তাবলীগী জামাত সম্পর্কে কিছু কথা।

লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ০১ আগস্ট, ২০১৪, ০২:১৮:১৫ দুপুর

মানুষকে সত্যপথে আহবান করার অনেক দলই তো পৃথিবীতে আছে, সবারই আহবান এর ধরন ভিন্ন ভিন্ন। তাবলীগী জামাতও একটি দল যারা মানুষের ধারে ধারে গিয়ে আল্লাহর পথে আহবান করেন। বিধর্মীদের ইমানের পথে আহবান অবশ্যই করতে হবে, তবে আগে নিজের ঘরের মানুষগুলোকে জাহান্নাম থেকে বাচাতে হবে। পৃথিবীতে হাজারো মুসলমান এখনো কালিমা নামাজ রোজা জানে না, বংশগত মুসলমান। এমন মুসলমানদের টার্গেট করে ইয়াহুদী খৃষ্টানরা ঈমানহারা করার নানান ফন্দি করতেছে। এহেন পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ঈমানী শিক্ষা ও ঈমানের উপর অটল রাখার মেহনত অতীব প্রয়োজন, যে কাজটি বর্তমানে তাবলীগী জামাত করতেছে। আর একটি কথা মনে রাখবেন ভাই পৃথিবীতে যারাই ইসলামের কাজ করতেছে সাবই কিন্তু বেতনভোগী, হাদীয়াভোগী, ওজীফাভোগী। একমাত্র তাবলীগী জামাত নিঃস্বার্থে নিজের খেয়ে নিজ খরছে আল্লাহর পথে মানুষকে আহবান করে যাচ্ছে। (নবীগনও আঃ কিন্তু দ্বীনের কাজে কারো থেকে কোন বিনিময় নেন নাই।) তাই নিশ্চিন্তে বলা যায় এই দলও সত্যের পথে আছে, তাই এদের দলে যাওয়া উচিৎ।

বি:দ্র: চালার পথে মানুষ বলতে ভুলভ্রান্তি হয়, তাই সমালোচনা না করে সুধরিয়ে দেওয়া ও সহযোগীতা করাই হবে ইসলামের কাজে সাহায্য করা। (মহান আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।)

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৭ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

249894
০১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
ডাহুকী লিখেছেন : নবীদের কাজ (পবিত্র কোরানের আলোকে)
নবীদের কাজ:
আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ওহী মানুয়ের নিকট পোৗছে দেওয়া: হে রসুল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার উপর যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তা তুমি (অন্যের কাছে ) পোৗছে দাও। ৫ আল মায়েদা-৬৭

আল্লাহর আয়াত পড়ে শোনানোর মাধ্যমে শিক্ষাদান করা: তিনিই সে মহান সত্তা , যিনি নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসুল প্রেরণ করেছেন,যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমতের। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর গোমরাহীতে লিপ্ত। ৬২, আল জুময়াহ-২
আল বাকারা-১২৯ এছাড়া ৭ আল আরাফ-৩৫


আল্লাহর কোরানের সাহায্যে জাতিকে সতর্ক করা: *মহান আল্লাহ,যিনি তার বান্দার উপর কোরান নাযিল করেছেন, যাতে কওে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হয়।২৫ আল ফুরকান-১,
* আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী। ৩৫ ফাতির-২৩, ৫৩ আন্ নাজম-৫৬,
* সে (নূহ আHappy বলল: হে আমার জাতি! আমি তো স্পস্ট সতর্ককারী। ৭১ নূহ-১-২, এছাড়া ৭ আল-আ’রাফ-২এবং ৬৭, ৪৬ আল আহক্বাফ-৯, ৫১ যারিয়াত-৫১, ৬৭ আল মূলক-২৬, ২২আল হাজ্ব-৪৯, ৩৮ ছোয়াদ-৬৫, ৫০আল কাফ-২, ৭৪ মুদ্দাছ্ছির-২, ৩৪ সাবা-৪৬,

জাতিকে সুসংবাদ দেয়া এবং সতর্ক করা: অবশ্যই আমি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছি একজন সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরুপে। এমন কোন জাতি নাই যাতে সতর্ককারী আসেনি। ৩৫ ফাতির-২৪, ৩৩ আল আহযাব-৪৫, ৪৮ আল ফাতাহ-৯, ১৮আল কাহ্ফ-৫৬, ১১ হুদ-২


দু:খ, কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করা : তোমরা কি মনে করেছ যে, তোমরা এমনিতেই জান্নাতে চলে যাবে ? অথচ পূর্ববতী নবীদের অনুসারিদের (বিপদের) মতো কিছুই তোমাদের উপর এখনও নাযিল হয়নি, তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট, কঠোর নির্যাতনে তারা নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়নে তারা শিহরিত হয়ে উঠেছে, এমনকি তৎকালীন নবী ও তার সংগী সাথীরা এই বলে আর্তনাদ করে উঠেছিল , আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে ? (আল্লাহ সান্তনা দিয়ে বললেন) নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে। ২ আল বাকারা-২১৪

ওহীর অনুসরণ করা : *আমি তো শুধু ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।৬ আন-আম-৫০
* বলুন, আমি তো,কোন নতুন রসুল নই। আমি জানিনা আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি যা আমার কাছে ওহী করা হয়। আমি তো স্পস্ট সতর্ককারী ছাড়া আর কিছুই নই। ৪৬ আল আহক্বাফ-৯

দ্বীন কায়েম করা: তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নির্ধারিত করেছেন , যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম মুসা ও ঈশাকে এই মর্মে যে তোমরা এ দ্বীনকে (জীবন বিধান) সমাজে প্রতিষ্ঠিত করো এবং কখনও এতে অনৈক্য সৃস্টি করোনা। ৪২ আশ্-শূরা-১৩
নবীদের শত্র ছিল : এমনিভাবে প্রত্যেক নবীর জন্যে আমি অপরাধীদের শত্র“ বানিয়ে থাকি। অতএব তোমার পথ প্রদর্শন ও সাহায্য করার জন্যে তোমার মালিকই যথেষ্ট। ২৫ আল ফুরক্বান-৩১

অপবাদ শোনা নেতৃত্বের লোভ: তখন তার (নূহ আHappy জাতির কাফের মোড়লরা বলেছিল , এ তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ,সে তোমাদের উপর নেতৃত্ব করতে চায়।২৩ আল মুমিনূন-২৪
মিথ্যেবাদী : তোমার আগেও অনেক রসুলকে মিথ্যেবাদী বলা হয়েছিল। তারা এতে ধৈর্য ধারণ করেছে। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌছা পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছে। ৬ আন আম-৩৪
অত!পর তারা তাকে (নূহ আHappy মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। ৭ আল-আ’রাফ-৬৪, ৩৬ ইয়াসিন-১৪
বিনিময় না নেয়া: অনুসরণ করো তাদের (রসুলদের ), যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করেনা,অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। ৩৬ ইয়াসিন-২১

দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) বিজয়ী করা: তিনি তার রসুলকে একটি স্পস্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যেন সে (রসুল ) একে দুনিয়ার (প্রচলিত) সব জীবন ব্যবস্থার উপর বিজয়ী করে দিতে পারে, তা মুশরিকদের কাছে যতই অপছন্দনীয় হোক না কেন! ৯ আত্ তাওবাহ-৩৩, ৬১ আস্ সফ-৯

আসুন আমরা সবাই নিজেদের আমলকে পবিত্র কোরানের সাথে মিলিয়ে নিই।
আমরা যারা নিজেকে নবীওয়ালা বলে দাবি করি দয়া করে আমাদের আমলকে পবিত্র কোরানের সাথে মিলিয়ে নিই।
০১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
194253
আবু জান্নাত লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ
249896
০১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫৯
আহ জীবন লিখেছেন : যদি চরিত্রের সংশোধন চান তবে তাবলীগ জামাত একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। তবে জীবন শেষে খাতি সোনা হয়ত হতে পারবেন কিন্তু মূল্য পাবেন ওপারে যাওয়ার পর।
০১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
194254
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকা-আল্লাহ খাইর, অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
249898
০১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
ডাহুকী লিখেছেন : আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ওহী মানুষের নিকট পোৗছে দেওয়ার নামই তাবলীগ। এখন আমাদের দেখতে হবে অমরা কি পোৗছে দিচ্ছি ? কোরান নাকি অন্য কিছু ? আল মায়েদা-৬৭
০১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
194255
আবু জান্নাত লিখেছেন : হযরত আয়েশা (রা‍Happy কে প্রশ্ন করা হয়েছিল খুলুকুন আযীম অর্থ কি ? তিনি উত্তর করলেন খুলুকুন আযীম হল কুরআন। অর্থাৎ রাসূল (সHappy এর আখলাক, চরিত্র, জীবন আদর্শটাই হল কুরআন। আর রাসূল স: এর জীবনধারা আদর্শ আখলাক আমল ইত্যাদি প্রচার করাও নাযিলকৃত ওহি-ই প্রচার করা।
249920
০১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
সন্ধাতারা লিখেছেন : It is a lovely post no doubt but I do have one think to say that tablig jamat says what to do what is appreciable but they do not say what to do if anything goes wrong in the society!
249928
০১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমরা মুসলমানের একতা দেখতে চাই।
মুসলমান কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে চাই।
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
194384
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার সাথে একমত, ধন্যবাদ।
249966
০১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৩৯
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই তাবলীগি জামাআত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তৎকালিন অবস্থা ও প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে যে কোন মানুষই উপলব্ধি করতে পারবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও উপযোগী। অবশ্য বর্তমানে যুগের প্রেক্ষাপটে তাবলীগের কর্মপদ্ধতীতে পরিবর্তন আসা উচিত ছিলো, আর যেহেতু তাদের সাথে এখন বিরাট সংখ্যক লোক জড়িত সে অর্থে তাদের কাজের পরিধী বিস্তৃতি, ছুটে যাওয়া আমল গুলো সংশোধন এবং স্তরভেদে কাজের ভিন্নতা প্রয়োজন ছিল। এগুলো না হওয়াতে তারা বেশ পিছিয়ে পড়েছে। তথাপি, সমাজের সেই সমস্ত মানুষ, যাদের দ্বীনের না কোন ইলম আছে, আর না জীবনের একটা দীর্ঘ সময় দ্বীনের সাথে সম্পর্ক ছিলো, তাদের দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনতে তাবলিগের ভূমিকা অবশ্যই অনস্বীকার্য।
আমাদের কিছু ভাই আছেন, যারা দাড়ি কমা ছাড়াই তাবলিগের সমালোচনা করে যান। এবং এতে কোন সন্দেহ নেই যে তাদের এই সমালোচনা সংশোধনীর উদ্দেশ্যে নয় বরং ফেতনা কায়েমের উদ্দেশ্যে। তারা কি একটু ভেবে দেখেছেন, কতগুলো মানুষ এই তাবলিগের মাধ্যমে এখন নিয়মিত নামাজ-রোযা করে যাচ্ছে, আর তারা কতজনকে ফেরাতে পেরেছেন? উপমহাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় হিন্দু বনে যাওয়া মুসলমানদের আবার দ্বীনে ফিরিয়ে আনতে যখন তাবলিগের কর্মযজ্ঞের সূচনা, তখন তাদেরই নেতৃস্থানীয় আলেম বাটালভী মরহুম ইংরেজদের সুনজর কাড়তে দরখাস্থ রচনায় ব্যস্ত।
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
194385
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া, আপনাকেও ধন্যবাদ।
250024
০২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৪৩
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
194386
আবু জান্নাত লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
250050
০২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ‘বিঃদ্রঃ’ –তে আপনি যা বলেছেন, সেটাই কাম্য; অনেকেই সবকিছুতেই গোড়ামী করে থাকে – তাই ইমেজ খারাপ হয়েছে।
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
194387
আবু জান্নাত লিখেছেন : সত্যি বলেছেন, ধন্যবাদ দাদা ভাই।
250054
০২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০৩
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : জাজাকাল্লা.. অনেক ভালো লাগলো পড়ে
১০
250082
০২ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File