মুসলমানের কান্ড দেখে অবাক ও ব্যথিত হলাম

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৪৯:৩৬ দুপুর



ভাইয়া! আমরা যারা প্রবাসে থাকি, তারা তো দুনিয়া উপার্জনের জন্য বছরের পর বছর ধরে বিদেশে পড়ে থাকি, খুব কম সংখ্যক লোকেরাই বছর বা দুবছরে একবার স্ত্রী সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারলেও বেশির ভাগই চার পাঁচ বছর পরপর দেশে যায়। কেউ কেউ আছেন ৮/১০ বছরেও দেশে যাওয়ার তাওফীক হচ্ছে না।

আমাদের ব্যাপারে সহীহ হাদীস থেকে কিছু বলুন প্লিজ।

মানে স্ত্রী সন্তান আত্মীয়দের ছেড়ে এভাবে বছরের পর বছর বিদেশে পড়ে থাকাটা কেমন, সহীহ হদিস কি বলে।

তাবলীগের প্রথম কথাটিই হচ্ছে : আমরা চোখে যা কিছু দেখি বা না দেখি, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া সবই মাখলুক। মাখুলক কিছুই করিতে পারে না আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ তায়ালা সবই করিতে পারেন মাখলূক ছাড়া। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সর্বশেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল।

এটাই তাবলীগ জামাতের মৌলিক শিক্ষা বা আকিদা। এখানে আপনাদের শায়েখগন আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত বা সালাফদের আকিদার খেলাফ কি পেলেন?

তাবলীগ জামাতের দোষ খুজতে গিয়ে এ সকল শাইখগন প্রায় সময় সহীহ হাদিসকেও অস্বীকার করে বসেন। পাকিস্তানের তাবলীগ জামাতের আমীর বিশিষ্ট আলেম মাওলানা তারীক জামীল সাহেবকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন এক শায়খ, বিশ্বাস না হলে এই ভিড়িওটি দেখতে পারেন, জবাবসহ দেওয়া আছে। Click this link

সাধারণ মানুষ তাবলীগ জামাতে বের হন নিজে ইলমে দ্বীন শিখার জন্য, দৈনিক রুটিনে অন্তত ৫ঘন্টা কিতাবী তালীম করতে হয় (মুনতাখাব হাদীস ও ফাজায়েলে আমাল)। কমপক্ষে ১ ঘন্টা সূরা কেরাত ও আদইয়ায়ে মাসনূনাহ এর মাশক করা হয়। প্রাক্টিক্যাল সালাতের রিহার্সলে করা হয়। প্রত্যেকটি জামাতে একজন দ্বীনি জ্ঞ্যান সম্পন্ন আমির নিযুক্ত আছেন, সবাইকে তাকে অনুস্বরণ করে চলে হয়।

আল্লাহর রাস্তায় দ্বীনি কাজে বের হওয়া অবশ্যই ইবাদাত। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ তারা সেখানে ঈমান ও আমল শিখবে, সাধারণ মানুষদের নামাযের দিকে আহবান করবে।

চল্লিশ দিন বা ১২০ দিনের ব্যপারে কিছু কথা বলতে চাই। দুনিয়ার প্রত্যেকটি শিক্ষা ব্যবস্থার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন থাকে। যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমান লাগে না। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৫ বছর, নার্স কোর্সে চার বছর, অভিজ্ঞ্য ডাক্তার হতে হলে ৩বছর, ৫বছর ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হয়।

স্বয়‍ং মদীনা ইউনিভার্সিটিতে তাখাসসুস ফিল হাদীস, তাখাসসুস ফিত তাফসীর, তাখাসসুস ফিল ফিকহ ওয়াশ শারীয়াহ কোর্সেরও জন্য বিভিন্ন মেয়াদের কোর্স চালু রয়েছে।

আচ্ছা, এখানে শায়খদের প্রশ্ন আসে না কেন যে, সাহাবায়ে কেরামগণ তো এভাবে কোন স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স করেন নি! শুধু তাবলীগীদের একচিল্লা ৪০দিন, আর তিনচিল্লা ১২০দিন নিয়ে মাথা ব্যথা কেন??????

অথচ এসব মেয়াদ ছাড়াও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যও তাবলিগে যাওয়া কোন দোষের কিছু নয়। যেমন আমি ৩দিন ১০দিন ২০দিন এর জন্য গিয়েছি। তাবলীগে এসব মেয়াদ হল কর্মপদ্ধতি।

তাবলীগের নেসাব মুনতাখাব হাদীস ও ফাজায়েলে আমাল ২০০৯সাল এডিশনের মধ্যে কোন মাওয়ু হাদীস নেই। আমি চ্যলেঞ্জ করতে পারবো। সবগুলো হাদীস হয়তো সহীহ, নয়তো হাসান লিগাইরিহী বা যয়ীফ। যে কয়টি যয়ীফ হাদীস আছে তা কিন্তু কোন সহীহ হাদিসের সরাসরি এন্টি নয়।

হ্যাঁ অবশ্যই ফাজায়েলে আমালে আগেকার কিছু নেককার বান্দাদের কিচ্ছা বর্ণিত আছে, যেগুলো ঈমানের অংশ নয়। সত্যি হলেই কি! মিথ্যা হলেই কি!

তদুপরি বলি: মানুষ বলতে ভূলের উর্ধে নন। তাই ভূল হওয়া স্বাভাবিক। নসীহাহ হলো ভূলগুলো শুধরে দেওয়া, এটাই একজন মুসলিমের কর্তব্য। না জেনে না বুঝে শুধু শোনা কথায় তাবলীগী জামাতকে গালি দেওয়া বা বিরোধীতা করা আহাম্মকি ছাড়া আর কিছু নয়।

আজকের লিখাটি এজন্য লিখলাম যে, মুসলমান নামক এক ব্লগার তাবলীগ জামাতের কর্ম পদ্ধতির ভূল নিয়ে একটি পোষ্ট দিলেন, তাতে উনি অনেক কথাই বলেছেন। আমি তাতে মন্তব্য করে পোষ্ট করার সময় দেখলাম আমাকে ব্লক করেছেন। অনেকটা ব্যথিত হলাম। জানি না ব্লক করার কারণ কি? হবে হয়তো আমার মধ্যে খারাপির কিছু পেয়েছেন।

এখানে উনার পোষ্টের লিংক দিলাম। Click this link

যেহেতু উনার ব্লগে মন্তব্যটি করতে পারিনি, তাই পোষ্ট আকারে সবাইকে জানালাম। আলহামদু লিল্লাহ উনার প্রতিটি জবাব আমি দিতে প্রস্তুত।

মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ রইল। সংশোধন করার উদ্দেশ্যে আলোচনার আহবান রইল।



বিষয়: বিবিধ

২৪০০ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345521
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৬
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ঐ পোস্টটিত দেখলাম একটি ফাতাওয়া সাইডের, http://islamqa.info/en/8674 ফাতাওয়া।

আমরা চোখে যা কিছু দেখি বা না দেখি, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া সবই মাখলুক।

কোরআন কি মাখলুক?
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৪
286655
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : তাবলীগের দোষ ধরার জন্য কোরান মাখলুক কিনা প্রশ্ন করা থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে তাবলীগ জামাত আসলেই ভাল জামাত।
অনেকেই পেছাল বাড়ানোর জন্য পিপড়ার আতুড়ি কত ফুট লম্বা জিজ্ঞেস করে। এরকম প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে সবাই বলে যে ভাই উদ্দেশ্যে ভাল হলে কি তিনি এরকম প্রশ্ন করতেন?
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
286656
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এটার উত্তর বহু আগে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহি. দিয়ে গিয়েছেন, এবং জমহুর উলামায়ে কিরামের বক্তব্যও তাই-
কিতাবাকৃতিতে কুরআন মাখলুক হতে পারে, কিন্তু কুরআনের বাণি, যা প্রকৃতপক্ষে কুরআনই, আল্লাহর কালাম ও সিফত। কুরআনকে মাখলুক হিসেবে গণ্য করা মু'তাজিলা আক্বিদার অন্যতম অংশ।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩০
286664
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : একটি দিয়ে ধরলেন আর একটি দিয়ে সলুশন দিলেন। অত:এব লেখকের উচিত ইডিট করে দেয়া।
আমার পীরসাহেব চিল্লা দেয়া ছাড়া ইদানিং মুরীদ বানান না। মুরীদ হতে চিল্লা শর্ত।

কোথাও না থাকলে কি হবে আমাদের চিল্লা দিতেই হবে। এটা সওয়াবের কাজ।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:২৫
286700
আবু জান্নাত লিখেছেন : কুরআন خالق ও নয় مخلوق ও নয়। এ ব্যপারে অনেক অনেক তর্ক বিতর্ক এ পর্যন্ত হয়েছে। নতুন করে সে তর্কে যেতে আগ্রহী নই। কিতাবাকৃতিতে কুরআন মাখলুক হতে পারে। সুন্দর উত্তরটি দিয়েছেন: চিরবিদ্রোহী ভাই। জাযাকাল্লাহ খাইর।


জ্ঞানের কথা ভাইয়ের কাছে আমার একটি প্রশ্ন ছিল অনেক আগের করা, আপনি এটির উত্তর এখনো দেন নাই। আমি কিন্তু এখনো অপেক্ষায় রয়েছি।

আশা করি উত্তর পাবো। প্রশ্নটি এখানে আবার রিফিট করছিঃ
হাবিবুল্লাহ ভাইয়ের একটি পোষ্টে আপনি মন্তব্য করেছিলেনঃ

কোরাআনে আছে মৃতরা কথা শোনাতে পারেনা তো কি হয়েছে! আমার বুজুর্গ গণ ঠিকি পারে।


আমি প্রশ্ন করেছিলাম:
কোরআনের কোথায় এ কথাটি বলা হয়েছে? কোন সূরায়? কত নাম্বার আয়াতে? জানতে আগ্রহী। @জ্ঞানী।


দুঃখের বিষয়, জ্ঞানী থেকে এখনো উত্তরটি পাই নাই।
এবার কি উত্তরের আশা করতে পারি????

শুকরিয়া জনাব।

১৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:১৯
286762
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : “এবং জীবিত (মুমিন) ও মৃত (অবিশ্বাসী) সমান নয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎবাক্য শ্রবণের সামর্থ্য দেন; তুমি মৃতকে সৎবাক্য শোনাতে সমর্থ হবে না। (সূরাঃ ফাত্বির ৩৫/২২)।

এখানে মু’মিনদেরকে জীবিত এবং অবিশ্বাসীদেরকে মৃত বলা হয়েছে। এ আয়াতে অবিশ্বাসীদেরকে ক্ববর বাসীর সাথে তুলনা করে আল্লাহ বলেন, “শোনার ব্যাপারে উভয়েই সমান’। অবিশ্বাসীরা দৈহিকভাবে শোনে; কিন্তু, সত্য কথা শোনে না। তারা একেবারে ক্ববর বাসীদের মত, যেমন ক্ববর বাসীরা বধিরত্বের শেষ সীমায় পৌছেছে, তারা কিছুই শোনে না।

(তাফসীরে তাবারী ২১/৩৬ পৃঃ এবং কুরতুবী লিখিত আল-জামী, ১১/২৩২ পৃ)
১৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২৭
286793
আবু জান্নাত লিখেছেন : সম্পূর্ণ বিপরীত মুখী উত্তর দিলেন যে।

যে উত্তরটি দিয়েছেন তাও আবার ব্যখ্যার দাবী রাখে, কারণ হাদীসের মধ্যে আছেঃ মাইয়্যেত দাফনের পর স্বজনদের ফিরে যাওয়ার জুতার আওয়াজ শুনতে পায়।

এবার আসি আসল কথায়ঃ
প্রশ্ন ছিলঃ মৃতব্যক্তিরা কাউকে শোনাতে পারা বা না পারা নিয়ে, আপনি উত্তর দিলেন মৃতব্যক্তিকে শোনানো বা না শোনানো নিয়ে। আপনিই বলুন উত্তরটি কি জ্ঞানের কথা অনুযায়ী হয়েছে????

পোষ্টটি আবার দেখার জন্য এখানে লিংক দিলাম, হয়তো প্রশ্নটি আপনার বুঝে আসবে। Click this link

সঠিক উত্তর পাওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু আপনার পিছু ছাড়ছি না।

১৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
286794
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ভালো করে আবার পড়ুন মুরীদভাই।
১৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
286796
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : মুরীদভাই হুজুর, আপনার কাছে কি এমন কোন হাদীস আছে যেখানে মৃত কবর থেকে কথাবলে আর মানুষ তা শোনে?
থাকলে একটু জানান।
১৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩৫
286829
আবু জান্নাত লিখেছেন : এলোমেলো কথা বলে পার পাওয়া যাবেনা। যদি উত্তর দিতে না পাবেন, তবে আপনি কুরআনের ব্যাপারে মিথ্যা বলেছেন।

আমি আবারো আপনার কথাটি রিপিট করছিঃ আপনি লিখেছেন:
কোরাআনে আছে মৃতরা কথা শোনাতে পারেনা তো কি হয়েছে! আমার বুজুর্গ গণ ঠিকি পারে।
জবাব চাই প্লিজ........
১৬ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:২৯
287009
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : চোখে সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখান হুজুর।
এলমেলো কথা আপনি বানাচ্ছেন মুরীদহুজুর।
আপনি উত্তর চেয়েছেন আমি উত্তর দিয়েছি-আপনি হাদীস দেখালেন-আমি একটা হাদীস চেয়েছি। এলমেলো তো আপনি করতেছেন!!
আপনি হাদীস দেখালেই তো আমি ভুল প্রমানিত হয়ে যাই! কেননা কবরে কথা বলবে আর মানুষ তা শুনবে এরকম একটা হাদীসি যথেষ্ট!
১৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
287021
আবু জান্নাত লিখেছেন : ফান্দে পড়িয়া বগা কাঁন্না করতেছে।
এভাবে কুরআনের নাম নিয়ে মানুষকে ধোকা দিলেন জনাব! (এসব মিথ্যাচারের জবাবে আল্লাহই যথেষ্ট)

আমি তো কোথাও বলিনি যে, মৃতরা মানুষকে শোনায়!। আমি বলে থাকলে স্ক্রীনশট দিয়ে জাতিকে দেখাতে পারেন।

এসব ফালতু জ্ঞান থেকে সঠিক জ্ঞানের পথে ফেরাই প্রকৃত জ্ঞানের কাজ। আল্লাহ আমাদের মাফ করুক।
১৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:০১
287029
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : হ্যাঁ, আল্লাহর কাছেই জবাব দিবো হুজুর। নিশ্চই তিনি যথেষ্ট। তবে আপনি যে না বোঝার ভান করতেছেন সেটা স্পষ্ট।
আমি যা বলেছি তার স্বপক্ষ্যে কোরআনের আয়াত দেখিয়েছি।
এর পর আপনি বলেছেন: [যে উত্তরটি দিয়েছেন তাও আবার ব্যখ্যার দাবী রাখে, কারণ হাদীসের মধ্যে আছেঃ #মাইয়্যেত #দাফনের পর স্বজনদের ফিরে যাওয়ার জুতার #আওয়াজ শুনতে পায়।] এর দারা আপনি মোড় ঘুড়াতে চেয়েছেন আমার দেয়া আয়াতের।

তাই আপনাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে,আপনি একটি হাদীস দেখান যেখানে বলা আছে, মৃত কথা বলে আর দুনিয়ার মানুষ শুনতে পাবে।
তাহলেই হয়ে যায়।

এজন্যই আপনাকে বলেছি: ডাক্তার দেখান চোখে সমস্যা থাকলে। অথবা আবার পড়ুন।
১৭ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৪৮
287192
আবু জান্নাত লিখেছেন :
আপনি একটি হাদীস দেখান যেখানে বলা আছে, মৃত কথা বলে আর দুনিয়ার মানুষ শুনতে পাবে।


حسبى الله نعم الوكيل কোন মূর্খের সাথে তর্ক করছি মনে হয়। এখানে শেষ করতে চাই। سلاما سلاما

১৮ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:০২
287217
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
345524
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২৬
286690
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
345526
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অন্যের ভুল না ধরে নিজের কাজ করা উচিত। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২৬
286691
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খাইর ভাইয়া।
345532
১৩ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৩
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : তাবলীগ জামাত খেদমতে দীনের কাজ করতেছে, এটা ও কম কিসের ?? তবে তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি কাজ ভাল লাগলেও তাদের হুজুরদের ওয়াজ করার সময় কিছু কিছু বিষয় অবাক হতে হয়, কারণ তাবলীগের অনেক আলেমকে দেখেছি, উনারা ওয়াজ করার সময় রেপারেনস দেন, ওমুক হুজুর এটা বলেছেন, তমুক বুজুরগ এটা করেছেন, তারপর ফাজায়েল আমল দিয়েই বেহেশত পাওয়া যাবে, এগুলো ভাল লাগেনা। কারণ কোন পীর, কোন বুজুরগ, কোন জৈনিক হুজুর কি বলেছেন তার রেপারেনস না দিয়ে সরাসরি কোরান, হাদিস থেকে রেফারেনস দেওয়া যায় না? যেখানে পুরা কোরান কে জিবন বিধান হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে, সেখানে তাবলীগ শুধু ফাজায়েল আমলকেই কেন বেছে ণিবে?
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৩৬
286695
আবু জান্নাত লিখেছেন : সালাম ভাইয়া। তাবলীগ জামাআতের যারা আলেম, তারা ঠিকই কোরআন হাদীসের রেফারেন্স দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, আলেমগন মাদরাসা মসজিদ নিয়েই বেশি ব্যস্ত।

এই বৃহৎসংখ্যাক সাধারণ মানুষ, যারা কালেমা পর্যন্ত জানে না, তাবলীগের বদৌলতে সামান্য কিছু ইসলামের কথাবার্তা ও আমল শিখেছে, তাদের তো কোরআন হাদিসের রেফারেন্স দেওয়ার মত যোগ্যতা নেই। তাই অন্তত আলেমদের রেফারেন্স দিয়ে মানুষদের কিছু ঈমান ও আমলের কথা বলার চেষ্টা করে।

আলেম ও ইসলামীক ব্যক্তিত্বরা যদি এই বৃহৎ জনসাধারণের মাঝে আসতো, নিজেদের প্রতিভা দ্বারা এই সকল সাধারণ মানুষদের ঈমান আমল ঠিক করার ব্যপারে চেষ্টা চালাতো, অবশ্যই তারা আরো উপকৃত হতো।

গঠনমূলক মন্তব্যটির জন্য শুকরিয়া।

345537
১৩ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১২
শেখের পোলা লিখেছেন : 'বাল্লেগু আন্নি অলাও আয়াহ'তবলীগ বলতে এটাই বুঝি৷আরও বলা হয়েঝে,'ইবদায় বিমান তাউল৷'তাবলীগ অবশ্যই ভাল এবং প্রয়োজন আছে৷ এর উপকারিতা কৈশরেই দেখেছিি৷ প্রশ্ন হল, তখনের তবলীগ আর এখনের তাবলীগে অনেক তফাত আছে এটাও বলি৷এখন যারা তবলীগে বা চিল্লায় অন্যত্র যান তারাকি গ্যারান্টি দিতে পারবেন যে তিনি নিজ পরিবারে ও নিজের আশেপাশে তবলীগ করে সকলকে সঠিক ইসলামে দাঁড় করাতে পেরেছেন৷ যদি না পেরে থাকেন তবে চিল্লা বেকার৷ আর শেষ কথা হল রসুল সঃ ২৩ বছরের নবুয়ত জীবনে নিজে না চিল্লায় গেছেন না অন্যকে পাঠিয়েছেন৷ তিনি চিঠি সহ দূত পাঠিয়েছেন অমুসলীম শাসকদের কাছে৷ বর্তমানের তবলীগ চলে শুধুই মুসলমানের মাঝে, কোন অমুসলীমকে ভুলেও দাওয়াত দেন না৷অথচ তবলীগের মূল উদ্দেশ্য অজানা লোকরে জানাও৷ আমার মতে তবলীগের পদ্ধতি বদল হওয়া উচিৎ৷ ধন্যবাদ৷
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৪৮
286696
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ চাচাজান। আপনি হয়তো লিখাটি ভালে করে পড়েন নাই, তাই কিছু লিখা রিপিট করছি:

সাধারণ মানুষ তাবলীগ জামাতে বের হন নিজে ইলমে দ্বীন শিখার জন্য, দৈনিক রুটিনে অন্তত ৫ঘন্টা কিতাবী তালীম করতে হয় (মুনতাখাব হাদীস ও ফাজায়েলে আমাল)। কমপক্ষে ১ ঘন্টা সূরা কেরাত ও আদইয়ায়ে মাসনূনাহ এর মাশক করা হয়। প্রাক্টিক্যাল সালাতের রিহার্সলে করা হয়। প্রত্যেকটি জামাতে একজন দ্বীনি জ্ঞ্যান সম্পন্ন আমির নিযুক্ত আছেন, সবাইকে তাকে অনুস্বরণ করে চলে হয়।


তাবলীগে যায় না, তারা কি সবাই নিজেদের পরিবারকে ঠিক করতে পেরেছেন? কুরআন হাদিসের আলেম হয়েও তো অনেক জন পরিবার ঠিক করতে পারে না, তাই বলে কি তার আলেম হওয়াটা বেকার?

চল্লিশ দিন বা ১২০ দিনের ব্যপারে কিছু কথা বলতে চাই। দুনিয়ার প্রত্যেকটি শিক্ষা ব্যবস্থার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন থাকে। যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমান লাগে না। যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৫ বছর, নার্স কোর্সে চার বছর, অভিজ্ঞ্য ডাক্তার হতে হলে ৩বছর, ৫বছর ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হয়।

স্বয়‍ং মদীনা ইউনিভার্সিটিতে তাখাসসুস ফিল হাদীস, তাখাসসুস ফিত তাফসীর, তাখাসসুস ফিল ফিকহ ওয়াশ শারীয়াহ কোর্সেরও জন্য বিভিন্ন মেয়াদের কোর্স চালু রয়েছে।

আচ্ছা, এখানে শায়খদের প্রশ্ন আসে না কেন যে, সাহাবায়ে কেরামগণ তো এভাবে কোন স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী কোর্স করেন নি! শুধু তাবলীগীদের একচিল্লা ৪০দিন, আর তিনচিল্লা ১২০দিন নিয়ে মাথা ব্যথা কেন??????

অথচ এসব মেয়াদ ছাড়াও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যও তাবলিগে যাওয়া কোন দোষের কিছু নয়। যেমন আমি ৩দিন ১০দিন ২০দিন এর জন্য গিয়েছি। তাবলীগে এসব মেয়াদ হল কর্মপদ্ধতি।


শরীয়ার ব্যাপারে কোরআন হাদীস ও সাহাবায়ের কেরামের উদৃতি তালাশ করা যেতে পারে, কিন্তু কর্মপদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, যেমন বর্তমান যুগের মাদরাসা শিক্ষাসহ সকল কর্মপদ্ধতিই একেকটা কাঠামো বা ভিত্তির উপর পরিচালিত হয়।
কিন্তু এগুলো সাহাবায়ে কেরামের যুগে এভাবে ছিল না। জানি না আপনাকে বুঝাতে পেরেছি কি না।

সাবলিল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩৩
286724
স্বপন১ লিখেছেন : @শেখের পোলা , I agreed with you brother. Last sunday two brothers came from Tabligh Jamaat ,gave me Dawah.Informed
me, Many Bangladesh people joined with them.In my area, I am only Muslim, rest of them Charistan.They did not go to them.
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৪১
286727
আবু জান্নাত লিখেছেন :
@ স্বপন ভাই।
আপনার উত্তরটি উপরের দেওয়া আছে, তবুও রিপিট করছি।
তদুপরি বলি: মানুষ বলতে ভূলের উর্ধে নন। তাই ভূল হওয়া স্বাভাবিক। নসীহাহ হলো ভূলগুলো শুধরে দেওয়া, এটাই একজন মুসলিমের কর্তব্য।


আশাকরি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন। শুকরিয়া।
345574
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:১০
আফরা লিখেছেন : রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অন্যের ভুল না ধরে নিজের কাজ করা উচিত। আমার ও এটাই কথা ।
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৪২
286728
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটি রিপিট করার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া সাইয়ারা মনি। ভালো থাকুন সমসময়।
345575
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:১৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
তাবলীগের মেহনত মহান রবের খাস রহমত।
যদিও কিছু প্রবলেম আছে! তবে ইনশাআল্লাহ যোগ্যতর লোকদের পরিশ্রমে সেটা দূর হয়ে যাবে!

একথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, তাঁরা সঠিক বা ভুল যাই করুকনা কেনো কেউ অর্থের লোভে করেনা! দুনিয়ার লিপ্সায় করেনা! ব্যাবসার জন্য করেনা! নিজেদের ছাত্র দাবী করে! শাইখ বলেনা।
মুসলমানদের একতা বিনষ্ট করেনা। আল্লাহ এ জামাতকে কবুল করুন। আমীন
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৪৭
286731
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বহুদিন আপনাকে পেলাম, অনেক আনন্দ লাগছে।
মোহনীয় মন্তব্য করে অন্তর নাড়া দিলেন। আমার মনে হয় দুনিয়াতে যত ইসলামী দল বা ইসলামী দাওয়া সেন্টার আছে, বেশির ভাগই অন্যের সমালোচনায় মূখর।

একমাত্র তাবলীগ জামাতকে কারো সমালোচনা করতে দেখলাম না। নিজেদের কাজ মনে করে নিজেদের পকেট থেকে খরচ করে সমালোচকদের উপেক্ষা করে অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে দাওয়াতের মহান কাজ।

সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

১৪ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
286799
মুসলমান লিখেছেন : আওণ রাহ'বার ভাই জাঝাকাল্লাহু খাইরান। আমি অনেকদিন তাবলীগ করে বের হয়ে এসেছি। আপনার কথা যেন সঠিক হয় ইনশা আল্লাহ। তারা যদি সংশোধিত হয়, তাদের শিরকী কেচ্ছা-কাহিনীর বইগুলো সংশোধন করে, শুধুমাত্র তাওহীদের দাওয়াত দেয়, আবার আমি তাবলীগ জামাতে ফিরে যাব ইনশা আল্লাহ। আমি তাদের বিরোধীতা করি না। বিরোধীতা করি আল্লাহর জন্য আবার ফিরেও যাব আল্লাহর জন্য, যদি তারা সংশোধিত হয়। আল্লাহর উত্তম প্রতিদান দাতা।
345577
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : শাইখ শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ) তাফসীরে সূরা তওবার মাঝে মেহনতে তবলীগের যে ছবি এঁকেছেন যে কেউ সেটা পড়লে ইনশাআল্লাহ দৃষ্টিপট এর পরিবর্তণ হয়ে যাবে।
১৩ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৪৯
286732
আবু জান্নাত লিখেছেন : কোথায় পাওয়া যাবে, জানাবেন। অথবা পোষ্ট আকারে দিলেও আমরা উপকৃত হতে পারবো। জাযাকাল্লাহ
345595
১৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:৪১
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : তাবলীগ জামাতে অজ্ঞ লোকের সংখ্যাটা একটু বেশি,তাবলীগে বিজ্ঞ লোকের সংখ্যা বাড়ানো গেলে কিছু ভুলভ্রান্তি এগুলোর অবসান হত । সুন্দর বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ ।
১৪ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:১৬
286789
আবু জান্নাত লিখেছেন : এর জন্য দায়ী কিন্তু বিজ্ঞ লোকেরাই, কারণ তারা নিজেরা বিজ্ঞ হয়ে যথেষ্ট মনে করলেন। মুসলমানদের অজ্ঞ লোকদের ব্যাপারে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। তাই অজ্ঞরা অজ্ঞতেই ঘুরপাক খাচ্ছে। জ্ঞানী লোকেরা একাজে অগ্রসর হলে অবশ্যই সুন্দর পরিবেশ তৈরী ইন শা আল্লাহ।

সুন্দর মন্তব্যটির জন্য শুকরিয়া।

১০
345780
১৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:১০
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক দ্বিনী ইল্‌ম দান করুন।
১৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
286924
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার দোয়ার সাথে আমীন ছুম্মা আমীন।
১১
345818
১৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। প্রতিটি দল তার সাধ্যানুযায়ী ভালো কাজ করে যাচ্ছে তাই এভাবে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করা মোটেও ঠিক নয়!

শুকরিয়া কলম ধরার জন্য!
১৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:৩৮
286994
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, ভালো কাজে সহযোগীতা একান্ত কাম্য। মানুষ বলতে ত্রুটি বিচ্যুতি হবেই। সামান্য ভূলকে হাই লাইট করে উম্মাহর মহান এই কাজকে বাধাগ্রস্থ না করাই প্রত্যাশা করি।

আপনার সুন্দর মতমতটির জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File