রমজান ও দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গ- ব্লগার মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০২ জুন, ২০১৬, ০৪:৪২:৪১ বিকাল



মাহে রমজান আসলেই আমাদের দেশের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি পাগলা ঘোড়ার ন্যায় ছুটতে থাকে। যেন এ মাসে ইবাদত বন্দেগীর জন্য পূন্য হাসিলের কোন সীমারেখা নেই, তেমনি আকাশ ছোঁয়া মূল্য ছাড়িয়ে গেলেও কারোর কিছুই করার থাকবে না? দ্রব্যমুল্য দায়িত্ব আল কার বেশি? আমরা কেমন মুসলমান? আল্লাহর বান্দাদের জন্য এভাবে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে ইবাদত-উপাসনাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়? কোথায় আছে এমন জুলুম? কেনই বা দেশপরিচালনার দায়িত্বে যারা ছিলেন, আছেন, অনেক সময় তারা চোখ বুঁজে থাকেন।

সিন্ডিকেট নামক দৈত্যকে কেন প্রশ্রয় দেন? কি জবাব আছে সৃষ্টিকর্তা মনিবের কাছে? এদেশের তো সিংহভাগ ব্যবসায়ী মুসলিম, মুসলিম হয়ে পবিত্র মাসে জালিমের মত অনৈতিক কাজ করা কতটুকু উচিত? শুধু মুসলমানরা নন, এ মাস এলে অমুসলিমরা ভাই-বোনেরাও কষ্টে পতিত হন, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আগুন মূল্যের ফলে। আমাদেরকে সকলের কথা ভাবতে হবে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে-যাতে আল্লাহর রহমতের মাসে প্রত্যেক মানুষই রহমত ও করুণা ধারায় সিক্ত হতে পারেন।

মহানবী (সা)এর অমূল্য বাণী, রমজান মাসে মানবতার শত্রু শয়তানকে বন্দী করা হয়, সমস্ত অশুভ শক্তির অপচ্ছায়া থেকে রক্ষার ব্যবস্থা হয়ে থাকে। রমজান মাস রহমতের, বরকতে, মাগফিরাতের এবং নাজাতের। তিনি সৎ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেছেন, পরকালে ব্যবসায়ীরা নবী, শহীদ এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকবেন। (অর্থাৎ সৎ ব্যবসায়ীরা প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা বা ভিভিআইপির মর্যাদা পাবেন) আমরা দানবীয় আচরণ করে কিভাবে মাগফেরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত পেতে পারি? অসম্ভব আমাদের জন্য কঠিন ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ তথা মুসলিম জাহানে এমন হীন কাজ হয় না বলেই আমাদের কাছে খবর আছে।


এদেশের কেন হয় বার বার? এর জন্য কে দায়ী? নিশ্চয়ই যারা দেশ পরিচালনা করেন তারাই? যেহেতু রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক তারা, সকল কলকব্জা তাদের নাগালে। অন্য কারো দোষ দেয়া অবান্তর। কারণ তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আছেন তাদের সাথে উচ্চমহলের যোগসাজস থাকে।

অথচ এ সঙ্কট কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়, রোজা শেষ-দ্রব্যমূল্যের পারদ নিম্নমুখী। একমাস টাকার অবৈধ পাহাড় গড়লাম, বিনিময়ে কি পেলাম-পরকালের ভয়াবহ যন্ত্রণা, নয় কি? ইফতার সামগ্রী সুলভ বা প্রকৃতমূল্যে লেনদেন হলে জীবন যাত্রা সহজ হয়। তিনি ইফতারের ফজীলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, “রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তিকে ইফতার করাবে; তার এ কাজ তার পাপ মাফ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে তাকে রক্ষার কারণ হবে। এ রোজাদারের রোজায় যত পূন্য হবে, তাতে তারও ঠিক ততখানি পূণ্য হবে। কিন্তু রোজাদারের পূণ্য একটুও কম হবে না।” জিনিসপত্রের দাম যদি বেশি হয় মানুষ কি অপর ভাইকে ইফতার করাতে পারবে? পূন্য অজর্নের মাসে বিপুল উৎসাহ নিয়ে কি ইবাদত করতে পারবে?



রমজান আমাদের কাছে প্রতি বছর নাজাতের বার্তা নিয়ে, আসে জীবনকে পরিশুদ্ধ করার জন্য, পাপমুক্ত করার জন্য এবং আল্লাহকে ভয় করে চলার জন্য। তাই বলা যায়, রমজান আত্মশুদ্ধি, নৈতিক প্রশিক্ষণ ও আত্ম গঠনের মাস হল রমজান।

আল্ কুরআনে বলা হয়েছে,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

“হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর। যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পারো বা তোমরা যাতে খোদাভীতি অর্জন করতে পারো।”

মহানবী (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও পূন্যের নিমিত্তে রমজানের রোজা রাখে এবং রাত্রে সালাতে দাড়াঁয় তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ মাফ করে দেয়া হয়।” আল্লাহর ভয় থাকলে কী আমরা খাদ্যে ভেজাল দিয়ে (ফরমালিন, কার্বাইডের ন্যায় একপ্রকার মারণাস্ত্র) মানবহত্যার মিশনে নামতে পারি? ক্ষুধার কী কষ্ট গরীবদের চাইতে আর কে বেশি ভুক্ত ভোগী। চিন্তা করুন, রমজানে গরীব অসহায়দের কী অবস্থায় হয়! রমজানে এ কী শিক্ষা! যদি আমরা বুঝতে না পারি গরীবের ক্ষুৎ-পিপাসার কি যন্ত্রণা? এই রোজা আমাদের পরকালে কী প্রতিদান দেবে?

হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ না করে (পাপাচার ত্যাগ), সে ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করা আল্লাহর কাছে কোন প্রয়োজন নাই।” (বুখারী ও আবু দাউদ) আমাদের রোজা তখনই কবুল হবে, যখন আমরা প্রকৃতভাবে রোজার হক আদায় করে, আল্লাহর নিকট তওবা করে-সমস্ত পাপাচার থেকে বিরত থাকব। বারো মাসের মধ্যে এগার মাসব্যাপী এর প্রতিফলন ঘটবে কথা, কাজ ও চরিত্রে এবং সার্বিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে।

রমজানের পবিত্রতা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ (অন্ততঃ ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা) এবং মাহাত্ম্য রক্ষার জন্য আরো যা প্রয়োজন তা হল এই। রমজানের পবিত্রতা বিরোধী সমস্ত উপায়-উপকরণের লাগাম টেনে ধরতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হতে হবে। খাদ্যে ভেজাল, মজুদদারী, মুনাফাখারী ও প্রতারণামূলক সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

অশ্লীলতা, অপসাংস্কৃতিক কাযকলাপ এবং দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ করতে হবে। দুঃস্থ-গরীব, অভাবী, অনাহারীদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করে, আত্মকেন্দ্রিতকা এবং হীনমন্যতা পরিহার করে তাদেরকেও শামিল করতে হবে। পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত, দুস্কৃতিকারী এবং শোষণ-নিপীড়নমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রকে ইবাদতের মহোৎসবে শামিল করতে সুন্দর পরিবেশ ও রমজানের পূর্ণ অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সকল অশুভ শক্তির বিনাশে মহান রবের নিকট তাহাজ্জুদ সালাতে দাড়িঁয়ে তাঁরই শাহী দুয়ারে ধরনা দিতে হবে। সর্বোপরি রমজানের সুফল যাতে সকল নাগরিক ভোগ করতে পারে সেজন্য রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তাদেরই অগ্রণী ভুমিকা নিতে হবে। কারণ রমজান হচ্ছে মহামনিব সৃষ্টিকর্তার দান, সূর্য, চন্দ্র, পানি-আলো-বাতাস যেমন সবাই সমান ভাবে গ্রহণ করতে পারে, তেমনি এই পৃথিবীর মালিকের দেয়া রহমত ও বরকতের বিধান রমজান মাস থেকে সবাই উপকৃত হোক। লাভ করুক শাশ্বত মুক্তির অনন্য পথের দিশা।

বিষয়: বিবিধ

১৮৬৬ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370758
০২ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৪১
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু......
০২ জুন ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৯
307640
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপা।
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১২
307641
সন্ধাতারা লিখেছেন : আজকে কি আপনার ছুটি?
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১৩
307667
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসছি, আমার অফিস শেষ হয় ছয়টায়। জ্যাম পেরিয়ে আসতে একটু..... সরি! !!!!
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৪৮
307671
সন্ধাতারা লিখেছেন : ঠিক আছে। বুঝতে পাচ্ছি। আমার আজ ছুটি। তাই আপনার হয়ে......
370761
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১১
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক প্রয়োজনীয় একটি লিখা। মাশাআল্লাহ। লিখাটির নির্যাসটুকু সব্বাইকে অনুপ্রাণিত করুক, বিশেষ করে অসৎ ব্যবসায়ীদেরকে। এটাই একান্ত প্রত্যাশা সকল মানুষের।
মহানবী (সা)এর অমূল্য বাণী, রমজান মাসে মানবতার শত্রু শয়তানকে বন্দী করা হয়, সমস্ত অশুভ শক্তির অপচ্ছায়া থেকে রক্ষার ব্যবস্থা হয়ে থাকে। রমজান মাস রহমতের, বরকতে, মাগফিরাতের এবং নাজাতের। তিনি সৎ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেছেন, পরকালে ব্যবসায়ীরা নবী, শহীদ এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকবেন। (অর্থাৎ সৎ ব্যবসায়ীরা প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা বা ভিভিআইপির মর্যাদা পাবেন) আমরা দানবীয় আচরণ করে কিভাবে মাগফেরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত পেতে পারি? অসম্ভব আমাদের জন্য কঠিন ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ তথা মুসলিম জাহানে এমন হীন কাজ হয় না বলেই আমাদের কাছে খবর আছে।

আমি যেখানে থাকি সেখানে রমযানে দ্রব্য মূল্য শুধু কমানোই হয় না বরং সুস্বাদু খাবার সামগ্রী এবং রকমারি ইফতার পুরো মাস ধরে সরবরাহ করা হয় মসজিদে।

অনেক ভালো লাগলো লিখাটি আলহামদুলিল্লাহ্‌।
০৩ জুন ২০১৬ সকাল ০৭:৪৯
307746
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বাংলাদেশেও মসজিদে মসজিদে ইফতার দেয় মালদার পার্টিরা, কিন্তু অধিকাংশ লোক দেখানো।
ব্যবসায়ীরা বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত, বিলাসিতার পারদটাকে আরো বাড়াতে মোক্ষম সুযোগ রমজান মাস। তাই যা করার তাই করবে। আমি কি করব, আছে কি করার ক্ষমতা।
০৩ জুন ২০১৬ রাত ০৯:৫৪
307774
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : গতকালের উপর পর্যালোচনা করে আজ একটি পোস্ট দিয়েছি, কিন্তু মোবাইলে লিংক দিতে সমস্যা হওয়ায় সরিয়ে ফেলছি। কাল সকালে লিংক সহকারে দিয়ে দেব। থাকবেন কিন্তু।
370763
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অসাবধানতাবশত কিছু কিছু বানান ভুল রয়ে গেছে গাজী ভাই। আমি দু:খিত, আপনি এডিট করে দিতে পারতেন কিন্তু করে দিন না!
ধন্যবাদ..
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১৩
307666
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসছি, আমার অফিস শেষ হয় ছয়টায়। জ্যাম পেরিয়ে আসতে একটু..... সরি! !!!!
০৩ জুন ২০১৬ সকাল ০৭:৫০
307747
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : পোস্ট দিয়ে আমি নাই হয়ে গেছি, কি করব ঠিক!
370764
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম, আমার লিখাটাকি আমার ব্লগে পোস্ট করবো? নাকি আপনি আপনার কোনো পোষ্টকৃত লিংকে?
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১৩
307665
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসছি, আমার অফিস শেষ হয় ছয়টায়। জ্যাম পেরিয়ে আসতে একটু..... সরি! !!!!
০৩ জুন ২০১৬ সকাল ০৭:৫১
307748
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেমনডা লাগে! !!!!!!
370776
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২৮
পললব লিখেছেন : মুসলিমদের জন্য (বাংলাদেশ)এটা সংযমের মাস। অথচ তা না হয়ে এটা হয়েছে খাদকের মাস!সাহরীতে পোলাও কর্মা, ইফতারিতে হালিম আর যতরকম ভাজাভুজি তারপর রাত্রে আরেকবার রসিক ভোজন। আহা! কে না চায় এই রসনা বিলাস! তাইতো ব্যাবসায়ীরা এই মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। খাবার বেশি খায় বলে সরবরাহ বাড়ে অথচ একজন প্রকৃত মুসলিম কখনো খাওয়া নিয়ে ভাবে না। লক্ষ্য থাকে সবর শোকর এবং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ পালন করা। অথচ বৃটেনে দেখছি ব্যবসায়ীরা রোজার খাদ্য সামগ্রী অর্ধেক দামে বিক্রি করছে এমনকি ননমুসলিম সুপার মার্কেটগুলোও। আল্লাহ বাংলাদেশের মুসলিমদের মুসলমান হোওয়ার তৌকিক দান কর।
370784
০২ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫১
শেখের পোলা লিখেছেন : আসুন আমরা রমজানকে প্রকৃত রমজানের মতই আদায় করার জন্য প্রস্তুত হই।
370786
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, দেশের অবস্থা এমন যে, শুধুমাত্র রমজানের জন্যই যেন ব্যবসায়ীরা খাপ মেরে বসে আছে।

যে মাসে এত রহমত, সে মানে সব ব্যবসায়ীকেও দয়ালু হওয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু বাঙ্গালীদের দুর্ভাগ্য। দয়ার মাস পেলেও ব্যবসায়ীদের দয়া পাওয়া যায় না।

370787
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:০৬
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সাকা ভাইয়া আপনি কোথায়? আমার দুইটা লেখাই পোস্ট করেছি কিছু সময় ব্যবধানে দেখুন। আর কোন নির্দেশ থাকলে কমেন্টে জানাবেন প্লিজ।
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১৩
307664
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসছি, আমার অফিস শেষ হয় ছয়টায়। জ্যাম পেরিয়ে আসতে একটু..... সরি! !!!!
370790
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:১২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সাকা ভাইয়া আপনি কোথায়? আর কে কোথায় কোন পোস্টে আছেন জানান দেন। স্যরি ভাইয়া আপনাদের কাউকেই পাচ্ছিনা। এবার উঠতে হবে আমাকে মাঝে মাঝে এসে দেখবো ইনশা-আল্লাহ। সাকা ভাইয়া কোথায় হারালেন????????????????????????????
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৫০
307674
সন্ধাতারা লিখেছেন : সবাই তো আছে আপি। কি প্রয়োজন অনুগ্রহ করে বলেন......
১০
370811
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:০৩
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : তাদেরকে আল্লাহ্‌ হেদায়াত দান করুক।
১১
370826
০২ জুন ২০১৬ রাত ০৯:২৬
আফরা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
১২
370860
০৩ জুন ২০১৬ রাত ০২:০০
awlad লিখেছেন : Jajakallahkhayr, many thanks
১৩
370890
০৩ জুন ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ছোটবেলায় স্কুলে থাকতে পত্রিকায় একটা সংবাদ এসেছিলো এবং তা সকলের আলোচনার বিষয় হয়েছিলো।" রোজার মাসে এক ট্রাক ড্রাইভারের হিন্দু পরিচয় দিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া"

যদিও এটা ইসলামী সমাজ ছিলোনা কিন্তু মানুষের মনে ইসলামের অবস্থান ছিলো। আর আজ রোজা না রাখাও ফ্যশন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং ভেজাল...আহা মুসলিমরাই করছে.....মানুষ আর যেন মানুষ নেই
১৪
370908
০৩ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
রমজানের শিক্ষা গ্রহনেই আমরা ব্যার্থ।
১৫
370955
০৪ জুন ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৫
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম

কোথায় ছাগলে শিং আর কোথায় মনমোহন সিং
অন্যান্য দেশের কথা ও শুনেছি, কিন্তু সৌদিতে আমার এক ভাই থাকে, সে বলে, রমজান মাস কে সামনে রেখে বিশেষ
বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। কোনো কোনো পণ্যের দাম অর্ধেক কমিয়ে দেয়।
আর আমাদের দেশে রমজান মাস আসলে নিত্য পণ্যের বাজারে আগুন লাগে, কোন কোন পণ্যের
দাম বেড়ে যায় দ্বীগুন অথবা তিন গুণ।
আল্লাহর রহমত তাদের উপর আসবে না তো কি
আমাদের উপর আসবে।
তারা জানে রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহে সাল্লামের সুন্নত কে কিভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হয়।
১৬
371053
০৫ জুন ২০১৬ সকাল ১১:৪২
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সারা বছর কোন বিক্রিবাট্টা থাকে না বললেই চলে । এই এক রমযান মাসেই তারা যা একটু লাভের মুখ দেখে । আর এই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েই তো রাজনৈতিক দলগুলো কোন মতে টিকে আছে ।

তাই এই সুযোগ কে না গ্রহণ করতে চায় বলুন । আপনি ব্যবসায়ী হলে কি এই লাভের ( বলা যায় মুলধনই উঠিয়ে আনার সুযোগ)সুযোগ হাতছাড়া করতেন ?

আর বাংলাদেশের মানুষও এই মাসে খরচ করতে দিলদরিয়া হয়ে যায় । কে কার চেয়ে বেশী খরচ করবে তার প্রতিযোগিতা চলে ।

দেশের অর্থনীতি দারুন এক গতি পায় এই মাসে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File