এলোমেলো (ছবি ব্লগ)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ০৪ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৩২:১৬ রাত
আগস্টের ৯ তারিখ ২০১৫ ড্রাইভিং ফাইল ওপেন করার জন্য মুসাফফাহ ড্রাইভিং স্কুলে গেলাম।
এখানে সিরিয়াল নিয়ে অনেক্ষণ সময় কাটাতে হলো।
অতপর স্কুলে ক্লাসের জন্য চার দিনে আট ঘন্টা মৌখিক ক্লাস করলাম। আলহামদুলিল্লাহ পঞ্চম দিন পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালই হল।
অতঃপর প্রাক্ট্রিক্যাল ক্লাসের অনুমতি মিলল। কিন্তু সময় সল্পতায় আর যাওয়া হয়নি। নভেম্বরের ৮ তারিখ আমার পার্মিশন শেষ, পুণরায় আবার সিরিয়াল ও ১৩০ দেরহাম দিয়ে ৩মাসের জন্য কার্ড বানাতে হবে।
ডিউটির ফাঁকে একটু ব্রেকে যাই, কিন্তু সময় সল্পতার কারণে কাটাকুটা করে পাক করার মত সময় নাই, তাই সকালেই কাটার কাজ শেষ করে ফ্রিজে রেখে যাই।
ইতিমধ্যে ডিউটি বেড়ে গেছে, দুপুরের ব্রেক টাইমে লেবার অফিসে যেতে হয় বিভিন্ন কাজে। একদিন লেবার অফিস খালি পেয়ে ছবি দুটো নিলাম।
এক শুক্রবার বিকেলে হাটতে হাটতে মাদিনাতে যায়েদ শপিং সেন্টারের লুলু হাইপার মার্কেটে গেলাম। দারুন দারুন দুটি গেট দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না, মোবাইলের ফ্রেমে বন্দি করে নিলাম। উম্মে জান্নাতের আফসোস ছিল, তাকে নিয়ে এক সাথে কখনো ছবি উঠাইনি, তাই এই গেটটির মাঝে দম্পত্তিকে ফটোসপের কারুকার্য্যে দাড় করালাম। অতঃপর হোয়াটসএ্যাপ এর মাধ্যেমে পৌছে দিলাম।
আমার স্পন্সর দুদিন আগে মিসর থেকে আসার সময় আমার জন্য মিসর থেকে কিছু কাচা খেজুর নিয়ে আসলেন। যেমন বড় তেমন কালার, তেমনই মিষ্টি। দুটি খেলেই ভাতের কায্য সমাপ্ত।
মরুম মাঝেও মানুষরা গাছের ছায়াকে খুব ভালোসাবে। তাই একটু ছায়াতে বসার চেষ্টা। সকাল বিকাল অন্তত কিছুটা সময় এখানে কয়েকজন বনিআদম এখানে আড্ডায় মেতে উঠেন।
মুসাফফাহ ৩৭ নাম্বারে এক ক্যফেটেরিয়ায় নাস্তা করে বের হয়ে দেখলাম দেশি স্টাইলের পান দোকান। বেচারার সাহসের প্রশংসা করতেই হয়। এমন জটিল মুহুর্তে আমিরাতের আইনকে তোয়াক্কা না করে পান বিক্রি!
বেচারার সাহসের বাহার দেখে আমিও এক খিলি পান খেলাম।
বিষয়: বিবিধ
২০৪৫ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার খুব ইচ্ছা কোনদিন যদি আমিরাতে কুটণৈতিক ভিসা নিয়া যাইতে পারি তবে পান খাব সবার সামনেই!!
আমিরাতে এসে সবার সামনে পান খেতে পারবেন পুলিশ ছাড়া। পুলিশ বা সিআইডি দেখলে ৫০০ দিহাম জরিমানা গুনতে হবে। হা হা হা......
পান দোকানের ছবি পান খাওয়ার লোভ জাগিয়ে দিল.......!!
অনেক ছোট থেকেই পান খাওয়ার বদ অভ্যাস আমার!
প্রবাসে আসার পর এই সুযোগ আর নাই!
এখনও দেশে গেলে প্রচুর খাওয়া হয়!
আমার দেশ কততততত ভালললললো
আমার দেশ অনেনননননেক সুন্দর আরব আমিরাত পচাঁ
আমার দেশ কততততত ভালললললো
খেজুর আমার খুবই পছন্দ, তাই গিন্নী টি-টেবিলে সর্বদা নানা রকম খেজুর সাজিয়ে রাখেন। আমি প্রতিদিন অফিস থেকে বাসায় গিয়ে সেখান থেকে বেছে বেছে দুটি খেজুর খাই।
গিন্নী তির্যক ভাবে বলেন, সেখানে বাছাই করার কি আছে! আজকে যে খেজুর গুলো আমার পছন্দ হয়নি, দুদিন পরে সে গুলোও আমি খেয়ে ফেলব! যাক, ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
অন্তত নতুন আসার পরও দেশের কষ্টটা কিছুটা হলেও লাঘব হতো।
খেজুর খোর টিপু ভাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
২০১৫ এপ্রিল ৩০ হাতে পেলাম সেই লাইসেন্স...
কত রোদ / শীত এর মদ্ধেই স্কুলে যাওয়া...
অনেক কস্ট ও ত্যাগের পর এই লাইসেন্স।
অনেক কষ্ট ও ত্যাগ অবশ্যই করতে হয়। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ পুটির বাপ।
সংক্ষিপ্ত পরিসরের বিবরণ এবং ছবিগুলো আসলেই চমৎকার হয়েছে। নিঁখুতভাবে কাঁটা আলু , পিঁয়াজগুলো দেখে বুঝলাম আমাদের ভাই অ নে ক গুণী!
শুকরিয়া।
আহা মহিলাদের চোখ বুঝি তাদের কাজের দিকেই থাকে। আলু পিঁয়াজ নিয়ে কেউ কিছু না বললেও আপনি বলেছেন। একেই বলে সৃষ্টিগত ফিতরাত।
যতটুকু বুঝেছেন ততটুকু নই, পরিস্থিতিতে বাধ্য, তাই একটু আদটু করতেই হয়। শুকরিয়া।
অন্য ছবি গুলো অনেক সুন্দর ধন্যবাদ জান্নাতের বাবা আমার ভাইয়া ।
ঝাল লাগলে খেজুর আছে না! একটি খেয়ে নেন। ব্যাস ঝালের কামাল শেষ।
শুকরিয়া
ধন্যবাদ আপনাকে
শুকরিয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন