ছবি ব্লগ (সফর নামা)
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২০ মে, ২০১৫, ১১:৪৫:৫১ রাত
আমিরাতে শুক্রবার সাপ্তাহিক সাধারণ ছুটি। শনিবার শুধু গভমেন্ট সেক্টরে ছুটি থাকে। আমরা যারা প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করি, শনিবারের ছুটি আমাদের ভাগ্যে জোটে না। কিন্ত গত শনিবার প্রাইভেট সেক্টরেও ছুটি ছিল, উপলক্ষ্য মে'রাজ। শুক্র ও শনি দু'দিন একসাথে ছুুটি পাওয়ায় সফরে বের হলাম। শুক্রবার সকাল ৯টায়. প্রথমে আবুধাবী বাস স্ট্যন্ড।
দেখতে ছোটখাটো বিমানবন্দরের মতই।
অতঃপর টিকিট অটোমেশিন থেকে
গন্তব্য বুর-দুবাই, প্রায় দু'ঘন্টায় পৌছলাম। ৫ মিনিট হেঁটে বোর্টে ছড়ে নদী পার হওয়া, গন্তব্য দেইরা দুবাই.
সেখানে জান্নাতের মামার সাথে সাক্ষাৎ, জুম'আর সালাত, খাওয়া দাওয়া, অতঃপর বিদায়।
গন্তব্য শারজাহ:
দেইরা দুবাই বাস স্ট্যান্ড এ গেলাম, বলা হলঃ বাস কার্ড নিতে হবে, দো'তলা বাস।
ঢাকাতে অনেক বার ভ্রমন হলেও দুবাইয়ের বাস গুলো অনেক উন্নতমানের। কিন্তু আমার সহযাত্রী অমত করায় পুণঃরায় বোর্টে করে বুর-দুবাই বাস স্ট্যন্ড এ ফিরে এলাম।
বুর-দুবাই বাস স্ট্যন্ড এসে দুই বগী বাসে উঠার আগ্রহ হল, কিন্তু এখানেও বাস কার্ডের ঝামেলা.
কিছুক্ষণ পর প্রাইভেট টেক্সি করেই শারজাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। G.N.B মোড় বা শারজাহ সানাইয়া মোড়ে নামিয়ে দিল। এ যেন অন্ধকে হাতীর সন্ধান দিলো। সবকিছুই অপরিচিত। গন্তব্যের বন্ধুকে ফোন দিলাম। হোয়াটস এ্যপ এ লোকেশন ম্যাপ পাঠালাম। আসরের সালাম শেষ না হতেই তিনি গাড়ি নিয়ে হাজির। উঠে বসলাম, ইয়াসমিন হোটেলে (শেখ যায়েদ ষ্টেডিয়াম এর পাশে) গিয়ে নাস্তা পর্ব সেরে নিলাম।
পুণঃরায় যাত্রা করলামঃ গন্তব্য আজমান। শারজার এয়ারপোর্ট স্ট্রিট পেরিয়ে আজমান নুয়াইমিয়া এলাকায় পৌছলাম। মাগরীব ও এশা এখানেই আদায় করলাম।
চায়না শপিংমল ঘুরতে বের হলাম।
রাত প্রায় ১২টা, এক সিলেটি রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে রাতের খাবার খেলাম।
পুণঃরায় যাত্রা করলাম, গন্তব্য উম্মুল ক্বুইন। রাতে বিশ্রামের জায়গাও সেখানে নির্ধারিত হল।
রাত ৩টায় ঘুমাইলাম। ৪.৩০ উঠে ফজর সালাত, অতঃপর আবার ঘুম সকাল ৯টা পর্যন্ত।
আবার গাড়িতে উঠলাম, সালমা নামক উপশহরে এসে চিলি চিকেন আর পাঠান রুটি দিয়ে নাস্তা পর্ব শেষ করলাম।
পুণঃরায় যাত্রা করলাম, আজমান সানাইয়া, এক বন্ধুর দোকান। দুপুর পর্যন্ত ওখানে কাটালাম।
পুণঃরায় আজমানের নুয়াইমিয়া, গোসল, দুপুরের খাবার, সামান্য বিশ্রামের পর ফিরার পালা। পথে দুবাইয়ের সানাইয়া আলকূস এক পুরানো বন্ধুর সাক্ষাতে গেলাম। সেখানে আছর পড়লাম।
পথে মাগরীবের সালাত। এশা এর সময় মহান প্রভূর দয়ায় আবুধাবীতে পৌছলাম।
গত সাপ্তাহে শেখ যায়েদ মসজিদে জুমা পড়ে ছিলাম।
কিছু স্মৃতিঃ
আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যায় করে পোষ্টটি পড়ার/দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
২০৬৩ বার পঠিত, ৪৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটা প্রশ্ন ছিলো। বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে কি দুবাইতে চাকরি পাওয়া সম্ভব? শুনলাম বাংলাদেশীদের নাকি ওদেশে চাকরি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিস্তারিত জানালে খুব উপকৃত হবো। ফেইসবুক বা ইমেইলে বিস্তারিত আলাপ করলে ভালো হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশীদের জন্য ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে পুরোপুরি সব প্রকারের ভিসা বন্ধ, জানি না স্থায়ী নাকি অস্থায়ী।
বাঙ্গালী জাতী আজ এখানে অবহেলিত ও ঘৃণার পাত্র। বিস্তারীত পরে এক সময় জানাবো। ফেসবুকে এই নাম্বার লিখে চার্চ দিলেই আমাকে পাবেন। +৯৭১৫৫৩৫৭২৯১৬। ধন্যবাদ।
আপনার জন্য আমার অনিঃশেষ দোয়া, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। খালামণির জন্য দোয়া রাখবেন।
দুবাইতে আমিও গিয়েছিলাম গত জুমার দিন, তবে আমি গিয়েছিলাম আল - কোঝ।
আপনি যাচ্ছেন আগে জানলে হয়তো এক সাথে যেতে পারতাম!!!!
ধন্যবাদ আপনার সফর ছবি ও লেখা ভালো লাগলো।
আমিও আসার পথে আল-কুজ গিয়েছিলাম অনেক আগের এক বন্ধুর সাথে দেখা করলাম। সত্যিই এক সাথে সফরে অনেক মজা হতো! কিন্তু জানা ছিল না যে আপনিও যাবেন। শুভ কামনা রইল। জাযাকাল্লাহ খাইর।
আপনাদের ওখানে কি তাহলে শবে মিরাজ উপলক্ষে সরকারী ছুটিও দেয়া হয়?
ভালো লাগলো ছবি এবং ভ্রমন কাহিনী!সমুদ্রের পানি দেখে মন জুড়িয়ে গেলো! ওখানের সব মসজিদ কি এমন কারুকার্য করা?
জাযাকাল্লাহু খাইর চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য!
আজমান শেখের মসজিদ যাহা রাতে আমার মোবাইল দিয়ে তোলাঃ
অনুভুতি জানাবেন। অনেক শুকরিয়া আপু।
সুন্দর মসজিদ দেখলে সবারই ভালোলাগে পাশাপাশি মনের কোনে প্রশ্ন এসে ভর করে শুধু সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য এতো পয়সা, এতো কারুকাজ অথচ আমাদের মুসলিম বিশ্বেরই শতকোটি শিশু থেকে বুড়ো আজ অভুক্ত, দ্বীনের মৌলিক শিক্ষা তাদের কাছে পৌঁছার কোনো ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই!মুসলিম বিশ্বে যারা আজ ধনকুব তাদের আরো একটু বেশী দরিদ্র ভাইবোনদের নিয়ে পেরেশান থাকা প্রয়োজন!
আপনাকে আবারো শুকরিয়া শেয়ার করার জন্য!
ছমৎকার দৃষ্টি নন্দন ছবি ও সাবলীল বর্ণনার জন্যে জাযাকাল্লাহ!
কিছুটা খারাপও লাগল নিজের কাছে! প্রায় আট বছর হল প্রবাসে! দেশে যাওয়া ছাড়া 'ছুটি' কী জিনিস বুঝতেই পারলাম না! ঈদের দিনও ১২ঘন্টাই ডিউটি করতে হয় আমাদের! সপ্তাহে ৭দিন,মাসে ৩০দিন,বছরে ৩৬৫দিনই ডিউটি!
কোথায় খাকেন? কি কাজ করেন? জানাবেন প্লিজ।
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ.....
আমি সাউদি রিয়াদে আছি ভাই!
'ফর রেস্ট' নামে এক আবাসিক হোটেলে কাজ আমার! মালিক খুবই খারাপ প্রকৃতির! কিছুই করার দেখছি না! আর কিছু দিন পরে একেবারেই দেশে চলে যাব ইনশা আল্লাহ! বেতনও একেবারেই কম তো!!
খুব সুন্দর !!জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ।
আপনার সাথে আমি ও ঘুরে আসলাম আমিরাত এর বিশেষ স্থানগুলিতে।
চমৎকার ছবি সমৃদ্ধ পোস্ট
মন্তব্য করতে লগইন করুন