ছবি ব্লগ (আবুধাবী কর্ণেশ)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৩ মে, ২০১৫, ১২:৫৯:৩৮ রাত
অনেক দিন কর্ণেশে যাওয়া হয় না, কর্ম ব্যস্ততা, দুই টাইম ডিউটি, সময় করে খাবার পাকানো, কাপড় কাচা ইত্যাদি মিলে সময় পাওয়া দুষ্কর।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও লম্বা ঘুমটি বাজেটে থেকে যায়। তাই শুক্রবারও তেমন ঘুরা হয় না। অনেক দিন পর আজ শুক্রবার আছরের পর একটু হাটতে বেরুলাম। এরিয়া আবুধাবী কর্ণেশ।
মনে মনে ভাবলাম, আজকের বিকেলটা সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করবো। তাই মোবাইলটি হাতে নিলাম। প্রথমে হামদান ষ্ট্রীট পার হতে ইমারাত কলেজ চোখে পড়লো:
বিদেশী
ছাত্রদের জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা, সান্ধ্যকালীন কোর্সের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। চাকুরীজীবীদের জন্য সাপ্তাহে দুদিন বিকেল বেলা ভিবিন্ন বিষয়ের উপর ষ্টাডি করার সুযোগ।
সামনে এগুলাম, হামদার ও খলিফা ষ্ট্রীটের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত রাজধানী পার্কটির গেটটি চোখ এড়ালো না।
খলিফা ষ্ট্রীট পার হতে চোখে পড়লো ওয়াল্ড বিজনেস টাওয়ার। এটি আবুধাবীর সবেচেয়ে উচু টাওয়ার, ৯০ তলা বিশিষ্ট, গতবছর এই টাওয়ারের কাজ শেষে উদ্ভোধন করা হয়।
কর্ণেশে গিয়ে টাওয়ারটি আরো স্পষ্ট দেখা গেল।
চিকন লম্বা টাওয়ার।
সামেনের দিকে এগোতে দেখলাম কিষ্ণচুড়ার ছড়ানো হাসি
কর্ণেশ রোড় পায়ে হেটে উপর দিয়ে পার হওয়া যায় না, আন্ডার গ্রাউন্ড দিয়েই গেলাম
সামনে এগুতেই দেখলাম বিনা লাইসেন্স এ বাঙ্গালী ভাইয়ের চলন্ত দোকান, সুপার মার্কেটের ট্রলিতে করে প্রাণ ডাল, বিভিন্ন চিপস ও পানী বিক্রি করছেন, দুটি প্রাণ ডাল কিনলাম।
খেতে খেতে সামনের দিকে গেলাম, প্রসস্থ করিডোর:
ওপারে গালফ সমূদ্র।
বিস্তির্ণ কর্ণেশ,
আবুধাবীর চতুর্পাশেই সমূদ্র, শহর থেকে বের হতে হলে চারটি ব্রিজ ছাড়া উপায় নেই।
সমূদ্রে আরবী ছেলেদের স্প্রীট বোর্টের দৌড়াদৌড়ি। তাদের পাহারায় দূর্ঘটনা এড়াতে কোষ্টগার্ড সর্বদা নিয়োজিত।
কর্ণেশে গিয়ে দেখলাম খেজুরের আগমনী বার্তা, কাচা খেজুর দুলছে :
সারি সারি গাছ, কাচা খেজুরে ভরা। এ যেন প্রভূর অপার মহিমা। বালির মাঝে একটুকরো মিষ্টির ছোঁয়া।
দুএকটি গাছে খেজুর বড় হয়েছে:
বিনোদনের জন্য ভ্যান ভাড়া পাওয়া যায়:
পানির ঝর্ণা
পার্কিনের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা
বসার জন্য বিশেষ বৈঠক খানা
সর্য ডুবু ডুবু অবস্থা
কিছুক্ষণ হাটলাম, সূর্য ডুবে গেল।
এবার ফেরার পালা। এয়ারপোর্ট ষ্ট্রীটের শেষ মাথায়া সিগনাল পার হলাম।
মাগরীবের আযান হলো, সামনে দুটি মসজিদ, শিয়া ও সুন্নি মসজিদ আলাদা, সুন্নি মসজিদে গেলাম।
নামাযের পর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নিছ দিয়ে ফিরলাম।
(বৃত্তের বাইরে মিলিয়ে দেখুন, আগের সাথে কতটুকু মিল)
বিষয়: বিবিধ
২১০৯ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব সুন্দর জায়গা! ভ্রমন এবং ছবি দুটোই ভালো লাগলো! খেজুরগুলো দেখে ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
বাহ্! বেশ সুন্দর ছবি।
এই স্থাপনা গুলি যথেষ্ট জরুরি। এটাকে অপচয় বলে অনেকে যদিও মনে করেন কিন্তু দেশের জন্য এই ধরনের কিছু স্থাপনার প্রয়োজন আছে।
আপনি যা হেটে হেটে দেখেছেন আমি তা বসে বসে দেখলাম ।
দেখার জন্য আপনাকে হাজার মাইল পাড়ি দিতে হয়েছে আর আমি তা ঘরে বসেই দেখলাম ।
কষ্ট করেছেন আপনি তাই ধন্যবাদটা আপনারই প্রাপ্য ।
দেখেছেন হয়ত,ওয়ার্ড বিজেনেস সেন্টার নামে নব-নির্মিত টাওয়া দুটির স্থানে ছিল সেন্ট্রাল মার্কেট ( উত্তর পাশে নিউ মার্কেট আ দক্ষিন পাশের টায় ছিল ওল্ড মার্কেট) ওল্ড মার্কেটে আমার দোকান ছিল।
কখনো সুযোগ হলে ফুজায়রাতে বেড়াতে যাবেন। পুরো শহরটা পাহাড় দিয়ে ঘেরা
মন্তব্য করতে লগইন করুন