ঈদ পুনর্মিলনী
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৪৪:৫৩ দুপুর
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। কেমন আছেন মিয়া ভাই, বুবু এবং আপারা? বোধ করি ভালোই আছেন। কুরবানীর গোশত খেয়ে কিঞ্চিৎ মোটা তাজা হয়েছেন। তবে সবাই সুবিধা করে উঠতে পারেন নাই, এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। যারা দাঁত থেকেও গোশত চিবুতে পারেন নাই, পেট থেকেও ওটার ঈদ খোরাক জুগাতে পারেন নাই, তাদের জন্য সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। যাই হোক, ঈদ চলে গেছে, কিন্তু আমরা তো যাইনি, এইবার আসেন, সবাই পুনরায় মিলিত হই, ঈদ স্মৃতি রোমন্থন করি।
কুরবানীর আসলে সবচেয়ে বেশি হতাশায় ভুগেন ডায়াবেটিস, কিডনির রোগে আক্রান্তরা। চোখের সামনে সবাই চুক চুক আওয়াজ করে গোশত চিবুচ্ছে আর হাডডি চুষে খাচ্ছে, তা দেখে আপনার জিহ্বার জল গড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু ডাক্তার বলে দিয়েছে এক দুই টুকরার বেশি খাওয়া যাবেনা! রাগে দুঃখে বসে বসে কপাল চাপড়াচ্ছেন আর ডাক্তারের মুন্ডুপাত করছেন! আপনাদের সুস্থতায় আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক দোয়া।
আবার কেউ কেউ গোশত যা একটু খেতে পারছেন, কিন্তু মুশকিল দেখা দেয় খাওয়ার মাঝখানে অথবা খাওয়ার পর। দাঁতের চিপায় আটকে গিয়ে অসহ্য যন্ত্রণা, খোঁচাতে খোঁচাতে দিন পার! ভাই এবং বোনেরাআমার, আপনাদের জন্যও সমবেদনা।
আবার কেউ কেউতো গোশত কাটায় বাহাদুরী দেখাতে গিয়ে হাত পা কেটে ওহ ওহ করছেন! কেউ আবার গরু শোয়ায়তে গিয়ে লাথি খেয়ে ঈদের আনন্দটাই মাটি করেছেন! সমবেদনা রইল।
আরো নানান ঘটনাই হয়ত ঘটেছে আপনার এই ঈদে।
আসুননা, একটু বাকচিত করি কার ঈদ কেমন কেটেছে, কে কোথায় ঈদ করেছেন দেশে অথবা বাইরে গ্রামে অথবা শহরে।
শেয়ার করে ফেলুন ঈদে ঘটে যাওয়া আপনার মজার ঘটনাটি।
আমিও খানিকটা শেয়ার করি। প্রথমবারের মত আমাদের দুই ভাইয়ের টাকায় গরু কুরবানী হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্। সত্যি, পরিবারের জন্য কিছু করতে পারার তৃপ্তির তুলনা হয়না।
আমার বন্ধু মেয়ে সন্তানের বাবা হয়েছে ছয় মাস আগে। দেখতে গিয়ে কোলে নিয়ে অনে..................ক গুলো পাপ্পা দিয়েছি। আদর পেয়ে খুট খুট করে হেসে আমার মনটা ভরিয়ে দিল। আর বাবা-মা, ভাই-বোন, ভাগিনা-ভাগনির সাথে আলহামদুলিল্লাহ্ সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য হয়েছে ঈদ।
এইবার আপনাদের ঈদ স্মৃতি শোনার অপেক্ষায়......
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৩ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঈদ মোবারক সবাইকে।
কিছুদিন আগে যে ৩৩ টা নিউজ পোর্টাল বন্ধ করেছে, তার মধ্যে এই ব্লগের ম্যাগাজিনও ছিল।
আপনাকেও ঈদ মোবারক।
আর সম্প্রতি আপনার পোস্টগুলো আমি দেখেছি কিছু এবং পড়েছি,শুধু মন্তব্যটাই করা হয়নি।
সকাল সোয়া সাতটায় ঈদের জামাত শেষে ৮ টার দিকে বড় ভাইয়ের বাসায় যাবার জন্য রেডি হই (যেখানে গরু কুরবানি হচ্ছে) । ফোনে উনি তাড়া দিয়ে বললেন যে - গরু জবাই করে চামড়া ছিলা শেষ হয়ে গেছে । তখন আরেক ভাইকে নিয়ে উনার বাসায় গিয়ে পৌছি প্রায় সাড়ে ৯ টায় । দেখি যে মাংশ ভাগাভাগি প্রায় শেষ !!
এত দ্রুত কমপ্লিট গত ২০/২৫ বছরে হয়েছে কিনা সন্দেহ (কারণ ম্যাক্সিমাম টাইমে দেখেছি কসাইদের গড়িমসি ও আনাড়িপনার কারণে বিকাল ৩/৪ টা লেগে যায়)।
মাশা আল্লাহ , ভাইজান এবার আগে থেকেই প্রিকশন নিয়েছিলেন।
গোস্ত নিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে ১১ টা । বউয়ের সাথে গোস্ত সেপারেশনে হাত লাগিয়ে ছিলাম।
সন্ধ্যার দিকে মা , ভাই ভাবী ও ভাতিজারা আসে ।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আল'হামদুলিল্লাহ ভালই কেটেছে । পরের দিন শশুর বাড়ি গিয়ে রাতে উনাদের ওখানে খেয়ে বাসায় ফিরি । মাঝে দাদি ও চাচাতো বোনের বাসা থেকে ঘুরে আসি।
এইবার কেন জানি আমাদেরও গরু কাটা দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। অন্য সময় দুপুরের পরেও শেষ হতোনা, আর এইবার সাড়ে এগারোটায় শেষ।
আপনারা কি ঢাকায় ঈদ করেন? যদি তাই হয়, তাহলে আমার থেকে যাওয়া উচিৎ ছিল। আসা যাওয়ায় অনেকগুলো টাকা গাড়ি ভাড়া লেগেছে!
আপনার ঈদ স্মৃতি শুনে খুবই ভাল লাগছে। কিছুটা ব্যতিক্রমি।
তারপরেও আলহামদুল্লিলাহ
সুন্দর হয়েছে
অনেক ধন্যবাদ
ঈদের দিন প্রবাসে আপনারা কি কি করেন, তা যদি সবিস্তারে একটু বলতেন, শুনে ভালো লাগতো
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই, ঈদ স্মৃতি শেয়ার করার জন্য।
দুপুরে চার টুকরা আর রাত্রে চার টুকরা এই আমার ঈদ!!
আমি বেশ কয়েকজন রোগী নিয়ে কিডনি আর ডায়াবেটিস হাসপাতালে আসা যাওয়ার কারণে তাদের খাদ্য তালিকা দেখে খুবই অবাক হয়েছি। এক কিডনি রোগীর জন্য ফল খাওয়ার অনুমতি মাত্র চারটি!
পানি দিনে এক লিটারের বেশি নয়!
মাংস মাছ দিনে দুই টুকরা!
আল্লাহ্র কাছে নামাজ পড়ে বেশি বেশি করে দোয়া করেন, যেন সুস্থতা দান করেন। এভাবে সত্যিই কঠিন।
তবু বলছি ঈদের দিন সকাল ৭-১৩ টা পর্যন্ত অফিস করে বাসায় এসে মামনি ,ভাইয়া , ভাবীর সাথে দুষ্টামি করে করে একটু কান্না ও করলাম , এর পর খেয়ে দেখে ঘুম । ঘুম যখন ভাঙ্গল তখন দেখি ঈদ শেষ মানে রাত হয়ে গিয়েছে ।
এই তো ঈদ ।
ঈদের দিনেও অফিস! ঈদ না হয় তাদের নয়, কিন্তু তারা কি জানেওনা এটা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উতসবের একটি?
গরু জবাই হয়েছে কি?
খেয়ে দেয়ে নামাজ পড়ে আমিও লম্বা ঘুম দিয়েছি। তারপর বিকেলে আমার এক বোনের বাসায় গোশত নিয়ে গেছি, সেখানেও খেলাম প্রচুর।
খেয়ে খেয়ে খালি লম্বা ঘুম দিয়েছি।
ঈদের দিন শেষ হয়েছে, কিন্তু আনন্দের রেশ তো অনেক দিন থাকে, তাই বেশি বেশি খান, সাথে ওরস্যালাইন অথবা রাইস স্যালাইন রাখতে মোটেও ভুল করবেন না!
০ কি দেশরে ভাই , ঈদের দিনেও সাধারণ ছুটি দেয় না !
এরা কি অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ দিনেও কি ছুটি দেয় না ! ক্রিসমাসে কি ছুটি দেয় ?
সকালে নামাজ শেষে প্রিয় ভাই বোনদের বাড়িগুলোয় বেড়ানো , ফোনে কুশল বিনিময় , দ্বীনি ভাইয়েরা আমাদের কুরবানীর গোশত আমাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমাদেরকে কৃতজ্ঞ করেছেন....
রাতে এলাকাবাসীর আয়োজনে একটি ঈদ গ্যাদারিং , প্রচুর খাবারের আয়োজন , বাচ্চাদের কলকাকলি মুখর সুন্দর একটি সন্ধ্যা কাটিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে নীড়ে ফেরা ...
এইতো ...
শুনে খুশি হলাম। আপনাদের মিলনমেলায় আমিও যদি শামিল হতে পারতাম!
আপনি এতো লোকের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা কুশল বিনিময় করলেও আমার সাথে কিন্তু করেন নি! তবুও স্বান্তনা যে পুনর্মিলনী তে করলেন।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া বোন। আল্লাহ্ আপনাদের ভালো রাখুন।
একজন টেকনাফ, আরেকজন তেতুলিয়া। চাতক পাখির মত দুজন দুজনার তরে তাকিয়ে থাকে, একটু ছুটি পেলে দৌড়!
ঈদের সময় যে ভোগান্তি, তখন এতো ছোটাছুটি কেমনে করেছেন ব্রাদার?
আপনার ধৈর্য আছে দেখছি।
যাই হোক, আপনাদের ঈদ স্মৃতি শুনে খুবই ভালো লেগেছে।
আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাখুন।
ফজরের নামাজের একটু পরেই ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় এলাম, জামা চেইঞ্জ করে কোরবানির জন্য বের হলাম, কোরবানি করে দুপুরের পরে বাসায় ফিরলাম। তার কোরবানির গোস্ত খেয়ে একটা ঘুম দিলাম, ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়েই বেরিয়ে পড়লাম, কি ভাবলেন ঘুরতে? না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রিহার্সেল। আমার মন্দ কপাল ঈদে ঘুরে ঘুরি আমার কপালে জোটে না সেই ২০০২ সাল থেকেই। নামের সাথে সাংস্কৃতিক কর্মী জোগ করার পর থেকে ঈদে ঘুরাঘুরি শেষ. যাইহোক ঈদের পরের দিন একটি সাংস্কৃতিক উৎসব ঈদযাপনের মাধ্যমে শেষ হলো ঈদের ব্যস্ততা।
আপনি সংস্কৃতি কর্মী। শুনে খুশি হলাম, কিন্তু একটা অনুরোধ, আপনাদের কর্মকান্ডে যেন অনৈসলামিক প্রভাব না পড়ে, যা আজকাল হরহামেশায় হয়ে থাকে। একজন ইসলামি শিল্পী ইসলামী গান গাইবে আবার দুমায়ে অন্যান্য গানও সমান তালে গাইবে, এমন যেন না হয়।
আপনার ঈদ স্মৃতি খুবই ভালো লেগেছে। আল্লাহ্ আপনাকে ভালো রাখুন জনাব।
তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঈদের পর থেকে এক নাগাড়ে ৯৭ ঘণ্টা কর্মস্থলে কেটেছে। তাই শত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ব্লগে ঢু মারতে পারিনি। তবে এবারের ঈদের অনুভূতি একটু ব্যতিক্রমী।
প্রথমবারের মত বাবা মা আমি ও সন্তানসহ সকলের কোরবানী ইউ কে-তেই দিয়েছি। তাই আনন্দের মাত্রাটাও একটু বেশীই ছিল।
নিজ হাতে সবাইকে পরিবেশন করেছি। দেশের মত। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি ঈদ উদযাপন করেছি এখানে। যদিও আপনজনদের নাড়ীর টান অনুভব করেছি পাশাপাশি।
আপনার লিখায় আমার প্রিয় অনেক ব্লগারদের অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো। আলহামদুলিল্লাহ্।
ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপা।
আপনার পাতায় একবার জবাব দিয়েছি, তাই এখানে মন্তব্য ছোট করতে হয়েছে।
আমেরিকাতে কি ঈদের ছুটি দেওয়া হয়না?
আলহামদুলিল্লাহ্।
ফ্যামিলি খেলেই তো আমাদের খাওয়া হয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন