বিধি-নিষেধ নিয়ে মজা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ০২:১৪:০৭ দুপুর
হাদীসে এসেছেঃ রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যাকে আল্লাহ তায়ালা নেককার স্ত্রী বিবাহের তাওফিক দিয়েছেন তাকে অর্ধ দ্বীন পূর্ণ করার ব্যাপারে সাহায্য করা হল, সূতরাং বাকি অর্ধেকের ব্যপারে আল্লাহকে যেন ভয় করে। (তাবরানী)
অন্য হাদিসে এসেছেঃ বান্দাহ যখন বিবাহ করলো, তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ হল, সূতরাং বাকি অর্ধেকের ব্যপারে আল্লাহকে যেন ভয় করে। (বাইহাকী)
তার মানে কি এক বিবাহ অর্ধক দ্বীন, দুই বিবাহ পূর্ণ দ্বীন?
যারা এ হাদিসটি নিয়ে মজা করেন, তাদের জন্য বুঝার জন্য কিছু কথা :
জ্বীন ও মানব জাতির মূল কাজ হল দুনিয়া থেকে আখেরাতের সম্বল তৈরী করা। এই সম্বল তৈরী করতে হলে দ্বীন বা ধর্মের বিধি/নিষেধ মেনে চলতে হবে।
কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত মানব দেহের দুটি জিনিস মানুষকে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে, ১টি হল মানুষের পেট বা ক্ষুধা, যা আহার্য চায়, ২য়টি হল যৌনাঙ্গ যা জৈবিক চাহিদা মেটাতে চায়।
এই দুটি বস্তুকে কন্ট্রোল বা সৎভাবে ব্যবহার করতে পারলে দ্বীনের উপর চলা অতি সহজ।
অন্য একটি হাদিসে এসেছে: রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদার আমি যে নিজের দুই দাড়ির মধ্যখান (মুখ) ও দুই রানের মধ্যখানের (যৌনাঙ্গের) জিম্মদারী নিবে। (মুয়াত্তা মালিক).
এ হাদিসে জান্নাতের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে দুটি অঙ্গের সঠিক ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে, মুখ তথা পেট ও লজ্জাস্থান।
হাদিসে যে বিবাহকে অর্ধ দ্বীন বলা হয়েছে, তা এই দৃষ্টিকোন থেকে যে, বিবাহের দ্বারা জৈবিক চাহিদা (যৌনাঙ্গের ব্যবহার) হালালভাবে মেটানো যায়। বিবাহ একটি করুক আর চারটি করুক, তা কিন্তু দ্বীনের অর্থেকই পূর্ন করে।
(একটি করলে অর্ধেক দ্বীন, দুটি করলে দ্বীন পুর্ণাঙ্গ হয়ে যাবে এমন নয়, কেননা তাতে পেটের চাহিদা কখনো পূরণ হয় না।)
আর পেটের চাহিদা মেটাতেই মানুষ হারামের দিকে হাত বাড়ায়, জুলুম, জবরদখল থেকে শুরু করে হত্যা পর্যন্ত করে।
তাই হাদিসের দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে, দ্বীনের বাকি অংশে আল্লাহকে ভয় কর।
মানে হালাল রিজিক অন্বেষন কর, হারাম থেকে বেচে থাক।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইবাদুর রাহমান হয়ে জীবন যাপন করার তাওফীক দান করুক (আমীন)।
আরো বিস্তারিত জানতে এখানে
বিষয়: বিবিধ
১৫২৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ তবে বিধি-নিষেধের বিপক্ষে গিয়ে আইন বানানো জায়েজ আছে , ঠিক না ?
এ ব্যপারে আপনার সরকারই বেশি জ্ঞানি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
ভাল লাগল.
লিখাটি মূল্যায়নের আপনাকে অনেক অনেক শুকরিয়া জানাই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইবাদুর রাহমান হয়ে জীবন যাপন করার তাওফীক দান করুক (আমীন)।
খুজে খুজে শরীফ ভাইকে স্বরণ করার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ।
আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক। আমীন।
অনেক অনেক শুকরিয়া, ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন