স্বাধীনতা বনাম পরাধীনতা
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৬ মার্চ, ২০১৬, ০৪:০৪:৫৫ বিকাল
টুডে ব্লগের সম্মানীত ব্লগারদের আয়োজনে স্বাধীনতা উদযাপন পোষ্টে আমাকে "ভুলুন্ঠিত স্বাধীনতা" শিরোনামে কিছু লিখার আদেশ করা হয়েছে। বড়দের আদেশ শীরোধার্য্য, তাই সংক্ষিপ্ত আকারে নিজের বিনা পুজি থেকে কিছু লিখার চেষ্টা মাত্র।
সম্মানীত সভাপতি, আয়োজক, পরিচালক, লিখক ও পাঠকদের প্রতি রইল আন্তরীক সালাম।
যদিও মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, দেখিনি মাজলুমের ফরিয়াদ ও জালিমের উল্লাস। তবুও শুনেছি, জেনেছি বড়দের কাছ থেকে, কিভাবে কি হয়েছিল।
ইংরেজ শাষনের শেষ লগ্নে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশকে তারা ধর্মীয় ভিত্তিতে দুটি ভাগ করে গেলেন। হিন্দু সংখ্যা গরিষ্টের কারণে 'ভারত' আর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্টের কারণে পাকিস্তান। পুর্ব বাংলাকেও মুসলিম সংখ্যা গরিষ্টের কারণে পাকিস্তানের সাথেই থাকলে হলো, যদিও মুল পাকিস্তান থেকে দূর বহুদূর। তবুও বড়ভাই ও ছোট ভাইয়ের মত পশ্চিম পাকিস্তান আর পূর্ব পাকিস্তান হয়ে কিছু দিন ভালই কাটলো।
দূ-কুলে পাকিস্তান হওয়ায় ভারতবাসী হিংসুটে হিন্দুদের ঘুম হারাম হয়েগেল। ইস্রায়ীলী চক্ষু নিয়ে সর্বদা দু'পাকিস্তানকে টুকরো করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো।
কিন্তু ভাইদের মাঝেতো পৃথক করা সম্ভব নয় যদি হিংসুটে রমনী জোগাড় না করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী কিছু দালাল ও নিয়েজিত করলো।
বিভিন্ন ইস্যূতে দু'পাকিস্তানে অনেক আন্দোলন, অনেক দাওয়া দাবী ইত্যাদি পার হতে লাগলো। সময়ও তার গতিতে চলতে লাগলো। আরামে খেতে থাকলে নাকি গায়ে চর্বি জমে যায়। পশ্চিম পাকিস্তানেরও তাই হলো, পূর্বদের উপর ছোটখাটো জুলুম অত্যাচার শুরু করলো।
এদিকে হিংসুটে হিন্দুরা তিল কে তাল বানিয়ে পুর্ব পাকিস্তানের নেতা নেত্রীদের উস্কে দিতে থাকলো। আর এ কথাও বুঝিয়ে দিল যে, তোমরা গোলামীর শিকল পরে আছ। পশ্চিমারা তোমার মুনিব, তাই নিজেদের মুক্ত করতে এখনই আন্দোলনে নেমে পড়ো।
বাঙ্গালী জাতি এমনিতেই হুজুগে। ঢোলের বাড়িতে শুরু করলো পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন। এতেই পাকিস্তানী বাহিনী বাড়িয়ে দিল জুলুম অত্যাচার। অতঃপর কেন্দ্রিয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও পুর্ব পাকিস্তানের ব্যক্তিকে ক্ষমতা না দেওয়ার চুড়ান্ত যুদ্ধে রূপ নেয়। লক্ষাধিক তাজা প্রাণের বিনিময় এদেশ মক্ত হয়েছে ঠিক। কিন্তু বাঙ্গালী জাতিকে আবারো আবদ্ধ হতে হলো ভারতের গোলামীতে।
কতটুকু গোলামিতে নিমজ্জিত বাঙ্গালীজাতি তার আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের দিকে তাকালেই বুঝাযায়ঃ দেশতো স্বাধীন হয়নি বরং মুনিবের বদল হয়েছে।
নতুন মুনিবদের চামচামি করে খুশি রাখলেই ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হয়। যাক না দেশ রসাতলে তাতে কি! মরুক না জনগন কাটাতারে তারে তাতে কি! ধর্ষিতা হোক না আমার বোন তাতে কি! লুটপাট হোক না রাজকোষ তাতে কি! প্রশাষনে জেঁকে বসুক হিন্দু শকুনরা তাতে কি! ফাঁসিতে ঝুলুম মজলুম তাতে কি! রাতের আঁধারে চলুক গনহত্যা তাতে কি!
প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজন আরেকটি যুদ্ধ। কথা লম্বা হয়ে যাচ্ছে। আজকের মত এখানে.............
হায়রে স্বাধীণতা! তুমি আজ চেতনা ব্যাপারিদের হাতিয়ার....................
বিষয়: বিবিধ
১২৮৭ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্ত তুমি তো ভগ্নাংশ
দুয়ের এক, তিনের এক, চারের এক
বাদবাকিটা অধীনতা!
রিপোর্ট করুন | জবাব দিন
২ 363685 ২৬ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৪:২২
সুমন আখন্দ লিখেছেন : আমি চাই পূর্ণ স্বাধীনতা!
কিন্ত তুমি তো ভগ্নাংশ
দুয়ের এক, তিনের এক, চারের এক
বাদবাকিটা অধীনতা!
রিপোর্ট করুন | জবাব দিন
৩ 363690 ২৬ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সময়পুযোগী পোস্ট! জাযাকুমুল্লাহ!
রিপোর্ট করুন | জবাব দিন
৪ 363691 ২৬ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
এধনের কিছু এলোমেলাে কথার কিছুই বুঝিনি। সাকার সাথে জোট বেধে নতুন কোন ষড়যন্ত্রের সুচনা নয় তো!
হেমায়েতপুর নিতে হবে কিনা পরামর্শ দেন @ আবু জান্নাত
জাযাকাল্লাহ খাইর
স্বাধীনচেতা হয়ে পুনরায় গোলামী করায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করার মত লজ্জা আর হয়না।
জান্নাতের বাপ লেখাটি কাল জায়গা মত চলে যাবে. আবার পোস্ট করা লাগবেনা
এই লেখাটি মন্তব্যের ঘরে দেবেন
ছোটখাটো শব্দ গুলো তিক্ত লাগলো।
দেশতো স্বাধীন হয়নি বরং মুনিবের বদল হয়েছে।
অনেক বলিষ্ঠ একটি লিখনী মাশা আল্লাহ্।
মন্তব্য করতে লগইন করুন