মাজহাব !!!!

লিখেছেন লিখেছেন কাজী মুহিব্বুল্লাহ ০৯ জুন, ২০১৪, ১২:৩০:১৭ দুপুর

ফিকাহ শরিয়তের উসুল বা মূল বিষয় নায় ,বরং ফুরুও বা শাখা শাখা প্রশাখার বিষয় যা মানুষের কর্ম প্রচেষ্টার ফল । এ ক্ষেত্রে মত পার্থক্য শুধু জায়েজই নয় বরং তাকে উম্মতের জন্য রহমত সরূপ বলা হয়েছে। তাই চার ইমাম,আহলে হাদিস এবং পরবর্তী যেকোনো ফকিহ দের ইসতিনবাত বা ইজতিহাদের ইত্তিবা(অনুসরণ ) করা যেতে পারে,একজন মোসলমান যার মতকে সঠিক হওয়ার ব্যাপারে যথার্থ মনে করবে তাকাই অনুসরণ করবে । শুধু আহলে হদিসরাই সঠিক বাকী সবাই গোমরা ,বা শুধু হানাফিরাই সঠিক বাকী স বাই গোমরা, অথবা নবী (সাHappy একজন তাহলে মাজহাব একাধিক কেন হবে ? এ জাতীয় চিন্তা বা প্রশ্ন ইসলামি ঐতিহ্যে নতুন ,এবং ইসলামি ফিকাহ বা ফিকাহ সাস্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে কম জানার ফল। চার ইমাম এবং আহলে হাদিস সকলে মিলেই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত (শিয়্যাহ এবং খারেজী বাদে,তারাও মোসলমান ) ।ভুলে গেলে চলবে না চার ইমামকে বাদ দিয়ে পঞ্চম কোন ব্যক্তি বা সমষ্টির ইজতিহাদ কে আপনি যদি অনুসরণ করেন তবে আপনি পঞ্চম মাজহাবের অনুসরণ কারি। এভাবে মাজহাব বারতেই থাকবে তাতে ইসলামের সমস্যা হওয়ার কথা না ,কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় যখন কোন ব্যক্তি কোন এক মাজহাব কে দীনের চূড়ান্ত সত্য ঘোষণা করে বাকীদেরকে দীনের বাইরে মনে করে ,আর এরাই অন্ধ তাকলিদ পন্থি । অনেক সময় আহলে হাদিসের ভাইয়েরাও এ ভুলটি করেন ।

{"এ ব্যাপারে শেখ ইউসুফ আল-কারদাভীর (كيف نتعامل مع التراث = উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান ভাণ্ডার এর সাথে আমাদের ব্যবহার বিধি বা আচরণ বিধি ) বইটি সকল ভুল ধারনা দূর করতে সক্ষম হবে বলে আমার ধারনা ।}

বিষয়: বিবিধ

১৩১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

232730
০৯ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
নেহায়েৎ লিখেছেন : ভাই সুন্দর কথা বলেছেন। কিন্তু চার ঈমাম কি তাদের নামে কোন মাযহাব তৈরী করে গেছেন? তারা কখন্ও বলেছেন তোমরা আমার মাযহাব অনুসরণ কর। তারা কিন্তু কারো ব্যাক্তি সম্পদ নন। আহলে হাদীস বলেন আর লা মাযহাবীই বলেন তারা কিন্তু চার ঈমামকেই যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেই কথা বলেন। তারা কুরআন এবং সহীহ হাদীস অনুসরণ করেছেন। কোন বিশেষ মাযহাব অনুসরণ করেননি। একমাত্র কুরআন এবং সহীহ হাদীস ছাড়া কারো অন্ধ অনুসরণ করা যাবেন। কারণ মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারেন।
০৯ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
179444
ইমরান ভাই লিখেছেন : Love Struck Love Struck Praying Praying
232774
০৯ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৩৭
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনার আগের লেখা পড়েছি। আজকের লেখা পড়লাম। বাস্তব একটি বিষয়। শাইখ ইউছুফ আল কারদাভীর বইটির সংক্ষেপটা আগের মত আমাদের জন্য করে দিলে উপকৃত হবো। আমি নিজে এরকম একটি লেখা শুরু করেছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
233625
১১ জুন ২০১৪ সকাল ১১:৩০
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : এমন উদারতা কাম্য আজ মুসলমানদের মাঝে। নিজের মতই সঠিক আর বাকি সবাই ভুল- এমন সংকীর্ণতা হতে বের হয়ে আসতে হবে।

ফিকহ শাস্ত্রের অবদান অনস্বীকার্য। তবে এর অনুসরণ করা যাবে শর্তসাপেক্ষে।
১। যে বিষয়ে কুরআন হাদীসে সুস্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন বক্তব্য আছে সে বিষয়ে ফিকহ শাস্ত্র অনুসরণ করা যাবেনা। শুধুমাত্র এখতেলাফপূর্ণ বিষয়ে ফিকহ শাস্ত্র অনুসরণ করা যাবে।
২। ফিকহ শাস্ত্রের কোনো বক্তব্য/ব্যাখ্যা কুরআন হাদীসের বিরোধী হলে সেটা অবশ্যই বাদ দিতে হবে।

আরেকটি বিষয়, রাসূলুল্লাহ(সা) এর হাদীস সংকলনের ক্ষেত্রে যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসগণ এর প্রচুর সময়, শ্রম ও চেষ্টা সত্ত্বেও হাদীস জাল করা হয়েছে। হাদীসের নামে জালিয়াতি করা হয়েছে। কিন্তু চার ইমামদের বক্তব্যের বিশুদ্ধতা রক্ষার বিষয়ে হাদীসের মত চেষ্টা ছিলনা। সুতরাং ইমামদের নামে মিথ্যা কথা তৈরি করা জালিয়াতগণের পক্ষে খুব সহজ। সুতরাং বিষয়টি ভাবতে হবে। ইমামদের নামে প্রচলিত সব কথা ইমামদের -এমন অন্ধবিশ্বাস করা যাবেনা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File