মিসড কলে জ্বালিয়াতী : অভ্যন্তরে কারা?
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৮ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:১৪:১৪ দুপুর
২৪ ঘন্টা তো আর নেট ওপেন করে রাখা সম্ভব হয় না। যদিও এখানে নেট একেবারে সস্তা, অফিসে আনলিমিটেড ওয়াইফাই, রুমেও আনলিমিটেড ওয়াইফাই।
বিশেষ করে ব্যাটারির কথা ভেবেই নেট অফ করে রাখি।
দেশে সহধর্মীনির হাতে যে মোবাইল, তাতে ইন্টারনেট সীমিত। শুধু প্রয়োজনের সময় নেট চালু করা হয়। স্কাইপ বা ইমু তে বেশির ভাগ কথা বলা হয়। স্কাইপিতে অতিরিক্ত এম.বি খরচ হয় বিধান বর্তমানে বেশিরভাগ ইমুতে কথা হয়।
আমার ধারনা মতে স্কাইপিতে অডিও ক'লে যে পরিমান নেট ব্যয় হয়, ইমু'তে ভিডিও ক'লে একই ধরনের পরিমান ব্যয় হয়। সে হিসেবে ইমু'কে বেছে নেওয়াই ভালো মনে করলাম।
যখন কথা বলার সুযোগ করি, প্রথমে দুদিক থেকে মিসড কল আদান প্রদান করি, তার পর নেট ওপেন করে ইমু'তে কল দিয়ে থাকি। আমার মনে হয়, বেশিরভাগ প্রবাসীই হয়তো এমন করে থাকেন।
এর মূলত কারণ হলঃ অনেক সময় আমি হয়তো ফ্রি, কিন্তু আহলিয়া সাংসারিক কাজে ব্যস্ত, অথবা আহলিয়া এখন ফ্রি আর আমি ডিউটি বা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত। এজন্যই মিসড কল আদান প্রদান।
তাছাড়া আমিরাতে ইত্তিসালাত কোম্পানী ভাইবার ও ইমু অনেক আগে থেকেই ব্লগ করে রেখেছে। তাই মিসড কল পেলে ভিপিএন ওপেন করতে হয়। এতে মিসড কলের বিকল্প নেই।
এখন সমস্যা হল: দেশ থেকে যখন বিদেশে মিসড কল দেয়, প্রায় সময়ই এই হারামী কোম্পানীগুলো ৫টাকা করে কেটে নেয়। জিপি আর রবি'র কথা বলছি। অন্য অপারেটর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেই।
প্রায় সময় দেখা যায়, বিদেশের মোবাইলে মিসড কলও আসেনি। কিন্তু ব্যালেন্স শেষ। এভাবে দেখা যায় দৈনিক ৩ থেকে ৪ বার ৫টাকা করে নিয়ে যায়।
কোন কোন সময় মিসড কল একটু লম্বা হয়। দেখা যায় মাঝে মাঝে এই দেশের নাম্বার দেখায়, তখন রিসিভ করলেই কেটে যায়। ঐদিকে আহলিয়া রেগে আগুন। কিছু সময়ের জন্য হলেও প্রতিজ্ঞা করে আর মিসড কল'ই দিবো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে এধরনের রাগের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা যে কঠিন। তাই রাগ হজম করে আবারো আগের অবস্থায় ফিরা।
মাঝে মাঝে মেঝাজটা খারাপ হয়ে যায়। তবুও করার কিছু নেই। কথা যে বলতেই হবে। মিসড কল যে দিতেই হবে।
জানি না, এভাবে পয়সা জ্বালিয়াতি কারা করছে।
(সবুজ ভাইয়ের কাছে এ ব্যাপারে সহযোগীতা চাই, যদি সাধ্যের মধ্যে হয়।)
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৪ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারা যে দায়ী???
ধন্যবাদ
দেশের ইমাম যদি হারামীর বাচ্চা হয়, মুক্তাদী কি আর হালালী হবে!
শুকরিয়া।
পরীক্ষিত সমাধান
আহলিয়ার মোবাইলে ড্রাফট ফোল্ডারে একটি মেসেজ লিখে রাখতে বলুন, মিসকলের বদলে সেটি ব্যবহার করলে, সামান্য পয়সা গেলেও অন্যান্য সকল ঝামেলা ও সন্দেহ থেকে মুক্ত!
আপনার পরামর্শটি অবশ্য দারুন। কাজে লাগানো যেতে পারে।
তবে মেসেজ হয়তো সকালে দিলে, বিকেলে পড়বে।
তাই সময় মতো পাওয়া কঠিন। কল দিলে তো দূর থেকে আওয়াজ শুনে ছুটে আসবে।
শুকরিয়া।
আপনি মিসকল দিতে তো সমস্যা নেই,
আপনি মিসকল দিলেও কি টাকা কাটে??
ধন্যবাদ।
ব্লগার সবুজ ভাই গ্রামীনফোনের কর্মকর্তা বিধায় উনার দৃষ্টি আকর্ষন করছিলাম মাত্র।
অনেক কষ্ট ধৈর্য্য নিয়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে শুকরিয়া জানাই।
জাযাকিল্লাহ খাইর
কখনো কখনো সান্ত্বনা দিই এই ভেবে স্কাইপিতে ফ্রি.... হয়তো মিসকলে লোকসান......!!
এ সমস্ত ডাকাতদের শনাক্ত করা খুবই প্রয়োজন।
ধন্যবাদ
শুকরিয়া টিপু ভাই।
আন্তর্জাতিক কল এর ক্ষেত্রে মিস কল হলেও টাকা কাটবে এটা স্বাভাবিক। আগেও যখন ট্রান্ক কল সিষ্টেম ছিল শেষ পর্যন্ত কথা বলা না গেলেও বুকিং চার্জ দিতে হত। কল মিস হলেও কলটি আর্ন্তজাতিক গেটওয়ে হয়ে ভিন্ন দেশের টেলিফোন কোম্পানির সুইচ পর্যন্ত যায়। কল রিসিভ না হলেও এই গেইটওয়ের ভাড়া দিতে হয়। আর্ন্তজাতিক কলের ক্ষেত্রে কল গেইট ওয়ে তে গেলেই মিটার কাউন্ট শুরু হয় মানে টাকা কাটা শুরু। সেই জন্য আন্তর্জাতিক কলে মিস কল হলেও টাকা কাটা যায়। আমার মনে হয় আপনারও যায় তবে পরিমানে কম হওয়ায় খেয়াল করেন না। মেসেজ টাই সুবিধাজনক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন