ফিলিস্তিনের মুছলিম নারী,শিশু হত্যার পরেও ইংরেজ জাতি আর তার সঙ্গীরা তারপরেও সভ্য কেন?
লিখেছেন লিখেছেন আলইগ ইবনে লেণদুপ দোরজি বিন মিরজাফর ২২ জুলাই, ২০১৪, ০৯:০৭:৫৯ সকাল
ইউরোপের মানুষগুলো জীবিকার জন্য যতদিন না ভারতে এসেছিল ততদিন ভারতের মানুষগুলো বেশ সুখেই ছিল।ইউরোপের স্বার্থপর অমানুষগুলো সারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায় ভদ্রতার বেশে, যার প্রমান আমরা দেখেছি উপমহাদেশে উড়ে এসে যোরে বসে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে।মোঘল আমলে উপমহাদেশর অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী ছিল।সেই সময় ইউরোপের অভাবী ওলন্দাজ,ফ্রেঞ্চ,পর্তুগীজ
,সর্বশেষ ইংরেজরা জীবিকার জন্য ভারতে আসে ১৬শতকের শুরুতে।মোঘল শাসকদের সরলতার সুযুগে চালাক ইংরেজরা পরে এসেও উপমহাদেশের সব ক্ষমতা মোঘল হতে কেড়ে নেয়।নিজেদের স্বার্থ উদ্দারে সর্বদা সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে থাকে।ফারসী ভাষার পরিবর্তে ইংরেজী ভাষা সর্বত্র চালু করে কারন উনারা অন্যের ভাষা শিখতে আগ্রহী না।২৫০ বছর,১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তারা উপমহাদেশে লুটপাট চালিয়ে যায়।ধণী উপমহাদেশকে ভিখারীতে পরিনত করে।১৯৪৭ সালে সভ্য ইংরেজরা সাধীনতার নামে ভারত ও পাকিস্তান নামের ২টা টুকরা করে।এমন করে পৃথিবীর আরু অনেক জায়গায় টুকরা নীতি চালায়।যেমন করেছে- ফিলিস্তিনের মুছলমানদের মাটিতে
ইহুদীদের জন্য ইসরাঈল রাষ্ট্র।ইংরেজদের ইহুদীদের জন্য এত দরদ,অন্যের জমিতে ইহুদীদের জন্য রাষ্ট্র করল কেন?, নিজেদের ছোট আবাস ইংল্যান্ডে কেন সেই ইসরাইল রাষ্ট্র করল না?
কারন ওরা খুব চালাক আর স্বার্থপর নিজেদের ক্ষতি তারা হতে দিবে না।ওরা জানে নিজেদের ভূমি খুব কম তাই ওরা অভিবাসী হয়েছিল--ভারত,আমারিকা,কানাডা,অস্ত্রেলীয়া,নিউজিল্যান্ড।ভারতীয় উপমহাদেশ ওরা ছড়তে বাধ্য হয়েছে তাই এখানে এখন কোন ফিরিঙ্গীর বাস নাই।তাই বলব,উপমহাদেশের মানুষগুলো বেশ প্রতিবাদী ছিল বলেই এখানে ওরা টিকতে পারে নি।
এখন কথা হল,ফিলিস্তিনের মুছলমানদের মাটিতে ইহুদীদের জন্য ইসরাইল রাস্ট্র বানিয়ে অশান্তি স্রিস্টি করল ঐ বদমাশ ইংরেজরা।আর মুছলমানদের তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে বানানো হচ্ছে ইহুদীদের জন্য বহুতল দালান।আর সেগুলু কিনতে পারছে শুধু ইহুদীরাই।ইংরেজ,আমেরিকানরা এখন গাজার নিরীহ মানুসগুলুকে হত্যায় উৎসাহী করছে ইহুদীদের। মুছলমান নারী শিশুদের হত্যা করা ওদের বড় টারগেট,যা বলেছেন ওদের এক সংসদ সদস্য যার নাম এলায়েট সাকেদ।ঈহুদীদের এ কাজে নতুন করে উতসাহ দিচ্ছে আমাদের মুছলিম ২ দেশ-- সৌদীআরব,আরব আমিরাত।
এ দুই দেশের রাজারা গাজার মুছলিমদের নিজেদের জন্য হুমকি মনে করেন কারন গাজাবাসী এখানে ভোট দিয়ে খমতায় বসিয়ে রেখেছে হামাস নামের এক প্রতিবাদী সঙ্ঘকে।এ হামাসকে ঐ ২ আরব দেশের রাজার কোনভাবে মেনে নিচ্ছে না কারন হামাস নাকি ঐ ২ দেশের রাজত্ন্ত্র বিরোধী।তাই ঐ ২ আরব দেশ ইসরাঈল্কে বলেছে যে কোন ভাবে হামাস নিরমুল করতে,যা করে যাচ্ছে ইসরাইল।আর রমজান মাসে ১৫ দিনে মারা গেল প্রায় ৬০০ নিরীহ নারী,শিশু,পুরুষ।তাতে সভ্য দেশগুলুর কোন দুঃখ নাই কারন মুল্যহীন মুছলমানেরা মারা যাচ্ছে।আসুন আমরা ঐ সভ্য জানোয়ারদের মুখে থুথু মারি যারা নিরীহ নারী,শিশুদের হত্যা করতে পেরে খুশী।শান্তিতে প্রইজ পাওয়া মিঃ ওবামা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন কারন উনি ইস্রাইলের দস্ত।আসুন গাজায় নিহত মানুসগুলুকে সরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশে গাজা সংঘ নামে ১টি সংঘ গড়ে তুলি।
আল্লাহ তুমি পার গাজা বাসীদের রক্ষা করতে মানুষ আর পারবে না।আল্লাহ তুমি ইহুদী-খ্রিস্টান হতে মুছলিমদের রক্ষা কর -আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন