‘তার’ এক যুগ!

লিখেছেন লিখেছেন Evar Nill ০৬ জুলাই, ২০১৪, ০৩:২৫:৫০ দুপুর



আজ যখন সে ভাবছে অতীতগামী এক যুগ তোমাকে নিয়ে তখন ফুরিয়ে যাচ্ছে তার কথা ভাষার অভাবে। কত উদবেলিত ভাব ঢেউ আজ দিকহীন গতিহীন শান্ত নিথর। জীবনের সময়ের পাড় ভেঙ্গে অতীত গর্ভে লুকালে অথচ কেমন ছিলে সে সকাল-সন্ধ্যেগুলো যেমনটি করে আজ কেন ভাবনাতে আসো না? এতটা হারাতে নেই স্মৃতিচিহ্ন অনুভবহীন। একবার অন্তত ফিরে এসো, নতুন করে ভাবার শুধুই উপলব্ধি করার জন্যে। নিজেকে শোধাবে না সে, হয়তো অকারণের দু-এক ফোঁটা জল তোমার হৃদয়ও কাঁপাবে না। জড় পদার্থের মত উদ্দেশ্যহীন এক যুগ জানে সে ফিরে আসবে না কামনাও নেই তবে ভাবে- কেমন হতে পারতে তুমি, কতটা হতে পারতে উজ্জ্বল স্বাচ্ছন্দ্যময় মধুর এক স্রোতধারা। এক মানুষের জীবনে যা অন্তত তৃপ্তির ঢেঁকুর। এতো নিরামিষভাবে এতটা সময় জীবন থেকে নিয়ে গেলে; এতটুকু দীর্ঘশ্বাস নেই তোমার একটি জীবন জড় পদার্থের মত স্থবির করে দিয়ে? সারাদিন মেঘাচ্ছন্নতায় দিন ফুরালে দিনের ধর্ম না চেনা যায় না বোঝা যায় কোনটুকু সকাল, কোনটুকু দুপুর আর বিকেল। যে রেশ রেখে গেলে জীবন শেষে সে দেখবে সেই সন্ধ্যার ঘনীভূত অন্ধকার আরো ক্রমে ক্রমে আধারের বিকাশের দিকে ধাবমান। কত নতুন মুখ পরিচিত হল কত নাম মনের কোথায় যেন থেকে গেল, কত মানুষের তরে ভাবনা খেলে গেল, কতজন চীরতরে অদেখা হল, কত জনের সাথে শেষ দেখাও হয়ে গেল, কত জন ভুল বুঝে চলে গেল, নিজেও বা সে কাকে সঠিক ভাবে বুঝল সেই হিসাব অচল মনে প্রতিদিন ভাবে। তুমিও চলে গেলে, চলে গেলে দুঃখ নেই, আসবে না কষ্টও নেই; অস্তত রেখে যাও সবাই যা রেখে যায়। সময়ের পদচিহ্ন বড় ভালোবাসে, আগলেও রাখে ভিতর কোঠরে। চলে গেলে অথচ জীবনের যৌবন থেকে নিয়ে গেলে এ সময়টুকু। দু’পা বাড়ানো আশা-নিরাশার দোলাচলের ক্ষণগুলো রঙ হারিয়েছে। এক বিবর্ণ পরাভুত অভিলাষ যে আর প্রাপ্তির সাধনায় পাখা মেলে না। ডানাহীন বসবাস তার গহীনের অতলে। কতটা একাকিত্বে আপন মনে স্পর্শ করেছে, কত ক্ষণ গুণে গুণে কিসের এক প্রতিক্ষায় আরতি সাঁজিয়েছে সে-তুমি দেখেছিলে তোমার পলকহীন চোখে। এ জীবনের নিরবগুলো নিরবই থাকবে চীরকাল। পথের বাঁকের ধবল কুয়াসা হয়তো দিনের আলোতে দিনের প্রান্তে লুকাবে, কেবল সে পারে না আর লুকাতে নিজেকে; যেন প্রান্ত শেষ হয়েগিয়েছে লুকানোর। তবুও কেন এত অপূর্ণতার খোরাকে উষ্ণ করে তার ভিতর জমিন? ঠিকানাহীন বাঁধনহারা জীবন আজ কোনো ছাঁয়াতলের কামনাও করে না। শুধু চেয়ে থাকে পৃথিবীর গতির দিকে বাস্তবতার দিকে। হারানোর গল্পে আজ হাঁসি পায় অন্যের থেকে শুনে। তবুও শোনে অন্যের চক্ষুজলকে মূল্যদিতে। স্বান্তনাও দেয়। হয়তো এটাই গল্প বলা মানুষটির প্রাপ্তি হয়তো না। তাদের বহুরূপী দুঃখের অন্তরজ্বালা দেখে অনেক হেঁসেছে সে। নিজেকে দুখী প্রকাশে হয়তো তারা তৃপ্ত, হয়তো সে তৃপ্ত করার জন্যই কখনো কখনো তাই-ই করেছে। কেন জানি বিস্তার দিঘিতে একটুকরো ঢিলের আঘাতে সৃষ্ট ঢেউ কিনারায় পৌঁছায় না। তাই হয়তো তারপর আসে আবার একান্ত যাপন, নিজের সাথে নিজেরি আলাপন, আধারের মাঝে আলো দেখার অকারণী অভিলাষ। আজ তোমার বিদায়ে তার মন উচাটন। কিছু দিন ছিল সুখের অথচ অপ্রাপ্তির, কিছু ছিল আশার যা নিরাশায় দ্বিতীয়বার ভাবেনি সে, আর ছিল সবটায় ঘোলা আধার বিভোরময়। একাকী উপভোগের এক অমোঘ তৃপ্তি। অপেক্ষার নয় অথচ অপেক্ষার অধিক অপ্রাপ্তির অধিক এক মোহমায়ায় শূন্য বাতাসে ভিতরী শূন্যতায় স্বপ্নহীন এক জড় জীবনের যাপন। কতজনের কত কথার সমারোহে হাসির পাত্রও হয়েছে, কত অবহেলার অথচ ভিতরে বিদ্রোহ জাগেনি, জাগেনি প্রাপ্তির নতুন সুখ অথবা মাত্রা। চলমান স্রোতধারার মত এক বেখেয়ালি মন্থর গতিতে এক যুগ আজ তোমার প্রান্ত শেষ। একটি মুহূর্তও কাজের ফাঁকে অথবা বেখেয়ালে ভোলাতে পারেনি তার ধ্যানের আরাধনাকে। কখনো কখনো চোখের আঙিনায় নব যে আকর্ষণীয় মুখ ক্ষণিক ভাবাতো; অপরিচর্যায় অথবা অতীত বদ্ধতায় চোখের আড়ালে গেলে সে-সবের আর কী বা থাকত কী বা রয়েছে? এমনি সময় যাপন কামনার অথচ ভাবেনি এতো অসম্ভব প্রাপ্তির। কারো কাছে হয়তো এ প্রাপ্তি হাঁসির অথবা বিস্ময়ের, তবু তাই-ই যে বিষম পাওয়া। মানিয়ে ছিলে বেশ স্বপ্নহীন সে জীবনে। দুয়ার থেকে বেরিয়ে প্রথম যখন শুরু শেষটা তোমার এতো নির্জিব নিথর হবে বোঝেনি। কোন এক প্রগাড় বদ্ধ বাতাসের মত শান্ততা বিরাজিত মোহহীন বৈচিত্রহীন। উদ্দেশ্যের পথ তাই চলে গিয়েছে তার আধারের অনুকূলে, কেবল জীবনের উপকূলে বাতাসের শূন্যতায় মন বিবাগীর মত উড়ে যায় কেঁদে যায় পথে ঘাটে মাঠে। এক মুহূর্তের জন্যও অবচেতন মনে ছিলে না, ছিলে নিস্তবদ্ধতায় ছিলে প্রাপ্তিহীন অপেক্ষায়। তোমার প্রহর শেষ হল কেবল সে জীবনের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান সময় পার্থিব বিচারে মূল্যহীন হল। আজ উড়াল পাখির মত দিকহীন যে মায়ার বাতাস সে বিবাগী পথ থেকে পথে পথের সীমান্তে হারিয়েছে। ইচ্ছা নেই তার সে-সব বেঁধে রাখার অথবা খাঁচায় বন্দি রাখার। স্রোতে ভাসা শেওলার মত ঢেউ-এর দোলায় অথবা জোঁয়ার ভাটায় ক্ষয়ে যাক পৃথিবীর তরে। আজ তোমার স্মৃতি চারণে এ প্রকাশ বড় তীর হয়ে বেঁধে, তবু কী বা করার ছিল। বিদায় সে জীবনের অভিধানে বিচ্ছেদের প্রতিশব্দ হিসেবেই লেখা হয়েছে। অপেক্ষায় অপেক্ষায় অন্তত তাই জেনেছে। তোমার উষর দিনগুলোতে স্বপ্নহীন অপচেষ্টা আর অলস ক্ষেপন আজ কোথায় এনেদিয়েছে তাকে যা কেবল বোধের আওতায় অগ্নিজল হয়ে ভিতরে দহিত। পৃথিবীতে একটি মানুষের আশা-নিরাশার অথবা স্বপ্নে বিভোরময় সময়ের শুরুতে তুমি এ বেশে এসো না। জীবনকে পোড়াতে এর অধিক আর কিছুই হতে পারে না, হয়তো হয়ও না। অবশেষ বলতে দুয়ারে দুয়ারে ঠুকে ঠুকে পতনের অভিমুখে নিদারুণ গমন। জীবনের শেষদিকে তোমার সময়টুকু বড় দগদগে কাঁটা ক্ষতের দাগ। এ প্রাচীরময়তায় তোমার যখন শুরু হল তখন থেকে হয়তো সারল্য পরাভূত হল। আজ যখন শেষবেলাতে তুমি তখন না জানি কতখানি হারিয়েছে সে অভিমানে আর বাস্তবতায় সে সেই জানে যার কাছে সে প্রার্থনা করে। এক যুগ অথচ হাজার পরিবর্তন পরিবর্ধনেও কেন যেন কোন এক কোথায় পরিবর্তনের এতোটুকু হাওয়া লাগেনি; ভেঙ্গে পড়েনি সেসব প্রাচীন হয়েও চুন সুরখীর মত। লেখকের কথা আজ কিঞ্চিত মিথ্যা মনে হয়- ‘মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায় সময়ে সময়ে।’ কতটা সময় গেলে বদলাতে পারবে সে? কতটা পথ গেলে নিজেকে সুধাতে পারবে? কতটা অতীত হলে অতীতকে ভুলে থাকতে পারবে? কিছুই যদি না হয় তবে কেন এতো ভাবনা, কেন এতো উদ্দেশ্যহীন, কেন এতো জীবনকে অবহেলা? কোনো অর্থ কী আছে এ শূন্য সংসার যাপনের? দায়িত্ববোধগুলো কোন আঘাতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে? এ যাপন কী অধিক বাড়াবাড়ির নয়? নিজেকে ক্ষতি কী শুধুই নিজের ক্ষতি? জীবন কী এতোই ফেলনার? জীবনের মাঝের প্রাণটিকে নিয়ে এতোই অবহেলা? পৃথিবীতে একই অনুভূতি নিয়ে মানুষ দ্বিতীয়বার আসে না। তবে এ নির্বোধ ক্ষতির কারণ যখন নিজে তখন হয়তো চোখে জল আসে। অথচ ফিরে দাঁড়াবার তাগিদ নেই, ইচ্ছেদের ঘুরে দাঁড়াবার ইচ্ছেও নেই। তাই হয়তো পথ থেকে পথে পথের বাঁকে সময়ে সময়ে তুমি হয়েছো এক যুগ। বারোটি বছর অথচ বারোদিন মনে হয়না, এই বুঝি আজ কাল। অথচ এসবের ভাঁজে কথার সমারোহে আজ নিজেকে সে নির্মাণ করেছে অন্য ভূমিকায়। বারোটি ফুলেল বসন্তে পূর্ণিমার চাঁদখানি নিষ্পলক চেয়েছিল অথচ খেয়াল হয়নি মনেও চায়নি এ সুন্দরের মাঝে একবার পুষিয়ে নেই নিজের অতৃপ্তিগুলো। হেমন্তের গন্ধ এই ব্যস্ত নগরীতে আসে না, শরতের আকাশ আর নদীর ঢেউ এখানে বড় মলিন যেমন মলিন উলঙ্গ চাঁদের শরীর। বড় অভিমান তার হয়তো এই শহুরে মানুষের প্রতি। সেই বহুজনে আজ মিশেগিয়েছি সে- যে এমন ছিল না। তবু কোন এক কোণায় অযাচিত অভিলাষ হারানো চাঁদের আলো খোঁজে, আকাশের দিকে চেয়ে থাকে সেই শরৎ কবে আসবে, কবে পাবে সেই হেমন্ত ঘ্রাণ, শীতে রাতভর বাগানে শিশিরের নৃত্য ধ্বনি। সেই অবুঝ অভিলাষ হয়তো আজো জানেনি অমূলক এক কামনার সময়ের ভাঁজে চাঁপা পড়েছে। কোনদিনও আর হবে না যেমনটি ছিল সব। হয়তো জেনেও অবুঝ আকাঙ্খার সুখে তৃষ্ণার্থ হতেই বড় ভালো লাগে তার, ভালো লাগে হয়তো অকারণে সময় ক্ষেপনের, যেমন বারোটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা অতীতে গমন। অতীতে গমন যত সব যা কিছু আছে পৃথিবীর উপর। ঝিম ধরে বসে থাকা প্রশান্তির নয় তবু তার ভালো লাগে, ভালো লাগে নিশ্চুপ নিরাবতায় একাকী যাপন, ভালো লাগে আধারের মাঝে শুয়ে থেকে আকাশ দর্শন। কে জানে তার এমন একযুগ আরো কয়েক যুগ যাবে কিনা। ক্ষতি কি তাতে এক জীবন পুড়লে? এ পোড়া গন্ধহীন ছায়হীন অঙ্গারসার। কতজনই বা এমন পোড়া পুড়তে পারে? পুডুক সে ঝরা জলের অনলে, পুডুক সে অবহেলা অবজ্ঞায়। তার এক সকরুন বাঁশির সুর শোনার আকাঙ্খা অতীতের খোঁলা চাঁদরে লুকায়িত এক যুগেও তৃপ্তি হল না। এমনো দিনে এ যাপন যে দিনের মহিমা অপেক্ষায় পাওয়া জীবনের সাথে স্বপ্নের ছোঁয়া। আজ যদি বান ডাকে তার পিঞ্জরে সুখের সাথে দুখের মিলনের সে পাবে এক ভিন্ন অনুভূতির ছোঁয়া। অথচ উচাটন নেই ভিন্ন এসব অভিজ্ঞতার কাছাকাছি এসেও। সব ছাড়া তার এক যুগের পথে হাঁটতে হাঁটতে এই অল্প সময়ে বড় পরিশ্রান্ত ক্লান্ত। প্রতিনিয়ত নিজেকে নিয়ে নিজের সামনে দাঁড়ায়। কতবার ভেবেছে- আজ তোমার পৃথিবী শেষ হলে কাল হবে দ্বিতীয় দিন। ক্ষণিকের এ সময় কতটা ক্ষণিক পৃথিবীর বয়সে বুঝেও এ অবুজতার অর্থ কী? পৃথিবীর সংসারে তুমিও সবার মত এক সদস্য। পৃথিবী দীর্ঘশ্বাসের জায়গা। বনের লতা দুখের ভারে নুয়ে পড়লেও আশ্রয়ের সন্ধানে সে এক সময় আবার লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে, উঠে যায় আকাশ ছোঁয়ার উদ্দেশ্যে। যা কেবল দেখতে ভালোলাগে বুঝতে ভালো লাগে কেবল নিজের মাঝে ধারণ করতে তার যত অনিহা। ঘোরে বা মোহে যায়নি একটি যুগ। প্রতিটা মুহূর্তের ছোঁয়া হৃদয় দিয়ে উপভোগ করার পরও তা কতটা অসম্পূর্ণ বোঝানো হবে না কখনই। স্বপ্নহীন গতি নিয়ে জীবনের সাথে সংগ্রাম মৃত্যুকে অধিক কষ্টের ভেবে। দৃষ্টি যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই শুরু হয় অন্যকারো দৃষ্টির ব্যপকতা। তবুও শেষ হয় না অবুজের বোঝার আকাঙ্খা। দেহ তলে যে মনের বিদ্রোহ নেই সে মনকে মৃত বলাই শ্রেয়। সে যদি না চায় স্বপ্নের পাটাতনে চরণ রাখতে সুধাবে কে তাকে, কে বা স্বপ্ন দেখাবে ব্যক্তিকেন্দ্রীক চিন্তার এই পৃথিবীতে? সেই বরং ভালো বাতাসের মাঝের অজস্র ধুলোকণার একটি কণা হয়ে অলক্ষ্যে হৃদয়ের সংসারে হৃদয়ের মাঝেই পড়ে থাক। বরং হেঁসে যাক পৃথিবী অবজ্ঞার দৃষ্টি নিয়ে। বরং কেঁদে যাক নিঃস্বতা অলক্ষ্যের আড়ালে। যে হৃদয়ের কাছাকাছিও নয় তাকে অকারণে হলেও হৃদয় দিয়ে একাই অনুভব করে। যুগ থেকে যুগে যুগ থেকে যুগান্তরে অলিখিত ইতিহাস নাই বা ধারণ করল এ বাস্তববাদী সংসার, নাই বা বুঝলো এমনো একটি যুগ কারো কারো জীবনে যায়। সবই যখন অতীতে ধাবমান সেই বরং ভালো- মোহের ঘুড়ির সুতা কেঁটে দিয়ে ঘুড়ি একদিকে যাক সে একদিকে যাক। ব্যবধানের পরিধির পরিব্যপ্তিতে পরিব্যপ্তিতে যদি কাছে এসে যায় সাধনা ভেবে নেবে সেও এক ভুল। যদিও যুগের পরিবর্তনে সে চলেই যাবে। অশরীরি চিহ্নগুলো আপন করে পুষে রাখবে তার দুখী মনে। তাই লালনেই যে তার বৈচিত্রময় সুখ। জল ঝরবে না যে চোখে সে চোখে সারাদিন বৃষ্টির মেঘে মেঘোময়। অথচ মেঘোময় তার আপন এক যুগ কালের মাঝে হারালে নিদারুণ স্বার্থপরের মত। ঝিম ধরা পাথরের মত এক বিষণ্নতায় তার জীবনের পথে তোমার অস্তিত্ব কত বড় ক্ষত- সে কে বুঝেছে সে ছাড়া? আজ যখন তোমার বিদায় কাল তখন নতুন এক শুরুর সূর্য উঠবে আগামীকাল। সেখানেও থাকবে তোমারি মত মেঘাচ্ছন্নতা, সঙ্গোপনে বৃষ্টির ধারা, থাকবে শূন্যতার আলোয় আলোকময়, এককী উড়া পাখির মত দিকহীন দিগন্তহীন, থাকবে দৃষ্টির সম্মুখে অবারিত স্বপ্নহীন শূন্যতা। এই-ই এক বিষম প্রাপ্তির বিচিত্র বৈচিত্রহীন ধর্মের জীবন। তার শূন্য হাত শূন্য থাকাতেই বরং মানানসয়। হয়তো তাই তার হৃদয়ে জেগে ওঠে-

ভালো রেখো সময় পৃথিবীতে যাপিত মানুষদের

ভালো থেকো এক যুগ বহু যুগের মাঝে অস্তিত্বহীন...

বিষয়: সাহিত্য

১১৯৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242422
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৫৩
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File