প্রবাসী জীবন, মা তোমায় মনে পড়ে। পর্ব-১
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ২৫ মে, ২০১৪, ১১:০৬:৩৪ রাত
প্রবাসে এলাম প্রায় ৩ বছর হয়ে গেল, বাড়িতে রেখে এলাম মা, বাবা, ২ ছোট ভাই, স্ত্রী ও প্রাণের টুকরো একমাত্র কন্যা জান্নাত বিনতে শরীফকে। ছোটকালে পণ করেছিলাম বিদেশ যাব না, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অবশেষে আমাকে প্রবাসে আসতেই হলো। ২০১১ সালের ৩০ শে জুন দুপুর, হঠাত বিদেশ থেকে ফোন আসলো, সালাম বিনিময়ের পর জানালেন তোমাদের পাশের বাড়ীর আফসার, জ্বী ভাইয়া কেমন আছেন ? আলহামদুলিল্লাহ ভালোই, অতপর বললেন তোমার ভিসা হয়েছে, তোমাকে ১০ দিনের মধ্যে তোমাকে ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে আবুধাবী আসতে হবে। রিকুয়েষ্ট করলাম, ভাই কিছু কম নেওয়া যাবে না! উনি সাফ জানিয়ে দিলেন এক টাকাও কম হবে না, জলদী করে প্রস্তুতি নাও।
তখন আমি ছোট একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করি, মাদরাসা মকতব প্রাইভেট সব মিলিয়ে মাস শেষে ৬ হাজার টাকার মত ইনকাম ছিলো, যা আমাদের সংসারের চাহিদার এক চতুর্থাংশ মাত্র, কিছু ধানের জমি ও সাকসব্জির ভিটে জমি ছিলো, কোন রকম জীবন যাপন করতাম, জমা বলতে কোন টাকা কড়ি ছিল না বিধায় কর্জের দিকে হাত বাড়াই।
আলহামদু লিল্লাহ বড় মামা, মেজ মামা, ভগ্নিপতি, ছোট খালু সবাই সহযোগীতার হাত বাড়াল, কিছু জমি কড দিলাম, ১০ দিনের মধ্যে মোটামুটি টাকা সংগ্রহ হল।
আমাকে বলা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা বেতন, থাকা মালিকের, খাওয়া নিজের।
যা হোক টাকা জমা দিলাম ভিসা হাতে পেলাম, এখন বিদেশ পাঁড়ি জমানোর পালা (চলবে) প্রবাসে এলাম প্রায় ৩ বছর হয়ে গেল, বাড়িতে রেখে এলাম মা, বাবা, ২ ছোট ভাই, স্ত্রী ও প্রাণের টুকরো একমাত্র কন্যা জান্নাত বিনতে শরীফকে। ছোটকালে পণ করেছিলাম বিদেশ যাব না, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অবশেষে আমাকে প্রবাসে আসতেই হলো। ২০১১ সালের ৩০ শে জুন দুপুর, হঠাত বিদেশ থেকে ফোন আসলো, সালাম বিনিময়ের পর জানালেন তোমাদের পাশের বাড়ীর আফসার, জ্বী ভাইয়া কেমন আছেন ? আলহামদুলিল্লাহ ভালোই, অতপর বললেন তোমার ভিসা হয়েছে, তোমাকে ১০ দিনের মধ্যে তোমাকে ৩ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে আবুধাবী আসতে হবে। রিকুয়েষ্ট করলাম, ভাই কিছু কম নেওয়া যাবে না! উনি সাফ জানিয়ে দিলেন এক টাকাও কম হবে না, জলদী করে প্রস্তুতি নাও।
তখন আমি ছোট একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করি, মাদরাসা মকতব প্রাইভেট সব মিলিয়ে মাস শেষে ৬ হাজার টাকার মত ইনকাম ছিলো, যা আমাদের সংসারের চাহিদার এক চতুর্থাংশ মাত্র, কিছু ধানের জমি ও সাকসব্জির ভিটে জমি ছিলো, কোন রকম জীবন যাপন করতাম, জমা বলতে কোন টাকা কড়ি ছিল না বিধায় কর্জের দিকে হাত বাড়াই।
আলহামদু লিল্লাহ বড় মামা, মেজ মামা, ভগ্নিপতি, ছোট খালু সবাই সহযোগীতার হাত বাড়াল, কিছু জমি কড দিলাম, ১০ দিনের মধ্যে মোটামুটি টাকা সংগ্রহ হল।
আমাকে বলা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা বেতন, থাকা মালিকের, খাওয়া নিজের।
যা হোক টাকা জমা দিলাম ভিসা হাতে পেলাম, এখন বিদেশ পাঁড়ি জমানোর পালা (চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন