জুম্মার ফজিলত ও মর্যাদা এবং এই পবিত্র দিনে আমাদের করনীয়!!!!
লিখেছেন লিখেছেন শার্লক হোমস ০৯ মে, ২০১৪, ০৯:২০:২২ সকাল
জুম্মার দিন মুসলমানদের জন্য শ্রেষ্ঠ এবং ফাজিলতপূর্ন একটা দিন। এই দিনের কারণে উম্মতে মুসলিমা অন্য উম্মতগুলোর আগে জান্নাতে যাবে।
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আমরা শেষে এসেছি কিন্তু কেয়ামতের দিন সকলের আগে থাকবো। যদিও অন্য সকল জাতিগুলো (ইহুদী ও খৃষ্টান) কে গ্রন্থ দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আমাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের পরে। অত:পর জেনে রাখো এই (জুমার) দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঠিক পথে দিশা দিয়েছেন। আর অন্য লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের পিছনে আছে। ইহুদীরা জুমার পরের দিন (শনিবার) উদযাপন করে আর খৃষ্টানেরা তার পরের দিন (রবিবার) উদযাপন করে।
- বুখারী ও মুসলিম
জুমু'আর দিনের অনেকগুলো করণীয় রয়েছে। নিচে কিছু দেয়া হলো-
১। ফজরের আগে গোসল করা।
২। ফজরের ফরজ নামাজ়ে সূরা সাজদা [সিজদা] ও সূরা দাহর/ইনসান তিলাওয়াত করা।
৩। উত্তম পোষাক পরিধান করা।
৪। সুগন্ধি লাগানো।
৫। প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে যাওয়া।
৬। সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা।
৭। মসজিদে গিয়ে কমপক্ষে দুই রাকা'আত সুন্নত আদায় করা।
৮। ইমামের কাছাকাছি গিয়ে বসা।
৯। মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শোনা। খুৎবাহ চলাকালীন সময়ে কোন ধরনের কোন কথা না বলা; এমনকি কাউকে কথা বলতে দেখলে তাকে কথা বলতে বারণ করাও কথা বলার শামিল।
১০। দুই খুৎবাহর মাঝের সময়ে দু'আ করা।
১১। অন্য সময়ে দু'আ করা। কারণ এদিন দু'আ কবুল হয়।
১৩। রসূলের উপর সারাদিন বেশী বেশী দরূদ পাঠানো।
জুমা'র দিনের ফজিলতের কথা জানার পরেও অনভ্যাসের কারণে কাজগুলি করার কথা আমাদের অনকের মনে থাকেনা। আল্লাহ আমাদের এই গাফলতি দূর করে দিয়ে জুমা'র দিনটিতে ইবাদত করার তওফিক দিন।
বিষয়: বিবিধ
৯৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন