জেনারেল মইনুদ্দিন সাহেবকে চাই,বিশ্রী হরতাল সংস্কৃতি আত্মঘাতী---

লিখেছেন লিখেছেন আলইগ ইবনে লেণদুপ দোরজি বিন মিরজাফর ১২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০২:৩৩:১৪ দুপুর

ক্ষমতার লালসা আমাদের দেশের ১২টা বাজাচ্ছে।আজ হরতাল দিচ্ছে বিএনপি, জামাত আবার যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন জালাও পুড়াও উৎসব করেছে আওয়ামীলীগ।হাছিনা মেডাম বিরোধীদলে গেলে আর কখনো হরতাল করবেন বলেও সেই ওয়াদা রক্ষা করেন নাই।এভাবে পালাক্রমে সরকারী-বিরোধীদলের লোকেরা সরকার হটাও আন্দোলনের নামের সাধারণ জনগনের ক্ষতি করছে।মানুস হত্যা,গাড়ী পুড়িয়ে,ব্যাবসার ক্ষতি করে,যান চলাচল বন্ধ করে রাজনীতি করা কোন আদর্শ রাজনীতিবিদদের কাজ নয়।

এ রাজনিতী বন্দ করতে হবে আর না হলে দেশে রাজনীতী চীরতরে বন্ধ করলে ভাল।যে রাজনৈতিক সিস্টেম দেশের মানুষ হত্যা করে,গরীবের পেটে লাথি মেরে করে সেই রাজনৈতিক সিস্টেম আমারা চাই না।রাজনীতিবিদরা সরকারে বসেও দেশের ক্ষতি করে আবার বিরোধীদলে থাকলেও হরতাল আবরোধ করে দেশের ক্ষতি করে।

জেনারেল মইনুদ্দীন সাহেব মাত্র ১১ জন উপদেস্টা নিয়ে দেশ চালিয়েছিলেন ওইসময় দেশ ভাল মতই চলেছিল।কেউ পাবলিকের পেটে লাথি মারেন নি,কেউ মানুষ হত্যা করে নি,গারী পুড়ায় নি,সরকারি টাকা চুরি হয় নাই আর এখন গনতন্ত্র

ওগুলা সবই হচ্ছে।সতরাং মইনুদ্দিন সাহেবের মডেলই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।মইনুদ্দিন সাহেব সব শিক্ষিতদের নিয়ে দেশ ভাল মত চালনা করেছেন,এজন্য তিনি রাজনীতির আদর্শ হওয়া উচিত।৩৩০ জন সংসদ সদস্য সবাই বেতন ভাতা নেন,যেভাবে খুশী টাকা লোপাট করে নিজেদের পকেট ভারী করেন,এটা হাছিনা-খালেদার সব দলের সদস্যরাই করেছেন।

মইনুদ্দীন সাহেবের আমলে সেটা কেউ করেন নাই,আর গনতন্ত্রের নামে ,জনগনের ভোটের অধিকার আদায়ের নামে

২ বড় দলের রাজনীতিবিদরা সেটা করেন।গরীব একটা দেশের জনগনের সামর্থ্য নাই ৩৩০ জন সংসদ সদস্যের উদর ভরার,আর উনাদের উদর আকাশের মত বিশাল এটা কোন সময় পূর্ণ হয় না।৩৩০ জনের সংসদ সদস্য আমরা চাই না,কারন উনাদের উদরে এত টাকা দেশের জনগণ ঢালতে ঢালতে ফকিরে হয়ে যাচ্ছে।আমরা চাই মইনুদ্দিন সাহেবের ১১ জনের সংসদ সেখানেও জনগনের ভোটের সিস্টেম করা যেতে পারে।দেশে অনেক শিক্ষিত গবেষক আছেন যারা গবেষণা করে বের করতে পারেন কিভাবে জনগনের ভোটে ১১ জন নির্বাচিত সদস্য দিয়ে দেশ চালানো যেতে পারে সেটা সম্ভব তা না হলে মইনুদ্দিন সাহেব কিভাবে দেশ চালালেন?ওখানে প্রধান মন্ত্রী,রাস্ট্রপ্রতি নিরবাচিত হতে পারেন আর একেকটা মন্ত্রণালয়য়ের দায়ীত্য সচিবদের উপর দেয়া যেতে পারে।আমাদের দেশের রাক্ষুসে রাজনীতিবিদদের এ ধরনের রাজনীতি ভাল লাগবে না কারন এ ধরনের রাজনিতিতে পকেট ভারী করার সুযোগ আসবে না। যে যাই বলুক আমরা গরীবেরা ২ মুঠো খেয়ে বাঁচতে চাই আর গরীবের কেউ মরলে দেখার কেউ থাকে না আর বড় লোকের মরলে দেখার অনেকেই থাকে।

কেউ কি আছেন যে দেশের গরীব জনগণদের বাঁচাবেন?

বিষয়: বিবিধ

১৩৬১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

300299
১২ জানুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশে হরতাল , অবরোধ , মারামারি কাটাকাটি করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায় । গত কয়দিন আগে বিবিসি জরিপে মনে হয় এমনটা এসেছে । তাছাড়া আমরা তো এটা জানিই ।

বাংলাদেশীরা প্রতারককে পছন্দ করে , মিথ্যাবাদীকে পছন্দ করে ।

বাংলাদেশের জনগনের জন্য গনতন্ত্র না । এরা শক্তের ভক্ত , নরমের যম । দেশে যতই নোংরামী করুক , বিদেশে একদম সোজা হয়ে চলে । একটু তেড়ি বেড়ি করলেই সেখানের আইনে মার খেতে হয় , যেটার চেয়ে শতগুন বেশী খারাপ কাজ করেও দেশে পার পেয়ে যেত।

এই বাংলাদেশীরা মঈন-ফখরুদ্দিনের সময় একঘাটে পানি খেয়েছে । বাংলাদেশের জন্য দরকার স্বৈরতন্ত্র বা রাজতন্ত্র । গনতন্ত্র এদেশের মানুষের জন্য স্যুট করে না ।
300305
১২ জানুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আর জেনারেল রা এসে যে বসে বসে খাবে সেটা ভাল লাগে!!!
300329
১২ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:১৩
sarkar লিখেছেন : গবেষনা বিষয়।তবে মঈন কালপ্রিট।পিলখানায় সেনা হত্যার জন্য দায়ী।তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
300347
১৩ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৪১
জুমানা লিখেছেন : হুনলাম মঈন হাগল হয়ে গেছে......

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File