রাজনীতিবিদদের গোপন বিজনেস করতে হয় কেন?
লিখেছেন লিখেছেন আলইগ ইবনে লেণদুপ দোরজি বিন মিরজাফর ২৪ জুন, ২০১৪, ০৩:১৪:১৫ রাত
ক্ষমতা হাতে পেলে রাজনীতিবিদদের অতীত খরচ মেটাতে হয় যা ঋণ করতে হয়েছিল ১সময়। ক্ষমতা পাওয়ার সাথে সাথে ইলেকশন সহ অন্যান্য অতীত ঋণ পরিশোধের জন্য নানা ধরনের অপরাধ করে টাকা উপার্জন করতে হয়।সরকারী দলের হলে বেশী সুযোগ আসে টাকা উপার্জন করার আর বিরোধী দলের হলে অনেক কম সুযোগ আসে।যেমন একসময় বিএনপি,জামাত ক্ষমতায় ছিল তাদের বড় নেতারা,চেলারা অনেক অপরাধ করেছিল টাকা কামানোর জন্য।বিএনপি,জামাতীরা অপরাধ করে অনেক মাল কামিয়েছিলেন পরে তাদের মাশুল দিতে হয়েছে ক্ষমতা হারিয়ে।আর অপরাধের পরিমান বাড়তে থাকলে ক্ষমতা কেয়ামত পর্যন্ত ধরে রাখতে চান।কিন্তু বাংলাদেশের জনগন খুব স্বাধীনতা প্রিয় রাজনীতিবিদরা ভুল করলেও তারা ভুল করেন না যে করেই হোক স্বাধীনতার পক্ষের লোককেই সাপোর্ট দিবেন,যেমনটা দিয়েছিলেন মইনুদ্দিন সাহেবদেরক ২০০৭ সালে।রাজনিতীবিদদের মনে রাখতে হবে উনারা ভুল করলে জনগনকে হয়ত যোর করে শাসন করা যাবে কিন্তু সেনাবাহিনী কিন্তু বসে থাকবে না,তার প্রমান আমরা পেয়েছি শেখ মুজিব আমল থেকে।২টা রাজনৈতিক দলের উৎস কিন্তু সেনাবাহিনী শুধু মইনুদ্দিন সাহেব ভদ্রতার খাতিরে দল গঠন করতে পারেন নি, কিন্তু যোর করলে পারতেন।বাংলাদেশের হাছিনা সরকার কিন্তু অনেক ভুল করেছেন যা তারা বেশ ভাল জানেন।যা থেকে তাদের মুক্তি নাই তা তারা বেশ ভাল করেই জানেন।তাই ক্ষমতা কারসাজি করে হলেও ধরে রাখছেন।
ভারতকে চাইছেন পাশে রাখতে যাতে বিপদে আশ্রয় নিতে পারেন পাশের দেশে,তাই ভারতকে চাল,ডাল,ভারী যন্ত্রপাতি নিতে দিচ্ছেন বিনা শুল্কে।যে ভারত সবকয়টি নদীর পানি আটকে রাখে বছরে প্রায় ৮ মাস,সাধারন বাংলাদেশীকে কুকুরের মত হত্যা করে,যে দেশ বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো নিষিদ্য করে রেখেছে সেই ভারতকে বিনা শুল্কে কেন মাল নিতে দিবে?
অবশ্যই গোপন বিজনেস আছে বর্তমান সরকারী দলের সাথে।শুধু তিস্তা চুক্তি করলেই করিডোর দিতে হবে কেন?ভারত তো এখন ৩ বিঘা তুলে দিল না বাংলাদেশের হাতে যার বিনিময়ে ১টা ইউনিয়ন দিয়েছিল বাংলাদেশ।সেই দেশের সাথে চুক্তি করার চেয়ে না করা অনেক ভাল।কারন ভারতের সাথে চুক্তি করা মানে বাংলাদেশ দিয়ে দিবে আর ভারত না দিয়েই তাদের স্বার্থ আদায় করে নেবে।তারপরেও বর্তমান সরকার যদি উনাদের পকেট ভারী করতে সারা বাংলাদেশ তুলে দেয় তাহলে জনগণের করার কিছু থাকবে না কারন জনগণ ক্ষমতায় নাই আছে আওয়ামিলীগ।তবে সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এগিয়ে আসলে হয়তো দেশ রক্ষা পাবে তা না হলে ২৩শে জুন ১৭৫৭ সালের মত আজীবনের জন্য হারিয়ে যাবে সোনার স্বাধীন বাংলাদেশ ভারতের পেটে।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন