"শেখ মুজিবের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায়"

লিখেছেন লিখেছেন ওয়াচডগ বিডি ২৬ মে, ২০১৪, ০১:২৯:৩৭ রাত



বোধহয় ১৯৭৩ সালেই বুঝতে পেরেছিলেন। যে বিশাল জনসমর্থন আর ভালবাসা নিয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন তা ফিকে হয়ে আসছে। রাজনীতির মাঠ এবং সংসদ কোন ফ্রন্টেই স্বস্তিতে ছিলেন না। একদিকে মাওলানা, অন্যদিকে ইনু, মিনু, রব, মতিয়াদের রণহুংকার, পাশাপাশি গাজী গোলাম মোস্তফার ঔরসে জন্ম নেয়া চাটা আর লুটেরার দল, কোনটারই সুরাহা করতে পারেননি তিনি। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়েছিলেন অঙ্গুলি হেলনে জাতিকে নাচানো আর ক্ষমতার মসনদে বসে দেশ চালানো এক জিনিস নয়। ৭৪ সালের শুরুর দিকে বুঝাই যেত না দেশে কোন প্রশাসন আছে। পরাধীন জাতি হিসাবে এ দেশের মানুষ যা দেখেনি তাই দেখতে শুরু করল স্বাধীনতার উষালগ্নে। হত্যা, গুম, খুন আর লাশের মিছিল। শতকার ৯৯ ভাগ জনসমর্থন হয়ত ৮০-৮৫ ভাগে নেমে এসেছিল। তিনি সহজ ভাবে নিতে পারেননি নিম্নমুখী এই যাত্রা। আজকের জাদরেল মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের হাতে ধরেই রচিত হয় কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনার পর্ব। অভ্যুদয় হয় নতুন এক বাহিনী...রক্ষীবাহিনী।

কন্যা হাসিনার মত বাবা শেখ মুজিবও রাতের অন্ধকারে পাঠাতেন তাদের। মধ্যরাত অথবা শেষরাতের দিকে দরজায় কড়া নাড়ত। খুলতে দেরি হলে হায়েনার উন্মত্ততায় ঝাঁপিয়ে পরত। পরের ইতিহাস জানতে খুব গভীরে যেতে হবেনা আমাদের। আজকের শেখ হাসিনা উনার বাবারই কার্বন কপি। বুক হতে সন্তানকে নামিয়ে ওরা চোখ বেধে গাড়িতে উঠাত। তারপর মিলিয়ে যেত রাতের অন্ধকারে। পরদিন বেওয়ারিশ লাশের তালিকায় যুক্ত হত নতুন একটা লাশ। উচ্ছিষ্ট খোর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর দল বলতো, ওহ! উনি তো সবার পিতা, তাই একটু শাসন করছেন মাত্র। কিন্তু হায়, এ শাসন বুক খালি করে দিত হাজারো মায়ের। স্ত্রীকে করতো স্বামীহারা, পিতাকে করতো সন্তানহারা। আজকের মত সেদিনও কাউকে কাঁদতে দেয়া হতোনা। পিতার থানা-পুলিশ সন্তানদের জন্য ছিল নিষিদ্ধ। ৭৫'এর শুরুর দিকে জাতি হঠাৎ করেই বোবা বনে যায়। অনিশ্চিত স্তব্ধতায় থেমে যায় জনজীবন। ততদিনে দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে ইস্যু করা হয়ে গেছে জাতি ধর্ষনের স্থায়ী লাইসেন্স । তাও সেই পিতার হাত ধরেই। কন্যা শেখ হাসিনার মতই সমালোচনা হজম করার উদর নিয়ে জন্ম নেননি পিতা শেখ মুজিব। কলমের এক খোঁচায় গোটা দেশ হজম করার আইন করেছিলেন। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের মুখে এবার বেজে উঠে নতুন সুর, আহ! এ যে সমাজতন্ত্রের নতুন সূর্য!

পচাত্তরের হত্যাকারীরা অন্তত একটা উপকার করে দিয়ে গেছে শেখ পরিবারের জন্য। একজন ব্যর্থ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে অমর করে দিয়ে গেছেন চিরদিনের জন্য। বাকশাল নিয়ে পিতা শেখ মুজিব যে পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন তার শেষ গন্তব্য ছিল ভাগার। যারা বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তাদের জিম্বাবুয়ের এক কালের পিতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের জীবন কাহিনী পরে দেখার অনুরোধ করবো।

বিষয়: বিবিধ

১০৯০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

226291
২৬ মে ২০১৪ রাত ০৩:২৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
২৭ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৭
173784
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
226298
২৬ মে ২০১৪ সকাল ০৫:০৬
নানা ভাই লিখেছেন : ধন্যিয়া,ওয়াচ ডগ।
যারা ৭২ থেইক্যা ৭৫ দেখছে, তারাই জানে কি হইছিল তখন।
বাপের পথে মাইয়া....নতুন কি? আফসোচ, এই বাংলাদেশী মানুষ অল্পতেই গোল্ডফিসের মতো ভূইল্যা যায়! আর ভুলার ফলাফল যে কি ম্যাংগো পিপল হাড়ে হাড়ে টের পাইতাছে!!
পিলাচ +++++++++
২৭ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৭
173785
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : 3:-O 3:-O 3:-O 3:-O 3:-O 3:-O 3:-O 3:-O 3:-O
226444
২৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১৪
আবু জারীর লিখেছেন : ৭৫এর নাবালক ধর্ষক ২০১৪তে এসে এখন সাবালিকা হয়েছে তাই মাত্রা মনে হয় আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।

আল্লাহ হত ভাগ্য এই জাতিকে হেফাজত করুন।

ধন্যবাদ।
২৭ মে ২০১৪ সকাল ১০:১৭
173787
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : কথা অবশ্য মন্দ বলেন নাই ভাই ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File