আওয়মিলীগ ও হায়েনা : উভয়েই হিংস্র প্রজাতি
লিখেছেন লিখেছেন অন্ধকারের বাতি ২০ মে, ২০১৪, ১০:৫১:৪৫ রাত
খবর:ফেনীর আওয়ামিলীগ এম পি নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে একই জেলার ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যন আলহাজ্জ একরামুল হক একরামকে পুড়িয়ে হত্যা!
ইতিমধ্যে সংবাদকর্মীদের সহায়তায় মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছেন যে ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যন একরামুল হক একরামকে দুবৃত্যরা পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
এবার আসুন আসল ঘটনায়,
আসল ঘটনা হলো দুবৃত্যরা নয়,বরং ফেনী ২ এর অটোমেটিক নির্বাচিত এম পি নিজাম উদ্দিন হাজারির মদদপুষ্ঠ সন্ত্রাসী গ্রুফ, নিজাম হাজারীর নির্দেশেই একরামের উপর চড়াও হয় ও নির্মমভাবে হত্যা করে! আজ ২০ তারিখ সকাল ১০ টায় ফেনী শহরের ডায়াবেটিস হাসপাতালে একটা মিটিং শেষ করে ফুলগাজী যাওয়ার পথে শহরের একাডেমী (বিলাসী হল সংলগ্ন) এলাকায় ৫০ থেকে ৭০ জন অস্রধারী প্রকাশ্য দিবালোকে চলন্ত গাড়িতে গুলি করতে থাকে একযোগে, ফলে একরামুল হকের গাড়ি থামাতে বাধ্য হয়। গাড়ি থামানোর সাথে সাথে গাড়ির ভিতরে থাকা আরোহিদের গুলি করা শুরু করে। ফলে ফুলগাজী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন সামু,এবং ফেনীর স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক পরহাদ হোসেন সহ একরাম মারাত্মকভাবে আহত হন। অপর দুজন ও ড্রাইভার পালাতে সক্ষম হলেও একরামকে দুর্বৃত্ত রা গাড়িতে আটকিয়ে রেখে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। ফলে মহা ক্ষমতাবান, ফেনী আওয়ামিলীগের এক জলন্ত দিকপাল একরামুল হক একরামের নির্মম মৃত্যু হয় জনসম্মুখে!
অথচ,কেউ সাহাজ্য করার সাহস করেনি।
এখানে মূল ব্যপার হলো ক্ষমতা। নিজাম হাজারী ফেনী শহরের এক বড় ধরনের মাফিয়া হলেও, একসময়কার মাফিয়া ডন "জয়নাল হাজারির" ডানহাত একরামের কাছে উপযুক্ত সম্মান পেতেন না নিজাম হাজারী। তার উপরে নিজাম হাজারির পকেটের টাকা বের করে নেয়ার ক্ষমতা রাখতেন একরাম। তাই ফুলগাজীর চেয়ারম্যন হলেও ফেনী শহরের বেশীরভাগ টেন্ডার, চাঁদাবাজি ছিল একরামের হাতে। তাই,আপদ সরাতেই নিজাম হাজারী তাকে সরিয়ে দেবার পথে আসে!
আবার, একরামের মৃত্যু খবর পাওয়ার পর সাধারণ মানুষ নাকি স্বস্তির নিশ্বাস পেলেছে, এমনরখবর ও শুনা যাচ্ছে বাতাশে।
তবে এটা বিশাল কোন ঘটনা নয়, এমন ই হয়ার কথা ছিল। কারন এই একরাম ই জয়নাল হাজারীর সময়কালে, অর্থাৎ আওয়ামীলিগের ৯৫র মৌসুমে মানে ১৯৯৮ কি ৯৯ তে তার পাশের বাড়ির ই সহকর্মী বসু কে হত্যা করেছিল একই কারনে। অর্থাৎ ক্ষমতার মোহ! শুধু বসুকে মেরেই ক্ষান্ত ছিল না,তার বড় ভাই,ভাতিজা পুরো পরিবারের পুরুষ ছেলেদের হত্যা করেছিল। অথচ,সেও ছিল আওয়ামীলিগের ই!
সময় পাল্টে, চরিত্র পাল্টে না। যেমন, হায়েনারা বিগত ৫০ বৎসর আগেও নিজেদের গোস্ত নিজেরা খেতো, তেমনি আওয়ামীলিগের ১৯৯৯ তে য়ে ঘটনা গটেছিল, এখন তার পুনরাবৃত্তি হলো। সময় পাল্টেছে,কিন্তু আচরন কিন্তু পাল্টে নি।
গত কয়েক দিন আগে আমরা নারায়নগঞ্জের হত্যা দেখেছি,যা কিনা নিজ দলের ভিতরেই ঘটিয়েছিল।
আজ আবার দেখলাম ফেনীর ঘটনা।
যাই বোজা যাচ্ছে,আওয়ামীলিগের স্থানীয় নেতৃত্ব এখন নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত। দেশ বা মানুষ নিয়ে নয়। যা কিনা তাদের চরমভাবে জনবিচ্ছিন করেছে। এবং ধ্বংসের দিকেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে অবধারিতভাবে!!
মনে রাখা দরকার,হায়েনা যতই হিংস্র হোক, বাঘ বা সিংহের হর্জনে একদিন তাকে পিচু হটতেই হয়!!!
(কপি করবেন না প্লিস)
বিষয়: রাজনীতি
১১১৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন