একবার না পারিলে দেখ শতবার ও মালালা ইউসুফজাই এর নোবেল প্রাপ্তি।
লিখেছেন লিখেছেন ওয়াচডগ বিডি ১০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:০৯:১৯ বিকাল
শান্তিতে মালালা ইউসুফজাই নোবেল পেল অথচ এই তালিকায় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম নেই ব্যাপারটা কেমন যেন একপেশে মনে হল। গত একটা বছর সন্ত্রাস মোকাবিলা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠ ও স্বদেশে স্মরণ কালের সবচাইতে টেকসই শান্তি নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার ছিলেন শেখ হাসিনা। পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত এমন কোন আর্ন্তজাতিক সন্মেলন নেই যেখানে সদলবলে যোগ দেননি। দেশে বিদেশে নিয়মিত কথা বলেছেন শান্তির উপর। এর উপর বেশ কটা সম্মানসূচক ডিগ্রিও পেয়েছেন ইতিমধ্যে। জাহাঙ্গির কবির নানক ও মির্জা আজম নামের দুই লেফট্যানেন্ট গেল একটা বছর ধরে পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন শান্তিতে নেত্রীর অবদান ছড়িয়ে দেয়ার মিশন নিয়ে। মাইক্রো ক্রেডিটের মত বাংলাদেশের ’বিরাজমান শান্তি'কে মডেল হিসাবে গ্রহনের জন্যে দেখা করেছেন বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে। মিশনের সফল সমাপ্তির শেষ পর্ব হিসাবে খোদ প্রধানমন্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন জাতিসংঘে। ২০০ জন সঙ্গী ও কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ের নোবেল মিশন সফল না হওয়ায় নিশ্চয় আশাহত হয়ে থাকবে এ কাজে নিয়োজিত দলীয় যোদ্ধারা। সমবেদনা রইল তাদের সবার জন্যে। নোবেল প্রতিবছরের পুরস্কার। মন খারাপ করার কিছু নেই, লেগে থাকলে হয়ত সামনের বার সফল হওয়া যাবে।
তবে এর আগে এবারের ব্যর্থতার উপর একটা বিশদ অটোপসি মিশনের সফল সমাপ্তিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি। এ ব্যাপারে আমার নিজস্ব কিছু রেকোমেনডেশনস আছে। যেমনঃ
- ক্রসফায়ারে হত্যা পর্ব সূর্যোদয়ের পরিবর্তে মধ্যরাতে সমাধা করতে হবে যাতে পশু পাখির দল পর্যন্ত স্বাক্ষী না হতে পারে। সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে এই পাখির দল ঋতু পরিবর্তনের সাথে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে উড়ে যায় এবং নোবেল কমিটির কাছে প্রকাশ করে দেয় শান্তি প্রতিষ্ঠার এই অভিনব মডেল।
- মিডিয়া নিয়ন্ত্রনে বাকশালী আইন পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। এ যাত্রায় ৪টা নয়, প্রিন্ট মিডিয়ার সবকটাকে সুযোগ দিতে হবে। শর্ত থাকবে শান্তিতে নোবেল ব্যাহত হয় এমন কোন খবর প্রকাশ করা যাবে না।
- সাগরের তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল কেটে ভার্চুয়াল দুনিয়ার কবর রচনা করতে হবে।
- বিরোধী দলকে রাস্তায় নয়, মোকাবেলা করতে হবে অন্দর মহলে যাতে কূটনৈতিক পাড়ায় না পৌছায় ক্ষমতা স্থায়ী করার এই মডেল।
- গোপনে বিদেশিদের হাতে নয়, শেখ হাসিনার শান্তির মডেল তুলে দিতে হবে দেশের প্রতিটা শিশু, কিশোর, তরুন ও আবাল বৃদ্ব বনিতার হাতে।
- বিদেশ ভ্রমনে ১০০/২০০ জন নয়, সঙ্গী বানাতে হবে ৫০০ জনকে, যাদের মূল কাজ হবে বিদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার নোবেল প্রাপ্তিতে জনমত সৃষ্টি করা।
বাংলাদেশে বিরাজমান শান্তির সমুদ্রে কেবল ১৬ কোটি মানুষ অবগাহন করবে এমনটা ভাবা হবে অন্যায়। ৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার বাকিদের বঞ্চিত রেখে শেখ হাসিনার শান্তি কেবল আমরা ভোগ করবো এ হবে নাৎসিদের অপরাধের শামিল। আমাদের শত বছরের মিশন হাতে নিতে হবে। শেখ হাসিনার নোবেল প্রাপ্তি নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত থেমে গেলে চলবে না। বাংলায় একটা কথা আছে, একবার না পারিলে দেখ শতবার। শতবার কেন, প্রয়োজনে হাজার বার চেষ্টা করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন