আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে

লিখেছেন লিখেছেন আরিফা জাহান ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৩:০০:২০ রাত

দুনিয়ার উত্তরমেরু থেকে দক্ষিণমেরু পর্যন্ত সর্বত্রই সর্ব বিষয়ে বিকাশের হাওয়া বইছে । কেউ চিন্তার বিকাশ ঘটিয়ে বিখ্যাত হচ্ছেন, আবার কেউ কর্মের বিকাশ ঘটিয়ে কুখ্যাত তালিকায় নাম লিখছেন, আবার কেউবা উভয়টির বিকাশ ঘটিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছেন ।

যাই হোক সবকিছুরই নেগেটিভ বা পজেটিভ দিক রয়েছে ।

কিন্তু আমাদের বাঙালি সমাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কতরকম ফ্যান্টাস্টিক ইমোশনালের বিকাশ ঘটছে, তা আমাদের সমাজের অবস্থা সরেজমিনে না দেখলে বোঝা মুশকিল । ষোল কোটি জনতার জম্নভুমির তদারকি্র ভার যখন পরাধীন সময়ের উদ্ভট যাজকের হাতে দিয়ে ,শান্তির প্রাচীরকে পেছনে দিয়ে বেসুরে গলায় প্যারা সঙ্গীত গাইছে ফিলানথ্রপিশটরা (!!!!!), সে গানে স্বর্গীয় সুর ত দুরের কথা, তখন তাতে ধংসের আসুরে প্রতিধ্বনিই শুনা যায় ।

তথাকথিত চিন্তাবিদ আর বুদ্ধিজীবীদের দমবন্ধ করা ধুঁয়াটে চিন্তা বুদ্ধির প্রভাবে যখন মানুষ মুক্ত বাতাসের জন্য হাঁসফাঁশ করে ,তখন সেই মুক্ত বাতাসের জন্য মানুষদের আকুলতায় ওনারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রণা খুঁজে পায় ।

এই মন্ত্রণার জোরে এই সোনার দেশে এত কিছুর বিকাশ ঘটছে, যে তা বলতে গেলে প্রচণ্ড ভয়ে আতংকে শকড ব্যাক্তির কথার মত হড়বড় করে বেরুবে, নয়ত কম্পমান বোবায় পরিণত হওয়ার আশংকা রয়েছে ।

নিজের দেশের করুন অবস্থায় অধিকশোকে প্রকাশ করা এই কথাগুলো হয়ত প্রলাপের মতই ঠেকছে ।

হয়ত তাই ........কিন্তু বিশ্বাস করুন সেই তেরো বছর বয়সে পাড়ায় এক অসহায় অভাবী মায়ের কান্না দেখে বাড়ি ফিরে, মুখে বালিশচাপা দিয়ে কেঁদে বুকের মাঝে কষ্টের জগদ্দল পাথরটা সরিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম ।

কিন্তু আজ এই আট নয় বছরের ব্যাবধানে সেই কষ্টের এত ওজন হয়েছে যে, তাতে চোখের জল চাপা পড়ে গেছে । সেই তেরো বছর বয়সের অভিজ্ঞতায় ছিল শুধু একজন অসহায়ের কান্না, কিন্তু আজ এই আট নয় বছর পর আভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা হয়েছে শত অসহায়ের কান্না !

আমার মত এরকম অনেক হতভাগা আছে যারা কষ্ট পাচ্ছি আর বেওকুফের মত নিরবে কেঁদে যাচ্ছি ।

বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের কাছে আজ বিয়াল্লিশ বছর আগের ইতিহাস । একটা স্বাধীন দেশে যেখানে আজ সর্বত্রই শান্তি থাকার কথা সেখানে সর্বত্রই রক্ত ,কান্না, খুন,গুম চুরি ,ডাকাতি ছিনতাই ,আশ্লিলতা ,ব্যভিচার , ধর্ষণ ,লুটতরাজ ,অবিচার আর কালো রাজনীতির থাবায় আটকে আছে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠ ।

আমাদের কি কিছুই করার নেই ? শুধু কাপুরুষের মত চেয়ে দেখব আর হাহাকার করব ???

না আমাদের অনেক কিছু করার আছে .......এবং আমরাই পারি করতে । হ্যাঁ । এই ঘোর দুর্দশার মধ্যে আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সাহসী পথিকদের যোগ্য সাথি হবো আমরা ।

তারুণ্যের মেধা, মনন আর শক্তি দিয়ে বয়ে আনবই শান্তির সুবাতাস ইনশাল্লাহ ।

এসো তরুণেরা শপথ নাও হাতে রেখে হাত,

মিথ্যার কুহেলিকা সরিয়ে ,পাপের সমুদ্র পেড়িয়ে

সত্যের আলো দিকে দিকে ছড়াবোই , উদিত ঊষার নতুন

আলোয় মুজলুমের মুখে নির্মল হাসি ফোটাবই .

বিষয়: বিবিধ

১১৯৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358085
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৭:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : ময়দানে দাঁড়িয়ে আহবান কারী যোগ্য নেতার অভাবে আমরা অচল হয়ে শুধু চোখের পানি ফেলেই চলেছি৷ তাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের একজন যোগ্য সিপাহসালার দাও৷
359704
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:৫৬
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : টকশোতে কয়েকজন বুদ্ধিজীবির কথা শুনলে মন হয় তার মাথায় বুদ্ধি গিজ গিজ করতেছে, এই হলুদ মিডিয়া আর হলুদ বুদ্ধিজীবিদের কেও একদিন জবাব দিহী করতেই হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File