দাসত্বের ১৫ কোটি ও একজন রাসেল...WD
লিখেছেন লিখেছেন ওয়াচডগ বিডি ১৭ জুন, ২০১৪, ১১:৩৩:২২ রাত
নীচের লেখাটা স্থানীয় একটা দৈনিক হতে নেয়া। পড়ে কিছুক্ষণের জন্যে বিমূঢ় হয়ে রইলাম। মন্তব্য করার মত তাৎক্ষণিক ভাষা খুজে পেলাম না। কিন্তু কিছু একটা না লিখলে মন কিছুতে হাল্কা হচ্ছেনা। ভেতরের অজগর সাপটার গজরানো থামানো যাবেনা। ঘুম আসবেনা, রক্তের চাপ বাড়তে থাকবে। কি নিয়ে লিখব? কাকে দায়ী করবো? কার কাছে বিচার চাইব? ইতিহাস হতে জেনেছি সভ্যতার ক্রান্তিকালে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে যায়, প্রতিবাদ নিয়ে রাস্তায় নেমে পরে। কেউ চে গুয়েভারা হয়ে, কেউ নেলসন মেন্ডেলা হয়ে, কেউ মহাত্মা গান্ধী হয়ে, কেউবা আবার চারু মজুমদার হয়ে প্রতিবাদ জানায়। রাস্তায় নামে, হাতে অস্ত্র তুলে নেয়। এ বিবেচনায় কি যেন একটা ঘটে গেছে আমাদের রক্তে। প্রতিবাদী হতে নীরব দর্শকে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। তা না হলে ঘটনার মূল চরিত্র কে কেউ না কেউ খোলা তরবারির ধারালো আঘাতে ঘাড় হতে কল্লা নামিয়ে ফেলত এতদিনে। সে কল্লা দিয়ে কেউ না কেউ ফুটবল খেলতো, কেউ না কেউ লুঙ্গি উচিয়ে কল্লা বিহীন শরীরের উপর পেচ্ছাব করতো। কি হয়েছে আমাদের? কি এমন রোগে আক্রান্ত আমরা যার প্রভাবে অবশ হয়ে গেছে আমাদের মগজ? - পড়ুন খবরটাঃ
--রাবি শিবির নেতাকে গুলির পর পা কেটে নিল ছাত্রলীগ--
বারো ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার এক ভয়াবহ রূপ জাতি দেখলো। সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বর্বর হামলায় মারাত্মক আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা ও মেধাবী ছাত্র রাসেল আহমেদের ডান পা বিচ্ছিন্ন।
পুলিশের সামনে আটক করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি রাসেল আলমের বুকে গুলি করার পর তার একটি পা কেটে নিয়েছে ছাত্রলীগ।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু
অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৩টার
দিকে ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এইচআরডি সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু ওরফে হাসিবকে পুলিশ পরীক্ষার হল থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ সময় ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ
অভি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে রীনেত, সুষ্ময় এবং বহিষ্কৃত
সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ কৌশিক
রাসেলকে টেন্টে আটকে রাখে।
পরে বিকেল ৪টার দিকে রাসেলের বুকে গুলি এবং তার ডান পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রেখে যায়। এরপর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ রাসলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মালিকানা প্রকারভেদে বাংলাদেশে দুই প্রকার কুত্তার দেখা পাওয়া যায়। এক, রাস্তাঘাটের বেওয়ারিশ, দুই,গৃহপালিত। ছাত্রলীগ নামের কুত্তালীগকে উইকিপিডিয়ার কোন সংজ্ঞাতেও বেওয়ারিশ বলা যাবে না, কারণ এর মালিক জীবিত আছেন এবং তিনি আছেন বেশ বহাল তবিয়তে। কুত্তাদের নির্দিষ্ট একটা মাস থাকে যে সময়টায় তারা উন্মাদ হয়ে যায় পাশবিক ইচ্ছা চরিতার্থের লালসায়। প্রধানমন্ত্রীর কুত্তার কাফেলাও তেমনি একটা সময় পার করছে এ মুহুর্তে। তাদের লালসা কার্তিক মাসের লালসাকেও হার মানিয়ে এমন একটা উচ্চতায় ঠাঁই নিয়েছে যেখান হতে চাইলেই তারা ৫টনের সমগ্র বাংলাদেশকে যখন খুশি ধর্ষণ করতে পারে, দলিত মথিত করতে পারে, ফুটবল খেলতে পারে। এবং তারা তা করছে অতীতের সব রেকর্ড ভংগ করে। কুত্তালীগের মালিক যদিও বলছেন এ দল বেওয়ারিশ দল, কিন্তু ভুক্তভোগি মাত্রই জানে গৃহপালিত এসব কুত্তাদের উন্মাদনার শক্তি কোথায়।
তারেক আর খাম্বা মামুনদের কারণে না হয় বিদ্যুৎ খাতে উলাওডা বিবির রাজত্ব চলছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীনিজ দলের ’কুত্তা’দের বৈশাখ মাসে কাতি মাসের রাজত্বের জন্যে দায়ি করবেন কাকে, ককো, ফালু, বাবর অথবা হারিছ চৌধুরীদের? বিদ্যুতের অভাবে ধান উৎপাদন ব্যহত হয়, যার প্রভাবে প্রতিশ্রুত ১০ টাকা কেজি চাল সরবারহেও আসে বাধা।এ মুহূর্তে জাতি ১০ টাকা কেজি চাল না পেয়ে যতটা না কষ্টে আছে তার চেয়ে ঢেড় কষ্টে আছে প্রধানমন্ত্রীর ’কুত্তা’দের যন্ত্রণায়। জনাবা প্রধানমন্ত্রী, আমরা ১০ টাকা কেজির চাল চাইনা, আপনি’কুত্তা’ সামলান।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুবাইলে নেট ওপেন করার কারনে মনের মিিটয়ে মন্তব্য করতে পারলাম না। ো
ঘুমাও মুসলিম নেই কোন ভয়
লুটে নাও সব সুখ,
দুনিয়া ভোগে মেতে উঠ আজি
মিছে পাবে কেন দুঃখ?
যে জাতির ঘুম ভাঙ্গিত পড়ে
ফজরে পাক কোরআন,
সে ঘরে বাজে তবলা ঘুঙ্গুর
মুখে ঠাকুরের গান।
মক্তবে আজি শিশুর কণ্ঠে
শুনি না প্রভুর গান,
দ্বীন হীন এখন গায়ের লোকেরা
ভ্রাতৃত্ববোধ হীন প্রাণ।
যে কালেমা পড়ে রাসুল কাঁদিত
সাহাবা রুধিত জলে,
দুনিয়া ভোগে লাথি মেরে
কোরান বেঁধেছিল গলে।
দ্বীনের লাগিয়ে ছেড়ে নিজ ঘর
ছুটেছিল দেশান্তর,
সে জাতি আজি বড় অসহায়
দ্বীনকে করেছে পর।
যে জাতির ভয়ে কাঁপিত কাফের
পালাত ক্ষমতাধর,
সেজাতি নিজের মুকুট হারিয়ে
আজি বন্দী নিজের ঘর।
অদ্ভুত নেশায় আক্রান্ত
বোধহীন, বাকহারা, দৃষ্টিশূন্য।
ব্রান্ডেড আউটফিটে
ধারালো স্মার্টনেস
জলন্ত এক ক্রীতদাস যেন
লা জবাব।
কুফর, শিরক, বেদাত
সুরা, সাকি আর সুদ
বন্দী বিবেক, দিগভ্রান্ত শ্রমিক
গুমরে উঠে প্রান পাখি
দিতে চায় পথ পাড়ি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন