Time Out Rose আমার প্রথম আংটি উপহার দেয়া Rose Time Out

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৮ মার্চ, ২০১৫, ১১:০৭:২০ রাত



২০০৫ সালের কথা, খাঘড়াছড়ি জেলাধীন রামগড় সোনাইপুল এলাকায় বলিপাড়া একটি গ্রাম। আমার এক চাচার বাড়ি। আব্বুর খালাতো ভাই, চাচা হলেও বয়সে প্রায় আমার সমান। পড়া লিখাও একই সাথে, প্রাথমিক শিক্ষা আমাদের গ্রামের প্রতিষ্ঠানে একসাথে (কাকা এক বাড়িতে লজিং ছিলেন)। মাধ্যমিক দুজন দুই প্রতিষ্ঠানে, উচ্চমাধ্যমিক আবার একসাথে ফেনী জেলার স্বনামধন্য এক প্রতিষ্ঠানে। বন্ধুর মতই চলাফেরা উঠাবসা ছিল। সমাপনি শিক্ষা পৃথক প্রতিষ্ঠানে হয়েছিল।

চাচা একদিন ফোন দিলেন, উনার বোনের বিবাহ (মানে আমার ফুফু)। মনে মনে খুব আনন্দ লাগলো এই জন্য যে, বহুদিন পর আবার সেই পাহাড়ী উচুনিচু চা বাগান এলাকা ঘুরবো। যদিও ইতিমধ্যে দু'বার ঘুরে এসেছি।

দিন তারিখ ঠিক হলো, আমরা পাঁচ বন্ধু কাঁচাফুল ও ডিনার সেট নিয়ে ঠিক সময়ে তাদের বাড়ি পৌছলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে গোপনে একটি আংটি নিয়ে গেলাম, যেহেতু বন্ধুদের চেয়ে আমার সম্পর্কটা একটু বেশী। যখন স্বণের ভরি ৬হাজার টাকা, তখন এই আংটির দাম দিয়েছি মাত্র ৬শত টাকা। ছাত্র জিবনে এটাও আমার জন্য বড় এমাউন্ট ছিলো।

যাগগে বিয়েতে অনেক আনন্দ করলাম। দুদিন সেখানে ছিলাম, পরের দিন বরের বাড়িতে গেলাম। বিশাল এক টিলার উপর ফুফাদের বাড়ী। উঠছি আর নামছি, জায়গাটির নাম সম্ভবত নাকাপা (রামগড় থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে) উপরে উঠে মনে হতে লাগলো পাহাড়টি মনে হয় কাঁপছে। খুব ভয় পেতে লাগলাম। নাকাপা আবার কাঁপে কেমন করে। নিচে নেমে এদিক সেদিক গীরি পথ, উচু নিচু অনেক ঘুরাঘুরি করলাম। পাহাড়িদের জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্য নিলাম। পাহাড়ি মহিলারা সারাদিন বাঙ্গালীদের জমিতে কাজ করে, ধান লাগায়, জুম চাষ করে, জঙ্গল পরিস্কার করে, বাগানের ফলমুল সংগ্রহ করে ইত্যাদি ইত্যাদি, সারাদিনের মজুরি মাত্র ৫০টাকা। পুরুষের চেয়ে অর্ধেক। বাঙ্গালী ছেলেরা আবার কাজের শেষে তাদের সাথে অনৈতিক কাজটিও করতে ছাড়ে না। তারাও এটাকে আশির্বাদ হিসাবে গ্রহন করে, কারণ আরেকদিন কাজের জন্য ডাকা হবে তাই। তাদের স্বামীরাতো শান্তিবাহিনীতে, তাই তারা বছরের পর বছর স্বামী থেকে দূরে।

দু'দিন ভালই কাটলো, আসার সময় নয়টিলা মাজারে নামলাম, কিছু তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। প্রথমেই সিঁডি গণনা আরম্ভ করলাম, প্রায় ৮শত সিড়ি বেয়ে টিলার একেবারে ছুড়ায় পৌছলাম। সেখানে দুটি মাজার রয়েছে, একটি প্রায় ৩শত বছর আগের, সৌদি আরব থেকে আসা একজন ইসলাম প্রচারকের, অপরটি তার খাদেমের। একটু দূরে গিয়ে অনেক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম আগন্তুকদের অবস্থা দেখার জন্য। অবলোকন করলাম মুসলিম হিন্দু মগ চাকমাসহ বিভিন্ন ধর্মের মহিলারা মাজারে আসছে আর মুসলিম মহিলাদের দিকে চেয়ে চেয়ে নামাযে দাড়াচ্ছে, সেজদা করছে। মুসলিমরাতো নিজের কাজ নিজে করছে, অন্য ধর্মের মহিলারা একটু পর পর এদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে একটু আদটু করছে। মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালাচ্ছে, টাকা পয়সা ঢালছে। একটি পানির ড্রাম থেকে বিভিন্ন নিয়্যতে পানি পান করছে, কেউ বোতল ভরে পানি নিচ্ছে। ছেলে হওয়ার জন্য, মেয়ে বিবাহ হওয়ার জন্য মামলায় জয়ী হওয়ার জন্য ইত্যাদি।

আমি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে ভয় পেতে লাগলাম, যদি আল্লাহ তায়ালার গজব এখানে পড়ে যায় আমিও রেহাই পাব না। তাড়াতাড়ি নিছের পথ ধরলাম। আমার দিকে মাজার ব্যবসায়ীদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে, কাউকে কিছু বলি কিনা। আমি তো একা, তাই কাউকে কিছু বললাম না। নিচে এসে একজনকে জিজ্ঞেস করে পুরোপুরি তথ্য নিলাম। এতগুলো সিড়ি কে নির্মান করলো? জানতে পারলাম ফেনীর সাবেক গড়ফাদার জয়নাল হাজারী। ব্যবস্থাপনায় কারা? এলাকার সন্ত্রাসী ও মোড়লরা। বছরে একবার ওরস হয়, লাখো জনতা উপস্থিত হয়, যার যার মত করে রাত কাটায়, বাবার দরবারে ঐ রাতে অনেক নিঃসন্তান মহিলারা অন্ধকারে নিজের জন্য সন্তান চায়, এসুযোগে বখাটেদের কার্যসিদ্ধির সুযোগ তৈরী হয়, অনেক বখাটে সে দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকে। ২০০৫ সালে জে,এম,বি হামলার পর থেকে নিয়মিত পুলিশি পাহারায় এগুলো হয়। এসব কিছু জেনে তাড়াতাড়ি প্রস্থান করলাম।

মনে মনে ভাবতে লাগলাম হায়রে, এ কিনা মুসলমানদের দেশ।

মনের ব্যথা নিয়ে ফিরে এলাম, পরে এক সময় জানতে পারলাম আমার দেওয়া উপহারটি স্বর্ণের নয়, ছিল পিতলের। মনে হচ্ছে আসমান থেকে পড়লাম। মুসলমানদের দেশে এত ধোকাবাজী। এ দেশে কি করে আল্লাহর রহমত আসবে, যেখানে ঈমান বিক্রির পসরা সাজিয়ে বসে আছে ভন্ড পীর ও মাযার ব্যবসায়ীরা, যেখানে সাধারণ দোকানদার থেকে বড় বড় কোম্পানীগুলো ধোকাবাজি করে চলে। মিথ্যা এ্যড তৈরী করে মিডিয়াতে প্রচারণা চালায় দিনরাত। যেখানে দেশের কর্ণধাররা আজ দুর্নীতিতে ডুবে আছে। সে দেশে জন্ম হওয়াটা যেন বড় অপরাধ মনে হচ্ছে।

(সাদিয়া মুকিম আপুর আজকের পোষ্টটি পড়ে এই পোষ্টটি লিখলাম)

বিষয়: বিবিধ

২৯৯৪ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311531
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:১৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : ভালো লাগলো আসছি ...।
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২৩
252600
আবু জান্নাত লিখেছেন : সালাম নিবেন খালাম্মনি, না পড়েই ভালো লাগলো? অপেক্ষায়.......
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩৮
252607
সন্ধাতারা লিখেছেন : আপনার পোষ্ট দেখে ভালো লেগেছে তাই অনুভূতি রেখে গিয়েছি ...। Good Luck Good Luck Good Luck
311536
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যত মাজার আছে সব কিছুর পিছনেই দেখবেন এইরকম কোন গুন্ডা সর্দার আছে!
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:১০
252626
আবু জান্নাত লিখেছেন : একদম সত্যকথা, অবৈধ ব্যবসার পিছনে গুন্ডাতো লাগবেই, না হলে তো টিকবে না। ধন্যবাদ।
311537
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৫২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় আংকেল। আপনার লিখাটির শেষ প্রান্তে এসে ভীষণভাবে আহত হলাম জেনে যে স্বর্ণের মূল্যে কেনা আংটিটি পিতলের!! আমিও অবাক হয়ে আসমান থেকে পড়লাম যেন। মুসলমানদের দেশে এসব কী জঘন্য ধোকাবাজী চলছে ভাবতেও অরুচি লাগে।

বিদ্যমান এই অসুস্থ মানসিক চিন্তা ও ভঙ্গুর ঈমাণী অবস্থায় দেশে কি করে আল্লাহর রহমত আসবে এ প্রশ্ন এবং অন্তহীন জিজ্ঞাসা আজ আপনার মত সকল বিবেকবান মানুষের!!

সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:১৭
252628
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ খালাম্মুনি। এক সময় দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ার হলেও বর্তমানে ধোকাবাজির দিক দিয়েও চ্যাম্পিয়ান। আখেরী নবীর উম্মত হিসেবে আল্লাহ তায়ালা হয়তো আমাদের দেশকে টিকিয়ে রেখেছেন। নতুবা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যেত যেমনটি আগেকার উম্মতরা ধ্বংশ হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য আমার দুঃখে দুঃখিত হওয়ার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর।
311544
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৪৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:০৮
252625
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
311548
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:২৬
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মাজার ব্যবসার মত বড় ব্যবসা বাংলাদেশে আর আছে বলে মনে হয়না!

মাজারে যারা যায় তারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী নহে.....! ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করতে হলে সর্বপ্রথম করতে হবে কোরআন ও সহীহ্ হাদীসের অনুসরণ। মাজার নামক কবর পুজা ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ রূপে হারাম।

কিন্তু মানুষ নামের কিছু শয়তান মাজারকে ইসলাম বানিয়ে ব্যবসা খুলেছে বাংলাদেশের অলিতে গলিতে......!! এই ব্যবসা বন্ধ করতে না পারলে মুসলিম জাতী হিসেবে শুধু নামই থাকবে, মুসলিম হবার জন্য যে আকিদা দরকার তা থাকবে না।

মাজারে যা হয় তা অনুসরণ অনুকরণ করলে ইমানই থাকেনা!!!

সুতরাং সাবধান, সচেতনতা মুলক পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৫
252682
আবু জান্নাত লিখেছেন : দারুন কথা বলেছেন, এ সব মাজার পুজা মুসলমানদের জন্য ক্যান্সার হয়ে দেখা দিয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মূলসহ উপড়ে ফেলতে হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
311555
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:৪২
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : খাগড়াছড়িতে এখনো যাইনি। বাড়ী থেকে যদিও বেশী দুরে নয়।
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৪
252681
আবু জান্নাত লিখেছেন : জ্বি ভাইয়া একবার গিয়ে রেড়িয়ে আসুন। অনেক ভালো লাগবে।
311562
২৯ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:১৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
বাঙ্গালী ছেলেরা আবার কাজের শেষে তাদের সাথে অনৈতিক কাজটিও করতে ছাড়ে না।


আপনি কিভাবে জানলেন, না কি মনে আবেগ আসল, আর বলে দিলেন!

অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসলেন। এবং অভিজ্ঞতাগুলো খুব ভয়ংকর একজন মুসলমানের জন্য।

আল্লাহর রহমত হয়ত খারাপ কাজে আসবে না, তবে তাতে আল্লাহর গজব না আসলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই, ভুলে যান কেন আল্লাহ্‌ কখনো কখনো মানুষ কে তার ভণ্ডামি, নষ্টামির উপর অবকাশ দিয়ে থাকেন, তাতে যদি তাদের চৈতন্যোদয় না হয়য়, তাহলে আখেরে ভয়াবহ পরিণতি নিশ্চয় ভোগ করবে।

তবে আমার বিস্ময় জাগে, যখন দেখি, মাজার গির্জা, বাবার দরবারে ইজ্জত সম্ভ্রম হানি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের মা বোনদের সেইসব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি!

জায়গায় জায়গায় ধোঁকা খান, আর হাতুড়ি নিয়ে বীরত্ব , অথচ কাজের কাজ কিছুই করতে পারেন না!
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৫১
252689
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আসলে ভাইয়া, অনেক দুঃখ থেকে কথাগুলো লিখেছি। পাহাড়িদেরকে আমরা ভালো ব্যবহার দেখাতে পারছিনা, এ সুযোগটা খৃষ্টান মিশনারীগুলো কাজে লাগিয়ে উপজাতিদেরকে খৃষ্টান বানাচ্ছে। মুসলমান নিজেরদের তাহজিব তামাদ্দুন সব হারিয়ে আজ নিঃসহ হয়ে পড়েছে। তাইতো আজ আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে অনেক দূরে। হত্যা গুম মারামারি কাটাকাটি, জালিম শাহী নিযুক্ত হওয়া সবই আজ আমাদের হাতের ফসল।
এদিকে মাজার ব্যাপারিরা আজ ঈমান ধ্বংশে ব্যস্ত। ভোটের জন্য কান ধরতেও রাজি, উদ্দেশ্য একটাই রাষ্টীয় ক্ষমতা দখল। চতুর্দিক যেন অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। এ মুহুর্তে মুসলমানদের তো জেগে উঠতেই হবে।
আলহামদু লিল্লাহ আমি ঈমানদার, দুনিয়াতে ঈমানদারগণ ধোঁকা খাবে এটাইতো আমাদের শিক্ষা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে অনেক ফাঝলামো করি বলে ক্ষমা করবেন। এটাই প্রত্যাশা।
311565
২৯ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:৩৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ !

খাগড়াছড়ি নামটি শুনলেই এক বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য চোখে ভেসে আসে! আজ ভাবীর সাথে কথা বলে জানলাম ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন যেতে ১২-১৫ ঘন্টা লাগে! শুনে তো টাশকি খেলাম! এই সময়ে ইটালি থেকে অনায়াসে বাংলাদেশে চলে যাওয়া যায়!

প্রথম চট্রগ্রাম গিয়ে বায়োজিদ বোস্তামীর মাজারের দৃশ্য দেখছিলাম! মানুষের ঈমান কোন পর্যায়ে নেমে এসেছে এটা দেখে ভয়ে ছুট দিয়েছিলাম! আর ওদিকে যেতে চাই না!

দেশে ধর্মের নামে এই প্রতরনা,লোক ঢকানো, অহরহ হচ্ছে এখানে সরকার বাধা না দিয়ে মদদ যোগায় ! আর যারা ইসলামের প্রচার আর প্রসার চায় তাদের নিয়ে জেলে ঢুকায়! আজব দেশ আমাদের!
স্বর্নের আংটিটি পিতলের এটা জেনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো!

সুন্দর উপস্থাপনায় আপানর লিখা পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো , আরো বেশি ভালো লগেছে যখন সবশেষে আমার নাম দেখতে পেয়েছি! আলহামদুলিল্লাহ ! অনেক অনেক শুকরিয়া আপনাকে! ভাবীকে সালাম এবং জান্নাতমনির জন্য আদর রইলো! শুকরিয়া! Good Luck
২৯ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৯:৫৩
252652
হতভাগা লিখেছেন :
''প্রথম চট্রগ্রাম গিয়ে বায়োজিদ বোস্তামীর মাজারের দৃশ্য দেখছিলাম! মানুষের ঈমান কোন পর্যায়ে নেমে এসেছে এটা দেখে ভয়ে ছুট দিয়েছিলাম! আর ওদিকে যেতে চাই না! ''


যখন আল্লাহর আইনের বিপরীতে গিয়ে মনুষ্য আইন করা হয় এবং সেটার মজা ভালই নেওয়া হয় তখন কি ঈমান মজবুত হয়ে যায় ?
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০২
252691
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,
জ্বি আপু বায়েজিদ বোস্তামী আমিও ঘুরে এসেছি, সেখাতে কচ্ছপ এর বরকত নেওয়া হয়, শত বছরের পুরোনো কচ্ছপের শরীরে হাত ঘষে ময়লাগুলো বোতলে ভরে নিয়ে যায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে। কেই ময়লাগুলো বুকে, তলপেটে, মাথায় মাখে। কেই উপরে একটি আম গাছে লাল সুতো বাঁধে সন্তান হওয়ার জন্য। এগুলো সব শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
আপনার কথাগুলো খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুকরিয়া আপু।
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০৫
252692
আবু জান্নাত লিখেছেন : হতভাগা ভাই ঠিকই বলেছেন। আল্লাহ তায়ালার আইনের বিপরীতে আইন তৈরী করাও কিন্তু আল্লাহ তায়ালার সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করা। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে কোন দিনই শান্তি আসবে না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৩০ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:২৭
252793
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম হতভাগা ভাই!

ভাই আমি কি আপনার পাকা ধানে মই দিলাম না বাড়া ভাতে ছাই? আপনি সবসময় আমার সাথে শত্রুতাসুলভ আচরন করেন ক্যান এই বোন জানতে চায়! ( কান্নার ইমো)

আর হ্যা, মাজারে গিয়ে মজা পাই নি ভয় পেয়েছিলাম!

আল্লাহ তায়ালার আইনের বিপরীতে আইন তৈরী করাও কিন্তু আল্লাহ তায়ালার সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করা। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে কোন দিনই শান্তি আসবে না। - আবু জান্নাত -একমত!
311591
২৯ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:০৭
হতভাগা লিখেছেন : ছাত্র মানুষ , স্বর্ণের আংটি দেোয়া কি ম্যান্ডেটরি ছিল ? তাও আবার ৬০০ টাকার আংটি ?!
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৫৭
252690
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসলে আপনি জায়গামত ধরেছেন। এটা আমার আবেগ ছিল, কারণ চাচা আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন এখনো আছেন। তাই টাকার পরওয়া না করে আবেগ কে প্রশ্রয় দিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
১০
311613
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৩০
আফরা লিখেছেন : হায় হায়রে - - - রে খাইছে ধোকা জান্নাতের বাবা আমার বোকা ভাইয়া ওহ না - - -তখন আপনি জান্নাতের বাবা ছিলেন না কিন্তু আমার ভাইয়া ছিলেন তখনো ও।



২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৬
252756
আবু জান্নাত লিখেছেন : কি করবো বোন, ধোকা খেতে খেতেই আমার এ্ ছোট্ট জীবন। জান্নাতের বাবা ছিলাম না ঠিকই, ছাত্র ছিলাম মাত্র। অনেক আনন্দের দিনগুলি হারিয়ে ফেলেছি তখন। পার্বত্য জেলাগুলো ঘুরে বেড়ানো আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল। সবই পুরণ হয়েছে আলহামদু লিল্লাহ। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১
311643
২৯ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:১৪
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমাদের দেশে পণ্য কিনে ধোঁকা খাওয়ার ইতিহাস নতুন নয়। আমরা প্রায়ই এ রকম ধোঁকা খেয়ে থাকি।

লেখাটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:২০
252757
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু, আপনার কবিতাগুলো অনেক মিস করছি, আবার নিয়মিত হোন আপু, আমারদেরকে আর ধোকা দিয়ে পালাবেন না। ধোকা খেতে খেতেই জিবন গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
৩০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৩০
252861
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়াআলাইকুম আসসালাম। ঠিক আছে! দেখি কিছু লিখতে পারি কি না!!!!! কেন জানি লেখার দিকে মন দিতেই পারছিনা।
৩০ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:০০
252865
আবু জান্নাত লিখেছেন : সংসারের ব্যস্ততা, তাই তো?
৩১ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:২৩
252992
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : নাহ্‌! দেশ অচল, ব্লগ অচল! সাথে ব্লগাররাও অনুপস্থিত। কিভাবে আর ভালো লাগে!!
১২
311696
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৪৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পাহাড়ি মহিলারা সারাদিন বাঙ্গালীদের জমিতে কাজ করে, ধান লাগায়, জুম চাষ করে, জঙ্গল পরিস্কার করে, বাগানের ফলমুল সংগ্রহ করে ইত্যাদি ইত্যাদি, সারাদিনের মজুরি মাত্র ৫০টাকা। পুরুষের চেয়ে অর্ধেক। বাঙ্গালী ছেলেরা আবার কাজের শেষে তাদের সাথে অনৈতিক কাজটিও করতে ছাড়ে না।

এ তো নির্যাতন,,,,,তবে মাজারের সেই রমরমা অবস্থা এখন কমছে
২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২২
252777
আবু জান্নাত লিখেছেন : এই জুলুম দুই দিক থেকেই চলছে, শান্তি বাহিনী বাঙ্গালীদের হত্যা করছে, আর বাঙ্গালীরা অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়িদের মন অনেকটা পাষান।
মাজারের রমরমা এখনো কমে নাই ভাই। যে যেভাবে পারছে লুট করছে সাধারণ মানুষের পকেট ও ঈমান, ইজ্জত।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার পদচারনায় আমার ব্লগ ধন্য।
১৩
312393
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
egypt12 লিখেছেন : আপনার দেওয়া স্বর্ণের আংটি যেমন পিতলের বলে প্রতীয়মান হলো তেমনি এদেশের অবস্থা থেকে কোটি সোনালী স্বপ্ন না পাওয়ার বেদনায় ছাইয়ে পরিণত হয়। Sad
০২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
253523
আবু জান্নাত লিখেছেন : একদম সত্যি কথা। জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File