গণজাগরণ মঞ্চ ... বনাম ... সরকার
লিখেছেন লিখেছেন বোরহান উদ্দিন রুবেল ২৩ মে, ২০১৪, ১১:৩২:৪৩ রাত
গণজাগরণ মঞ্চ ... বনাম ... সরকার
বোরহান উদ্দিন রুবেল
বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে পরিচিত একটি নাম হল গণজাগরণ মঞ্চ । কারন এই একটি নাম অথবা চক্র বাংলাদেশে একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে তা হল বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা । এই যুদ্ধটা তারা আবার ঘোষণা করেছিল আওয়ামীলীগ আর ভারতের সম্মিলিত উদ্যোগে । সেখানে তাদেরকে মেহমানদারী করা হয়ে ছিল বিরিয়ানির প্যাকেট দ্বারা , পুলিশের পরিবেশনায় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে । আর তাদের আনন্দ পূর্তি করার জন্য আওয়ামী সমর্থিত শিল্পীগুষ্ঠি সাথে ভাল মানের বাদ্যযন্ত্র । যুবক ছেলেরা যাতে আসে তাঁর জন্য ব্যবস্থা করা হয়ে ছিল নারী যেটার প্রমান হল ‘আবুল হাসানাত আব্দুল হাই’ এর লেখা টিভি ক্যামেরার সামনে সেই মেয়েটি কলামে লিখেছেন । এত কিছু খাওয়ার এবং পাওয়ার পর যাতে তাদের জরুরী কাজ সারতে যাতে অভদ্রভাবে সোহরাওারদি উদ্যান অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে না যেতে না হয় সে জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন তাদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে । যাদের জন্য এত কিছু করল সরকার তাদের যখন দেখি সরকারী বাহিনী পেটায় তখন বাংলাদেশের সচেতন মানুষের মধ্যে অবচেতনে হোক আর চেতনে হোক তাদের মনে প্রশ্ন জাগে সরকার নতুন কোন চক্রান্ত করছে কি না দেশের জন্য । গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র থেকে ইমরান এইচ সরকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কারন টাকা ভাগবাটোয়ারায় তাদের সাংবিধানিক অংশ অনুযায়ী পায়নি । এইদিকে সরকার গণজাগরণ মঞ্চকে প্রতিহত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলিগকে লেলিয়ে দিয়েছে । আর ছাত্রলীগের সহ সরকার সমর্থিত কিছু বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ ছাত্রসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন । অথচ এই ছাত্র নেতারা এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোর করে ছাত্রদের গণজাগরণে নিয়ে আসত । তারা নিয়ে আসার সময় স্লোগান দিতে বাঁধা দিত কেননা তাহলে জনগণ বুঝে যাবে তারা হল থেকে জোর করে ছাত্র নিয়ে আসে । আবার না আসলে বলত শিবির , রাজাকারসহ কত কিছু । ইমারন যদিও মুখপাত্র ছিল মুলত কর্মসূচীর সকল পরিকল্পনা আসত ছাত্রলীগসহ আন্নান্য ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে । কিন্তু বালার হলুদ মিডিয়া এগুলুকে দেখিয়েছে তরুণ প্রজন্মের উত্থান বা জাগরণ বলে অথচ এটা ছিল কিছু গাঁজা খাওয়া প্রজন্মের নোংরামির মঞ্চ । তারা তদের কর্মসূচী দিত শুক্রবার কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দিন সাবেক ছাত্রসহ অনেক সাধারন মানুষ আসে , তদের কর্মসূচী ছিল বই মেলার সময় এই সময় এভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানুষের জন্য হাটা যায় না , সবচাইতে বড় কথা হল তদের অবস্থান হল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তা না হলে তাদের কর্মসূচীতে কয়েক শত হলুদ মিডিয়ার সাংবাদিক আর গাঁজাখোররা ছাড়া আর কেও আসতনা । তবে এই কথাটি সত্যি তাদের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ,বাম ও ভারত সফল তারা একজন নিরপরাধ মুসলিম নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে । কিন্তু এখন সরকার কেন গণজাগরণ মঞ্চকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে সেটা আমাদের নতুন চিন্তার বিষয় কারন তারা অন্য কোন ষড়যন্ত্র করছে নাতো !!!!!!!!!
শিক্ষার্থী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিষয়: বিবিধ
১১৩৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন