আত্ম স্বীকৃতি ও সর্বসাধারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি
লিখেছেন লিখেছেন মাহতাব আহমদ ১৯ মে, ২০১৪, ০৯:২৯:২৯ রাত
আমি বর্তমান বিশ্বের প্রচলিত মোহামেডান মুসলমান নই, যাদের কলেমা একত্রে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। আমার কলেমা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ও “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” স¤পূর্ণ পৃথক ও আলাদা আলাদা, যা ক্বোরআন, রাসূল, আযান, ইক্বামাত ও তাশাহ্হুদ অনুযায়ী। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা বলে, وَقَالُوا كُونُوا هُودًا أَوْ نَصَارَىٰ تَهْتَدُوا “শুধু ইয়াহুদী বা খৃষ্টান হলেই ঈমানদার হবে।” মোহামেডানরা বলে “সুন্নী বা শিয়া হলেই ঈমানদার হবে।” তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল্জামাত ও শিয়া। ইয়াহুদী, খৃষ্টান, সুন্নী ও শিয়ারা কেউ মুস্লিম নয়। মুস্লিমরা পরসপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনা। ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ওরা পর¯পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মোহামেডানরা নিজ নিজ ইমাম মেসাইয়া, যীশু ও মাহদীর ভাব শিষ্য। আমি ঐ তিন কল্পিত ব্যক্তিকে এক চোখ বিশিষ্ট কানা দাজ্জাল মনে করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যাতে মানব জাতি ভবিষ্যতে কখনো তাওহীদের ভিত্তিতে একজাতি ও এক উম্মত হতে নাপারে, শয়তান তাই ঐ তিন কল্পিত দাজ্জালের কল্পিত প্রাচীর দাঁড় করেছে। আমার কাজ তা ভাঙ্গা। ইসলাম এক ইমামের পেছনে ঐক্যবদ্ধ এক জাতির বিশ্ব সমাজ গঠন করে। মুসলিমদের কাজ হলো গোটা বিশ্বে ন্যায় বিচার ক্বায়েম করা। কোনো জাতির প্রতি বৈরীতা তাদের ন্যায় বিচারে বাঁধ সাধতে পারেনা। দৃষ্টান্ত স্বরূপ, বর্তমানে যদি পৃথিবীতে শক্তিশালী ইমাম থাকতো, তা হলে বিন্ লাদেন ও তার সহযোগিরা বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রের ধ্বংসে ও নিরাপরাধ মানুষ হত্যায় জড়িত থাকলে তাদের থেকে “ক্বিসাস” নিতেন। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে বুশ-বেøয়ারকে শাস্তি দিয়ে তিনি তাদের থেকে আফ্গানিস্তানের ক্ষতিপূরণ আদায় করতেন। প্রমাণ ঃيَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ ۖ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَىٰ أَلَّا تَعْدِلُوا ۚ اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
“হে মুমিনরা, তোমরা সার্বক্ষণিক আল্লাহর ন্যায় বিচারের দন্ডায়মান সাক্ষ্য হবে। খবরদার! কখনো যেনো কোনো জাতির প্রতি তোমাদের বৈরীতা তোমাদেরকে ন্যায় বিচার বিচ্যুত অপরাধী করতে না পারে। খবরদার, তোমরা ন্যায় বিচার করবেই। ইহাই তাক্বওয়ার নিকটতম।” (মাঈদা-৮) আল্লাহর একমাত্র দ্বীন, ইসলামের একক বিশ্ব নেতৃত্বের ইমামত আমার আদর্শ। যেমনটি ছিলেন আমাদের পিতা ইব্রাহীম। আমি তাঁর একক মিল্লাতের পতাকা পুনরোত্তলনকারী। কা’বার “মাক্বামে ইব্রাহীম”এ দাঁড়িয়ে তিনি বিশ্বমানবের জন্য যে সালাত ও হজ্জের যে আযান দিয়েছেন, আমি সে সালাত ও হজ্জের আযান দেয়া মুয়ায্যিন, জামাত ক্বায়েমের ইমাম ও হজ্জের ব্যবস্থাপক। যেমন হযরত মূসা, ঈসা ও খাতামুন নাবিয়্যীন ছিলেন। আমি শুধু আমার কলেমা, সালাত, সিয়াম, হজ্জ ও যাকাতের ইমাম। অন্য কারো ইমাম নই। তবে হ্যাঁ! যারা আমার মতো সব ছেড়ে আমার পিছু নিবে, তাদের আমি তাড়াবোনা। সূরা হুজুরাতের কঠোর নিয়মে তারা আমার সাথী হতে পারে। একটি আয়াতেরও সীমালংঘণকারীর আমার কাফেলায় ঠাঁই হবে না। আল্লাহর রহমতে আমার বাপদাদার দেয়া আমার নামের অর্থের চার দেয়ালীর মাঝেই আমার দুর্গ। আমি তার চৌহদ্দি অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখিনা। আল্লাহ, আপনি সাক্ষী থাকুন। ইয়া আল্লাহ! আমরা সভাপতি, স¤পাদক ও সদস্য নিয়ে গঠিত কোনো ইবলিসী সংগঠন, সভাসমিতি ও বক্তৃতামঞ্চ দাঁড় করাবো না। সালাতের জামাত আমাদের জনসভা এবং কোরান তেলাওয়াত ও তর্জমা আমাদের ভাষণ বক্তৃতা । ফজরের জামাত দিবসের প্রথম সভা হবে। অন্যান্য ওয়াক্তীয়া সালাত সাধারণ সভা। জুমার জামাত সাপ্তাহিক সভা। ঈদের জামাত বাৎসরিক মহাসম্মেলন। হজ্জ বিশ্ব সম্মেলন। ওমরা প্রশিক্ষণ কর্ম শিবির। জানাজার নামাজ শোকসভা। সূর্য ডোবার দু’ঘন্টার পর এশার জামাতের পর মজলিস মাহফিল স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে لا سمار بعد العشاءরাসুল সাঃ এর নির্দেশ। مُسْتَكْبِرِينَ بِهِ سَامِرًا تَهْجُرُونَ রাত জাগা মুস্তাকবিরি, আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ। (আল মু’মিন- ৬৭) নিদ্রার জন্য রাতকে স¤পূর্ণ নীরব করা হবে। কোন প্রকার গোপন ও গোপনীয় কর্মকান্ড করা হবেনা। সকল কর্মকান্ড আযানের ন্যায় ঘোষণা পূর্বক করা হবে। ইসলামে গোপনীয় কর্মকান্ড নেই।
হে বিশ্ব, সাক্ষী থাকো “আমরা শুধু মুসলিম” اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ (আল ইমরান- ৬৪)
বিষয়: বিবিধ
১২৭১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন