‘সেলফী তোলা মানুসিক রোগ’, ‘আর আবেগীদের অকারণ ছবি পোস্ট করা কি প্রদর্শনেচ্ছা নয়’? এমন প্রশ্ন করায় আমি আনফ্রেন্ড!
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৪২:৫৩ বিকাল
সেলফী আর ছবি তোলার মধ্যে কি খুব বেশি পার্থক্য আছে? দুটোই তো প্রদর্শনের জন্য। তাহলে যারা ছবি তুলে ফেসবুক গরম করেন, আবার তারাই সেলফী ওয়ালাদের একহাত নেন কেন? তাদের বুঝি প্রদর্শন করার স্বাদ জাগেনা?
যারা সেলফিকে ঘৃণার চোখে দেখে, বিরূপ মন্তব্য করে, তাদের প্রোফাইল এবং টাইমলাইনে চোখ বুলিয়ে নিলাম। যা দেখলাম, তাতে করে এই কথটাই শুধু বলতে পারি, দুই ক্যাটাগরির লোক একই নায়ের মাঝি।
আমি তো বেশি কিছু বলিনি। একজন স্ট্যাটাস দিলেন, ‘যারা সেলফী তুলবে আর ঘন ঘন স্ট্যাটাস দিবে, তাদের সাথে সাথে আনফ্রেন্ড করা হবে। কেননা যারা সেলফী তুলে পোস্ট করে তারা মানুসিক...
আমি তখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেই, যারা বেশি বেশি সেলফী তুলে, তারা মানুসিক রোগী হলে, যারা বেশি বেশি ছবি পোস্ট করে, তারা তাহলে কি? প্রদর্শনেচ্ছার রোগে আক্রান্ত নয় কি?
বাস, কিছু পরেই আমাকে আনফ্রেন্ড করা হল! আমি আর রিকোয়েস্ট পাঠাইনি।
আমার কণ্ঠে আক্ষেপ ঝরে পড়ে। কেউ সেলফী আর বেশি বেশি ছবি তোলার কারণে আনফ্রেন্ড হয়, আর আমি প্রোফাইলে কিংবা টাইমলাইনে নিজের কোন ছবি না রেখেও আনফ্রেন্ড হলাম! আর সেলফী তো দূরের কথা।
এও বলেছি, কি হবে ফেসবুক বন্ধুতা দিয়ে, যখন বন্ধুতা, পরিচয়ের শুরুটা ফেসবুক দিয়ে হয়নি? যদি কখনো সরাসরি দেখা হয়, সেদিন আমাকে চিনতে পারলেই ধন্য হব।
পরে হয়তো কারো কাছে আমার সম্পর্কে জেনেছে, এবং পুনরায় রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন।
বলেন দেখি, কেন এত ছবি তুলতে হবে, কেনইবা তা ফেসবুকে দিতে হবে?
হাতে মোবাইল থাকলেই ছবি উঠাতে হবে? এর বুঝি আর কোন সদ্ব্যবহার করা যায়না?
আপনি হয়তো বলবেন। প্রিয়জন থেকে অনেক দূরে থাকেন তাই তাদেরকে দেখার এবং দেখানোর প্রবল ইচ্ছা থেকেই ছবি পোস্ট করে থাকেন। কিন্তু তাই বলে পোস্ট করতে হবে কেন? আপনার ছবি ইনবক্সে দিতে পারেন! তাদের ছবি আপনাকে ইনবক্স করতে পারে! ইনবক্স করতে তো আর টাকা লাগছেনা!
আপনারা অনেক বন্ধু এক জায়গায় মিলেছেন, তাই একটা গ্রুপ ছবি না হলেই যে নয়। তুললেন ভাল কথা, নিজেরা নিজেরা দেখেন, কিন্তু তা সারা বিশ্বকে দেখানোর কি আছে? এইভাবে দেখালে বুঝি আন্তরিকতা বাড়ে? আগে বুঝি আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল?
জানেন, এখন বন্ধুর সংখ্যা বাড়ছে ঠিক, কিন্তু পরস্পরের প্রতি আন্তরিকতা ততটাই কমে যাচ্ছে।
যাক, আমার কথা ছিল ছবি তোলা আর সেলফী নিয়ে। যে যত পারেন, তুলেন, দেখান, নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান, কিন্তু আপনার সাচ্চা মুমিন হওয়ার পথে বিষয়গুলো কতটা সহায়ক অথবা প্রতিবন্ধক, সে ব্যাপারটাও বিশ্লেষণ করে দেখবেন আশা করি।
অনেকেই আমার প্রতি রুষ্ট হবেন, যারা বেশি বেশি তোলা এবং পোস্ট করার বিষয়ে কোন অসুবিধা নেই বলে মনে করেন। আমার পর্যবেক্ষণ বলছে, জিনিসটা প্রদর্শনেচ্ছার অংশ।
আপনার কাছে তা নাও মনে হতে পারে। তবে মনে হওয়া আর না হওয়ার চেয়ে বড় কথা হল, আমি যা করছি, তা কি ঠিক নাকি বেঠিক, তা একটু ভেবে নিয়ে সে বিষয়টা গ্রহণ করা অথবা বর্জন করাই সমীচীন হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৯৬ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরে আবার রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে না
রিকোয়েস্ট দেখে পাজি থুক্কু গাজী ভাইয়ের মন ভালো হয়ে গেছেগা
আমাদেরই সমমনা।
আসলেই লজিক নাই। থাকলে লজিকেই যেত, ঘেচাং করে আনফ্রেন্ড করতনা।
তবে একবার এক ললনাকে আমার বউ আছে, এমন মিথ্যা বলে নিস্তার পাইছি। আল্লাহ্ মাপ করুন।
ট্যাগ জিনিসটা আমার কাছে মহা বিরক্তিকর। অপশনটি বন্ধ করে রাখছি. ট্যাগ করে অনেকেই আমার বকা খেয়েছে।
লাইক কমেন্টের দিকে নজর চলে গেলে লেখার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
@ ঘুম কর্মী
ওই, ছাইরগা গুড়া করি লাউম।
আমি পাজি হইলে আম্নে। বিয়ার সময় ডালমুনি। কয়ডা টেহাও দিমুনি।
@ মলিন হাইনজালা ওয়াক্ত
আমাদেরই সমমনা।
আসলেই লজিক নাই। থাকলে লজিকেই যেত, ঘেচাং করে আনফ্রেন্ড করতনা।
তবে একবার এক ললনাকে আমার বউ আছে, এমন মিথ্যা বলে নিস্তার পাইছি। আল্লাহ্ মাপ করুন।
ট্যাগ জিনিসটা আমার কাছে মহা বিরক্তিকর। অপশনটি বন্ধ করে রাখছি. ট্যাগ করে অনেকেই আমার বকা খেয়েছে।
লাইক কমেন্টের দিকে নজর চলে গেলে লেখার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
@ ঘুম কর্মী
ওই, ছাইরগা গুড়া করি লাউম।
আমি পাজি হইলে আম্নে। বিয়ার সময় ডালমুনি। কয়ডা টেহাও দিমুনি।
@ মলিন হাইনজালা ওয়াক্ত
আম্নে কাজী
সন্ধার সাথে মায়ের কোল থেকেই পরিচিত। তবে যদি ব্লগিয় মহাইনজালার কথা বলেন, তবে বলব, চিনিনা।
উনি আমারে খালি ইট মারি, আর বুঝেন তো, ত্যাগড়া বয়স, তাই পাটকেল মারতে একটুও ভাবিনা।
খেয়াল করে দেখেন, উনি সারাক্ষণ ভেটকি মেরে থাকেন, যা আমার সহ্য হয়না, তাই ...
ভাললাগা অব্যাহত রাখুন।
আপনাকেও ধন্যবাদ
"সেলফি তোলা একটি শ্রেষ্ঠ আর্ট।
যত বেশি তোলা যায় তত স্মার্ট!"
দোষ আমার উপর এসে পড়েছে।
তাই কিছু কথা না বললেই যে নয়।
@ প্রিয় কবি
@ ওই ভেটকি বন্ধ করেন, গা জ্বালা করে
চুলে থাকে ববকার্ট
সেলফি তুলতে তারাই স্মার্ট।
ধন্যবাদ নেবেন কিন্তু। আর হ্যাঁ, আমার কম্পিউটার লাগবেনা
মোটর সাইকেলে বাদুর ঝোলা
ওদের খারাপ স্বভাব হলো
মুখ ভেংচিয়ে ছবি তোলা।
আপনার বুঝি হিংসা হয়??
হিংসার সাথে অকল্যাণ কামনার বিষয় থাকে। আমিতো তাদের মঙ্গলের জন্য বলি। কাগজটিতে তারা প্রফূলতা বোধ করে বিধায় আমার কথাগুলো শুনতে অড লাগবে। এই যা।
আর হ্যাঁ, আমার চেহারা আল্লাহ্ খারাপ দেননি, ওইসব বাতিক থেকে আল্লাহ্ আমায় মুক্তি করেছেন।
আমার বেটারে দেখলে এত্ত গা জ্বলে কেন
নিজেতো কইত্তন কইত্তন টুফাইয়া লটকাইয়া থুন:
টুফানি বাদ দিয়া, নিজের বেটা বেটির ওজ্ঞা ঝুলান
দেহুইন যে, জ্বালা পুড়া বন্দ হই
দিলে শান্তি লাগবো
কেডা কইছে টোকায় টোকাই ঝুলাইতে! এইডি সব আমার হুদ্দর হোলাইন।
ওসব না করে বাক্কা কাম করেছেন।
ও, আপনি কিন্তু চাচা নয়, আমাদের শেখ ভাই।
আমিও মাঝে মাঝে সেলফি তুলি, সাথে সাথে উম্মে জান্নাতকে হোয়াটসএ্যাপে সেন্ড করি। উম্মে জান্নাত ও তাই করে। হা হা
আপনি আর জান্নাত যা করছেন, তাতেতো কোন সমস্যা দেখছিনা। কিন্তু যখন তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন, সমস্যাটাতো তখন।
তবে উনাকে গ্রুপ ছবিগুলো দেখানো থেকে থাকাই আমার উত্তম মনে হচ্ছে।
আর হ্যাঁ, পেছনে কি ছিলেন, কেমন ছিলেন, কিভাবে ছিলেন, এইসব গুরুত্ব বহন করেনা, বরং এখন কি, তাই গুরুত্বপূর্ণ।
আমার দোষ কোথায়?
আপনিও চাইলে পারবেন, খুব কঠিন কিছু তো নয়।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
যদি তাই হয়, তাহলে আল্লাহকে শুকরিয়া জানাই। আলহামদুলিল্লাহ্।
আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন
আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন।
ভাগ্য ভালো ব্লক মারে নাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন