আমরা কি আসলেই স্বাধীন?
লিখেছেন লিখেছেন অন্ধকারের বাতি ১৭ মে, ২০১৪, ০৭:১৭:১৯ সকাল
মনের ভিতরে কোথায় জানি গত কয় দিন ধরে মানসিক পীড়া অনুভব করছিলাম। কিন্তু কোথায় যে ছিল ব্যথাটা,অনেক শ্রেষ্ঠা করে ও খুজে পাই নাই। হয়তো পুরো মনস জুড়েই ব্যথার তীব্রতা আর নয়তো সময়ের ব্যস্ততা সেই ব্যথাকে ঘুম করে দিয়েছে, যেহেতু এখন আমরা পুরো জাতীই ঘুমের ঘোরে আছি। তাই আমিও একটু যদি ঘুমের ঘোরে কয়েকটা কথা বলি কিংবা কাজ করে ফেলি তবে আমার দোষ ধরবেন না বলে আশা রাখছি।
আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন ছিল অন্য একটা ঘোর, সেটা ছিল খুনের। যেহেতু আমার গ্রামের বাড়ি ফেনী,তাই আমি প্রথমে ফেনীর কথাই বলি। তখন খুন নামের সেই ঘোরের ফেনীর প্রধান ছিলেন ফেনীর কুখ্যত ডন "জয়নাল হাজারি"। সে যত মন্দ লোকই হোক, তখনকার নেত্রী জনসম্মুখে বলেছিলেন, আমার এক আসনে আছে এক জয়নাল,আমার আরো চাই ২৯৯ জন জয়নাল হাজারি!!
২৯৯ জন না পারলেও তিনি নারায়নগঞ্জের শামিম ওসমান বা,লক্ষিপুরের তাহের কে তৈরি করতে পেরেছিলেন।
একটা অবাক করার মত বিষয় লক্ষ করবেন, উভয় ত্রাসের মৌসুমে কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়!!
এখন মানুষ নি:সন্ধেহে তাদের দিকে সন্ধেহের তীর ধরতে পারে,এতে কোন বিতর্ক হওয়ার কথা নয়!
এবার আসুন বর্তমান পরিস্থিতিতে।
এইতো কিচু দিন আগে অর্থাৎ তিন চার বৎসর আগেও দেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না। দ্রব্যমূল্য বা রাজনিতিক মাঠ উত্তপ্ত থাকলেও শান্তি কিচুটা হলেও নাগালে ছিল।
উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় কিংবা কয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল বটে।
কিন্তু হঠাৎ করেই পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকলো বা বদলে দিতে লাগলো বিশেষ মহল। তারা তাদের দাবার চাল অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিল।
আর সেই চালের প্রথম বলি হয়েছিল সিলেটের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী "ইলিয়াস আলি"। তারপর আর পিচু হঠতে হয়নি, সেই মহল নিয়মিত নির্বিঘ্নে তার কাজ সম্পন্ন করে যেতে লাগল।
যদিও কিচু নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এর মধ্য দিয়ে। তাও, একই অবস্থা । যাকে সিলটি ভাষায় বলে "ঘুরে ফিরে বটর তল"।
কথা আমি বাড়াবো না, কিন্তু আরো কয়েক টা কথা না বললেই নয়।
"ঘুম" এর দৃশ্য গুলো একটা দলের মাঝে সীমাবদ্ব থাকলে এত মাথা গামানোর কথা ছিল না। কিন্তু, তা যখন আত্নঘাতি হামলায় পরিনত হয়, তখন তাকে প্রশ্নবিদ্ব করা যায়। যা আমরা দেখেছি নারায়নগঞ্জের প্যনেল মেয়র নজরুল ইসলাম সহ বাঁকি ৫ জনের বেলায়। আর ড্রাইভার বেচারা তো বলির পাঠাই!!
আর এই অবস্থাকে বলে, "পরের জন্য গর্ত খুড়লে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়"। আর সেই গর্তে অচিরেই পড়তে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নামের দেশপ্রেমিক উপাদি পাওয়া ক্ষমতাসীন দলটি।
যা শুধু বাস্তব নয়, নিতান্তই বাস্তব।
আমাদের দেশের মহামান্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবারই বলেন "আমরা উন্নত দেশের সাথে দেশকে তাল মিলিয়ে ডিজিটালাইজড করার শ্রেষ্ঠা করছি,আমাদের রাজনিতি আন্তর্জাতিক মানের।"।
আর জনগনের আজ দেখার সুযোগ এসেছে দেখার।
উল্লেখ্য,গত কয়েকদিন আগে দক্ষিন কোরিয়াতে ৩০০ মানুষ নিয়ে ফেরি ডুবির কারনে তাদের প্রধান মন্ত্রী পদত্যগ করেছিলেন।
কাল ১৫ই মে, ২০১৪ তারিখে আমাদের মেঘনা নদী তে লঞ্চ ডুবেছে দুই শতাধিক মানুষ নিয়ে। তারো কয়েক দিন আগে ডুবছিল আরেক টি। তার ভিতরে গতকালকের টার মধ্য থেকে এই লেখা পর্যন্ত জীবিত উদ্বার হয়েছে ৩৫ জন মাত্র।
যাই হোক দেশের মানুষ এবার আমার দেশের প্রধান মন্ত্রী এবং কোরিয়ার প্রধান মন্ত্রির সাথে তুলনা করতে ভুলবেনা আশা করি। এবার কি প্রধান মন্ত্রী নিজেকে আন্তর্জাতিক নেত্রি হিসেবে পরিচয় দিবে না????
অর্থাৎ যাই বলি,আর যাই করি মৃত্যু যেন সব যায়গায় আঠার মত লেগে আছে। আর নিজেকে মনে হয় মৃত্যু পুরির এক অসহায় বাসিন্দা।
মনের সেই না জানা ব্যথা টা হঠাৎ করেই বেড়ে যায় একটা কঠিন প্রশ্নে,-
আমরা কি আসলেই স্বাধীন দেশের অধিবাসী????
লেখা:শিখা চিরন্তন
বিষয়: বিবিধ
১৪১৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পদত্যাগ করলেই কি সব ঠিক হয়ে যায় ? জননেত্রী হাসিনা এসব জন্য নিজে মনিটর করছেন এবং দোষীদেরকে ধরার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । পদত্যাগ করে পালিয়ে যাবার মত গুন উনার রক্তে নেই ।
শেখ হাসিনা জাতির জনক কন্যা , গনতন্ত্রের মানস কন্যা, বাংলাদেশের ১নং দেশপ্রেমিক ।
বাংলাদেশ উনার চেয়ে আর কারও হাতে থাকাটা শোভন হত না ।
বাংলাদেশ সশস্ত্র সংগ্রাম করে স্বাধীন হওয়া দেশ , এদেশের স্বাধীনতা এতটা ঠুনকো না । আর বাংলাদেশের মসনদে তারাই যাদের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল ।
বাংলাদেশ হাসিনার হাতে আছে বলেই রক্ষে , না হলে যে কি হত আল্লাহ মালুম।
তো একমাত্র হাসিনা বুবু ওরফে গোলাপী বাণু।যখন
যা মন চায় উনি করতে পারবেন।আমি আপনি আম
জনতা এগুলা দেখব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন