনশাআল্লাহ আমি আমল করার চেষ্টা করবো। আসুন আমরা সবাই আমল করি। আল্লাহ তাআলা ইখলাসের সাথে তার বন্দেগী এবং তার দ্বীনের কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
সংগৃহীত।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তো সেই সোবাহান হুজুর কি আপনি?
বাড়িওয়ালা টাকা পয়সা দেয় কাজ শেষে, টাকা পেয়ে কাজে আন্তরিকতা বাড়ায়, তাতে মালিক সন্তুষ্ট হয়, আল্লাহ কি টাকা দেয়! কেমনে কাজে মনোযোগ আসবে। সবার উদ্দেশ্য এক, কিন্তু আল্লাহ্ বাড়িওয়ালার মত অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো ভাগ ভাগ করে দেননি, বরং এই কাজগুলো সবাইকেই করতে হবে। হোক তা রাজ জোগালি অথবা হেড মিস্ত্রি।
মানুষের সাধ্যাতিত আল্লাহ তায়ালা মানুষকে চাপিয়ে দেন না। যার যতটুকু সাধ্য, সে ততটুকু চালিয়ে যাবে।
সাধ্য থাকার পরও অবহেলা করলে, তার জবাব আল্লাহ তায়ালাই নিবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে সবাই মিস্ত্রি হলে জোগালী দেবে কে? আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সাধ্যাতিত বোঝা চাপিয়ে দেন নাই। তাই যার যার অবস্থান থেকে দ্বীনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, এটাই হুকুম।
তবে সাধ্য থাকার পরও যদি কমতি করে, তার জবাব তাকেই দিতে হবে।
সুন্দর হাদীসটি বলার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
আমি এত নরম মনের মানুষ নই, কিন্তু মুসলমানদের আপসে বিবেদ, গ্রুপিং, দলাদলি, হিংসা, অহংকার আমাকে অনেক ভাবায়, কেন যে আমরা আজ এত দলে মতে বিভক্ত।
কেন যে মুসলিম জাতি এক হতে পারছে না, দিন দিন যেন বিবেদ ও গ্রুপিং বেড়েই চলছে। কেউ কাউকে এতটুকু ছাড় দিচ্ছে না, সুন্নাত ও নফল আমলের উপর ভিত্তি করে একে অন্যতে বাতিল ও শির্ক বলে গালিগালাজ করে যাচ্ছে।
এগুলো আমার খুব ভয় হয়, আল্লাহ হেফাজত করুক।
সত্যিই হযরতকে এযুগের মহা মানব বলা চলে, যার চরিত্র দেখে ও বয়ান শুনে হাজারো অগনিত বিধর্মী ইসলামের ছায়াতলে এসেছে আসছে।
হযরতের জন্য নেক হায়াতের দোয়া আমিও করছি। আল্লাহ তায়ালা উনাকে হায়াতে ত্বায়্যিবাহ দান করুক। আমীন।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ঈমান ও ইখলাস নিয়ে কাজ করলে সবাই সবার জায়গাতে ঠিক আছে, অবশ্য কিছু মানুষের মানসিকতায় সমস্যা রয়েছে, যারা সব জায়গাতেই নেগেটিভ দেখে।
ধন্যবাদ আফরা।
যারা একে অপরের বিরোধীতায় লিপ্ত, তাদের অধিকাংশই অজ্ঞের কাতারে। সবার মাঝে ইসলামের দরদ থাকলে আশা করি এমনটি হওয়ার কথা নয়।
শুকরিয়া।
সত্যি ই ভাবার মত উদাহরন,
আমার ও মনে হয়, কেন একে অন্য কে নিয়ে এত সমালোচনা,
কেউ যদি ভুল করে, তাকে দ্বীনি ভাষায় বুঝাতে হবে,
না বুঝলে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দাও,
অন্যকে গালিগালাজ করা কি কোন মুসলমান কে শোভা পায়??
আসলে মুসলিমগণ একে অপরের প্রতি কোমল হওয়াই ইসলামের শিক্ষা, কিন্তু কেন যে আমরা বেহুদা বাড়াবাড়ি করি!
আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফীক দান করুক। আমীন।
তবে মিস্ত্রিরাতো সবাই একই বিল্ডিং এ একই উদ্দেশ্যে কাজ করে। কিন্তু সবাই ভিন্ন বিল্ডিং এ কাজ করেনা।
সবার উদ্দেশ্য একই হওয়া উচিত, কর্ম পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। শুকরিয়া।
চমৎকার উপস্থাপনা মাশাআল্লাহ।
এতদিন ব্যস্ত ছিলেন বুঝি!
ঠিকই বলেছেন, সত্যিকারে দায়ীরা এমনই হয়। দায়ীদের চালচলন দেখেও অনেকে ইসলাম গ্রহন করেন, যেমন সোনালী যুগের মানুষরা ছিলেন।
সুন্দর হৃদয়গ্রাহী কমেন্টের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন