Not Listeningবাঙালি সংস্কৃতির জগাখিচুড়ি দশা (রিপোস্ট)Not Listening

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:৫০:১১ বিকাল



দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ, গানে গানে ডাকছে গায়ক, ‘মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে, বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে, ললনারা হেঁটে যায়, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে’। তবে কি বাসন্তী সাজে ললনাদের দেখতেই মেলায় যাওয়া? নয়ত কি! গায়ক যে এই জন্যই ডাকছেন! আপনি যদি মুমিন হয়ে থাকেন, তবে থামেন, সামনে আর এক পা এগোবেন, শত সাধনায় পাকাপোক্ত ইমানের বারোটা বেজে যাবে! বাঙালি সংস্কৃতি লালন-পালন আমাদের সকলের জন্য, কিন্তু সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতিতে মিশে যাওয়া সকলের জন্য নয়!



পহেলা বৈশাখ উদযাপন শালীনভাবেও করা যায়, তবুও বেশামাল হয়ে যাওয়া কেন? নতুন বছরের প্রথম প্রহরে সাজুন নতুন সাজে কিন্তু অশালীন পোশাকে কেন? বেরায়ে আসুন পরস্পরের বাড়িতে, কিন্তু দেহ প্রদর্শনে লোক সমাগমে কেন? বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে হোক দিনভর আলাপ-আলোচনা, কৌতুক, অশ্লীলতামুক্ত নাটক প্রদর্শনী, কিন্তু বৈশাখের অনুষ্ঠানে হলিউড বলিউডের ধুম ধারাক্কা ড্যান্স কেন?

বাজার থেকে ইলিশ মাছ কিনে ঘরে আগের রাতে ভাতে পানি দিয়ে সকালে পান্তা করে নিজেও খান, পাড়া পড়শীকেও ডেকে খাওয়ান, কিন্তু দল বেধে নারী পুরুষ নির্বিশেষে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে জনসমাগমে পান্তা ঈলিশ খাওয়ার ধুম কেন?



পরিবারের সবাই মিলে ঘুরে আসুন বাহিরে, কোন দর্শনীয় স্থান ঘুরে উপভোগ করুন নতুন বছরটাকে, কিন্তু বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড অথবা অন্যের বউকে বগলদাবা করে অবাধ যৌনাচারে মিশে যাওয়া কেন? বোরখা পরেন, পর্দার উদ্দেশ্যে অথবা আধা আধি পালন করেন বলে, বৈশাখের দিনেও তাই পরে ঘুরেন, কিন্তু বোরখা খসে গায়ে চড়ে বাসন্তী শাড়ী, যাতে থাকে ঘাড়-কোমর-পেট অনাবৃত, যে চুল এতোদিন কেউ দেখি নি, আজ উদাম করে কেন সবাইকে দেখিয়ে বেড়াবেন?



এই যদি হয় বাঙালি সংস্কৃতি, তাহলে তা উদযাপন করার আগে বার কয়েক ভেবে দেখা উচিত নয় কি? এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা স্বল্প সময়ে অধিক হারে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে পোশাকী পণ্যে আনে নিত্য-নতুন ডিজাইন এবং লোভনীয় কিন্তু দামে সস্তা সব অফার। প্রভূদের দখলে থাকা মিডিয়াগুলোর বাংলা সংস্কৃতিতে অন্য সব সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটিয়ে চটকদার করে উপস্থাপন, যা রূপ নিয়েছে জগাখিচুড়িতে। তাই দেদারসে সবাই গিলছে, জিনিসটার গুনগত মান কেউ যাচাই-বাছাই করে কেউই দেখছে না!



সমালোচনার জন্যই সমালোচনা নয়! বাস্তব অভিজ্ঞতালব্দ জ্ঞান থেকেই করছি সমালোচনা। এইসব অনাচার নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি করে যে প্রতিষ্ঠান, যার গা ছুঁয়ে আছে বৈশাখের প্রাণ কেন্দ্র রমনার বটমূল, সে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হওয়ার সুবাদে অভিজ্ঞতার ঝোলা বেশ ভারী। কেন বলছি, বাংলা সংস্কৃতির জগাখিচুড়ি অবস্থা, একবার এসে ঘুরে গেলে বুঝতে পারবেন।



রমনার বটমূল, চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা, টি এস সি, হাকিম চত্বর, মল চত্বরে উপভোগ করেছি অনেক কনসার্ট, দেখেছি বৈশাখের সাজে কপোত-কপোতি আর চাতক-চাতকীদের মিলন মেলা, সংস্কৃতিত্র নামে অপসংস্কৃতির নগ্ন রূপ! আমার ধারণা, বৈশাখ নিয়ে যারা আদিখ্যেতা দেখায়, তাদের অধিকাংশই বাঙালি সংস্কৃতির আসল রূপ জানে না। বৈশাখ মানেই বুঝে, ছেলেদের গায়ে শোভা পাবে ফতুয়া পাঞ্জাবী, মেয়েদের গায়ে বাসন্তী শাড়ী, আর পান্তা ইলিশ। সংস্কৃতির প্রতি সাঙ্ঘাতিক দরদ, অথচ বাংলা বার মাসের নাম বলতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়!



সারা বছর শার্ট, গেঞ্জি, ছেঁড়া জিন্সের প্যান্টে স্টাইল খোঁজে। মেয়েদের পরনে শোভা পায় টাইট ফিট জিন্স, টি শার্ট, স্কার্ট, টপ, মাছাক্কালি, পাখি ইত্যাদি ড্রেস, অথচ একদিন শাড়ী-লুঙ্গী-ফতুয়া পরে বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে কি ভন্ডামী! যে পান্তা ভাত গরীবের খাবার বলে মুখে তোলার অযোগ্য মনে করা হয়, একদিন তা খেয়ে বাঙালি হওয়া ভন্ডামী নয়ত কি!



ইসলাম কি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তরায়? এ বিষয়ে তর্ক বিতর্ক তখনই হয়, যখন বাঙ্গালি সংস্কৃতি পালন করতে গিয়ে ইসলামের অবশ্য পালনীয় বিধি-নিষেধগুলো হুমকির মুখে পড়ে যায়। এ দিন অনেক ধার্মিক লোকও নিজের অজান্তেই পাপ কাজে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

প্রত্যেকটি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, বাঙালিরও থাকবে স্বাভাবিক। কিন্তু ইসলাম যদি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তরায় না হয়, তাহলে তার অনুসারীরা মেলায় বোমা হামলা করে কেন? তাদের ভয়ে মেলা প্রাঙ্গন নিরাপত্তা বলয় দ্বারা ঘিরে ফেলা হয় কেন?

ইসলাম বিরোধীরা এমন প্রশ্নই করে থাকে, উদ্দেশ্য ইসলাম কে বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো। একটা জিনিস পরিষ্কার হওয়ার দরকার। বাঙালি সংস্কৃতি পালন করেছে এই জন্যই কি হামলা হয়েছে? নাকি বাংলা সংস্কৃতির নামে ইসলামে অন্যায় বলে স্বীকৃতি কাজ, যেমন মূর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা, যা ১৯৮৯সালের আগে ছিল না। সে জন্য হামলা হয়েছে?



মূর্তি নিয়ে নাচানাচি হিন্দুদের কাজ! তারপর নাচ, গান, বেপর্দায় নারীদের অবাধ বিচরণ, গায়ে মুখে উল্কি আঁকা ইত্যাদি কারণেই হামলা হয়েছে? শেষোক্ত কারণেই হামলা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাঙ্গালী সংস্কৃতির পালনের কারণে নয় নয় নয় নয় নয়!!!!!! এইসব ব্যতিত বৈশাখ পালন হোক, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বোমা হামলাতো দূরে থাক, হামলার কথা কারও মনে গুণাক্ষরেও আসবে না।



ইসলামের পদযাত্রা শুরু হয় কাবা ঘরে তিনশত ষাটটি মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে, আর সেই ইসলামের অনুসারীরাই নববর্ষের প্রথম প্রহরে পশু পাখি, মাছ, অদ্ভূত সব প্রাণীর মূর্তী বানিয়ে তা মাথায় করে মঙ্গল শোভাযত্রায় বের হয়! মঙ্গল কার কাছে চাওয়া হয় আমার কাছে তা বোধগম নয়! যদি আল্লাহর কাছে চাইতো, তাহলে মাথায় মূর্তি চড়তনা।

তবে কি মাথায় চড়া মূর্তীর গুলোর কাছেই কামনাকরে মঙ্গল? তাহলে তো তা সন্দেহাতীতভাবে শিরক। শিরকের অনেক গুলো প্রকারের মধ্যে একটি হল, আল্লাহ্‌কে সব কিছুর একক ক্ষমতার অধিকারী জেনেও সফলতা ব্যর্থতার জন্য অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুর উপর নির্ভর করা। যা একজন মুসলমান মুমিন বান্দা কোনোভাবেই করতে পারেন না! তার নামাজ পড়তে পড়তে কপাল ক্ষয় করে ফেলা, রোজা, হজ্ব জাকাত, দান খয়রাত কোন কাজেই আসবে না! কেননা সব গোনাহের ক্ষমা আল্লাহর কাছে পাওয়া যায় কিন্তু শিরকের গোনাহ মাপ পাওয়া যায় না। আল্লাহ্‌ বলেছেন, ‘শিরক হচ্ছে সব চেয়ে বড় গোনাহ’।

অনেক কথাই শোনালাম, এখন আমার আপনার করণীয় কী?

পান্তা ইলিশ খান, নতুন জামা পরিধান করে বেড়াতে যান কিন্তু অশ্লীলতার দ্বারে কাছেও যাওয়া যাবেনা! আবার ‘নন্দলাল’ হয়েও ঘরে চুপটি মেরে বসে থাকা যাবে না। আমার লিখাটি দিবস কেন্দ্রিক, গত বৈশাখের কয়েক দিন আগে পোস্ট করেছিলাম।আবারও পহেলা বৈশাখের বেশ কিছু দিন আগেই পোস্ট করছি এই জন্য যে, যাতে আপনি আপনার কাছের মানুষদের নিকট ভালো মন্দ, সংস্কৃতি এবং অপসংস্কৃতির স্বরূপ তুলে ধরতে পারেন। আনন্দের নামে নিকট জনের বিপথে গমনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। নিজে বাঁচতে পারেন এবং পারেন অন্যকেও বিপথে গমন থেকে বাঁচাতে।

প্রভূর দরবারে ফরিয়াদ, তিনি আমাদের হক এবং বাতিলের মাঝে তফাৎ করে তদানুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করেন।



বিষয়: বিবিধ

১৫২৪ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

364914
০৭ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি যেদিন প্রথম এই হাদিসটা পড়েছিলাম যে, কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন হল, "মুসলিমদের মধ্যকার কিছু লোক মূর্তিপূজায় লিপ্ত হবে" আমি খুব অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে, মুসলিমরা মূর্তিপূজায় লিপ্ত হবে এটা কিভাবে সম্ভব!! উত্তর পেতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। যখন আব্বু-আম্মুর ঘরে ঢুকলাম দেখলাম, টিভিতে একটা ভারতীয় সিরিয়াল চলছে। সিরিয়ালের নায়িকা ভক্তির সাথে মূর্তিপূজা করছে, শাখ বাজাচ্ছে সেই দৃশ্য মা-বাবা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছে অর্থাৎ এভাবে প্রতিটি মুসলিম ঘরেই পরোক্ষভাবে মূর্তিপূজা হচ্ছে। এসব দেখতে দেখতে মূর্তিপূজার প্রতি আমাদের একটা সহানুভূতি তৈরী হয়ে গেছে যদিও আমরা সরাসরি এ কাজে এখনো নিজেরা হাত লাগাচ্ছিনা তবে আচিরেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এসে হয়ত তা কাজে পরিণত করবে। যেমন: আমাদের বাসার ভাড়াটিয়া পিচ্চি মেয়ে তৃষা তার একটা ঘটনা। সকাল বেলা উঠেই সে তার মাকে প্রশ্ন করছে, আচ্ছা আম্মু, তুমি সকালে উঠে পূজা করনা কেন? ওর মা একটু অবাক হয়ে বলল, পূজা করব কেন? তৃষা জবাবে বলল, ঐযে সিরিয়ালে যে দেখায় সকালে উঠে পূজা করতে হয়, তুমি করনা কেন? ওর মা জবাব দিল, নাহ মা! ওরাতো হিন্দু তাই পূজা করে আমরা তো মুসলমান কেন পূজা করব??
ঘটনা ২. পরেরদিন পহেলা বৈশাখ। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হবে, এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশেষ চমক। প্রথম আলো মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বিশাল একটা সংবাদ ছাপিয়েছে। ছোটদের কাছ থেকে মঙ্গলশোভাযাত্রার ব্যাপারে মতামত নিয়েছে।
সাংবাদিকের প্রশ্ন: মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেন যাবে?
ছোট একটা ছেলের উত্তর: আম্মু বলেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় গেলে আমার এবছরের যাবতীয় অমঙ্গল দূর হবে। এবছর আমার ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষা, আমি পরীক্ষায় বৃত্তি পাব আমার জীবনের আশাগুলো পুরণ হবে।
ঘটনা ৩: পহেলা বৈশাখের দিন। সাংবাদিকেরা সবাই মঙ্গল শোভাযাত্রার মাঝে দাড়িয়ে আছে মানুষের কাছ থেকে অনুভূতি জানতে চাইছে, টিভিতে চলছে লাইভ টেলিকাষ্ট।
সাংবাদিক বলছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালির এক সার্বজনীন মহা উৎসব। এবারের প্রধান আকর্ষণ পেঁচার মুখোশ যা দুর করবে বাঙ্গালির সকল অমঙ্গল, ধ্বংশ করবে সাম্প্রদায়িকতার কালো ছায়া।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন: আমার উম্মতের মধ্যে যখন একবার তরবারী চালিত হবে, তখন আর তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ হবে না। আর ক্বিয়ামত সেই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে না, যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মুশরিকদের সাথে মিশে যাবে এবং যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মূর্তি বা স্থানপূজা করবে। অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মাঝে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব ঘটবে, যাদের প্রত্যেকেই আল্লাহর নবী হওয়ার দাবী করবে। অথচ বাস্তব কথা এই যে, ‘আমিই শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবী নেই’। আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল চিরকাল সত্যের উপরে অবিচল থাকবে। বিরোধিতাকারীগণ তাদের কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। এমতাবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে’।(আবু দাঊদ, তিরমিযী , সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৫৪০৬ ,বঙ্গানুবাদ মেশকাত হা/৫১৭৩)
০৭ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫০
302738
শেখের পোলা লিখেছেন : আসুন, আমরা যার যার নিজের ঘরে আশেপাশের লোকদের সচেতন করি৷ ভ্রান্তিগুলো দূর করার চেষ্টা করি৷ ধন্যবাদ৷
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:২৭
302739
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপু, আপনার এই কমেন্টটি পোষ্ট আকারে দিলে হয়তো অনেকের কাজে আসবে। শুকরিয়া।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৪৩
302741
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওই মি. / মিসেস, এত বড় কমেন্ট! আবু জান্নাত বলেছে, এটা পোস্ট আকারে দিতে, দিয়ে দিবেন।
আগে বাচ্চাদের এমন উদ্ভট প্রশ্নে বাবা মায়েরা বিস্মিত হত, এবং এটাই তাদের উক্ত কাজ পরিহারের কারণ হত। এখন বাবা মায়েরা শুনে হাসে, ভাবে, যাক বাপকা বেটা মাকা বেটি, ধর্মীয় গোড়ামি নেই।
ধন্যবাদ নেবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৫৬
302745
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম! আসলেই বড় হয়ে গিয়েছে Yawn কিন্তু এই লেখা পোস্ট করতে গেলে তো হবেনা। এটা তেমন ভাল মানের লেখা না। ভাইয়ারা আপনারা কেউ এটার পোস্ট দিয়ে দিতে পারেন। তাছাড়া মোবাইল দিয়ে এত সাজানো যায়না। আর বানানও ভুল হয়।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:০৮
302747
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : দায়িত্বটা আবু জান্নাত নিয়ে নিক।
মোবাইলে আসলেই পোস্ট দেওয়া যায়না। সহানুভূতি রইল আপনার প্রতি। আহারে আহা আহা! আমি নিজেও মোবাইলে খুডুর খাডুর করি।
364918
০৭ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
শেখের পোলা লিখেছেন : সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ আলোচণা৷ কিন্তু যেখানে স্বয়ং রাষ্ট্রক্ষমতা এই অপসংষ্কৃতির পৃষ্ঠপোষক সেখানে আমরা কতখানি অসহায়! আল্লাহ এই খোঁটাটি আমাদের উপড়ে ফেলার হিম্মত দাও৷আমাদের শুধুই তোমার পথে চলার সুযোগ করে দাও৷
আপনাকে ধন্যবাদ৷
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৪৮
302742
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সঠিক উপলব্ধি করেছেন।
হ্যাঁ, সে জন্য অনেক কিছুই আমরা করতে পারিনা. কিন্তু পারি আমি আমাকে
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৫৪
302743
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সঠিক উপলব্ধি করেছেন।
হ্যাঁ, সে জন্য অনেক কিছুই আমরা করতে পারিনা. কিন্তু পারি আমি আমাকে পরিবারকে বিরত রাখতে।
যেখানে সম্মিলিত ভাবে কিছু করার সুযোগ নেই, সেখানে ব্যক্তি আমাকে স্ট্রাগল করতে হবে।

এই জন্যই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ইসলাম পন্থিদের যাওয়ার দরকার। কিন্তু আমি যে আমাকে চার দেয়ালের ভিতর ইবাদত বন্দেগিতে সীমাবদ্ধ রাখতেই পছন্দ করি।
আমিন আমিন
আপনাকেও ধন্যবাদ
364923
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:২৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বৈশাখি সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করলেন, সকল মুসলমানকে নিজেদের ঈমান সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। সুন্দর পোষ্ট, অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:০৪
302746
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাকুম আসসালাম।
আপনার লেখা দেইখা আমারও লেহনের স্বাদ জাইগল, কিন্তু এক বিষয় বারবার লেখতে মুনছায় না, তাই আগের লেখাটাই দি দিলাম আরকি।
দরকার দরকার দরকার। বেশি বেশি দরকার।
মূল্যায়ন করলে ধন্যবাদ দিতে হয়। ধন্যবাদ কেমন! ভদ্রতা আরকি।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:২৬
302748
আবু জান্নাত লিখেছেন : Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised Surprised সম্মান করলেন নাকি মশকারি করলেন! কিছুই বুঝলাম না। :Thinking :Thinking :Thinking
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৩১
302749
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : দুটোই। আমি সবসময় মানুষকে সম্মান করতে পারিনা
মাঝে মাঝে একটু টিপ্পনি না কাটলে ভাল্লাগেনা।
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৪২
302750
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার টিট্টনি আমার কাছে সম্মানের চেয়ে বেশি মনে হয়। গাজী/পাজি বলে কথা। Good Luck Good Luck Good Luck
364932
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:৩৪
তট রেখা লিখেছেন : আমাদের আবহমান কালের কৃষ্টি বা সংস্কৃতিতে বর্ষ-বরণের এই রীতি কখনোই ছিলোনা। ছেলেবেলায় পহেলা বৈশাখের যে রূপটি চোখে ভাসে তা হলো হালখাতা, আর তা ছিলো নিতান্তই ব্যাবসা কেন্দ্রিক। বর্তমান পহেলা বৈশাখের যে রূপ তা এসেছে স্পেইন এবং ল্যাটিন আমেরিকার একটি প্যাগান কালচার থেকে, আর তা হলো কার্নিভাল।
মঙ্গল শোভা যাত্রা অ-মঙ্গল দূর করবে এটা সম্পূর্ণ রূপে শির্ক। সচেতন মুসলমান মাত্রই জানে শির্কের গোণাহ কতটা ভয়াবহ।
০৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:০৫
302768
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ছিল কি ছিলনা, এই নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। সবাই চোখ বন্ধ করে অনুকরণ করবে, যা কিছু নতুন হয়ে সামনে আসবে। এটাই এখন টেন্ডেনসি হয়ে গেছে।
ছোট বেলায় আমরাও এগুলো দেখেছি। আসলেই এমন অনাচার কিছু কাল আগেও ছিলনা।
ল্যাটিন কার্নিভাল থেকে এর আগমন, বিষয়টি আজ কেবল জানলাম. তাহলে এমন বেহায়াপনা হওয়াই প্রত্যাশিত।
যথার্থ বলেছেন, এটা শিরক. তাইলে বিরত থাকতেই হবে।
364942
০৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:২৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু সুহৃদ ছোট ভাইয়া। জ্ঞানগর্ভ একটি লিখাসহ চমৎকার উপস্থাপনা মাশাআল্লাহ্‌।

এতো সুন্দর করে লিখে কি করনীয় এবং কি বর্জনীয়সহ সচেতন করার যে মহৎ প্রচেষ্টা তা যেন সর্বশক্তিমান কবুল করেন। সেইসাথে আপনার প্রার্থনায় আমীন।
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৩৮
302993
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম....
আপা, মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি হয়ে গেল। সরি!
চমৎকার মূল্যায়ন। যদিও এমন মূল্যায়ন পাওয়ার যোগ্য আমি নই, কখনো ছিলামও না।
আমিন ছুম্মা আমিন
365024
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৩:৫২
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : মাশাআল্লাহ চমত্কার পোষ্ট।
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৩৪
302992
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সুন্দর মূল্যায়নের জন্য শুকরিয়া।
কত্তো দিন পর ব্লগে এলেন! এইবার নিয়মিত হোন। আপনারা পুরোনো রা নেই ব্লগের নাকাল অবস্থা।
০৪ মে ২০১৬ বিকাল ০৪:০৬
305347
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : আপনারা লিখুন আমি শুধু পড়ব , লিখব না,লিখার যে সময় নাই।
365069
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:২০
আফরা লিখেছেন : মানুষেরে চোর-চুন্নী কয় নিজে আবার রিপোষ্ট ও চুরি নিজের লিখা হলেও ------
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৬
302908
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : নিজের জিনিস নিজে খাইলে ধরলে করলে আছাইরা ভর্তা বানাইয়া খাইলেও তা চুরি হয়না!!!!!
365184
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:২১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : যদি কোন মুসলিম পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যায়, অথবা যাওয়ার ব্যাপারে অন্যকে উৎসাহিত করে, অথবা অর্থায়ন করে এই অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা করে এরা মুনাফিক হিসেবে গন্য হবে। এদের ঈমান নিয়ে সন্দিহান।
১০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৪০
302994
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন.
প্রিয় ভাই, মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা নেবেন।
365316
১১ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৫২
হতভাগা লিখেছেন : এতদ অন্চলের সংষ্কৃতির সিংহভাগই হিন্দুয়ানী সংষ্কৃতি যার সবটুকুই শিরক্‌ । কিন্তু বাংলাদেশীরা এ থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না কিছুতেই , কারণ এদেশের প্রায় ৯০% মুসলমান নাম কওয়াস্তে মুসলমান ।

এরা হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবে মজা করে




আবার হিন্দুদের পূঁজা দেখতেও যায় বেশ আগ্রহ নিয়ে




এসবকে অসাম্প্রদায়িক + উদারমনার পরিচায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় । তবে এটাতে যে ঈমান আর থাকে না সেটা বোঝার ক্ষমতা আমাদের মুসলমানদের নেই । কারণ শয়তান এসব কাজকে শোভন হিসেবে আমাদের কাছে তুলে ধরছে এবং বারংবার এরকম নাফরমানী কাজ করার ফলে আল্লাহ আমাদের মোহর মেরে দিচ্ছেন।

তাই ১ লা বোশেখ পান্তা-ইলিশ খাওয়ার লোকের অভাব হবে না । বাঙ্গালীত্ব রক্ষা বলে কথা !!

লৌহজং এ এক হালি ইলিশের দাম ৪২০০০ টাকা উঠেছে । কেনার লোকের কি অভাব হবে ?
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2016/04/10/331164


এসব অপচয় মূলক কাজ ইসলাম মোটেও পছন্দ করে না । তারপরও আমরা বাংলাদেশী বাংআলী মুসলমানেরা তা করছি হুলস্থুলভাবে - যেটা হিন্দুয়ানী কালচার।
১৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:০২
303257
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এদেশের প্রায় ৯০% মুসলমান নাম কওয়াস্তে মুসলমান
শতভাগ সহমত।
১০
368921
১৩ মে ২০১৬ সকাল ০৯:১৯
টাংসু ফকীর লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File