জাপানিদের ইংরেজি দক্ষতা!!
লিখেছেন লিখেছেন শার্লক হোমস ৩১ মে, ২০১৪, ০৯:৩০:৫০ সকাল
জাপানিদের ইংরেজি-দক্ষতা নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে।
একবার জাপানি প্রেসিডেন্ট আমেরিকা সফরে যাবেন। সফর না হয় দোভাষী দিয়ে চালানো যাবে, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন যখন জাপানি রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানাবেন, সৌজন্য আলাপ টা ইংরেজিতে তো করতে হবে। পুরো জাপানি রাষ্ট্রযন্ত্র এটা নিয়ে চিন্তিত।
দোভাষী অনেক বুদ্ধি করে রাষ্ট্রপতিকে শিখিয়ে দিনেন, শোনেন, আপনি যখন ক্লিনটনকে প্রথম দেখবেন, হ্যান্ডশেক করে জিজ্ঞেস করবেন, “হাউ আর ইউ”। তিনি বলবেন, “ফাইন, থ্যাঙ্ক ইউ”। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি জিজ্ঞেস করবেন, “এন্ড ইউ?” তখন আপনি বলবেন, “মি টু”। ব্যস মামলা ডিসমিস, বাকি কাজ দোভাষি চালাবে। প্রেসিডেন্ট মুখস্ত করতে লাগলেন।
সফরের দিন চলে এলো, জাপানি রাষ্ট্রপতি আমেরিকায় ল্যান্ড করলেন, কিন্তু দুটি ইংরেজি মুখস্ত শব্দ আওড়াতে আওড়াতে ঘেমে উঠলেন। ক্লিনটন হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে দিলেন। নার্ভাস জাপানি রাষ্ট্রপতি কাঁপা কাঁপা হাত বাড়িয়ে দিয়ে একটু ভুল করে বসলেন। প্রশ্ন করে ফেললেন, “হু আর ইউ?” বিল ক্লিনটন ঘাবড়ে গেলেও সামলে নিলেন, হাসিমুখে উত্তর দিলেন, “আই অ্যাম হিলারি’স হাসব্যান্ড। এন্ড ইউ?” প্রশ্নটা জাপানি রাষ্ট্রপতির কমন পড়লো, এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, “মি টু”।
যাহোক, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা জাপানি বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর লেখা “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইয়ের ইংরেজি সংস্করণ। বেচারা জাপানি রা মনে হয় এর চে পানসে উপহার আর পায় নি।
পুনশ্চঃ কথাগুলো আফসোস থেকে লেখা। আমরা যদি ইংরেজি মেশানো হিজড়া ভাষা বর্জন করে জাপানিদের মত শুদ্ধভাবে শুধু নিজের ভাষাটা রপ্ত করে নিজেদের উন্নয়নে আপনমনে কাজ করে যেতে পারতাম!!!
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাপান , জার্মান , ইতালী - এরা ৩ জন ছিল অক্ষশক্তি ।
আমেরিকা , রাশিয়া , বৃটেনসহ অন্যরা ছিল মিত্র শক্তি ।
হিটলার ও মুসোলিনির পতনের পর জার্মান ও ইতালী যখন রণে ভঙ্গ দিয়ে দিল , জাপান তখনও লড়ে যাচ্ছিল । কোনভাবেই তাদের বশে আনা যাচ্ছিল না ।
বশে আনতে ব্যবহার করা হয়েছে লিটলম্যান এবং ফ্যাটম্যানকে ।
বিধ্বস্ত জাপান যখন পরাজিত হয়েই গেছে , তখন জাপানের লোকজন সম্রাট হিরোহিতের কাছে এসে বলেছিল ,'' রাজা , আমরা এখন পরাজিত জাতি । আমরা লজ্জিত ।আমরা কি এখন সবাই আত্নহত্যা করবো ?
সম্রাট তাদের এটা করতে মানা করলেন এবং বললেন , '' আমরা তাদের কাছে যুদ্ধে হেরেছি সত্য , তবে আমরা তাদেরকে অর্থনীতিতে হারাবো ''।
একবার একজন আমেরিকান, একজন ফ্রেঞ্চ ও একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশে বেড়াতে আসলেন। তারা ঢাকা শহর ঘুরে দেখার জন্য ড্রাইভার সহ একটি গাড়ী ভাড়া করে বের হয়ে গেলেন। ভ্রমনের এক পর্যায়ে ফ্রেঞ্চ ভদ্রলোক তার সাথীদের উদ্দেশ্য করে বললেন, "তোমরা কি জানো, আইফেল টাওয়ার মাত্র ২ মাসে তৈরি করা হয়েছিলো।" একথা শুনে আমেরিকান ভদ্রলোক বললেন, "এ আর এমন কি! এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং তো তৈরি করা হয়েছে মাত্র ১ মাসে।" এবার ব্রিটিশ ভদ্রলোক আর চুপ থাকেন কিভাবে? তিনি বললেন, "আরে এগুলো কি বলার মতো কিছু হলো! শোনো- বাকিংহাম প্যালেস তৈরি করতে সময় লেগেছে মাত্র ১ সপ্তাহ।"
ড্রাইভার বেচারা অনেকক্ষন ধরে তাদের চাপাবাজি শুনছিলো। এমন সময় তারা এক বড় বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়ে গেলো। কৌতুহলি পর্যটকত্রয় ড্রাইভারকে প্রশ্ন করলো, "এটা কোন বিল্ডিং?" ড্রাইভার উত্তর দিলো-
"জানিনা তো ভাই, কালকেও এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এটা দেখিনি। আজ কিভাবে যে আসলো, ক্যামনে বলি।"
ভালো লাগলো ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন