আইক্কা বাঁশ লীগ---ভারতের আইক্কা বাঁশ ছাড়া আর কিছুই না!!!
লিখেছেন লিখেছেন আলইগ ইবনে লেণদুপ দোরজি বিন মিরজাফর ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:৫১:২৩ দুপুর
আইক্কা বাঁশ লীগ---ভারতের আইক্কা বাঁশ ছাড়া আর কিছুই না!!!
ভারত বাংলাদেশে ১টি রাজনৈতিক দল চালু রেখেছে আর সেটা হল আইক্কাবাশ লীগ মানে আওয়ামিলীগ।তবে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিএনপিও ভারতের জন্য করেছে তবে আইক্কাবাশ লিগের মত এতটা না।সেজন্য বিএনপি কে ধন্যবাদ।
এখন যদি ভারত আর আইক্কাবাশ লিগ মিলে বাংলাদেশ দখল করে নেয় সিকিম,হায়দারাবাদের মত তাহলে এমন কেউ কি আছে যে বাধা দেবে আমার মনে হয় না।পুলিশ,বরডার গার্ড, সেনাবাহিনী উনারা কেউ আসবেন না কারন সরকারী চাকুরী হারানূর ভয়ে উনারা বাধা দিতে আসবেন না আর সাধারন পাবলিক নিজেরটা খেয়ে পড়ে বাধা দিয়ে মরতে আসবেন না।সুতরাং আইক্কা বাশ লিগের এটাই সময় দেশ ভারতকে দিয়ে দেয়ার।এ সু্যোগ আমার মনে হয় না ভারত -আইক্কাবাশ লীগ হাত ছাড়া করবে।
বন্ধু হিসাবে তাকেই গ্রহন করব যে আমাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করবে।যে আমাকে শত্রু হিসাবে গ্রহন করবে আর আমি বন্ধু ভেবে সব দিয়ে দিব সেই শত্রু বন্ধুকে তা হয় না।এমন বন্ধু শত্রু আমি চাই না যারা আমাকে ধোকা দেবে ,কস্ট দেবে,কোন সু্যোগ দেবে না।ভারত হচ্ছে বাংলাদশের সে ধরনের বন্ধু শত্রু--
যে সব সময় বাংলাদেশকে আইক্কা বাঁশ দিতে প্রস্তুত।
ভারত যা দিচ্ছে বাংলাদেশকে---
১।--আইক্কা বাঁশ মানে আওয়ামিলীগ নামে ১টা রাজনৈতিক দল যারা ভারতের দালাল হিসাবে দেশে আছে।
২।আইক্কা বাশ লীগ ভারত হতে কিছুই চায় না শুধু চায় ক্ষমতায় থাকার সমর্থন।
৩।শুকনা মাওসুমে ৫১টি নদীর পানি আটকে সব ভারতে নিয়ে যাচ্ছে আর বর্ষাকালে ডুবিয়ে মারছে।
৪।ভারতীয়রা বাংলাদেশে সহজে ঢুকতে পারে আর বাংলাদেশীরা পারছে না,ঊল্টো ভারতের বাঙ্গালী মুসলমানদের বাংলাদেশী বলে ঢোল পেটাচ্ছে ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসী দল বিজেপি।
৫।বাংলাদেশের মুছলমানদেরকে সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই ভাবে না আর তা না ভাবলে কবেই ইউরোপীয়দের মত ওপেন যাতায়ত ব্যাবস্থা চালু করত সার্কদেশ গুলোর মধ্যে।
৬।সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করা দেখলে কি মনে হয় ওরা বাংলাদেশীদের সজ্য করতে পারে?
৭।বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর পারমিশন দেয় নি ভারতের ভিতরে দেখার,ওরা হিন্দু চারালেরা কত সংস্ক্রতমনা! কত উদার!
৮।বিএনপি কেও ক্ষমতায় আনবে বলে লোভ দেখিয়ে হাতে রেখে সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছে।
৯।বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য এত দরদ যে-- ভারতে বাংলাদেশের হিন্দুদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে দালাল তৈরী করে রেখেছে।হিন্দু-আর আইক্কাবাশলীগের কিছু মুছলমান দালালেরা মিলে দেশ ভারত অধীন রাখার চেস্টায় লিপ্ত আছে।
১০।প্রধানমন্ত্রী বললেন--বাংলাদেশের হিন্দুরা শক্ত অবস্থানে থাকুন।তারমানে কি?শক্ত অবস্থানে না থাকলে আইক্কাবাশ লিগের প্রবলেম হবে।ভারত অধীন রাখতে দলালদের শক্ত অবস্থানে থাকার দরকার আছে তবে সব হিন্দু ভারতের দালাল না।
১১।বাংলাদেশের পুলিশ,বরডার গার্ড, সেনাবাহিনীকে ভারতে প্রশিক্ষনের নামে বাংলাদেশেকে ভারত অধীন করার কৌশল শেখানো হচ্ছে।আর আইক্কা বাশলীগ এতে খুব খুশী।দেশের ভিতরে অস্রধারী ভারতীয় দালাল বানানো হচ্ছে।যা বাংলাদেশ দখলে নিতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
১২।বিএনপিকে ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হইছে যাতে তারা কোন ধরনের প্রতিবাদ না করে।
১৩।ভারতের বুদ্দিতে উনার বাবা মিডিয়ার অধীনতা
চালু করেছিলেন উনিও তাই করলেন--বাবার আদর্শে ফিরে গেলেন আর মিডিয়ার অধীনতা চালু করলেন।গুডলাক ফর আইক্কাবাশ লিগ।
১৪।বিএনপি,জামাতের নেতাদের জেলের ভাত খাওয়াচ্ছে,
যাতে বিএনপি জামাতের কোন অস্তিত্ত না থাকে।কিন্তু সামরিক বাহিনীর কেউ যদি ক্ষমতা দখল করে নেয় তখন হয়তো উনাদের সাথে আবার জোট বাধবেন।যেমনটা ছিল এরশাদ দাদুর আমলে।নিজের স্বার্থে মানুষ সব কিছুই করতে পারে--তবে যাদের সরম লজ্জা নাই।
১৫।বাংলাদেশ থেকে নেপাল-ভুটানের ট্রানজিট চাওয়ার আগেই ভারতের দালালেরা এসে বলে গেল--নেপাল-ভুটানে যাওয়ার টারানজিট লাগবে কেন?কয়টাকার মাল ঐ ২ দেশে তোমরা রপ্তানী কর?মাদারচুদেরা শুধু নিবে কিছু দিবে তো দূরের কথা আগেই এসে ধমক দিয়ে গেল।সেই ধমকে বাংলাদেশ কাইত হয়ে সাগরে ডুবে গেল।
১৬।ভারতের কোলকাতা থেকে ত্রিপুরা যেতে হয় ১৬৫০ কিমিঃ রাস্তা পারি দিয়ে,ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যে মাল যায় ঐ রাস্তা দিয়ে কিন্তু বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে গেলে রাস্তা ১৩৫০ কিমিঃ কমে যায়।এতে ভারতের সময়,টাকা সবই রক্ষা পায়,বেশ ভাল বাংলাদেশের উপর দিয়ে তোমরা মাল নাও তবে শুল্ক দিতে হবে,বিভিন্ন ধরনের খরচ দিতে হবে,না তা ভারত দিবে না কারন বাংলাদেশ অনেক ধনী দেশ ওদের টাকা পয়সার দরকার নাই আর বাংলাদেশীরা হল বোকা জাত ওদের যেভাবে বলবে সেভাবে খুলে দেবে,পাইত্তা দেবে ক্ষতি হলেও মেনে নেবে কোন প্রতিবাদ করবে না,যা ব্রিটিশ আমল থেকেই পরীক্ষিত।ভারতে বাংলাভাষীরা সবসময় অবহেলিত এটা এখনো চলছে সেখানে।
আইক্কাবাশ লীগকে ক্ষমতায় রেখেছেন উনারা শুল্ক নিলে বাংলাদেশ তার রক্ষিত ইজ্জত হারাবে তাই ভারতের লক্ষ লক্ষ টন মাল যাবে দেশের ভিতর দিয়ে কিন্তু কোন শুল্ক নিব না।আবার যাবে পুলিশ পাহারায় যাতে কেউ ক্ষতি না করতে পারে,কিন্তু দেশের মালটা যাবে কোন পুলিশ পাহাড়া নেই।
তারমানে কি বাংলাদেশের মানুষ বেতন দিয়ে পুলিশ রাখছে ভারতীয়দের জান,মাল রক্ষার জন্য আর ভারতের মানুষ
পুলিশ ,বিএস এফ রাখছে বাংলাদেশের মানুষের জান,মালের ক্ষতি করার জন্য।খুদে গরু ব্যাবসায়ীরা পর্যন্ত ওদের হাত থেকে রেহাই পায় না।
ভারত আমাদের ক্ষতি করবে আর আমরা উনাদের চুমা দিয়ে যাব?ভারতের কিছু দালাল দিলে দিক আমরা গরীব জনগন ওদের বিনা শুল্কে মাল নিতে দিব না।আইক্কা বাশ লীগের সাথে হয়তো গোপন চুক্তি আছে যার জন্য উনারা বিনা শুল্কে দেশের ভিতর দিয়ে মাল নিতে দিচ্ছেন।বাংলাদেশ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্যে ব্যাবসা হারাচ্ছে সেদিকেও উনাদের কোন খবর নাই।
ভারতের সাথে এমন চুক্তি করতে হবে যাতে---বাংলাদেশ কিছু পায়।বাংলাদেশ পেলেই শুধু ভারত বাংলাদেশ হতে কিছু নিতে পারবে অন্যথায় নয়।বাংলাদেশ আজো ভারত হতে ক্ষতি ছাড়া কিছুই পাইনি তাই ভারতকে শত্রু ভাবতে হবে কারন ভারত বাংলাদেশকে শত্রুই ভাবে যার কারনে ভারত বাংলাদেশকে কিছু দিতে চায় না,আজো দেয় নি,সামনে দিবেও না।ভারত নামের শত্রু দেশটিকে বিনা স্বার্থে কিছু দিব না যদিও আইক্কা বাশ লিগ দিবে কারন ওদের ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে, প্রয়োজনে যুদ্দ করতে হবে আমাদের ওদের বিরুদ্দে যারা দেশকে ভারত অধীন করতে চাচ্ছে। এ যুদ্দে দেখা যাবে ভারত আইক্কা বাশ লিগকে সব কিছু দিবে কিন্তু আমরা সাধারন জনগন সব হারাব কারন আমরা অস্রহিন যুদ্দা,আমরা মরব,জেলে যাব তবু বলছি শত্রু দের বন্ধু হিসাবে গ্রহন করব না।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন