এক্সপো-২০২০ . EXPO-2020 . اكسبو- 2020
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:০৬:০০ বিকাল
২০১২ এর অক্টোবর থেকে আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা সম্পূর্ণ বন্ধ। কোম্পানী চেঞ্জ করাও যাচ্ছে না। শুধুমাত্র ঘরের ভিসা ছাড়া। যেমন কুক, ড্রাইভার, সার্ভেন্ট ইত্যাদি।
২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে Expo-2020 ডুবাইতে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষনা আসে। এই এক্সপো ভ্যানুতে বাংলাদেশ সরকার ইন্ডিয়ার দাদাদের সাথে শলাপরামর্শ করে রাশিয়াকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। ইন্ডিয়াও রাশিয়াকে ভোট দেওয়ার কথা ছিল। কথামত বাংলাদেশ রাশিয়াকে ভোট দিলেও দাদারা কিন্তু দেয়নি।
অথচ ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভূটান সহ প্রায় সকল দেশই আমিরাতকে ভোট দিল। তাতে হলো কি! ইন্ডিয়া আমাদের সরকারকে কু-পরামর্শ দিয়ে বাঙ্গালীদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করলো, যা ভারতের স্বাভাবিক পুরাতন নীতি। যার পরিপেক্ষিতে আমরা মুসলিম কান্ট্রি হয়েও আমাদের জন্য আমিরাত সংকুচিত হলো, ভারত ও নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র হয়েও তাদের জন্য আমিরাত স্বর্গরাজ্যে পরিণত হল।
অপর দিকে বাংলাদেশ সরকার আমেরিকার রোষানল ঠেকাতে রাশিয়াকে হাতে রাখতে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনল, আবার এক্সপো ভ্যানুতে রাশিয়াকে ভোট দিলো।
ব্যস! দেশের ২য় বৃহত্তম প্রবাসী আয়ের উৎস আমিরাত কে বাংলাদেশীদের জন্য বিষিয়ে তূলল। একে তো ভিসা বন্ধ, দ্বিতীয়ত সিলগালা করা হল, বাংলাদেশীদের জন্য অনির্দিষ্ট কালের অবরোধ। সামান্য অন্যায়তে বাঙ্গালীদের হেস্তনেস্ত হতে হয় এখানে।
এক্সপো-২০২০ ঘোষনার পর এখানে জীবন যাত্রার মান প্রবাসীদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ঘর ভাড়া থেকে শুরু করে পানি বিদ্যুৎ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
যেহেতু শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, তাই নেপাল থেকে প্রায় ৩ লক্ষ শ্রমিক ইতিমধ্যে (২০১৩-২০১৫) নিয়ে এসেছে।
শুধু এক্সপোর কার্য্যক্রম এর জন্য প্রয়োজন ৫ লক্ষধিক শ্রমিক, যার বেশির ভাগই বাঙ্গালী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের উদাসীনতায় তা আজ পুরোপুরি নেপাল ও ইন্ডিয়ার দখলে।
যাই হোক, দুনিয়ার জীবন থেমে থাকে না। যার যার প্রয়োজন তার মতো পূরণ করে সবাই বেচে থাকার চেষ্টা করে।
এক্সপোর কার্য্যক্রম ইতিমধ্যে আরম্ভ হয়ে গেছে।
বিভিন্ন কনফারেন্স এর মাধ্যমে আরবদের প্রস্তুতীও চলছে।
আনন্দের বন্যায় ভেসে বেড়াচ্ছে পুরো আমিরাতের ৭টি প্রদেশ।
এক্সপো-২০২০ এর মাস্টার প্লান দেখতে পারেন এখানেঃ
জানি না, বাংলাদেশ সরকার কখনো এই ১৫লক্ষ আমিরাত প্রবাসীর কল্যাণে এগিয়ে আসবে কিনা!
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে
আমিরাত সরকার বাংলাদেশকে আহবান করেও সাড়া পায় নি। কেন যে বর্তমান সরকার ভারতের দালালীতে এত অন্ধ, পরবর্তী প্রজন্মই এর উত্তর দিবে ইন শা আল্লাহ।
আওয়ামীলীগকে জেনে রাখা দরকারঃ ক্ষমতা কাহারো চিরদিন থাকে না, কিন্তু দালালদের কর্ম মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রেখে তাদের ঘৃণা করতে ভুলে না। মির জাফর, মির সাদিকের নাম শুনে আমরা তাই দেখতে পাই।
কিছু গোঁড়া লীগ আছে, তারা সীকার করতেও চান না।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
পৃথিবীর ইতিহাস বলেঃ লোভীরা চিরকালই ঘৃণিত।
অথচ একটু ভারত বন্ধনা ত্যাগ করলেই তৈরী করতে পারতো বাঙ্গালীদের সামনে প্রসস্থ এক স্বপ্নের সিড়ি।
ধন্যবাদ।
ওরা বাঙ্গালীদের কর্মসংস্থান করতে না পারলেও অন্তত ৬লক্ষ ভারতীয়ের কর্মসংস্থান করেছে বাংলাদেশে। অথচ বাঙ্গালীরা নিজ দেশে কর্ম না পেয়ে, যেখানে এসে ঠাই নিয়েছে, সেখানেও তারা গদির লোভে বাঙ্গালীদের পেঠে আঘাত করলো।
এমন নিছু মানসিকাতর প্রথানমন্ত্রী আবার দেশের মানুষের জন্য বাপের মত নাকি জীবন দিতেও রাজি। হাসবো! না কাঁদবো!
ওদের পারিবারিক ঋণ আজ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে শোধ করা হচ্ছে।
হেহেহেহে দাদারা এরকমই বন্ধু। কিন্তু তারপরও সরকার ধুতির প্রেমে মশগুল।
শেখ সাহেবকে ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে দেশ ভাগ করালো। কারণ দুই পাকিস্তান ভারতের জন্য ত্রাশ ছিল। তিন বছর অতিক্রম না হতে সেই ভারতই শেখ মিয়াকে ভারতই হত্যা করালো, কারণ তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।
সামনেও যে কার প্রয়োজন কখন ফুরিয়ে যায়, বলাই মুশকিল।
এক্সপো মিলান সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তা আমাকে নিখাদ আনন্দই দিয়েছে কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি খুব খারাপ লাগলো!
দুইটা বিষয় জড়িত দুবাইয়ের সাথে - প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিক বছরের পর বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে আছে যার মধ্যে আমিরাত অন্যতম। অপরদিকে বাংলাদেশ সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবেও আশা করা যায় নিকটবর্তী মুসলিম দেশকেই সে তার ভোট দিবে!
ইতালিতে এসব ঘটে নি, ২০১৫ তে ক্যান্ডিডেট আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই দেশ ছিলো কিন্তু ভোটে ইতালি জিতেছে ! ইতালি সরকার কিন্ত এটা দেখতে যায় নি সংখ্যা গরিষ্ঠ ইমিগ্রান্ট দের অধিভুক্ত দেশ গুলো কোন দেশকে ভোট দিলো?
আমাদের দেশের কথা কি আর বলবো? নিজের মাথা খরচ করে বুদ্ধি বের না হলে পরের বুদ্ধিতেই চলতে হবে আর নিজের মাথা কাটবে এবং জনগনকেও ভোগাবে!
যা ঘটে সমস্ত ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়াই সময়ের দাবী! আমরা শিক্ষা নিতে জানি না বা ভুলে যাই!
শুকরিয়া আপনাকে!
বাঙ্গালী জাতির মধ্যে হিংসা, অহংকার, মারামারির অভ্যাস অতুলনীয়। সারা পৃথিবীর মানুষ আমিরাতে যত অন্যায় করে, বীরের জাতি বাঙ্গালীরা একাই তা করে। কোর্টে, আদালতে, নোংরা কাজে, ধোকাবাজিতে, কিলিকবাজিতে, মানুষ ঠকানোতে আমরাই সেরা।
তাইতো বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ। যদিও বাঙ্গালী শ্রমিক এখানে খুবই প্রয়োজন। কারণ বাঙ্গালীদের ন্যয় এত অল্প বেতনে পৃথিবীর কেউ এখানে চাকরী করে না। শিক্ষার অভাব ও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা বাঙ্গালীরা এখানে সামান্য বেতনে সংগ্রাম করি।
আরবরাও কিন্তু বাঙ্গালীদের ভালোবাসে। তবে আমাদের কর্মের কারণে তারা অনেকটা অতিষ্ঠ। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে একটু উদ্দোগ ও নম্রতার আশা করেন আমিরাত সরকার।
তবে আমাদের উনি তো শেখের মেয়ে, কিভাবে নম্র হবেন, মান সম্মানের গাট্টি শেষ হয়ে যাবে না তো!
শিক্ষা নেওয়া অবশ্যই দরকার। সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া আপু মনি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন