পুলিশের উপলব্দি, ইসলামী অনুশীলনেই মিলবে মাদক থেকে মুক্তি
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৬ মে, ২০১৬, ০৪:২৮:২৭ বিকাল
বাংলাদেশের পুলিশ দুচোখের বিষ। তারা আমার সৎ ভাই নয়, তাদের কর্মকাণ্ডই এমন বিদ্বেষভাব তৈরি করেছে মনে। তাই বলে, তাদের কোনো ভালো কাজ চোখে পড়েনা এমন নয়। ভালো কাজের স্বীকৃতি সবসময়ই দেওয়া উচিৎ, পরিচয় যাই হোক। তেমনই একটি ভালো কাজ আমার নজর কাড়ে। পথচারীদের একটি পুস্তিকা বিলি করছে। আমিও একটা নিলাম, যার কাভারে শোভা পাচ্ছে ‘মাদকদ্রব্যের কুফল, ইসলামী দৃষ্টিকোণ’। মতিঝিল বিভাগ, ডিএমপি।
বিদ্যমান মাদকাসক্তির ভয়াবহ বাস্তবতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের পক্ষ থেকে বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে ইসলামী দৃষ্টিকোণ হতে মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে পুস্তিকা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করার হয়েছে। ভালো উদ্যোগ।
পুস্তিকাটির ভূমিকাতে লেখা আছে, ‘পারিবারিক বন্ধন ও ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা কম এমন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাদকাসক্তির প্রকোপ বেশি পরিলক্ষিত’। দারুণ উপলব্দি।
মাদকাসক্ত হওয়ার অনেকগুলো কারণই বর্ণিত হয়েছে পুস্তিকাটিতে, তবে ধর্মীয় অনুভূতির অভাবকেই অন্যতম কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পুস্তিকাটিতে মাদকের ধর্মীয় কুফল, মাদক সম্পর্কে ইসলামের বিধান, ইসলামী আইনে মাদক গ্রহণের শাস্তি ইত্যাদি কুরআন হাদীসের আলোকে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য ব্যবহার রোধে করনীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক জায়গায় বলা হয়েছে, মানুষের নৈতিক মানোন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ ও ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টি করতে হবে।
সমাপ্তি টেনেছে এইভাবে, ‘এই দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য দেশের প্রচলিত আইনের চেয়ে ধর্মীয় নির্দেশনা ও অনুশাসন বেশি কার্যকর ও ফলপ্রসূ হতে পারে’। অনেক দেরিতে হলেও চমৎকার উপলব্দি।
ইসলাম সেকেলে ধর্ম। এর আইন কানুন বর্বর। যাই বলা হোক না কেন, কোনো উপায়েই যখন সমাধান মিলেনা, তখন শরণাপন্ন হতে ইসলামেরই। যেমন, প্রচণ্ড ঝড় তুফানে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে বাঁচার জন্য সবাই গড গড, রাম রাম, আল্লাহ আল্লাহ বলেও বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখে সবাই বলতে থাকে আল্লাহ আল্লাহ।
এমন সুন্দর সত্য উপলব্দি একটি থানায় শুরু হয়েছে, শেষ হবে প্রতিটা মানুষকে উপলব্দি করিয়ে, এই কামনা।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭১ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ জানাই
আপনাকেও ধন্যবাদ হে অস্থির মানব
তাদের কাজ হচ্ছে প্রকৃত অপরাধী ধরে শাস্তি দেওয়া । উল্টো সেটাতে না গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের জন্য ফিল্ড ক্লিয়ার রাখে ।
নিজেদের দায়িত্ব পালন করার যোগ্যতা নিয়ে নিজেরাই সন্দিহান । তাই সমস্ত দায়ভার ধর্মের উপর চাপিয়ে আরামে থাকতে চাইছে ।
সত্য সত্যই যদি এই লিফলেটে দেওয়া তথ্যগুলো তারা মিন করে তাহলে সামনের দিন গুলোতে তারা ধর্মীয় সংক্রান্ত বই ধরিয়ে দিয়ে জঙ্গি ট্যাগ দেওয়ার কাজ আর করবে না । উল্টো টিএসসির টয়লেটে গিয়ে হামলা চালাবে।
ফিল্ড ক্লিয়ার রাখলে কিছু বাড়তি পয়সা আয় হয়। বউয়ের ঝারি খেতে হয়না।
আল্লাহ ভালো জানেন তাদের মনে কি আছে।
ঠিক বলেছেন, এই উপলব্ধি জারি থাকলে ইসলামী বই আর জিহাদি বই নিয়ে জগাখিচুড়ি সৃষ্টি করবে না।
ঘটনা কি সত্যি ই নাকি??
অবশ্য মিথ্যা ই বা বলবেন কেনো,
মহান আল্লাহ সবাইকে ইসলামের ছায়াতলে আসার তৌফিক দিন,
আমিন
জি সত্যি। বইয়ের কাভার পেইজের পিক দিয়েছি।
আমিন ছুম্মা আমিন
আপনাকেও ধন্যবাদ
আমার জানা মতে আজকের জামানাতেও একশত ভাগ খাঁটি মুমিন বান্দা পুলিশী পেশায় তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত কঠোরভাবে পালন করে যাচ্ছেন। নিষ্ঠার সাথে। শত প্রতিকূলতাকে দৃঢ় ঈমাণী শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করে। যদিও এরা সংখ্যায় অতি নগণ্য।
আপনার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও তার যথাযথ সুন্দর উপস্থাপন অবশ্যই প্রশংসনীয়।
আমিও বিশ্বাস করি। এমন লোক আছে। কিন্তু তারা মজলুম।
আপনার উৎসাহব্যঞ্জক সুন্দর মূল্যায়ন আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আপা, আপনি ভালো আছেন তো? এবং আপনার পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন?
তারা এতো দ্রুত ইসলামের কথা শোনার কথা নয়। কিন্তু আল্লাহ কখন কাকে হেদায়েত দান করেন, তাতো বলা যায়না রে।
যথার্থই বলেছেন। এমন হওয়াই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল।
আপনাকেও ধন্যবাদ দিল তো পাগেল হে
মন্তব্য করতে লগইন করুন