যারা ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে!!!
লিখেছেন লিখেছেন কাজী মুহিব্বুল্লাহ ২৩ মে, ২০১৪, ০৮:০৯:২০ সকাল
ইসলামি রাষ্ট্র তার সকল বৈশিষ্টের দিক থেকে কোন ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়,যেমনটা ঘটেছিল রোমানদের বেলায় যেখানে সিজার নিজেকে আল্লাহর সাথে বিশেষ সম্পর্কের দাবী করে মানুষের উপর রাজত্ব করত,আবার ইউরোপিয়ান পোপ কর্তৃক পরিচালিত রাষ্ট্রের মতও না যেখানে পোপরা আল্লাহ এবং মানুষের মাঝে নিজেদেরকে মধ্যস্থতাকারীর দাবী করে তাদের শাসন ব্যবস্থা জনগণের উপর চাপিয়ে দিত।
ইসলামের আলেম সমাজ কোন ধর্মীয় ব্যক্তি নন ,যেমন স্রষ্টা এবং মানুষের মাঝে মধ্যস্থতা করার কোন অধিকারী তারা নন। আবার হালাল ,হারাম বা আকিদা বিশ্বাস এর ক্ষেত্রে কম বা বেশি ,পরিবর্তন পরিবর্ধন করার কোন অধিকারও তাদের নেই।
ইসলামি শরিয়ত একজন মুসলিম শাসক কে শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে লাগামহীন স্বাধীনতা দেয় নাই,যেমন টি ঘটেছে বাইবেলের বেলায় ,যেমন "সিজারের যা কিছু তা সিজার কে দাও"
ইসলামি শরিয়ত ইসলামি রাষ্ট্রপ্রধানকে তার রাষ্ট্র পরিচালনার পথ-পরিক্রমা,তার ইচ্ছা-ক্ষমতা,সীমা পরিসীমা নিদিষ্ট করে দিয়েছে , আর এ সংক্রান্ত বিধি বিধানগুলি স্থায়ী বা ছাবেত (শাসক বা তার কোন তাবেদার ইচ্ছা করলে এতে কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না) ।
অতঃপর শরিয়ত ঘোষণা করেছে মুসলিম উম্মাহই ক্ষমতার উৎস ,অর্থাৎ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ,স্থান কাল,এবং নব উদ্ভাবিত পরিস্থিতির মোকাবেলায় উম্মাহর সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্য (শরিয়তের মূলনীতির ভিত্তিতে) আইন প্রণয়ন,বিধি বিধান নির্ধারণ এবং তার প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন করার অধিকার মুসলিম উম্মাহর উপরই বর্তায়।(কোন বিশেষ ব্যক্তি,বা গোষ্ঠী বা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক এলিট শ্রেনীর উপর না)
অতএব যারা ইসলামের নাম নিয়ে ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন তারা মূলত ইউরোপীয় পোপ-তন্ত্রের তাক্বলিদ বা অন্ধ অনুকরণ করতে চাচ্ছেন । এ জাতীয় চিন্তা চেতনার সাথে ইসলামের মূলনীতির কোন সম্পর্ক নেই।
("ধর্মীয় রাষ্ট্র,ধর্মহীন সেকুলার রাষ্ট্র এবং ইসলামি রাষ্ট্রের মাঝে পার্থক্য " বই থেকে অনুদিত)
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন