" রাজার দেশে দুই রাজপুত্র"

লিখেছেন লিখেছেন ওয়াচডগ বিডি ২১ মে, ২০১৪, ০২:১৮:৫৫ দুপুর



’একখণ্ড হীরা’, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার জোষ্ঠ্য ছেল তারেক রহমানকে এমন একটা উপমায় ভূষিত করলেন বিএনপির প্রথমসারির নেতারা। ১/১১ সরকার কর্তৃক তারেক রহমানকে গ্রেফতারের ৩য় বার্ষিকী পালন উপলক্ষে ঢাকার ’মহানগর নাট্যমঞ্চে’ বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় বক্তারা আরও বলেন, দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই মহান নেতার রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের। ‘হীরার আলোর মত দ্যুতি ছড়িয়ে দেশকে নেত্রীত্ব দেবেন এই প্রতিভাবান নেতা, এবং কোন অপশক্তি তা আটকাতে পারবেনা’, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান টি এইচ খান আলোচনায় সভায় এমনটাই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। এই আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ফজলুল হক মিলন সহ আরও অনেকে।

কদিন আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও প্রায় একই কায়দায় বরন করে নিল দলনেত্রীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে। শুরুটা রংপুর হতে। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ দিয়ে জনাব জয়ের জন্যে দেশীয় রাজনীতির দুয়ার খুলে দেয় তার পিতৃভূমি রংপুর।

গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাজনীতির দুয়ার সবার জন্যে সমানভাবে খোলা থাকে এবং এ খোলা পথে যে কেউ প্রবেশ করার অধিকার রাখে। এ অর্থে তারেক জিয়া ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের রাজনীতিতে প্রবেশ উল্লেখ করার মত কোন ঘটনা হওয়ার কথা ছিলনা। কিন্তু বাস্তবতা হল এরা শুধু রাজনীতিতে ই প্রবেশ করেনি, বরং প্রবেশ করেছে ক্ষমতার রাজনীতিতে। গত ৪৩ বছর ধরে দেশীয় রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য চরিত্র ব্যরিস্টার মওদুদের মত ব্যক্তিরা যখন সেমিনার বসে তারেক জিয়াকে হীরার টুকরা হিসাবে আখ্যায়িত করতে বাধ্য হন আমার মত ম্যাংগো পিপলদের ধরে নিতে হবে গোলমাল হচ্ছে কোথাও।

এবার আসুন গোলমালের দিকে চোখ ফেরানোর চেষ্টা করি। ঢাকার ৬৭ নং পুরানা পলটন লাইনে রাজপ্রাসাদের মত বিশালকায় একটা বাড়ি। ৫ কোটি টাকা নগদ মূল্যে ক্ষমতা হারানোর মাত্র ক'মাস আগে ক্রয় করে নেন দেশীয় রাজনীতির কথিত হীরার টুকরা তারেক জিয়া। এই সেই তারেক জিয়া যার পিতা জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর জিয়া পরিবারের সততা আর অসহায়ত্বের হূদয় বিদারক কাহিনী প্রচার করে জাতিকে চোখের পানিতে ভাসানো হয়েছিল। হতে পারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপি বিরোধী প্লাটফর্ম মিথ্যাচার করছে তারেক জিয়ার সততা নিয়ে, কিন্তু এই লেখক চ্যালেঞ্জ দিয়ে প্রমান করবে উল্লেখিত বাড়ি ক্রয়ে ক’বছর আগের এতিম জিয়া পরিবারের সংশ্লিষ্টতা। রাজনীতিতে কি এমন গুপ্তধন লুকানো থাকে যা দিয়ে এতিম হতে কোটিপতি বনতে এক দশক সময়ও অপেক্ষা করতে হয়না? চুরি? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রাজনীতিবিদ নামের একদল প্রফেশনাল চোর তাদের চুরির সাম্রাজ্য ফিরে পাওয়ার নতুন ধান্ধা হিসাবে বেছে নিয়েছে তারেক জিয়া নামের নতুন পীর। ভণ্ড পীরের ভণ্ড মুরীদ্‌দের মুখেই হীরা উপমা শোভা পায়, এতে অবাক হওয়ার বিশেষ কিছু নেই।

মার্কিন দেশে বসবাসরত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাবলিক রেকর্ডও এমন কোন সার্টিফিকেট দেবেনা, যা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইমাম মেহেদী হিসাবে আবির্ভূত হওয়া যাবে। প্রোব রিপোর্টের মতেঃ

- ১৪ই জুন, ১৯৯৮ সালে জয়কে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের টারান্ট কাউন্টিতে গ্রেফতার করা হয় বিনা লাইসেন্সের হ্যান্ডগান ও মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যে। শাস্তি হিসাবে তাকে ১২০ দিনের জেল, ২৪ মাসের প্রবেশন এবং ৫০০ ডলার জরিমানা করা হয়।

- ৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০০০ সালে জয়কে পুলিশ গ্রেফতার করে অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানোর জন্যে।

- মার্চ ১৯, ২০০০ সালে জয়কে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে গ্রেফতার করা হয় মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যে। তাকে ৩০ দিনের সাসপেন্ডেড জেল, ১২ মাসের প্রবেশন এবং ৪০০ ডলার জরিমানা করা হয়।

মা শেখ হাসিনার প্রথম টার্মে জনাব জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াজেদ কনসালটিং ও সিম গ্লোবাল সার্ভিস নামে দুটি কোম্পানী খুলে ছিলেন, যেগুলোর বাৎসরিক টার্নওভার ছিল যথাক্রমে ৬১,০০০ ও ৩৫,০০০ ডলার। এই ব্যবসাকে সাইনবোর্ড বানিয়ে এই ’বিজ্ঞানী’ ভার্জিনিয়ার ফলস্‌ চার্চের ৩৮১৭ বেল মেনর কোর্ট রোডে ১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে নিজের নামে সম্পূর্ণ নতুন একটা বাড়ি ক্রয় করেন। এ ছাড়া একই এলাকার ৪৮২৫ মার্টিন ষ্ট্রীটে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ডলার মূল্যে আরও একটি বাড়ি ক্রয় করেন স্ত্রীর সাথে যৌথনামে।

মার্কিন দেশে মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো এবং ছিঁচকে অপরাধে শর্ট টার্ম জেল ও জরিমানা বিশাল কোন অপরাধ নয়। এগুলো মদ ও যৌনাচার আক্রান্ত টিপিক্যাল মার্কিনি চরিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জয় ওয়াজেদ মাতালামীর কারণে মার্কিন জেলে গেলে বাংলাদেশ রসাতলে যাবে এমনটা ভাবার নিশ্চয় কোন কারণ নেই। কিন্তু একই জয়'এর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে যারা আনন্দ জোয়ারে ভেসে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন উপরের তথ্য গুলো তাদের জানা থাকলে বোধহয় ভাল হবে।

১৫০ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশকে পরিচালনা করতে যদি তারেক জিয়ার মত প্রফেশনাল চোর আর ওয়াজেদ জয়ের মত লম্পট যুবকদের আমদানি করতে হয় তা হলে আমরা ধরে নিতে পারি গোটা একবিংশ শতাব্দী জুড়েই বাংলাদেশ বিশ্ব চুরি ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন হতে বাধ্য থাকবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৪২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

224143
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:২৫
ভিশু লিখেছেন : চোর-লম্পটগণ এমনি এমনি দেশের ক্ষমতায় আসেন নাহ - যেমন জনগণ তেমনই হয় তার নেতৃত্ব! এলক্ষ্যে সামগ্রিকভাবে জনগণকে আরো সেন্সেটিভ হতে হবে - যা না হতে দেয়াই হলো ঐ চোর-লম্পট গোষ্ঠীর এক নম্বর কর্মসূচী!
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৩
171424
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : কথা অবশ্য খারাপ বলেন নাই ভাই ।
224147
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
egypt12 লিখেছেন : ভারতে পরিবারতন্ত্রকে না বলা হয়েছে আসুন আমরাও বলি না না না Rose Rose Rose
২২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
171828
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : আমাদের ও সময় আসবে।
224151
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
চক্রবাক লিখেছেন : স্যাকুলারদের মাঝখানটায় কখনো যোগ্য নেতা আসবে না। তাই মুসলিমদের কে ঐ স্থানটা ধরে রাখতে হবে।
২২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
171830
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : এজন্য দরকার একাত্মতা।
224171
২১ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৩
আহমদ মুসা লিখেছেন :
মার্কিন দেশে মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো এবং ছিঁচকে অপরাধে শর্ট টার্ম জেল ও জরিমানা বিশাল কোন অপরাধ নয়। এগুলো মদ ও যৌনাচার আক্রান্ত টিপিক্যাল মার্কিনি চরিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জয় ওয়াজেদ মাতালামীর কারণে মার্কিন জেলে গেলে বাংলাদেশ রসাতলে যাবে এমনটা ভাবার নিশ্চয় কোন কারণ নেই। কিন্তু একই জয়'এর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে যারা আনন্দ জোয়ারে ভেসে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন উপরের তথ্য গুলো তাদের জানা থাকলে বোধহয় ভাল হবে।


জনাব আপনি কি মনে করছেন যে, যারা জয়কে নিয়ে মাতলামি করতেছে তারা জয়ের অতীতের কীর্তিকলাপ না জেনেই তাকে পীর হিসেবে গ্রহণ করতে বেকুল হয়ে আছে? কিন্তু বাস্তবতা দেখলে তো তা বলা যাচ্ছে না। বরং জয়ের কর্মকান্ডে মুরিদানরা শতভাগ সন্তুষ্ট এবং নিশ্চত হয়েই তারা তাকে পীর হিসেবে গদিনশীল করতে তৎপরতা দেখাচ্ছে। যাতে পীরের তরিকায়ে সিলসিলা মুরিদানদের মধ্যেও সহজেই জারী রাখা যায় তা নিশ্চত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই জয়কে পীর হিসেবে কবুল করতে আগ্রহী ওরা।
২২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
171815
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : বাংলাদেশ এমনই এক দেশ যেখানে চেকের মাধ্যমে চাঁদাবাজী করেও প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই সেই দেশ যেখানে ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ঠেলায় পরে অবৈধ টাকা বৈধ করতে সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করেন্‌না। এ দেশেই শতকরা ১০০ জন রাজনীতিবিদ অসৎ, আমলারা চোর, বুদ্বিজীরা চরিত্রহীন, এখানে ছাত্ররা নিয়মিত শিক্ষক পেটায়, নেতা-নেত্রীর স্বার্থ রক্ষার্থে শিক্ষকরা নামে লাল-নীল-হলুদ যুদ্বে, সমাজের পরতে পরতে অন্যায়, অনাচার আর অবক্ষয়ের জয়জয়কার। এসব কোন কিছুই আমাদের দেশপ্রেমেকে জাগ্রত করেনা, প্রশ্নবিদ্ব করেনা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল উদ্দেশ্যকে। অথচ ভারতীয় টিভির কোন চ্যানেলে কে আমাদের কটাক্ষ করছে তা বের করছি বাইনাকুলার দিয়ে। আমাদের নষ্ট রাজনীতিবিদ্‌রা ক্ষমতারোহন/ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কলা কৌশলে ভারত ইস্যু ব্যবহার করে যাচ্ছেন স্বাধীনতার পর হতেই। এসব কৌশলের সংগী হয়ে কতদূর এগুতে পেরেছি আমরা সাধারণ মানুষেরা? দেখতে দেখতে ৪৩টা বছর পার হয়ে গেল, আর কত বছর অপেক্ষা করলে আমরা বুঝতে পারব ভারতীয় টিভির পতাকা সাংস্কৃতি এ মুহুর্তে আমাদের সমস্যা নয়? আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরা, সমস্যা আমাদের চরিত্র, আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সমস্যা জনসংখ্যা বিস্ফোরন, এবং এমন আরও হাজারো সমস্যা। দেশপ্রেমের গোলা ছুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা যায় ঠিকই, কিন্তূ এ গোলা বুমেরাং হয়ে আমাদের কাছেই ফিরে আসছে, যার শিকার হয়ে জাতি হিসাবে আমরা স্থায়ী পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, বুঝতে পারছি কি আমরা?
224203
২১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
পুস্পিতা লিখেছেন : পরিবারতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং জনগণকেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
২২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
171813
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : সৃষ্টিকর্তার দুনিয়ায় তিনিই একমাত্র মালিক যিনি বলতে পারেন কবে শেষ হচ্ছে এর অস্তিত্ব। এমন একটা দিনের কথা জানা থাকলে মেনে নেয়া যেত বাংলাদেশের সমকালীন বাস্তবতা। সম্পত্তি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদকে কপালের লিখন ভেবে কোন রকমে কাটিয়ে দেয়া যেত বাকি দিনগুলি। কিন্তু আখেরি দিনের হদিস আমাদের জানা নেই। দিগন্তরেখায় এর উঁকিঝুঁকিও নেই। নৈরাজ্যের লীলাভূমিতেই আমাদের বেচে থাকতে হবে। এখানেই সংসার করতে হবে, সন্তানাদি জন্ম দিতে হবে। সাড়ে সাত কোটি হতে সতের কোটি, সতের হতে পঞ্চাশ কোটি, এভাবেই পল্লবিত হবে আমাদের ইতিহাস। বেচে থাকারও বোধহয় প্রকার ভেদ আছে, কারণ পশুরাও বেচে থাকে। একজন বাংলাদেশি এবং একটা বোবা পশুর সমান্তরাল যাত্রা কোথাও না কোথাও এক হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্র। পশুর সাথে আমাদের পার্থক্যটা বোধহয় ডারউনের চশমা দিয়ে খুঁজতে হবে সে দিন।
224256
২১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : আমাদের দেশটা এই দুই পরিবারের কাছে জিম্মি তাই তো দেশে গণতন্ত্র নাই । স্বৈরাচারেরও নিচে নেমে গেছে এরা। তাই দেশকে বাঁচাতে হলে এই দুই পরিবারের বাইরে যেতে হবে।
২২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
171818
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : ক্ষমতার স্বাদ খুবই সুস্বাদু। সহজে কেউ ভুলতে পারেনা। আপনি পারবেন না। কিন্তু সময় আসবে এবং আপনার স্বপ্নের তখত তাউসে আগুন লাগবে। সে আগুনে আর কেউ জ্বলবে না,জ্বলবেন আপনি এবং আপনার পরিবার। অযোগ্যতাই হবে আপনার পতনের মুল কারণ। বাংলাদেশের মত জটিল আর্থ-সামাজিক দেশ পরিচালনা করার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই আপনার। তাই জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিন। ইতিহাসকে আপন গতিতে চলতে দিন। এ দেশের মানুষ গোলাম হয়ে জন্ম নিয়ে গোলাম হয়ে মরতে অভ্যস্ত নয়। তারা ঘুরে দাঁড়াতে জানে।
224301
২১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
সবুজেরসিড়ি লিখেছেন : আমাদের পরিবার তন্ত্র থেকে বেড় হতে হবে , সত্যিকার গনতন্ত্র পরিবারতন্ত্র সবচেয়ে বড় অন্তরায় . . .
224447
২২ মে ২০১৪ রাত ১২:৪৩
224461
২২ মে ২০১৪ রাত ০১:৫২
মাটিরলাঠি লিখেছেন : দুইটাই চরম আদব-বিহীন। যেমন জাতি, তেমনি তাদের নেতা ও উত্ত্রসূরি Sad
১০
224578
২২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২২
ওয়াচডগ বিডি লিখেছেন : আমিও স্বপ্ন দেখি। দরজা জানালা ভাল করে আটকে দিয়ে স্বপ্ন দেখি। প্রায়ই দেখি আবাবিল পাখির মত ড্রোনে চড়ে ওরা আসছে। নীরবে নিঃশব্দে ঢাকার রাজপথে নামছে। ঝড়ো গতিতে ঢুকে পরছে অলি গলিতে। বিশ্বজিতের খুনিদের একত্রিত করেছে চকবাজারের কোন এক গলিতে এবং ছেড়ে দিচ্ছে একদল হিংস্র হায়েনার হাতে। উন্মত্ত পশুর দল একে একে হাত, পা, মাথা ও হৎপিণ্ড খুলে নিচ্ছে শরীর হতে এবং পৈশাচিক উল্লাসে তা ভক্ষণ করছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে দেখা ’হরে কৃষ্ণা হরে রাম’ কাল্টের মত কীর্তন করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে আরেক দল। ওরা যাচ্ছে প্রাসাদের দিকে। হাতে তৈলাক্ত বাঁশ আর নারকেলের ঝুনা হতে তৈরী শক্ত রশি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File