২৮ অক্টোবর জাহেলিয়াতের আওয়ামী ভার্সন
লিখেছেন লিখেছেন বোরহান উদ্দিন রুবেল ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:১২:০০ বিকাল
২৮ অক্টোবর জাহেলিয়াতের আওয়ামী ভার্সন
বোরহান উদ্দিন রুবেল
আজ সেই ভয়ালো ২৮ অক্টোবর , ২০০৬ সালের এই দিনটি বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন আর গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় । অথচ এই কলঙ্কজনক অধ্যায়টি যার নির্দেশে তাঁর সোনার ছেলেরা এই লগি-বৈঠার মাধ্যমে চালিয়েছিল, তিনিই নাকি এখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানসকন্যা আওয়ামীনেত্রী হাসিনা ওয়াজেদ । একজন আক্ষেপ করে বলেছিল সব সম্ভাবনার দেশ হলো এই বাংলাদেশ আর যদি তা হয় আওয়ামীলীগ ও পুলিশের ক্ষেত্রে তাহলেতো কোন কথাই নেই । সেই দিনকার পুলিশের নীরবতা আর ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির পুলিশের হিংস্রতা তারই প্রমাণ করে । ২৮ অক্টোবর বা ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা যারাই চালিয়েছেল তারা কোন দলের বা কোন মতের অথবা কোন পথের তা মূল বিষয় নয় , মূল বিষয় হল তারা গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রু । সেখানে কতজন মারা গেছে অথবা আহত হয়েছে সেটার সংখ্যা মূল বিষয় নয় , মূল বিষয় হলো যেভাবে হত্যা করা হয়েছে এটা কোন বিবেক সম্পন্ন মানুষ করতে পারেনা । মজার ব্যাপার হলো এটা কোন বিবেক সম্পন্ন মানুষ করেওনি , যিনি এটার আদেশ দিয়েছে তাকে অনেক আগেই সুপ্রিমকোর্ট রং হেডেড বলে রায় দিয়েছে । এই রং হেডেড নেত্রীর সাথে ১৪ দলের যারা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ইনু আর মেনন সাহেবরা । অথচ এখন তাদের বক্তব্যের সিংহভাগেই গণতন্ত্রের কথা বলে । আর বাংলার অবলা মানুষকে তা দেখতে ও শুনতে হয় । সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী তুহিন মালিক বলেছিলেন , আগে ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াত আর এখন চলছে আওয়ামী জাহেলিয়াত । আমারতো মনে হয় ২৮ অক্টোবরের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিলো জাহিলিয়াতের এই আওয়ামী ভার্সন । ২৮ অক্টোবরের যে মামলাটি ছিল তা খারিজ করে দিয়েছে এই আওয়ামী সরকার । আওয়ামীলীগের নেত্রী হাসিনা ওয়াজেদের নেত্রিত্তে যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ১৪ দল চালিয়েছিল তাঁর বিচার এই সরকারের আমলে যে হবেনা তা দিবালোকের ন্যায় সত্য । বরং আমরা দেখেছি তৃতীয় মুক্তযুদ্ধাদের যে সংগঠন গণজাগরণ মঞ্চ , এটার অগ্রভাগে ছিলেন তাদেরই একজন , লাশের উপর নিত্ত করা সেই বাপ্পাদিত্ত বসু । আজব ব্যাপার হল সে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দু মতালম্বি , সে যখন কোন মুসলমানের লাশের উপর নৃত্য করলো তা করলো রাজনৈতিক কারণে তাতে কোন সমস্যা নেই আমাদের সু-শীলদের । কিন্তু কোন সময় যদি তাকে মেরে কেউ নৃত্য করে তখন তা হবে সাম্প্রদায়িক । এই কথাটি সবার আগে যিনি বলবেন তিনি হলেন আমাদের দেশের তথাকথিত (আওয়ামী ) মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান । তাই মাঝেমাঝে মনে হয় কারা যে আসলেই সংখ্যালঘু এটা মনেহয় নতুন করে চিন্তার সময় এসেছে । যাইহোক যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের বিচার করা বা হওয়া উচিৎ অথবা করা হবে বা হতে হবে । সে যে দলেরই হোক না কেন , তা না হলে আগামিতে যে কেউ হত্যাকাণ্ড করতে দ্বিধা করবে না । আর যদি বিচার না করে বরং তাদের রাষ্ট্রের বা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয় । তাহলে তা আমাদের গণতন্ত্র ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিগ্নিত করবে । আমাদের উচিৎ যারা ২৮ অক্টোবরের এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নিহত হয়েছে তাঁদের জন্য আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করা এবং প্রতিজ্ঞা করা বাংলাদেশে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড আর করবোনা । সর্বশেষ যে কথাটি বলতে চাই তা হলো , যারা ২৮ অক্টোবর বা বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ড অথবা ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আঃ মালেককে হত্যা করেছে তারা আজ শিল্প ও বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী , আবার কেউ সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ আর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে । তাই বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে যাতে এই খুনি ও অশুভ শক্তিরা যেন এইদেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হয়ে , আর বাংলাদেশের মানুষের মাথার উপর তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসক হয়ে চেপে না বসতে পারে ।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন