বিজয়ী মহিলা ডেপুটি গর্ভনর নাজনীন
লিখেছেন লিখেছেন ফাহমিদা সুলতানা শিল্পী ১২ মে, ২০১৪, ০৪:০০:৫৪ রাত
নাজনীনের নেতৃত্বে '৭১-এর র্মাচে বদরুন্নসো কলজেরে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে মাঠে প্রথমে ডামি ও পরে রাইফলে নয়িে যুদ্ধে যাওয়ার ট্রেনিং নেন । যুদ্ধচলাকালীন সময়ে তনিি মুক্তযিোদ্ধাদরে খবর আদান-প্রদান, তাদরে আশ্রয়দান চকিৎিসাসবো ও র্অথরে জোগান দয়িছেনে। ঢাকা মডেকিলে কলজেে আহত মুক্তি যোদ্ধা দের সেবা করছেনে। যুদ্ধ চলাকালে ডায়েরির পাতাজুড়ে লিখেন সে সব কথা । 'একাত্তররে ডায়েরি নামে পরে তা বই আকারে প্রকাশতি হয়ছে।
একজন র্কমজীবী নারীকে সংসার রখেে অফিস করতে হয়। এর মানে এই নয় যে একজন পুরুষকে সংসার রখেে আসতে হয় না। র্অথাৎ সংসার গুছয়িে রখেে আসা এবং সন্তানসহ অন্যান্য সদস্যদরে খোঁজখবর নেয়া এ টেনশন গুলো সাধারণত নারীরাই করেন । দেখা যায়, একজন র্কমজীবী নারী অফিস শেষ করে বাসায় গয়িে হাতরে ব্যাগটা কোনোরকমে ফেলে দৗেড়ে চলে যায় রান্না ঘরে কিংবা ঘর গোছানোর কাজে। আর একজন পুরুষ অফিস থকেে ফিরে বাসায় বসে বিশ্রাম নেন । এত ঝড়-ঝাপটা সামলওে সুযোগ পলেে নারীরা ঠিকই নিজ গতিতে সামনে এগয়িে যায়। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর বাংলাদশে ব্যাংকরে ডপেুটি গর্ভনর পদে প্রথম নারী হসিবেে নিযুক্ত হলেন নাজনীন সুলতানা। নাজনীন সুলতানার জন্ম ১৯৫৪ সালে। মা উম্মহোনী খানম ছিলেন। একজন নারীবাদী কর্মী । আট ভাইবোনরে মধ্যে নাজনীন ছিলেন পঞ্চম সন্তান। শিক্ষা জীবন শুরু হয় রোকয়ো মেমোরিয়াল স্কুলের মাধ্যমে এরপর বদরুন্নসো সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হন। ছাত্রজীবন থেকেই নাজনীন সুলতানা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । '৬৯-এর গণআন্দোলন থকেে '৭১-এর যুদ্ধ র্পযন্ত বদরুন্নেসা কলেজে সব ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিলেন নাজনীন। সে সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্বে ছিলেন । নাজনী নের নতেৃত্বে '৭১-এর র্মাচে বদরুন্নসো কলজেরে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে মাঠে প্রথমে ডামি ও পরে রাইফলে নিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার ট্রেনিং নেন । যুদ্ধচলাকালীন সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খবর আদান-প্রদান, তাদের আশ্রয়দান চিকিত্সা ও অর্থ জোগান দিয়েছেন । ঢাকা মডেকিলে কলজেে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করেছেন । যুদ্ধ চলাকালে ডায়েরির পাতাজুড়ে লেখেন সে সব কথা। একাত্তরের ডায়েরি নামে পরে তা বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নাজনীন কোন কিছুর শীর্ষ হবার স্বপ্ন দেখেন নাই। মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখেছেন । কখনো কাউকে ছোট করে দেখেন নি। তবে তিনি মন প্রাণে ভালো কিছু করার পক্ষপাতি। নাজনীন সুলতানা র্বতমানে বাংলাদশে ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর হয়ে অবশ্যই মানুষরে জন্য আরো কছিু করার ইচ্ছা পোষণ করনে। তিনি কীভাবে এ পেশায় প্রবশে করেন ? এর উত্তরে তনিি জানান, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থকেে পদার্থবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭৮ সালে বি আই ডি সি তে যোগ দেন । এরপর সায়ন্সে ল্যাবরটেরতিে পর্দাথবদ্যিার রিচার্চ ফেলো হিসাবে যোগ দেন । ১৯৮০ সালে বাংলাদশে ব্যাংকে কম্পউিটার উপ বিভাগে প্রথম শ্রণেীর র্কমর্কতা হিসাবে যোগ দনে। তখন বাংলাদশে ব্যাংকে তিনি সহ চারজন প্রথম শ্রণেীর নারী র্কমর্কতা ছিলেন । সে সময় বাংলাদেশে মাত্র দুটি কম্পউিটার ছিল । একটি পরমাণু শক্তি কমশিনে অন্যটি আদমজি জুট মিলের জন্য। আর তখন বাংলাদশে ব্যাংক কম্পউিটার নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কম্পউিটার সর্ম্পকে ব্যবহারকি জ্ঞান না থাকলওে শুধু তত্ত্বীয় জ্ঞান দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করনে এবং নির্বাচিত হয়ে চাকরতিে যোগ দেন । নাজনী নের লেখা প্রথম প্রােগ্রাম ছিল আমদান রপ্তানি পরিসিংখ্যান সংক্রান্ত। ১৯৮৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি এ বিভাগের ডেপুটি
ডাইরেক্টর হন। ১৯৯২ সালে তিন জন সহ কর্মী মিলে টেক্সেট বুক বোর্ডের আওতাভুক্ত কম্পউিটার বিষয়ক প্রথম বই 'মাধ্যমকি কম্পউিটার বিজ্ঞান ' লেখেন । ১৯৮৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদশে ব্যাংকরে জয়ন্টে ডাইরেক্টর বা সিস্টেম এনালিস্ট হন। ১৯৯৬ সালে ডেপুটি জেনারেল
ম্যানেজার বা সনিয়ির সিস্টেম এনালিস্ট হিসাবে আরকে দফা পদোন্নতি পান। এরপর ২০০০ সালে প্রথম নারী হিসাবে বাংলাদশে ব্যাংকরে মহাব্যবস্থাপকের দায়ত্বি গ্রহণ করেন । ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে প্রথম নারী নির্বাহী পরিচালকের দায়ত্বি পান। এরপর এ দায়িত্ব থেকে তিনি অবসর নেন । সম্প্রতি বাংলাদশে সরকার ডপেুটি গর্ভনর হিসাবে ৩ জনকে মনোনীত করেন । তারমধ্যে একজন হলনে নাজনীন সুলতানা। র্কমক্ষত্রেে নিজের অবস্থান সর্ম্পকে নাজনীন জানান, অফিসে আমি নিজেকে র্কমর্কতা মনে করি। র্কমক্ষত্রেে একজন ব্যক্তকে একজন কর্মকর্তাই মনে করা উচতি। র্কমক্ষত্রেে কখনো নারী হিসাবে কোনো অজুহাত দাঁড় করিনি। এ র্পযন্ত আসতে অবশ্যই শিক্ষা এবং মনোযোগের প্রয়োজন রয়েছে । কারণ শিক্ষা না থাকলে সে মেয়ে বেশিদূর যেতে পারে না। আবার শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কাজের প্রতি মনোযোগীও হতে হবে। নতুবা বেশি দূর যেতে পারবে না। কাজ করতে এসে অনেক সময় নেতিবিাচক কথাও শুনতে হয়ছে। কিন্তু তাতে কখনো নিজেকে গুটিয়ে রাখা উচিত নয়। এমনও কথা শুনেছি কোনো নারী চাকরির একটি নির্দিষ্ট পদে যোগদান করে সে পদটি নাকি নষ্ট করে। সেখানে একজন পুরুষ যোগদান করলে তার সংসার চলত। এ ধরনের কথা এখন হয়তো কেউ বলবে না কিন্তু অন্য ধরনের নেতিবাচক কথাও শুনতে হতে পারে। তাই নিজেকে শক্ত অবস্থানে নিতে হলে শক্ত মনোভাব থাকতে হবে। কাজের প্রয়োজনে র্জামানি ব্যাংকক, জাপান, সিঙ্গাপুর ভারত, বাহরাইন গিয়েছি। নারী-পুরুষরে অসমতা সর্ম্পকে নাজনীন সুলতানা জানান. নারী সংগঠনগুলোকে আরো এগয়িে আসতে হবে। তবে ধীরে ধীরে সময়ের আবর্তে এ অসমতা চলে যাবে। আজকরে এগিয়ে যাওয়া নারীদের কাছে তিনি একজন প্রেরণা।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন