ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক-যুক্তি নিয়ে ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন ফাহমিদা সুলতানা শিল্পী ২১ মে, ২০১৪, ০৪:২৬:৩৭ বিকাল
ঘাটতি কমিয়ে আনতে হলে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে ভারতে রফতানি বাড়ানোর ব্যাপারে। এ উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারের উচিত চোরাচালান প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া। কারণ বেশির ভাগ ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের অবৈধ পথেই বাংলাদেশে ঢুকছে এবং বাজার ছেয়ে ফেলছে। মমতার দোহাই দিয়ে তিস্তা চুক্তি বন্ধ।
অভিন্ন নদ-নদীর পানিতে ন্যায্য হিস্যা আদায়, তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত নির্ধারণসহ সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সকল সমস্যা সমাধান অর্জন করতে হলে ভারতের পণ্য বর্জন করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। গত রোববার রাজধানীতে শত নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে সাবেক প্রধান নির্বাাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এমাজউদ্দীন ও ডক্টর আকবর আলী সহ আলোচকরা বলেছেন, ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বাংলাদেশের ব্যাপারে নানা ধরনের উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখতে শুরু করেছে। এ থেকে ধরে নেয়া যায়, নরেন্দ্র মোদির সরকার একদিকে বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলার ও ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করবে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের কাছে মাথা নত করবে। এই সুযোগে ভারত তার ইচ্ছামতো দাবি আদায় করে নিতে থাকবে। এমন অবস্থায় শক্তিশালী ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিই পারে বাংলাদেশকে ভারতের হাত থেকে রক্ষা করতে। এজন্য বাংলাদেশেরও উচিত পাল্টা কৌশল নিয়ে চিন্তা করা। বিশিষ্টজনেরা তাই দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতা মওলানা ভাসানীর ভারতবিরোধী আন্দোলনের পথ অনুসরণ করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, জনগণের প্রতি এই আহ্বান জানানো হলে এবং জনগণ সত্যিই ভারতীয় পণ্য বর্জন শুরু করলে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। বিজেপি সরকার তখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উস্কানি বন্ধ করতে এবং অমীমাংসিত সকল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে বাধ্য হবে। -- এই হলো বিভিন্ন পত্রিকার খবর.
আমরা শত নাগরিক কমিটির সেমিনারে উপস্থাপিত মূলকথা গুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি এবং মনে করি, ভারতকে প্রতিহত করতে হলে ভারতীয় পণ্য বর্জনই হতে পারে শ্রেষ্ঠ ও ফলপ্রসূ কৌশল। কারণ, বাংলাদেশকে সুযোগবঞ্চিত রাখলেও ভারত তার সব ধরনের পণ্য পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে। বৈধ পথে তো বটেই, বৈধ বাণিজ্যের চাইতে কয়েকশ’ ভাগ বেশি বাণিজ্য ভারত করছে চোরাচালানের অবৈধ পথে। বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির পেছনেও প্রধান ভূমিকা রয়েছে ভারতের। বৃহৎ এ প্রতিবেশী দেশটি থেকে আমদানি লাফিয়ে বাড়লেও বিভিন্ন নামের শুল্ক-অশুল্ক ও আধাশুল্ক বাধার কারণে বাংলাদেশের রফতানি বাড়তেই পারছে না। এ ব্যাপারে ভারতের নীতি ও কার্যক্রমকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীসহ বাজার অভিজ্ঞরা অনেক আগেই প্রতারণাপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ, প্রকাশ্যে আমদানি বাড়ানোর এবং ঘাটতি কমিয়ে আনার ঘোষণা দিলেও ভারত সুকৌশলে এমন কিছু শুল্ক-অশুল্ক ও আধাশুল্ক বাধার সৃষ্টি করে চলেছে যার ফলে রফতানির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার পরও বাংলাদেশ থেকে পণ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ভারত থেকে নানা ধরনের অসংখ্য পণ্য আসছে বাংলাদেশে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে জানা গেছে, ভারত থেকে যেখানে ২০৮৬ ধরনের পণ্য আসছে বাংলাদেশ সেখানে মাত্র ১৬৮ ধরনের বেশি পণ্য রফতানি করতে পারছে না। নিজেদের শিল্প সংরক্ষণের অজুহাত দেখিয়ে ভারত বাংলাদেশের ৭৫০ ধরনের পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। তার পর ও বাংলাদেশেই সব কিছু যেন ভারতের বাজার।
ঘাটতি কমিয়ে আনতে হলে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে ভারতে রফতানি বাড়ানোর ব্যাপারে। এ উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারের উচিত চোরাচালান প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া। কারণ বেশির ভাগ ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের অবৈধ পথেই বাংলাদেশে ঢুকছে এবং বাজার ছেয়ে ফেলছে। মমতার দোহাই দিয়ে তিস্তা চুক্তি বন্ধ।
অভিন্ন নদ-নদীর পানিতে ন্যায্য হিস্যা আদায়, তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত নির্ধারণসহ সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সকল সমস্যা সমাধান অর্জন করতে হলে ভারতের পণ্য বর্জন করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। গত রোববার রাজধানীতে শত নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে সাবেক প্রধান নির্বাাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এমাজউদ্দীন ও ডক্টর আকবর আলী সহ আলোচকরা বলেছেন, ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বাংলাদেশের ব্যাপারে নানা ধরনের উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখতে শুরু করেছে। এ থেকে ধরে নেয়া যায়, নরেন্দ্র মোদির সরকার একদিকে বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলার ও ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করবে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের কাছে মাথা নত করবে। এই সুযোগে ভারত তার ইচ্ছামতো দাবি আদায় করে নিতে থাকবে। এমন অবস্থায় শক্তিশালী ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিই পারে বাংলাদেশকে ভারতের হাত থেকে রক্ষা করতে। এজন্য বাংলাদেশেরও উচিত পাল্টা কৌশল নিয়ে চিন্তা করা। বিশিষ্টজনেরা তাই দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতা মওলানা ভাসানীর ভারতবিরোধী আন্দোলনের পথ অনুসরণ করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, জনগণের প্রতি এই আহ্বান জানানো হলে এবং জনগণ সত্যিই ভারতীয় পণ্য বর্জন শুরু করলে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। বিজেপি সরকার তখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উস্কানি বন্ধ করতে এবং অমীমাংসিত সকল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে বাধ্য হবে। -- এই হলো বিভিন্ন পত্রিকার খবর.
আমরা শত নাগরিক কমিটির সেমিনারে উপস্থাপিত মূলকথা গুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি এবং মনে করি, ভারতকে প্রতিহত করতে হলে ভারতীয় পণ্য বর্জনই হতে পারে শ্রেষ্ঠ ও ফলপ্রসূ কৌশল। কারণ, বাংলাদেশকে সুযোগবঞ্চিত রাখলেও ভারত তার সব ধরনের পণ্য পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে। বৈধ পথে তো বটেই, বৈধ বাণিজ্যের চাইতে কয়েকশ’ ভাগ বেশি বাণিজ্য ভারত করছে চোরাচালানের অবৈধ পথে। বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির পেছনেও প্রধান ভূমিকা রয়েছে ভারতের। বৃহৎ এ প্রতিবেশী দেশটি থেকে আমদানি লাফিয়ে বাড়লেও বিভিন্ন নামের শুল্ক-অশুল্ক ও আধাশুল্ক বাধার কারণে বাংলাদেশের রফতানি বাড়তেই পারছে না। এ ব্যাপারে ভারতের নীতি ও কার্যক্রমকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীসহ বাজার অভিজ্ঞরা অনেক আগেই প্রতারণাপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ, প্রকাশ্যে আমদানি বাড়ানোর এবং ঘাটতি কমিয়ে আনার ঘোষণা দিলেও ভারত সুকৌশলে এমন কিছু শুল্ক-অশুল্ক ও আধাশুল্ক বাধার সৃষ্টি করে চলেছে যার ফলে রফতানির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার পরও বাংলাদেশ থেকে পণ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে ভারত থেকে নানা ধরনের অসংখ্য পণ্য আসছে বাংলাদেশে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে জানা গেছে, ভারত থেকে যেখানে ২০৮৬ ধরনের পণ্য আসছে বাংলাদেশ সেখানে মাত্র ১৬৮ ধরনের বেশি পণ্য রফতানি করতে পারছে না। নিজেদের শিল্প সংরক্ষণের অজুহাত দেখিয়ে ভারত বাংলাদেশের ৭৫০ ধরনের পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। তার পর ও বাংলাদেশেই সব কিছু যেন ভারতের বাজার।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন