মুসলিমরাই করে যাচ্ছে ভিন্ন নামে মুর্তিপুজা (কমেন্ট পোষ্ট)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ০৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:১২:৩৮ রাত
ইসলামের সূচনা লগ্ন থেকেই হয়েছিল মুর্তি ধ্বংশের কাজ। কাবা ঘরের ৩৬০টি মুর্তি কিন্তু মূর্তিপুজক থেকে ফিরে ইসলামগ্রহন কারীরাই ভেঙ্গেছিল।
আমরা জানি জাতির পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও মুর্তি ধ্বংসের কাজটি করেছিলেন। কারণ মূর্তি পুজা করা মানে শিরক করা। আর শির্ক এমন এক জঘন্য অপরাধ যে, আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও মুশরিকদের ক্ষমা করবেন না।
বর্তমানে পহেলা বৈশাখের নামে চলছে মুর্তিপজার মহোৎসব। না জেনে না বুঝে মুসলমানরাই এই কাজের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন, সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা ও নোংরামীতে ভরে দিচ্ছে আমাদের এই সমাজ এই দেশকে।
গাজী ভাইয়ের আজকের বৈশাখী পোষ্টের একটি কমেন্ট আমার খুব নজর কাড়ে, কমেন্টটি ছিল হাদীসের আলোকে উদ্ভাসিত। লোভ সামলাতে না পেরে অনুমতি নিয়ে সম্মানিত ব্লগারদের জন্য শেয়ার করলাম।
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি যেদিন প্রথম এই হাদিসটা পড়েছিলাম যে, কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন হল, "মুসলিমদের মধ্যকার কিছু লোক মূর্তিপূজায় লিপ্ত হবে" আমি খুব অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে, মুসলিমরা মূর্তিপূজায় লিপ্ত হবে এটা কিভাবে সম্ভব!! উত্তর পেতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। যখন আব্বু-আম্মুর ঘরে ঢুকলাম দেখলাম, টিভিতে একটা ভারতীয় সিরিয়াল চলছে।
সিরিয়ালের নায়িকা ভক্তির সাথে মূর্তিপূজা করছে, শাখ বাজাচ্ছে সেই দৃশ্য মা-বাবা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছে অর্থাৎ এভাবে প্রতিটি মুসলিম ঘরেই পরোক্ষভাবে মূর্তিপূজা হচ্ছে। এসব দেখতে দেখতে মূর্তিপূজার প্রতি আমাদের একটা সহানুভূতি তৈরী হয়ে গেছে যদিও আমরা সরাসরি এ কাজে এখনো নিজেরা হাত লাগাচ্ছিনা তবে আচিরেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এসে হয়ত তা কাজে পরিণত করবে।
যেমন: আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া পিচ্চি মেয়ে তৃষা তার একটা ঘটনা। সকাল বেলা উঠেই সে তার মাকে প্রশ্ন করছে, আচ্ছা আম্মু, তুমি সকালে উঠে পূজা করনা কেন? ওর মা একটু অবাক হয়ে বলল, পূজা করব কেন? তৃষা জবাবে বলল, ঐযে সিরিয়ালে যে দেখায় সকালে উঠে পূজা করতে হয়, তুমি করনা কেন? ওর মা জবাব দিল, নাহ মা! ওরাতো হিন্দু তাই পূজা করে আমরা তো মুসলমান কেন পূজা করব??
ঘটনা ২. পরেরদিন পহেলা বৈশাখ। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে, এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশেষ চমক। প্রথম আলো মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বিশাল একটা সংবাদ ছাপিয়েছে। ছোটদের কাছ থেকে মঙ্গলশোভাযাত্রার ব্যাপারে মতামত নিয়েছে।
সাংবাদিকের প্রশ্ন: মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেন যাবে?
ছোট একটা ছেলের উত্তর: আম্মু বলেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় গেলে আমার এবছরের যাবতীয় অমঙ্গল দূর হবে। এবছর আমার ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষা, আমি পরীক্ষায় বৃত্তি পাব আমার জীবনের আশাগুলো পুরণ হবে।
ঘটনা ৩: পহেলা বৈশাখের দিন। সাংবাদিকেরা সবাই মঙ্গল শোভাযাত্রার মাঝে দাড়িয়ে আছে মানুষের কাছ থেকে অনুভূতি জানতে চাইছে, টিভিতে চলছে লাইভ টেলিকাষ্ট।
সাংবাদিক বলছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালির এক সার্বজনীন মহা উৎসব। এবারের প্রধান আকর্ষণ পেঁচার মুখোশ যা দুর করবে বাঙ্গালির সকল অমঙ্গল, ধ্বংশ করবে সাম্প্রদায়িকতার কালো ছায়া।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন: আমার উম্মতের মধ্যে যখন একবার তরবারী চালিত হবে, তখন আর তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ হবে না। আর ক্বিয়ামত সেই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে না, যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মুশরিকদের সাথে মিশে যাবে এবং যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মূর্তি বা স্থানপূজা করবে। অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মাঝে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব ঘটবে, যাদের প্রত্যেকেই আল্লাহর নবী হওয়ার দাবী করবে।
অথচ বাস্তব কথা এই যে, ‘আমিই শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবী নেই’। আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল চিরকাল সত্যের উপরে অবিচল থাকবে। বিরোধিতাকারীগণ তাদের কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। এমতাবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে’।(আবু দাঊদ, তিরমিযী , সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৫৪০৬ ,বঙ্গানুবাদ মেশকাত হা/৫১৭৩)
আল্লাহ সত্যের পথিকদের সহায় হোক।
বিষয়: বিবিধ
২০৫২ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেখেন কেমন করে গাল ফুলিয়ে বসে আছে।
দিয়ে দিলেন! আহ অনেক আরাম লাগল। পিঠ টা ম্যাজ ম্যাজ করছিল কদিন ধরে। আজকাল তো টাকা দিয়েও লোক পাওয়া যায়না, পিঠ টিপে দিবে। আর আপনি বিনা পয়সায় দিলেন। খুশি হলাম রে খুশি হলাম।
পিচ্ছি মেয়েকে আইবিবিএল কোন কারণে ইন্টার্নি করাল, আমার তো মাথায় ধরতেছেনা!
আমি আগে সরল মনা ছিলাম, আর এখন হয়েছি হাঁদারাম। প্রতি পদে পদে উষ্ঠা খেয়ে পড়ে গিয়ে লজ্জা যার নিত্য সঙ্গী।
বিয়ে / মেয়ে / দাজ্জাল! একবার হয়েছে তো আক্কেল। নতুন করে আক্কেল দাত উঠা লাগবে? আচ্ছা আল্লাহ্ যদি দেন।
আমি আসলে বৃহঃবার রাত আটটা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ব্লগে ও অনলাইনে তেমন একটা আসি না। কারণ ছুটির সময়টা খুব করে নিজেকে ও পরিবারকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসি।
মানে স্কাইপে ও হোয়াটস এ্যাপে। যতটুকু সময় দেওয়া যায় আরকি!
জান্নাতের কাছ থেকে সপ্তাহের পড়াশুনা, শিক্ষকদের আরচণ, ছাত্রছাত্রীদের জগড়া, মারামারি, টাকা নিয়ে দোকান থেকে কোন দিন কি খাওয়া হয়, বসার জায়গা নিয়ে ঠেলাঠেলি, চকের গুড়ো নিয়ে টানাটানি এক কথায় পিচ্চিদের মাঝে যা হয় আরকি বিস্তারিত শুনি।
আমার মনে হয় এতে বাবা মেয়ের আন্তরীকতা কিছুটা বাড়ে। মাঝে মাঝে ভিড়িও কল দিয়ে মা মেয়ের খুনসুটি দেখতেই থাকি। বিছানার উপর গড়াগড়ি, স্লেটে আঁকাআঁকি মাথা আঁচডানি ইত্যাদি দেখে দেখে আমার শুক্রবারের প্রায় সময় কেটে যায়।
এক কথায় এসমস্ত কারণে ব্লগে আসা হয় না।
বৃহঃপতিবার সন্ধায় সামান্য সময় নিয়ে আপনার পোষ্টটির প্রথম দিকের কিছু কথা জুড়িয়ে অফিস থেকে বিদায় নেই।
আপনার প্রতি সালাম রইল। সাকা গাজি/পাজি ভাইকে অনেক অনেক ধন্যের বাড়ি।
মঙ্গল শোভা যাত্রা অ-মঙ্গল দূর করবে এটা সম্পূর্ণ রূপে শির্ক। সচেতন মুসলমান মাত্রই জানে শির্কের গোণাহ কতটা ভয়াবহ।
আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের বুঝার ও মানার তাওফীক দান করুক। আমীন। শুকরিয়া।
উনি কর্পোরেট মানুষ। আপনাকে খুশি করে দিবে।
জান্নাতের বাবা এমন কর্পোরেট মানুষই খুজতেছ। সামনে মেয়ে দিবেতো তাই..... তো উনার দিকে একটু নজর দিয়েন ক্যান!
কর্পোরেট খুজতে হবে না। সময়মতো কর্পোরেটরাই তাদের প্রয়োজনের বিষয়টি খুজে নেবে।
তা ছাড়া আমার প্রয়োজন توكلت على الله ও নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই। দিল্লি বহুত দূর হ্যায়।
এই অধম বেশি বেশি দোয়ার মুহতাজ।
অনেক অনেক শুকরিয়া।
এক পেটুক লোক গিয়েছে বিয়ের দাওয়াতে বারবার খাদেমকে ডেকে পোলাও গোস্ত সাবাড় করছে বিরক্ত হয়ে খাদেম আর তার দিক আসেনা তখন লোকটা দেখল তার পাশের লোকটার প্লেট খালি তাই লোকটা খাদেমকে ডাকতে লাগল, এইযে ভাই এদিক আসেন উনার প্লেটটা খালি
এত কথা বুঝি না, সব দুষ্টের হাড্ডি।
গাজি ভাইয়ের ব্যপারে আমার কিন্তু তাই মনে হয়, বিয়ের ব্যপারে উনাকে একটি শহুরে মেয়ের সন্ধানে সহায়তা দিবেন। অন্তত বাসা ভাড়া মাইনাস হবে।
এত ঘুরিয়ে বলার কি আছে! সরাসরি বললেই হয়।
ঘুম ভাঙাতে চাই বোনটির বক্তব্য উপস্থাপন খুবিই যথার্থ বলে আমারও মনে হয়।
মুসলমানদের বোধোদয়ে ও শীঘ্র ঘুম ভাঙ্গাতে লিখাটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা।
মহান রাব্বুল আলামিন লেখককে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই কবুল করুণ এবং মুসলমানদের ঈমান ও আখলাককে পরিশুদ্ধ করার তৌফিক দিন। আমীন।
সত্যিই ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য তিনি কিন্তু হাজারো প্রতিকুলতার মাঝেও কম চেষ্টা করেন না, আল্লাহ তায়ালা উনার প্রচেষ্টা কবুল করুক।
হৃদয় ছোঁয়া মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করুক। আমীন।
আমিই জান্নাতের বাবা ইন্সপায়ার করলাম!
পনি!!!!!!!! এমন করেনাহহহহহহহহহ!
এবার হলো তো সাকা ভাই।
আমারও আশঙ্কা হচ্ছে, না জানি আবারো দ্বীনে এলাহি মসজিদ মন্দির গুলিয়ে ফেলে। এগুলোর মূলে আমার মনে হয় শিক্ষা ব্যবস্থাই দায়ী।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় চাচাজান।
জিগ্যেস করলে বলবে এবারের মুর্তিগুলো অনেক সুন্দর ।
আফসোস.......।
সত্যিই প্রায় প্রতিটি মুসলিমের ঘরেই আজ এভাবে মুর্তিপুজা হচ্ছে।
আবারো কোন ধারাবাহিক শুরু করুন, ইন শা আল্লাহ সাথে থাকবো।
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্য শুনুন,
“কাফেরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো আলিমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ। এটা কাউকে মদ খাওয়া বা খুন করা বা ব্যভিচার করায় সাধুবাদ জানানোর মতো। যাদের নিজের দ্বীনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই, তারাই কেবল এ ধরনের ভুল করতে পারে। যে অন্যকে আল্লাহ্র অবাধ্যতা, বিদ’আত, অথবা কুফরীতে জড়ানোর কারণে শুভেচ্ছা জানাবে সে আল্লাহ্র ক্রোধ ও শাস্তির সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করল”।হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আপনার ছবিটি কিন্ত কথা বলে। ধন্যবাদ।
সুস্থ আছেন তো!
মাদ্রাসার ছাত্রকে দিয়ে হিন্দুদের পূঁজার অনুষ্ঠান দেখানোর মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে যে , মাদ্রাসার ( ইসলামের) কড়া শাসন (!) থেকে মুক্ত হতে চায় শিশুটি ।
যে পিচ্ছিটি সকালে ঘুম থেকে উঠে, মাকে পুজা করতে বলে, সে মনে হয় তার মাকে কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়তে দেখেনি
সত্যি বলেছেন। ৯০% মুসলমান বলে সংখ্যায় লিখলেও নামাযী মুসলমান ২০% ও নাই।
শুকরিয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন