নতুন বাংলাদেশের সন্ধানে... আমিও থাকবো এ কাফেলায়! WD
লিখেছেন লিখেছেন ওয়াচডগ বিডি ৩০ মে, ২০১৪, ০৮:২৭:০৬ সকাল
মেনে নিলাম ৭১'এর যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারের দলই আমাদের আসল সমস্যা। চারিদকে রব উঠছে এদের নির্মূল করলেই নাকি দেশের সব সমস্যায় ম্যাজিকেল চেঞ্জ আসবে। আসুন এবার এ সমস্যরা স্থায়ী সমাধানের দিকে চোখ ফেরাই। যুদ্ধাপরাধীদের নির্মুল এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। এ নিয়ে নতুন কোন তেনা প্যাচানোর সুযোগ নেই। বাকি রইল রাজাকারের দল। এখানে আমাদের মূখ্যমন্ত্রীর বয়ান আমলে না নিলে দেশদ্রোহির খাতায় নাম লেখাতে হবে। এই যেমন তিনি বলেছিলেন 'সব রাজাকারই যুদ্ধাপরাধী নয়'...বক্ত্যবের সাথে দ্বিমত করার কারণ দেখিনা।
অনেক রাজাকার ছিল যাদের যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিবেচনা করা যায়না। যেমন যায়না আমাদের মূখ্যমন্ত্রীর বেয়াইকে(এই বেচারা কেন রাজাকারে নাম লিখিয়েছিল তা এখনো পরিস্কার হয়নি)... ওদের অনেকে পেটের দায়ে অথবা দাও মেরে ঝটপট মাল কামানোর উদ্দেশ্যে নাম লিখিয়েছিল শত্রু ক্যাম্পে। তর্কের খাতিরে এবং দেশের সুশিল সমাজের দাবি মেটাতে ধরে নিলাম এরাও রাষ্ট্রদ্রোহি এবং গণনির্মুলের আওতায় আনা হবে। ভুলে গেলে চলবেনা আমরা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে কথা বলছি। এবার আসা যাক বাকিদের প্রসঙ্গে। ধরে নিলাম ৭১'এর পরে জন্ম নেয়া জামাত-শিবিরের সদস্যরাও রাজাকার অথবা দেশকে পাকিস্তান বানানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহি। রাষ্ট্রদ্রোহিদের নির্মুল আইনের চোখে বৈধ। তালিকায় এদেরও নাম থাকবে।
এভাবে খুঁজতে থাকলে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে? অনেকে বলেন প্রায় ১ কোটি। মাদ্রাসার ছাত্র হতে শুরু করে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনদেরও বাদ দেয়া যাবেনা। কারণ তারাও রাজাকার তৈরীর ফ্যাক্টরীর সক্রিয় সদস্য। এবার আসুন এদের সবাইকে সমাজ হতে আলাদা করি। দ্ধিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের সৃষ্ট কনসেনষ্ট্রেশন ক্যাম্পের আদেলে ক্যাম্প বানাই। মাসের পর মাস অনাহারের অর্ধাহারে রেখে দুর্বল করার মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেই। দেশে গ্যাসের সমস্যা থাকলে কেন্দ্র (ভারত) হতে গ্যাস এনে গ্যাস চেম্বারে পুড়িয়ে মারি। এভাবে একদিন দেশ হতে রাজাকার, দেশদ্রোহি, রাজাকার তৈরীর মেশিনারীজ সহ সবকিছু নির্মুল হয়ে যাবে। ১ কোটি লাশ মাত্র ৫৫ হাজার বর্গমাইল এলাকায় কবর দিতে অসুবিধা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ওসামা বিন লাদেনের লাশ দাফন করায় ওবামা প্রশাসনের পথ অবলম্বন করলে কাংখিত ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দিতে হবে এসব লাশ। হাঙ্গর, কুমির, কুকুর, বেড়াল, হিংস্র মাছের শিকার হয়ে একদিন পৃথিবী হতে মুছে যাবে এদের উপস্থিতি। সমস্যার পাকাপোক্ত সমাধান চাইলে দেশের অলিগলিতে গজিয়ে উঠা মসজিদ, মাদ্রাসা গুলোও গুড়িয়ে দিতে হবে। যারা ধার্মিক হয়ে বেঁচে থাকতে চাইবে তাদের জন্মনিয়ন্ত্রনের আওতায় এনে স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব বাধ্যতামূলক করতে হবে। এবার আসুন কল্পনা করি এবং স্বপ্ন দেখি এমন একটা বাংলাদেশের। ধরে নেই বাংলাদেশ এখন শাহরিয়ার কবির ও গণজাগরন মঞ্চের স্বপ্নের দেশ।
এ এক নতুন বাংলাদেশ। এখানে মৌলবাদের খুটি হয়েছে উৎপাটিত। জঙ্গিবাদ এখানে ইতিহাস শিক্ষার অধ্যায়। তার বদলে এখানে প্রবাহিত হচ্ছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্নিগ্ধ বাতাস। এখন মঙ্গল প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা নামে। সকাল বেলা আযানের ধ্বনিতে কলুষিত হয়না শহর, বন্দর, নগর, হাট, মাঠ, ঘাটের বাতাস। পাখিরাও কিচির মিচির শব্দে উচ্চারণ করেনা মৌলবাদী হামদ ও নাথ। বরং তাদের মুখে কবি গুরুর কবিতা ও গান। গৃহবধুদের জন্যও এখানে স্বামীর পাশাপাশি নাগর রাখার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এমন একটা সুজলা, সুফলা সোনার বাংলাদেশের জন্য আমার একটাই প্রশ্ন থাকবে, এখানে লুটেরাদের স্থান কি হবে? যে নেতা নেত্রীরা চেক দিয়ে চাঁদাবাজি করলেন হবে কি তাদের বিচার? পদ্মাসেতু খেকো আবুল চোরা, রেলখেকো সুরঞ্জিত চোরা, দরবেশ বাবা, হলমার্ক ও ডেসটিনি খেকো রাজনীতিবিদ, আমলাদের পরিচয় কি হবে? দিনের পর দিন বছরের পর ধরে যারা জনগনের পকেট কেটে নিজেদের ভাগ্য গড়েছেন তাদের কি আনা হবে বিচার আওতায়? যে হায়েনা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মূখ্যমন্ত্রীর তকমা লাগালেন তার পরিণতিই বা কি হবে? বিচার হবে কি এসব অন্যায়, অনাচার আর কুকর্মের? যদি তা হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে আমিও নাম লেখাতে চাই এ কাফেলায়। অন্যায় কেবল রাজাকাররাই করেনি, অন্যায় করেছে এ দেশের রাজনীতিবিদ, আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, উকিল, বিচারক সহ লাখ লাখ রক্তচোষা পশু। কাদের মোল্লার রুমমেট বানাতে তাদেরও কি পাঠানো হবে ম্যানিলা রশির দুয়ারে? যদি তা নিশ্চিত হয়, আমিও আছি জাতীয়তাবাদের কাতারে। তবু সুন্দর হউক আমাদের জন্মভূমি। কলংকমুক্ত হউক এ দেশের মাটি, আকাশ, বাতাস...
বিষয়: বিবিধ
১০০০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ো০ দেশের কি হবে জানি না , তবে আপনার খবর হবে ।
তবে সব সম্যার সমাধান না হলেও বেশীরভাগ সমস্যার সমাধান হবে হাসিনা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে ।
ধন্যবাদ।
এ এমন এক নতুন বাংলাদেশ যেখানে শোষণ এবং লুন্ঠনের কুরুক্ষেত্র করে চাঁড়া বানিয়ে শেষ পর্যন্ত পদ্মাসেতু বানানোর এলান দিয়ে বিদেশীদের পকেট থেকেও টাকা মেরে দেওয়ার তালিম হাসিল করণ যায়।
এ এমন এক বাংলাদেশ যেখানে রেলওয়ের টাকা অবাধে লোটপাট করে নিজেই কালো বিড়ালের সরদার সেজে ওজারতের চেয়ারে না বসলে সে চেয়ার গঙ্গার জ্বল দিয়ে পূনরায় ধুয়ে মুছে পবিত্র করণ লাগতো।
এ এমন এক বাংলাদেশ যেখানে ডাকাতির রাজকীয় আয়োজনের নিত্য নতুন ফরমুলা আবিস্কারের সূত্র বিনা লাইসেন্সে প্রয়োগ করা যায়। ইউনিপেটু-ডেস্টিনির মাধ্যমে রাজপুত্র/জাতির বাগিনাদের টাকা বানানোর যুগান্তকারী আবিস্কার কি কেউ করে দেখাতে পেরেছে দুনিয়ার বুকে?
দেশ স্বাধীন না হলে কি এতো কৃতিত্ব আমরা দেখতে পেতাম? দেশ স্বাধীনের আদিপিতার বধান্যতায় আজ আমরা মুক্তভাবে যা ইচ্ছে তাই করতে পারছি, যাকে ইচ্ছে তাকেই মেনিলা রশ্মিতে লঠকাতে পারছি, যাকে ইচ্ছে তাকেই গুম-খুন করতে পারছি, অকৃতজ্ঞ জাতিকে গোলামী জিঞ্জির পড়ানোর যাবতীয় আয়োজন সব করতে পারছি।
শালা কাদের মোল্লারাইতো এক্ষেত্রে আমাদের ডিস্টার্ব দিচ্ছে! কত্তবড় বেয়াদব হেতারা? আমাদের গোলাম/দাসী হতে বাধা দেয়ার সাহস দেখায়?
মন্তব্য করতে লগইন করুন