আমার শ্রদ্ধেয় বাবা
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:১৭:৪৫ রাত
বাবা!
দুটো অক্ষরের একটি শব্দ। অথচ এই ছোট্ট শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে কত ত্যাগ-তিতিক্ষা, স্নেহ-মমতা, প্রীতি-বন্ধন, আদর -শাসন, বন্ধুতা-গাম্ভীর্যতা। বাবা আল্লাহর তরফ থেকে বিরাট এক নিয়ামত। একজন বাবা হিসেবে সন্তানের সব দায়িত্বই পালন করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্। বিশেষ করে আমাদেরকে ইসলামী জীবনাচারণে পরিচালিত করতে বাবার দায়িত্বশীলতা ছিল অনন্য।
জীবনের সূচনায় পড়িয়েছেন মক্তবে, তারপর মাদ্রাসায়। কুরআন সহিহ শুদ্ধ করে পড়তে খণ্ডকালীন সময়ের জন্য পাঠিয়েছেন ক্বারিয়ানা মাদ্রাসায়। উদ্বুদ্ধ করেছেন ওয়াজ মাহফিলে বেশি বেশি যাতায়াত করতে। ঘরে রেখেছেন অসংখ্য ওয়াজের ক্যাসেট, নিজে শুনেছেন, শুনিয়েছেন আমাদেরকেও।
এমন কোন দিন নাই যে, সকাল সন্ধা বাবা মা দুজনে বেতারে বিভিন্ন ইসলামী অনুষ্ঠান শুনেননি।
আমার বাবা, প্রতিদিন রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়েন। খুব বেশি অসুস্থ না হলে কখনো দেখিনি তাহাজ্জুদ মিস করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্। ৫ ওয়াক্ত নামাজের আজান হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে হাজির। অন্য সব কাজ একদিকে, নামাজকে রাখেন সব কিছুর আগে। কত বেলায় যে নামাজে দেরি করে গিয়ে বকা খেয়েছি, তা গুণে শেষ করা যাবেনা।
অনেক সময় দেখা গেছে, গোসল ফরজ হয়েছে, অথচ গোসল করিনি, নামাজ না পড়ে শয়তানের তালে তাল মিলিয়েছি। আর বাবা মসজিদে না দেখে ঘরে এসে মাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে বলতেন, 'বুঝেননা, ছেলেদের সমস্যা হতে পারে, হয়ত তাই যায়নি'।বাবা রেগে বলতেন, 'পড়াশোনা কি করেছে? গোসল ফরজ হয়েছে, পুকুর টিউব ওয়েল আছে, গোসল করে নিলেই হয়! নামাজ কাজা করবে কেন!' বাবা যদি এমন রাগারাগি না করতেন, তাহলে হয়তো, শীত গরমে ফরজ গোসল করে নামাজ পড়ার অভ্যস্ততা গড়ে ওঠতো না।
বাবা চান আমরা যেন পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি পরে মসজিদ, বাজার, আত্মীয়ের বাড়ি, মেহমানের সামনে যাই। আলহামদুলিল্লাহ্, একসময় এইসব বাবার বাড়াবাড়ি মনে হলেও আজ স্বাচ্ছন্দ্যে তা করতে পারি। আমার ভালোই লাগে।
নানান কারণবশত আমি প্যান্ট শার্ট পরি, কিন্তু পাঞ্জাবি পরার মজা অন্য কিছুতেই পাইনা। আলহামদুলিল্লাহ্। আমি এখানে বাড়াবাড়িরও কিছু দেখিনা। আমি পাঞ্জাবি টুপি পরলে যদি বাবা খুশি হন, তাহলে কেন জিন্স শার্ট পরে বাবার মনে কষ্ট দেব। তিনিতো আমাকে কোন হারাম কাজে বাধ্য করছেন না।
আজকাল পাঞ্জাবি পায়জামার প্রতি ইসলাম বিদ্বেষীরা কেন, ইসলাম দরদীরাও নাক ছিটকায়। পাঞ্জাবি টুপি পরলে ইজ্জত যায়, কাঠ মোল্লা উপাধি পাওয়ার ভয়ে পাঞ্জাবি গায়ে উঠেনা। হ্যাঁ, কিছু বাস্তবতা আছে। শুধু পাঞ্জাবি গায়ে দেওয়ার অপরাধে অনেককে অপদস্হ হতে হয়। আমি স্কুল, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, কিন্তু পাঞ্জাবি টুপিওয়ালাদের যথেষ্ট ভালবাসি এবং নিজেও পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
আমার বাবা, তখনকার দিনে গ্রামে থেকে বিএ ডিগ্রি করেছেন, কিন্তু উনার চালচলন, পোশাক আশাক দেখলে মনেই হবেনা, তিনি স্কুল কলেজে পড়েছেন। শুভ্র পাঞ্জাবি পায়জামা, শুভ্র টুপি, শুভ্র দাড়ি, শুভ্র চেহারা, দেখে শ্রদ্ধায় বিগলিত হয়ে ওঠে হৃদয়। আলহামদুলিল্লাহ্।
আমার চুল বড় দেখলে বাবা রেগে যান। আমিও তখন খুব আফসোস করি, কেন চুল ছোট করে বাবার সামনে হাজির হলাম না!
বাবা পছন্দ করেনা, সন্ধার পরে ঘরের বাইরে থাকি। সন্ধার পরে ঘরে দেখতে না পেলে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করবে বাইরে কেন এবং তাগাদা দেয় যেন দ্রুত ঘরে ফিরি। আলহামদুলিল্লাহ্, বাবার এই দায়িত্বশীলতা আমার ভিতরে এখন কৃতজ্ঞতাবোধ জাগায়। কেননা, ন্যায়সংগত কারণ না থাকলে ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, কারোরই সন্ধার পর বাইরে অবস্থান করা উচিৎ নয়।
আমাদের সু শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে বাবার আন্তরিক চেষ্টা সাধনা ছিল অতুলনীয়। কেন নয়! আমাদের অঢেল ধন সম্পদ ছিলনা। খুব কষ্ট করেই পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। যেখানে টাকার অভাবে সংসারের অত্যাবশ্যকীয় জিনিসগুলো কেনা হতনা ঠিকমতো, সেখানে আমাদের পড়াশোনা থামিয়ে দেননি কখনো।
সারাবছরই জমি বর্গা দিয়ে রাখতেন, যাতে ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কষ্ট না হয়। গরু ছাগলও পালন নিষেধ করেছেন, শুধুই আমাদের পড়াশোনার সুবিধার্থে। অভাবের মধ্যেও প্রতিদিন দুধ রাখতেন, যেন খেয়ে স্মরণ শক্তি বাড়ে।
কত সময় কত অভাব যেত, কিন্তু টাকা পয়সা চেয়ে কখনো নিরাশ হতে হয়নি। বাবা জানত, আমি খুব মিতব্যয়ী, হয়তো তাই কখনো প্রশ্নও করতেন না, কেন এত টাকা লাগবে।
বাবারা বুঝি এমনি হয়, যখনই মা বাবার প্লেটে ভালো কোন তরকারি তুলে দেন, বাবা তা না খেয়ে রেখে দেন, ছেলেরা
বাড়ি এলে খাবে। এইটুকু যখন লিখছি, চোখে পানি টলমল করছে। বাবারা কেন সন্তানের প্রতি এত দরদী হয়!
কত সময় কত ভাবে বাবার আদেশ নিষেধকে অগ্রাহ্য করেছি! আল্লাহ্ ক্ষমা করুন। দীর্ঘদিন যখন কারাগারে ছিলাম, মায়ের কাছে শুনেছি, বাবা খুব দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
আমি জানিনা, বাবা মায়ের জন্য কতটা করতে পারব। কিন্তু আমার মনে আছে তাদের জন্য অনেক অনেক কিছু করার ইচ্ছা। আমি সবসময়ই দোয়া করি, আমি যেন কখনো বাবা মায়ের প্রতি উদাসীন না হই।
আমার সাধ আছে, সাধ্য কম। তবুও ইচ্ছেটা অনেক শক্ত। আলহামদুলিল্লাহ্, প্রথম মাসের বেতন পেয়ে অন্যেরা যখন নিজের কেনাকাটা, খাওয়া দাওয়ায় মেতে থাকে, আমি তখন বেতন পেয়ে ছটফট করি, কখন যাব বাড়ি, বাবার হাতে তুলে পেশাগত জীবনের প্রথম উপার্জনের কটা টাকা। আমি বেতন কম পাই কি বেশি পাই, তা ব কথা নয়, অর্ধেকটা বাড়িতে না পাঠালে ভালো লাগেনা।
আলহামদুলিল্লাহ্, এখনো নিজের জন্য ভালো কিছুই কিনিনি। কিন্তু সবার জন্য কিছু করতে পারার আনন্দ নিজের চাহিদাগুলোকে ভুলিয়ে দেয়। হয়তো আজকের মানুসিকতা আগামী দিনে নাও থাকতে পারে, এবং ভয় এটা নিয়েই, কত মানুষইতো বলদে যায়, তাই কামনা করি, আল্লাহ্ আমাকে এমন না করেন।
আলহামদুলিল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ্। আমি আদর্শবান পিতামাতার ঘরেই জন্ম নিয়েছি। আমার বাবা সবসময়ই হক পথে চলার চেষ্টা করেন, এবং এ পথেই যেন বাকি জীবন কাটাতে পারেন, আল্লাহর কাছে এই দোয়াই করছি। আরও কামনা করছি, সবার বাবা মাই যেন সন্তানের কাছে এমন নিয়ামাত হয়ে উপস্থিত হতে পারেন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭১ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথম মন্তব্যটিই আপার!
মনটা কিন্তু ঠিকই ব্লগে পড়ে থাকে। সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোয় না।
আপনার বাবার স্মৃতিচারণমূলক কথাগুলো তাইতো ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিলো আমাকে। আসলেই বাবা মায়ের উদারতা পাহাড়সম। অতুলনীয়। অপরিমাপযোগ্য।
আপনার মানসিকতা ও প্রত্যাশা মুগ্ধ করলো। আপনি অন্নেক ভাগ্যবান বাবার জন্য সেবা করার দুয়ার আপনার জন্য অবারিত। আল্লাহ্ পাক আপনার মন মানসিকতাকে আজকের মত অবিকল রাখুন সকল পরিস্থিতি ও পরিবেশে। এটাই প্রত্যাশা।
মহান রাব্বুল আলামিন আপনার বাবা মাকে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু দান করুন। আমীন।
বাবার সাথে নিশ্চয় এতক্ষণে কথাও বলে নিয়েছেন। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদেরই কিন্তু বাবার প্রতি টান থাকে বেশি।
ঠিকই বলেছেন, উনাদের ভালবাসা পরিমাপযোগ্য নয়।
আপনার মুগ্ধতায় প্রীত হলাম আপা।
আমার জন্য আপনার প্রত্যাশা
আমিন আমিন ছুম্মা আমিন
সন্তানকে স্বঠিকভাবে মানুষ করাটাও বাবা-মা এর দায়িত্ব এর মধ্যে পড়ে। আপনার বাবা দায়িত্ব স্বঠিক ভাবে পালনে সচেষ্ট ছিলেন। আমরা আজ বৃদ্ধাশ্রম গুলোর জন্য ঐ আশ্রমে আশ্রিতদের সন্তানদের দোষারোপ করি। (অবশ্যই তারা দোষী) কিন্তু এর জন্য কি কিছু ব্যাতিক্রম বাদে ঐ আশ্রিত পিতা-মাতা নিজেরাই দায়ী নন। তাঁরা কি সন্তানকে তাকওয়া শিক্ষা দিয়েছেন, কিংবা একটি হাদীস বা কোরানের এওটি আয়াত। অধিকাংশ বাবা-মা নিজেরাই জানেনা সন্তানদের শেখাবে কি?
"রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগীরা"
এমন শিক্ষা যে বাবা মায়েরা দিবেনা, তারা দায়ী নয়ত কি.
অনেক বাবা মায়েরা জানেনা, জানার চেষ্টাও করেনা। তারপর যা হবার তাই হয়.
আমার যখন বয়স ৬ বছর, আমার বাবা তখন বিদেশে পাঁড়ি দিয়েছেন। বুঝ হওয়ার পর থেকে বাবার শূণ্যতা ফিল করতে করতে অনেকটা সয়ে গেছে।
৭বছর বয়স থেকে আমি নানার বাড়িতে ছিলাম, দীর্ঘ ১৬বছর পড়ালিখার যুগে সাপ্তাহে বা মাসে, শেষের দিকে প্রতি ৩ মাসে বাড়িতে যেতাম দুএকদিনের জন্য, দূরে থাকতে থাকতে মন থেকে যেন মায়া, দরদ সব কমে গেছে।
এখন ভয় হয় আমার সন্তানেরাও তো এমন হয়ে যাবে।
আলহামদু লিল্লাহ, এখন বাবা মায়ের খেদমত করতে না পারলেও অন্তত আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছি।
আল্লাহ তায়ালা সবার মা বাবাকে মাফ করে দিক। হায়াতে ত্বাইয়্যেবাহ দিক, মৃত্যুর পর জান্নাতের উচু মাকাম দান করুক। আমীন।
আমার বাবাও ঠিক আমাকে ছোট রেখেই বিদেশ পাড়ি জমান, কিন্তু টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে সন্তান প্রতিপালনে উদাসীন থাকেননি।
নানার বাড়ি হোক, অথবা অন্য কারও বাড়ি, এটা আমি মানতে পারিনা। বাড়িতে থাকার মজাই আলাদা। পরের বাড়ি, বাপের ভিটার চেয়ে আরামের স্থান যে আর হয়না।
ভয়ের কিছু নাই। এখন মায়া মমতা হ্রাস পাওয়ার উর্বর সময়।
আল্লাহ্ আপনাকে আরও করার তাওফীক দিন।
আমিন ছুম্মা আমিন
আমিন আমিন ছুম্মা আমিন
আপনাকেও ধন্যবাদ
"রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগীরা"
আমিন ছুম্মা আমিন
বাবার সন্তানের প্রতি টান থাকবেই, কিন্তু তার সাথে দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করা হলে সর্বনাশ।
আল্লাহ্ আপনার দোয়া কবুল করুন
আমিন ছুম্মা আমিন
খুব সুন্দর বলেছেন। আসলেই তাই।
আপনার দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন।
আমার মুণ্ডু
ইজ ইকুয়াল টু হেড
তো ভাইয়া, আপনার বাবার গল্প শোনাইছেন, এখন আমার বাবার গল্প বলি?
আমি আমার পরম শ্রদ্ধাভাজন জন্মদাতার কথা বলছি,
যিনি এই মায়ার সংসার, বিশ্ব চরাচর থেকে
পরিবার-পরিজনের সকল মায়া-মমতা ত্যাগ করে
মহান সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে-
আজ হতে দুই দশক পূর্বে বিদায় নিয়েছেন।
যেখান থেকে কেউ আর কোনদিন ফিরে আসে না।
সংসার, সন্ততিদের ভবিষ্যত নির্বিঘ্ন করতে
তিনি যা যা প্রয়োজন, না চাইতেই
একজন আদর্শ পিতা হিসেবে সবটুকুন দিয়েছেন।
তিনি আমাদের শিখিয়েছেন সত্য ও ন্যায়ের আদর্শ,
নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষণীয় কতকিছু।
আরো শিখিয়েছেন মানুষের মাঝে ভেদাভেদ ভুলে,
ধনী-নির্ধন তফাৎ না করে, সেবা আর ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে
লোভ-অহংকার আর হিংসা থেকে নিরাপদে থাকতে।
তাঁকে কখনো ছুটতে দেখিনি
অঢেল ধন-সম্পদ, টাকা-কড়ি আর অর্থ-বিত্তের পিছনে।
তবে দেখেছি সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে
হাড়-ভাঙ্গা খাটুনি, রক্ত পানি করা শ্রমলব্ধ অর্থ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে।
মহান প্রভুর বান্দা হিসেবে গড়ে উঠতে শিক্ষা দিয়েছেন।
তাঁর প্রশংসা, কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ এবং
এই জীবনের পরেও যে আরেক জীবন আছে
তা বার বার স্মরণ করিয়ে দিতেন।
আজ আমাদের কাছে অফুরান প্রেরণার উৎস প্রাণপ্রিয় পিতা নেই,
রেখে গেছেন তাঁর অগাধ ভালবাসা আর সুমহান আদর্শ,
সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার অমূল্য নসীহত।
তিনি আমাদের শুধু দিয়েই গেলেন,
আমরা তাঁকে কিছু দিতে পারি নি,
তাঁর জন্যে কিছু করতে পারলাম কই?
তাঁকে কিছুই দেওয়ার আগেই তো মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে গেলেন।
ভাবি আজ তাঁকে যদি আরো কিছু আমাদের মাঝে পেতাম?
তবে আল্লাহ যা করেন তা আমরা ভাল বলেই মানি,
যখন কোথাও যাই, বাবার পরিচয় দিই, অথবা লোকে চিনতে পারে
তখন অবস্থা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না
অমুকের ছেলে তুমি, দেখতে ঠিক বাবার মতো হয়েছো।
আহারে! কতভাল লোক ছিল, তোমার বাবা।
এমন সোনার মানুষ কি আর কয়টা আছে?
মানুষ তো পাগল পারা, তোমার প্রতি যে ভালবাসা ছিল
তা উপচে পড়ে আমাদের জন্যে।
একদিন এই নশ্বর ধরাধাম থেকে সবাইকে বিদায় নিতে হবে।
পরকালে প্রভুর দরবারে হাজির হতে হবে।
হিসাব-নিকাশের দিবস বড়ই কঠিন!
এ সত্যটা যথাযথভাবে মানুষ মানলে কি আর অমানুষের কাজ করতে পারে?
ওগো দয়াময় প্রভু জগতের অধিপতি,
জানি না পরম শ্রদ্ধেয় বাবা আমার কেমন আছেন?
অন্ধকার এই মাটির কবরে।
হে প্রভু! তাঁর ইহকালীন সমস্ত গুনাহকে তুমি
রহমানের নামের উছিলায় ক্ষমা করে দাও।
আমরা তাঁর সন্তানেরা আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান বানিয়ে নাও।
===
আপনাকে দেখে মাটির মানুষ মনে হয়। বাস্তবিকই আপনি এমন কিনা? ।
আপনার বর্ণনা শুনে মনে হয়, একজন মুমিনের যেমন বাবা থাকা উচিৎ, আপনার বাবা ঠিক তেমনি। আলহামদুলিল্লাহ্।
আজ যেমন করে বাবার প্রশংসায় পঞ্ছমুখ হয়েছেন, নিজেকে করে নিন আপনার বাবারই কার্বন কপি, তাহলে একদিন আপনার তিনটাও আপনাকে নিয়ে এমন প্রশংসা করবে।
দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে আর্থিক তৈফিক দান করে পিতা-মাতাকে খেদমত করার।
বাবার মৃত্যু নিয়ে আপনার লেখাটা সম্ভবত পড়েছি
বাবার প্রতি আপনার আর্থিক শারীরিক খেদমত আল্লাহ্ কবুল করুন। আমিন
আমিন ছুম্মা আমিন
আপনার স্মৃতিচারণ মূলক লিখাটা খুব ভালো লাগলো
মন্তব্য করতে লগইন করুন