চলে গেলেন কোরআনের হাফেজা ড. আফিয়া সিদ্দিকা...

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৩৯:২৮ দুপুর



চলে গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকা...

একঃ মালালা বেঁচে গেলো। ড.আফিয়াও বেঁচে গেলেন। মরে গিয়ে বরং বেঁচেই গেলেন আফিয়া। বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস্ট ড.আফিয়া সিদ্দিকা অবশেষে মুক্তি পেলেন নারকীয় যন্ত্রনা থেকে। নিস্তার পেলেন আমেরিকান ধর্ষকদের খেলা থেকে, বিশ্ব দর্শকদের হেলা থেকে।

বেঁচে গেলো পিচ্চি মেয়ে মালালাও। আশ্চর্য এক ম্যাসেজ মিলছে এই দু’জন থেকে। দু’জনেই পাকিস্তানি। মালালা স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী। আফিয়া পিএইচডি হোল্ডার। একজনকে ওরা খুবলে খায়, অন্যজনকে নিয়ে মেতে ওঠে পরিকল্পিত খেলায় ! ড. আফিয়াকে আল-কায়েদার সাথে জড়িত সাজিয়ে ইউএস আদালত তাকে সাজা দেয়। সাথে দেয় গণ ধর্ষণের অলিখিত লাইসেন্স। আর মালালাকে কোলে তুলে গেয়ে উঠে মানবতার গান ! বিশ্ব বিবেক গা ভাষায় স্রোতের অনুকূলে! মানবতার ধ্বজাধারীরা বসে থাকে মুখে কুলুপ এটে।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার এক চোখা দৃষ্টিভঙ্গি এড়িয়ে যায় এই দিক। আর যারা বৃহন্নলা, নিরবে হজম করে যায় আর চেটে খায়, খুঁজে ফিরে গর্ত, যে কোনো শর্তে। অন্য যৎসামান্য বাকি যারা চুড়ি পরা, দেখতে থাকে, বুঝতে থাকে আর গাইতে থাকে মনে মনে তুমি চোর হইয়া চুরি করো পুলিশ হইয়া ধরো, সর্প হইয়া দংশন করো ওঝা হইয়া ঝারো!

দুইঃ ২০০৩ সালে প্রথমে কিডন্যাপ করা হয় ড. আফিয়াকে। এই কিডন্যাপিংয়ে সহায়তা করে খোদ পাকিস্তান সরকার। গুম করে রাখা হয় ২০০৮ পর্যন্ত। নিয়ে যাওয়া হয় আমেরিকান টর্চার সেলে। চলতে থাকে গণ ধর্ষণ, দিনের পর দিন। তাকে উলঙ্গ করে কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে বলা হত, যাও, কুরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে এসো। ড. আফিয়া সেটি করতে পারতেন না কারণ, তিনি মুসলমান। কারণ তিনি কুরআন ভালবাসতেন। ৩০ পারা কুরআন যে তার বুকেও ছিল। তিনি যে একজন হাফেজাও ছিলেন। তখন তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেত আরো।

২০০৮ সালে তাকে নিয়ে সাজানো হয় মূল নাটক। এক আমেরিকান সেনা হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হল। শুরু হয় বিচারিক প্রহসন। আমেরিকান আদালত তাকে ৮৬ বছরের সাজা ঘোষণা করে! একজন নারী, একজন মুসলিম সাইন্টিস্ট কুরআনে হাফেজা নারীকে নিয়ে বিশ্ব মোড়লরা মেতে উঠলো নোংরা খেলায়, দেড়’শ কোটি মুসলমানের এই দুনিয়ায়, ছয়’শ কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে কেউ কিছু বললো না! কেউ না! আশ্চর্য এক পৃথিবীতে আমাদের আবাস !

ড.আফিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচারিক রায় ঘোষণার সময় তাকে কিছু বলতে বলা হলে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, “আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেফ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার! আপনার কাছে কিছুই বলবার নেই আমার। আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয়েছিলো। আমাকে ছেড়ে দিন। আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।” সেই আফিয়া মারা গেলেন অবশেষে। আমি বলি মারা যাননি, আসলে তিনি বেঁচেই গেলেন।

২০০৩ থেকে মরে ছিলেন তিনি। মৃত্যুর মাধ্যমে বরং বেঁচে গেলেন তিনি। তাকে আর খুবলে খাবে না পিশাচের দল! তাকে আর বিবস্ত্র করে বলা হবে না যাও, কুরআনের উপর পা রেখে কাপড় নিয়ে এসো গিয়ে! উফ! কী অসহ্য যন্ত্রনার-ই-না ছিলো নয়’টি বছর! ড.আফিয়ার সাথে নোংরা খেলার এই নায়কদেরই যখন দেখি মালালাকে নিয়ে মাথা ঘামাতে, হা হুতাশ করতে, মানবতার পক্ষে বড় বড় বুলি আওড়াতে, তখন সন্দেহ করতে ইচ্ছে করে মালালা তাদের নিজেদেরই প্রডাকশন কি না! অথবা উদ্দেশ্য হাসিল করবার জন্যে তারা নিজেরাই তালেবান সেজে মেয়েটিকে গুলি করেছে কি না!

তিনঃ বিশ্বের একমাত্র স্নায়ূ বিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকির তাঁর মূল অপরাধ ছিলো তিনি এতো উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কুরআনের প্রতি ঝুকে ছিলেন কেনো? কুরআন থেকে কেনো রেফারেন্স টানতেন? ১৯৯৩ সালের একটি ভিডিও ক্লিপের সৌজন্যে আমার সুযোগ হয় একুশ শতকের এই হযরত সুমাইয়ার বক্তব্য শোনার। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম আমার বোনের কথাগুলো। কুরআনের একটি একটি আয়াত তেলাওয়াত করে বৈজ্ঞানিক সূত্রে কথা বলছিলেন তিনি। তিনি বলছিলেন, ইসলাম হলো নারীর সুরক্ষক।

ড.আফিয়া সিদ্দিকার বক্তব্যের অংশ ইউটউব দেখতে পারেন। মানুষটিকে ওরা মেরে ফেললো তিলে তিলে। অকথ্য নির্যাতন করে। বিশ্ব মিডিয়া চেপে গেলো খবরটি, সেই প্রথম থেকেই। ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক চিঠিতে মুসলিম জাতিকে তিনি ঘুমন্ত মৃত জাতি বলে সম্ভোধন করে কিছু আক্ষেপের কথা বলেছিলেন।

বলেছিলেন, আমি আর তোমাদের সাহায্যের আশা করি না। আমি তোমাদের বোন না। তোমরা কেউও মুহাম্মদ বিন কাসেম না। আমি আমার আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই, আর কারো কাছেই না আফিয়া মিথ্যে বলেননি মোটেও।

সেকুলার লিবারেল ছোট্ট একটি মেয়ে মালালাকে এই সময়ের সেরা বুদ্ধিজীবি বানিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হলো আর ওদিকে আফিয়ার উপর চলতে থাকলো পৈশাচিক নির্যাতন। কেউ কিছু বললো না। কেউ বললো না ছোট্ট মেয়ে মালালাকে যে বা যারাই গুলি করেছে, অন্যায় করেছে, চরম অমানবিক কাজ করেছে। তালেবানরা এটা করে থাকলে তাদের অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। দোষীদের খোঁজে বের করে ফাসিতে ঝুলানো উচিত। কিন্তু কথা তো এখানেই শেষ হতে পারে না।

এক মালালাকে নিয়ে এতো দৌড় ঝাপ কিন্তু বিশ্বে যে আরো মালালা আছে ইরাকে, আফগানে, ফিলিস্তিনে, পশ্চিমা ন্যাটো ঝুটের অবিরত ড্রোন হামলায় যে মালালারা মারা যাচ্ছে, তাদের কী হবে? ২০০১ থেকে এ পর্যন্ত শুধু আফগানিস্তানেই মারা হয়েছে ১৩ হাজার ২শ থেকে বেশি শিশু. যাদের বয়স ১৫ থেকে কম। অর্থাত যারা প্রত্যেকেই এক একজন মালালা। এদের বেলায় মানবতা নিরব কেনো? নাকি বিশ্ব সভ্যতার ঠিকাদার কর্তৃক অসভ্যতা চললে সেটাকে অসভ্যতা বলতে হয় না! কী জানি!

তাদেরই তৈরি সাদ্দাম হোসেন যতদিন তাদের ফরমাবরদারী করেছিলেন, ঠিক ছিলেন। যখনই বেঁকে বসেছিলেন তিনি, ঝাপিয়ে পড়া হয়েছিলো ইরাকে। আর এই সময় এক লক্ষেরও বেশি ইরাকি শিশুকে হত্যা করলো ন্যাটো বাহিনী। কোথায় ছিলো তখন বড় বড় বুলি? আমেরিকার পদলেহন করলে সাদ্দামই করেছিলো। রুখে দাড়ালে সাদ্দামই দাঁড়িয়েছিলো। এই শিশুরা তো কোনো পাপ করেনি। এই শিশুরা তো অস্ত্র ধরেনি। কেনো তবে হত্যা করা হলো এদের? মালালা আমার বোন। সে সুস্থ হোক। কিন্তু ইরাকের এই শিশুরা কি মালালা থেকে কম? তাহলে কেনো তাদের বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে না? ডবল স্ট্যান্ডার্ড আর কতদিন চলবে?

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মহাত্মা গান্ধীর ভারতে গেলো চল্লিশ বছরে সাত হাজারের বেশি কাশ্মিরী শিশুকে জীবন দিতে হয়েছে। এই শিশুরা, আফগান, ইরাক আর কাশ্মিরের এই শিশুরাতো আর সন্ত্রাসবাদী ছিলো না। এরা কোথাও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেয়নি। এরা জীবনে কাউকে একটা গুলিও করেনি। তাহলে এদের মেরে ফেলা হলা কেনো? এই শিশুদের অপরাধ কী ছিলো? বিশ্ব মানবতা এদের বেলায় নিরব কেনো?

একজন মালালাকে নিয়ে আধিখ্যেতার অন্ত নেই। বিশ্বের অত্যাধুনিক হাসপাতাল গুলোতে চলছে তার চিকিৎসা। অথচ, ইরাকে আফগানে ফিলিস্তিনে আহত মালালাদের দেখবার কেই নেই! মালালার পেছনে খরচ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ডলার, আর এদিকে তাদেরই আঘাতে রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকা শিশুরা পয়সার অভাবে ধুকছে মৃত্যু যন্ত্রনায়!? কেনো? মানবতার নামে কেনো এই উপহাস?

চারঃ মারা গেলেন ড. আফিয়া সিদ্দিকি। নয় নয়টি বছর লাগাতার ধর্ষণ আর নির্যাতনের সাথে সাথে তার শরীরে ক্যান্সারের বীজও পুতে দিয়েছিলো সভ্যতার মুখোশপরা নরপশুরা। শারীরিক আর মানসিক যন্ত্রনার দু:সহ নারকীয় একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। বুকে কুরআন নিয়ে মাথা উচু করেই বিদায় নিলেন আফিয়া। চলে গেলো বোনটি আমার। আমরা তাকে বাঁচাতে পারলাম না। তারচে’ দু:খজনক হলো বাঁচানোর চেষ্টাটা পর্যন্ত করলাম না।

কেউ বললাম না ড. আফিয়া যদি অপরাধ কিছু করেই থাকেন, নিরপেক্ষ আদালতে তাঁর বিচার হতে পারে (যদিও জানি না সেটি কোন গ্রহে আছে) কিন্তু একটি মেয়েকে, বিশ্বের একমাত্র নিউরো সাইন্টিস কোরআনে হাফিজ একটি মেয়েকে এভাবে বছরের পর বছর আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা আর নির্যাতন করা তো কোনো সভ্য পৃথিবীতে চলতে পারে না।

হায়রে সভ্যতা! হায়রে মানবতা! আজকাল মানুষে আর পশুতে পার্থক্যটা এতো কমে এসেছে যে, ফারাক করতে কষ্ট হয়। মালালা বেঁচে উঠছে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুক। সে অবস্থার শিকার হোক অথবা ব্যবহৃত, যাই হোক, ভালো হয়ে যাক মেয়েটি। আর হবেই। সে ভাগ্যবতি। বিশ্বের বড়মোড়লরা আছে তার সাথে। আর ঐ যে ! ইরাকে আফগানে বা ফিলিস্তিনে, যারা ধুকছে, এরা হতভাগা! এদের জন্যে কাঁদবারও কেই নেই। চিকিৎসা করাবে কে? নিয়তির মতিগতির দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর আর কিছু করার নেই! অবাক পৃথিবীই আমাদের ঠিকানা!

মালালা ইউসুফজাইকে ওরা কোলে তুলে নিয়েছে এই বলে, মালালা ছিলো নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সোচ্চার কণ্ঠ। আফিয়াকে ওরা মেরে ফেলেছে তিলে তিলে কারণ, আফিয়া ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত, নিউরো সাইন্টিস্ট। তবু ওরা কী চায়, কীভাবে চায়, বিশ্ব বিবেক তবুও বুঝে না নাকি বুঝেও বুঝে না, আমি সেটাই বুঝি না! তবে একটি ব্যাপার বুঝতে পারছি আমাকে অনেকগুলো চুড়ি কিনতে হবে।

বিশ্বের দেড়’শ কোটি মুসলমানের নেতৃবৃন্দকে পরিয়ে দেবার জন্য আমাকে অনেকগুলো চুড়ি খরিদ করতে হবে। এ ছাড়া আমার আর কী ই বা করার আছে! কুরআনের অনুসারী হয়েছিলেন বলে মক্কার মুশরিকরা হযরত সুমাইয়াকে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে রেখে অকথ্য নির্যাতন করতো। আগেই জানানো হয়েছে আফিয়া ইস্যূতে মিডিয়া নিরব! তাই তাঁর মৃত্যু ব্যাপারেও পরিষ্কার করে জানানো হচ্ছে না কিছূ। ড. আফিয়ার মৃত্যু সংবাদটি সঠিক হলে আর তিনি মারা যেয়ে থাকলে ইতোমধ্যে নিশ্চই সুমাইয়ার হাত ধরে বসে আছেন। তাহলে ভাল আছেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব মুসলিম ভালো থাকবে কেমন করে? আর অপারে যেয়েই বা কী জবাব দেবে?

আফিয়া তো চলে গেলেন! বিশ্ব বিবেকের গালে চপেটাঘাত করে। একজন আফিয়া এভাবে নিষ্পেষিত হয়ে বিদায় নিলো আমাদের চোখের সামনে। কেউ কিছু বললো না! কেউ কিছু করলো না! বুঝতে পারছি না ধিক্কার আমি কাকে দেবো? লাম্পট্যবাদে জড়িত আমেরিকানদের? বৈশ্বিক বোবা বৃহন্নলাদের? মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে? নাকি এই সময়ের অংশ হিসেবে নিজেকেই? আমি জানি তালেবান আল কায়দারা জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী তাহলে আমার প্রশ্ন তাহলে এই সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদীদেরকে কেন বিশ্বের জ্ঞানী, শিহ্মিত লোকগুলো দুনিয়ার সব ছেড়ে ভালবাসে । যার প্রমান পুরো বিশ্ব দেখেছে কেমন করে তাগুত কাফের মুশরেকদের কড়া পাহারা আর নিষেধাজ্ঞা ছেদ করে তারা সঙ্গি হয়েছে সন্ত্রাসীর। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করার সময় কি এখনো হয়নি মুসলমানদের??

ড. আফিয়ার জন্য দোয়ার আরয রইল।

ফেসবুক থেকে সংগ্রহ.....

বিষয়: বিবিধ

৫০৯২ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347407
২৭ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১২
আহমদ মুসা লিখেছেন : জীবন্ত শহীদ ড. আফিয়া সিদ্দিকী কখন মারা গেলেন? দীর্ঘদিন থেকেই শুনা যাচ্ছিলো তিনি অনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন আমেরিকান কারাগারে! কিন্তু বিশ্বস্ত কোন সূত্র থেকে নিশ্চত হওয়া যায়নি!
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
288474
আবু জান্নাত লিখেছেন : কবে মারা গেলেন সঠিক জানা হয় নাই। তবে আজকে ফেসবুকে এই পোষ্টটি পড়ে অন্তরআত্মা কেঁপে উঠলো। তাই সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করলাম। আল্লাহ তায়ালা মহান এই মহিলাকে জান্নাতবাসী করুক। শুকরিয়া।
347410
২৭ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : অন্তর থেকে এই বোনটির জন্য দোয়া করি। দোয়া করি আপনার জন্য।
আমরা যারা মুসলমান তারা সবাই আসামীর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
সেদিন কি জবাব হবে সকল মুসলিম নামধারী শাসকদের?
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫১
288475
আবু জান্নাত লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা মহান এই মহিলাকে জান্নাতবাসী করুক। কেয়ামতের ময়দানে অবশ্যই মুসলিম শাষকদের জবাবদিহি করতে হবে। মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।
347415
২৭ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:০৪
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন আর অত্যাচারীদের কঠিনতম শাস্তি দিন - আমিন
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২৮
288485
আবু জান্নাত লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা তো বিচার অবশ্যই করবেন। কিন্তু দুনিয়ার ক্ষমতালোভী শাসকদেরও কিছু করার ছিল।

এক সময়ের আরবরা সিন্ধু নদীর তীরে একজন মুসলিম মেয়ের নির্যাতনের প্রতিবাদে দেবলের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারতবর্ষ স্বাধীন করেছিলেন। একজন খৃষ্টান মেয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে আরবরা স্পেন জয় করেছিলেন। আজ সে ঘটনাগুলো শুধু ইতিহাসের পাতায় বন্ধি।

মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।

২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৬
288546
আফরা লিখেছেন : আমীন !
347428
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১০
আবু সুফিয়ান লিখেছেন : আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন আর অত্যাচারীদের কঠিনতম শাস্তি দিন - আমিন
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২৯
288487
আবু জান্নাত লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা তো বিচার অবশ্যই করবেন। কিন্তু দুনিয়ার ক্ষমতালোভী শাসকদেরও কিছু করার ছিল।

মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।

২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
288547
আফরা লিখেছেন : আমীন !
347433
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
দোয়া করি....

আমি জানি তালেবান আল কায়দারা জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী তাহলে আমার প্রশ্ন তাহলে এই সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদীদেরকে কেন বিশ্বের জ্ঞানী, শিহ্মিত লোকগুলো দুনিয়ার সব ছেড়ে ভালবাসে । যার প্রমান পুরো বিশ্ব দেখেছে কেমন করে তাগুত কাফের মুশরেকদের কড়া পাহারা আর নিষেধাজ্ঞা ছেদ করে তারা সঙ্গি হয়েছে সন্ত্রাসীর। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করার সময় কি এখনো হয়নি মুসলমানদের??


ভাবনার বিষয় বটে!!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩৩
288488
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ভাই। সত্যিই ভাবনার বিষয়। মহান আল্লাহ মুসলিম শাষকদের বিবেক জাগিয়ে দিক।

হাজার হাজার আফিয়া এখনো জালিমের বন্ধিখানায় প্রতিনিয়ত ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা তাদের সহায় হোক।

মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।

347436
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
নাবিক লিখেছেন : কিছু বলার ভাষা নেই। ওনার জন্য দোয়া।।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩৪
288489
আবু জান্নাত লিখেছেন :
মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর।
২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
288548
আফরা লিখেছেন : আমীন !
347439
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।

ব্যথায় ভার হয়ে যাওয়া মন নিয়ে পড়ে নিলাম, অনিঃশেষ দোআ উনার জন্য!
আল্লাহ অতি উত্তম বিচারক, সেই বিচারদিবসের সঠিকবিচারের ভার আমরা আল্লাহ'র কাছ থেকেই পাব ইনশা আল্লাহ!

চমৎকার লিখাটি শেয়ার করার জন্য আন্তরিক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু খাইর।
ইদানিং লিখা পড়ার আমন্ত্রন পাইনা কেনো?
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩৭
288490
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
চমৎকার হৃদয় নিংডানো মন্তব্যটির জন্য শুকরিয়া। আপনার দোয়া কবুল হোক।

ব্যস্ততা এখনো কাটেনি। দোয়ার আরয রইল।

347450
২৭ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
নিমু মাহবুব লিখেছেন : ইয়া আল্লাহ! হাশরের দিন আমি প্রথম ডক্টর আফিয়ার উপর নির্যাতন কারিদের শাস্তি চাই।
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৪১
288491
আবু জান্নাত লিখেছেন : বোন আফিয়ার মত হাজারো বোন জালিমের বন্ধিখানায় প্রতিনিয়ত জালিমদের ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। তাদের জন্য দোয়া করা চাই।

মুসলিম শাসকদের কবে যে ঘুম ভাঙ্গবে!

347452
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:০৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আফিয়া বোন অবশ্যই তার প্রাপ্য মহান আল্লাহর কাছে পেয়ে যাবেন কিন্তু হায়রে দুনিয়ার মুসলীম, তোমাদের দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ৷ ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতির জন্য৷
২৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৪৩
288492
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমার বার বার মনে পড়ে: এক সময়ের আরবরা সিন্ধু নদীর তীরে একজন মুসলিম মেয়ের নির্যাতনের প্রতিবাদে দেবলের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারতবর্ষ স্বাধীন করেছিলেন। একজন খৃষ্টান মেয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে আরবরা স্পেন জয় করেছিলেন। আজ সে ঘটনাগুলো শুধু ইতিহাসের পাতায় বন্ধি।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম শাসকদের হারানো গৌবর ও ঈমান ফিরিয়ে দিক এই কামনা করি।

মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর।

১০
347491
২৮ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:১৫
নূর আল আমিন লিখেছেন : আল্লাহ উনাকে
বেহেশত নসীব করুন
আর অত্যাচারীদের
কঠিনতম শাস্তি দিন
- আমিন
২৮ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
288523
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার দোয়ায় আমিন ছুম্মা আমিন।

জাযাকাল্লাহ খাইর।

২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
288549
আফরা লিখেছেন : আমীন !
১১
347522
২৮ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : হে আল্লাহ তোমার দ্বীনের খাদেম এই মহিলাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিও। বিশ্ব মুসলিমদের বিবেকের দরজা খুলে দাও।
ধন্যবাদ আপনাকে
২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:০০
288524
আবু জান্নাত লিখেছেন :
আপনার দোয়ায় আমিন ছুম্মা আমিন।

জাযাকাল্লাহ খাইর।

নতুন পিকচারটা দারুন মাশা আল্লাহ। জ্ঞান তপস্যায় ধ্যান মগ্ন Good Luck Good Luck Good Luck

০৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫০
289161
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ শরীফ ভাইয়া,
১২
347538
২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আল্লাহ্ তাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন।
২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
288542
আবু জান্নাত লিখেছেন :
আপনার দোয়ায় আমিন ছুম্মা আমিন।
শুকরিয়া বড় ভাই।

২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
288550
আফরা লিখেছেন : আমীন !
১৩
347540
২৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
আফরা লিখেছেন : াল্লাহ আমাদের সবার দুয়া কবুল করুন । আমীন !
২৮ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:০৩
288592
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমীন ছুম্মা আমীন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা করুক।
১৪
347582
২৮ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৪৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যখন উনার ব্যাপারে পড়েছিলাম নিজেকে প্রচন্ড অসহায় মনে হচ্ছিল। কাদছিলাম আর আল্লাহকে বলছিলাম, আল্লাহ তুমি এই জানোয়ারদের কোনদিন ছেড়োনা। আমার মামা আমেরিকায় থাকেন আম্মুকে একবার বলেছিলামও মামাকে একটু বলেননা আমেরিকায় বিবিএ এমবিএ টা করতাম। কিন্তু যেদিন পড়েছিলাম আমেরিকায় এত লেখাপড়া করার পরেও নিছক কুরআন প্রচারের অপরাধে একজন নারীকে এত বড় নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, তারপরে আর কোনদিনই আম্মুকে বলিনি আমেরিকা নামক দেশটার কথা। কেয়ামতের ১০ টা বড় আলামত এর ১ টা হল , পশ্চিমে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প যাতে ওয়েস্টার্ণ ইউনাইটেড স্টেটস মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যাবে। আমেরিকার বিজ্ঞানীরাও ইদানিং এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখছেন। মালহামা শুরু হলে তাদের আর এই গৌরবও থাকবেনা। দুঃখ হয় সেখানকার মুসলিমদের জন্য।
উনি যদি আল-কায়িদা হয়েও থাকেন, তবুও কি ওনার সাথে কুফফার এবং মুনাফিকরা যা করেছে তা জাস্টিফাইড??

আল-কায়িদা হলেই কি কুফফারদের নির্যাতন জাস্টিফাইড হয়ে যায়??

ঠিক এই জিনিসটা উম্মাহ যত দিন না বুঝবে, ততদিন তারা নির্যাতিত হবে; কারণ তারা জানে না যে এর ঠিক পরের টার্গেট কিন্তু তারা নিজেরাই।

তিনি আল-কায়িদা হোক আর না হোক, তার প্রতি কুফফারদের মানবতার ইতিহাসে এইরকম বিরল নির্যাতনের কারণে যে অনেক লোক আল-কায়িদা হয়ে গিয়েছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
২৮ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:১৪
288595
আবু জান্নাত লিখেছেন : ২০১১ সালে সর্বপ্রথম আ.ফ.ম খালেদ হোসাইন সাহেবের ফেসবুক থেকে ড. আফিয়ার সম্পর্কে বিস্তারীত জানলাম। এর কিছুদিন আগে নসীম হিজাযীর লিখিত উপন্যাস "মুহাম্মদ বিন কাসিম" পড়েছিলাম।

তখন মুসলমানদের ঈমানের পার্থক্য বুঝলাম। রাসূল (সঃ) এর যুগ থেকে পৃথিবী যত দূরে যাচ্ছে, মুসলমানদের ঈমানের অবস্থা তত দূর্বল হচ্ছে। এক সময় পৃথিবী থেকে ঈমান উঠেই যাবে।

কেয়ামতের ১০ টা বড় আলামত এর ১ টা হল , পশ্চিমে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প যাতে ওয়েস্টার্ণ ইউনাইটেড স্টেটস মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যাবে।

এটার রেফারেন্সটা জানালে উপকৃত হতাম। যদি সম্ভব হয় জানাবেন।

সুন্দর ও বিস্তারিত মন্তব্যটির জন্য শুকরিয়া।


০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৬
293363
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া হাদিসটি হুজাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। আবূ খায়সামা যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবূ উমার মাক্কী (রহঃ)হুযায়ফা ইবনু আসীদ আল গিফারী (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,একদা আমরা (সাহাবারা)আলোচনায় ব্যস্ত ছিলাম। এমতাবস্হায় রাসূল ﷺ আমাদের নিকট আসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছ? আমরা বললাম,আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছি। এ কথা শুনে রাসূল ﷺ বললেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না, যতক্ষন না তোমরা দশটি বিশেষ নিদর্শন দেখতে পাও। অতঃপর তিনি ধোঁয়া, দাজ্জাল, দাব্বাতুল আরদ (ভূপৃষ্ঠের পশু),পশ্চিম দিগন্ত হতে সূর্য উদিত হওয়া, মারইয়াম পুত্র ঈসা(আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অবতরণ, ইয়াজুজ-মাজুজ এবং তিনবার তিনটি ভূমি ধ্বসের কথা উল্লেখ করলেন। একটি ভূমিধ্বস সংগঠিত হবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে, আরেকটি পশ্চিম প্রান্তে ভূমি ধ্বস, সর্বশেষ আরব উপদ্বীপে ভূমি ধ্বস। এ নিদর্শন সমূহের পর এক অগ্নি প্রকাশিত হবে, যা মানুষকে ইয়ামান থেকে হাঁকিয়ে হাশরের ময়দানের(আস-শাম)দিকে নিয়ে যাবে।(এটা মুসলিম শরীফের হাদিস এবং মান সহীহ। ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত অধ্যায়তে হাদিসটি রয়েছে। বুখারী ও অন্যান্য হাদিস গ্রন্হেও ফিৎনা ও কিয়ামত অধ্যায়ে এসেছে। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত মুসলিম শরীফের ৫৪ নাম্বার অধ্যায়তে এটি রয়েছে। হাদিস নং:৭০২১, আরবী ও ইংরেজী অনুবাদগুলোর অধ্যায় ৪১/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, হাদিস নং: ৬৯৩১)
এর ব্যাখ্যায় শাইখ আনোয়ার আওলাকি বলেছিলেন: পশ্চিমে এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ওয়েস্টার্ণ ইউনাইটেড স্টেটস মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যাবে। আপনি জেনে থাকবেন ডিসকভারী নিউজ ও চ্যানেলও দাবি করেছে আমেরিকায় খুব তাড়াতাড়ি ভয়াবহ ভূমিকম্প হবার সম্ভবনা আছে যাতে আমেরিকার অর্ধেক মানুষ মারা যাবে এবং মানচিত্র পরিবর্তনের সম্ভাবণা আছে। বিবিসি ও সম্ভবত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেও এমন প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। বিবিসির খবরটা বাংলাদেশের কালের কন্ঠ পত্রিকা বাংলা অনুবাদ করে ছাপিয়েছিল কিছুদিন আগে। আল্লাহ ভাল জানেন। তবে কোরান-হাদিসের তথ্যাদি জড় করলে এটা না বোঝার কিছুই নেই যে, তারা খুব বড় আসমানী আযাবে ধ্বংশ হবে। কারণ কুরআনের সুরা বনী ইজরাইলে আল্লাহ নিজেই বলছেন: এমন কোন জনপদ নেই যা আমি কিয়ামতের পূর্বে কঠোর আযাব দিয়ে ধ্বংশ করবোনা। এটা তো পবিত্র গ্রন্হেই লিপিবদ্ধ আছে।
আবার সেই একই সূরায় আল্লাহ বলছেন: "যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংশ করার ইচ্ছা করি তখন তার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে সৎকর্ম করতে আদেশ করি;কিন্তু তারা সেখানে পাপাচারে মেতে ওঠে;(তওবা করার বিপরীতে সীমালঙ্ঘনে মেতে ওঠে)তখন সেই জনপদবাসীর উপর দন্ডাজ্ঞা অবধারিত হয়ে যায় এবং আমি তাকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি।(সূরা বনী ইসরাইল:আয়াত:১৬, অধ্যায়:১৫)"
আর তাছাড়া অন্যতম বড় নিদর্শন ধোঁয়া, যা সমস্ত পৃথিবীর আকাশ ঢেকে ফেলবে এটা অবশ্যই কোন ভয়াবহ যুদ্ধকে ইঙ্গিত করে। যাকে ইহুদি খৃষ্টানরা বলে আমেগাদান আর হাদিসে বলা হয়েছে মালহামা বা মহাযুদ্ধ। যেই যুদ্ধ হবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে ভয়াবহ যা পৃথিবীর মানুষ আগে কোনদিন প্রত্যক্ষ করেনি। ধোঁয়ার বিশাল কুন্ডলী যা সমস্ত পৃথিবীর আকাশ ঢেকে ফেলবে এটা তখনই সম্ভব যদি পারমানবিক যুদ্ধ শুরু হয়। আপনি হিরোসিমা ও নাগাসাকির উপরে পারমানবিক বোমা হামলার উপর করা ডকুমেন্টারীগুলো দেখতে পারেন। যাইহোক আল্লাহ ভাল জানেন।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০০
293369
আবু জান্নাত লিখেছেন : অনেক উপকৃত হলাম। জাযাকিল্লাহ খাইর
১৫
347755
৩০ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৪০
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন ।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
৩০ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
288767
আবু জান্নাত লিখেছেন :
আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক।
মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।
১৬
347914
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:২১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আমি শুধু নির্বাক, হতবাক আর অবাক হয়েই রইলাম।
আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন। বোন আফিয়া ও তার পরিবারকে উত্তম জাযা দিন, আমিন
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২৮
288856
আবু জান্নাত লিখেছেন :
সত্যিই এক হৃদয় বিদারক ঘটনা।
কেয়ামতের ময়দানে অবশ্যই এর সঠিক ফয়সালা দেখার অধীর অপেক্ষায় রইলাম।

আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করুক। আমীন।
১৭
348295
০৩ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:৪৭
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : চুড়ি বেশী করে কেনেন ভাই- আমাদের সবারই তা পরা দরকার!
০৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৮
289160
আবু জান্নাত লিখেছেন : সত্যিই মুসলিমরা আজ চুড়ি পরাই বেশি উপযুক্ত। নিজেরদের মাঝে সুন্নাত মুস্তাহাব নিয়ে টানাটানিতেই ব্যস্ত।
ভুল মোদের ঈমানের দাবী, ভুল মোদের কার্য্যক্রম।

১৮
355800
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৩
মুফতি যুবায়ের খান রাহমানী। লিখেছেন : স‌ত্যিই বোন আ‌ফিয়া! আমরা তোমার জন্য কিছুই কর‌তে পা‌রি‌নি। আস‌লে আমরা ভাই হওয়ার উপযুক্ত নই।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২২
295446
আবু জান্নাত লিখেছেন : ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File