প্রিয় স্থান প্রিয় ভ্রমণ
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৫ মার্চ, ২০১৬, ০৮:২৮:৫০ রাত
জীবনের একটা লম্বা সময় অতিবাহিত করার পর সে স্থান ছেড়ে চলে আসি দূরে। তারপর অসংখ্যবার গিয়েছি। থেকেছি। যাওয়ার সুতীব্র টান একটুও কমেনি কখনো। বারবার একই জায়গায় ভ্রমণে একঘেয়েমিও পেয়ে বসেনি। নেই দেখার মত কিছু, তবুও আছে অনেক কিছু। পুরনো ঘর, কাঠের থাম্বায় সারাক্ষণ গুণ পোকার কড়কড়ানি। টিকটিকির ঠিক ঠিক শব্দ। মেঝেতে অসংখ্য ইঁদুরের গর্ত। হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ পা দেবে কখনো কখনো। টিনের চালে অসংখ্য ফুটো। মধ্য রাতে বৃষ্টির পানিতে গোসল হয়েছে বহুবার। ঘরের চার পাশে গরিবিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। সেখানেই ঘুরে আসতে অধীর হয় মন বারে বারে।
ঘরটার উপরে বিশাল এক আম গাছ। বান-তুফান আসলে চালে আম পড়ে দুম্মুর দুম্মুর। কত রাত আচমকা জেগে উঠেছি গাছের ডাল, আম পড়ার শব্দে। তারপর আম কুঁড়ানোর মজা। টিনের ফুটো দিয়ে পড়া বৃষ্টির পানিতে বিছানা বালিশ ভিজে যেত। তাতেই শুয়ে তৃপ্তির ঘুম! টিনের চালে পড়া শিলা কুঁড়িয়ে ঠোঁটে শীতল স্পর্শ যে মনে রাখার মত।
বিছানা থেকে নেমে কংক্রিকেটে অভ্যস্ত পা যুগল মাটির শীতল স্পর্শ পেয়ে প্রভূর দরবারে কৃতজ্ঞতা জানায়। সেখানকার মাটি, দূষণমুক্ত বায়ু, সুমিষ্ট জল, গাছ গাছালির ছায়াঘেরা সুনিবিড় আবহ ভালোলাগার আবেশে শরীর মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
জীবনে বহু জায়গায় ভ্রমণ করেছি, উচ্ছল আনন্দে মেতেছি। একবারের বেশি দুই অথবা তিনবার গেলেই ভালোলাগায় ভাটা পড়েছে। অথচ সেই জরাজীর্ণ ঘর, গেঁয়ো বাড়িতে অগুনতিবার গিয়েও ভালোবাসা, টান, মায়া এত্তোটুকুন কমেনি! কথায় আছে, ‘প্রত্যেক নতুন জিনিসে স্বাদ থাকে বেশি, পুরনো হয়ে গেলে আর ভালো লাগেনা’। অথচ সেই পুরনো জায়গার প্রাণ আকুল করা ঘ্রাণ আমার সমস্ত সত্তাজুড়ে লেপ্টে আছে।
কত জায়গায় ঘুমিয়েছি কিন্তু ভাঙাচোরা ঘরটায় ঘুমানোর আরাম আর কোথাও পাইনি। কত জায়গায় হরেক স্বাদের খাবার খেয়েছি কিন্তু সেখানকার খাবারের অতুলনীয় স্বাদ আর কোন খাবারে পাইনি। কত লোকের সাথে মিশেছি, করেছি গল্প, কিন্তু সেখানকার মানুষের কথায় যে শ্রুতিমধুরতা রয়েছে, তা আর কারো মুখে শুনিনি। কত লোকের দিকে চেয়ে দৃষ্টি বিনিময় করেছি, কিন্তু সেখানকার চক্ষু শীতল করা-মমতা মাখানো চাহনী আর কারো চোখে দেখিনি। এতসব কারণেই সে জায়গায় ভ্রমণ প্রতিবারই মনে নিয়ে আসে সুখানুভূতি।
একটু অবসর মিললেই মন ছুটে যায় সে জায়গাটায়। ইচ্ছে করে পেট ভরে পান্তা খাই। স্বচ্ছ সাধু পানিতে তৃষ্ণার্ত গলাটা ভিজিয়ে নেই। সুশীতল হাওয়া গায়ে মাখি। সকালের নরম আলোয় স্নান করে দিনটা শুরু করি। পাটিতে গা এলিয়ে হারিয়ে যাই গভীর ঘুমে। ইচ্ছে পূরণের সময়টা যখন এক দুই তিন করে ঘনিয়ে আসে, তখন ব্যস্ততা, রাজ্যের যত কোলাহল ছেড়ে ছুট দেই সে প্রিয় জায়গাটি ভ্রমণে।
একজন মহীয়সী নারী বাস করে সে ঘরটায়। যার হাতের রান্না খাওয়ার জন্য বারবার ছুটে যাওয়া। রান্না তার যেমনই হোক, আন্তরিকতায় মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়না।তাতেই যেন স্বাদ হাজারগুণ বেড়ে যায়। এটা ওটা, কত কি খাওয়াবে, তবুও শেষে বলবে, “কিচ্ছু খাওয়াইতে হাললাম না। আর দুইডা দিন থাইকা যাওন যায়না! থাওনা আর একটা দিন। কিতা তোয়ার হছন্দ, কউ, তাই রান্না কইরাম। না খাওয়্যা গেলে যে কইলজাডা জ্বলে”।
অনেক কিছু খাওয়াতে চায় সাধ্যে যতটুকু পারে। কিন্তু আমি বলি, “আমার বিশেষ কোন পছন্দ নেই। আপনার যা ভালো মনে হয় রান্না করেন। তবে মাংস-পোলাও ইত্যাদি আমার রুচিতে এখন আর ধরেনা, তাই এইসব রান্না না করাই ভালো। আপনি বরং শুঁটকি, পাতা-লতা, শাক-সবজি রান্না করেন, তা দিয়েই পেট ভরে খাওয়া যাবে”। কিন্তু শুনে রুষ্ট হয়। উনি খাওয়াতে চায় কি আর আমি চাই কি!
ভালো মন্দ খেয়ে আসার পর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার শুরু “কবে আইবা, আঁরদো কইলা হুড়ে। খাইতে বইলে খালি তোঁয়ার লাই কইলজা জ্বলে। অফিসেত্তুন ছুডি নেন যাইতন। আইয়্যোনা শুক্কুরবারে”। আমি আর কি বলব, বুঝাবই বা কিভাবে। তবুও বলি, “এইতো আর ক’টা দিন পরেই আসব। আপনারা খেয়ে নেন সব। আমি এখানে ভালোই খাচ্ছি-দাচ্ছি-ঘুমাচ্ছি, বেশ আছি”।
কার মানা কে শোনে। যাওয়ার পর দেখি ফ্রীজে ১৫ দিন, ১ মাস আগের নানান খাবার রেখে দিয়েছে। আমি গেলে খাওয়াবে! বলি, “কেন এগুলো না খেয়ে না খেয়ে রেখে দেন!” উত্তরে “তুমি বুঝবা কি, তোঁয়ারে হালাই আঁর রুয়ে সব খাবার যায়না!”
বিদায় নেয়ার সময় যখন সালাম দিয়ে পা বাড়াই, তখন পিছে পিছে আসতে থাকে। বলি, “আম্নে আর আইয়্যেন না। ঘরে যান”। জবাবে বলে, “এত দিন আছিলা, আঁর কলিজা ঠাণ্ডা আছিল, এখন যাইগগাও দেইক্কা বুক হাহাকার কইত্তেছে। পিছে পিছে গেলে কিতা অইছে। আঁরে কি কেউ দেইক্কা লাইবনি। যত্তন না তুঁই চোখের আড়াল অও, তত্তন দাঁড়াই থাই”।
এ মহিয়সী নারী আমার গর্ভধারিণী মা।
যিনি আছেন বলেই সেখানে আমার এতো ভালোলাগা, এত্তো এত্তো মায়া, তাই তো এত্তো বেশি ছুটে যাওয়া।
মায়েরা কেন এমন হয়! যেমনই হোক, আর কোন কিছুর সাথেই যে মায়েদের তুলনা চলেনা।
মাসে মাসে আপন আলয়ে ভ্রমণে পরম সুখ-শান্তি আমি যে আর কোন ভ্রমণে খুঁজে পাইনি, এখনও পাইনা।
তবে বউ আসলে...... কি জানি বাপু, বলতে পারিনা। হয়তো মায়ের থেকে অর্ধেক টানই বউ নিয়ে নেবে। যাক গে। এটাইতো বাস্তবতা, মায়েরাও মেনে নিয়েছে। কেননা তারাওতো এক সময় বউ হয়ে শ্বাশুরীর থেকে অর্ধেক টান নিয়েছে নিজের দিকে।
মা-বাবা, বউ, ভাই-বোন সবাই আছে, থাকে বলেইতো অদম্য এক মায়া সেখানে আমায় ছুটে নিয়ে চলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
আমার ভ্রমণের মধ্যে নীড়ে যাওয়াই, যেতে পারাই আমার কাছে সর্বোৎকৃষ্ট ভ্রমণ। প্রভূর কাছে করজোড়ে মিনতি, তিনি যেন আমার এই ভালোলাগা অব্যাহত রাখেন।
পুনশ্চ: সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ শেষ আজ ঢাকায় ফিরলাম। পেট তাজা করে সাথেও কিছু দিয়ে দিয়েছে। তাই স্মৃতিচারণ করতেই এই লেখা।
বিষয়: বিবিধ
১৪০১ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কার না মন চায় শৈশব আর কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত মাটির, গাছ পালা, নদী খাল, বন বনানীর পরশ নতুন করে অনুভব করতে৷ আর সব মায়েদের মানসীকতাও এখানে মোটামুটি এক৷ আমারও মরহুম মায়ের কথা বেদনা দিয়ে গেল৷ ধন্যবাদ৷
আসলে মা-বাবা, বোন-ভাই, ভাইপো-বইনজি থাকা আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত।
কাল বোনের বাড়ি বেড়াতে যাই, ছোট্ট ভাগিনা, বারবার বলতেছিল মামা থেকে যান, তবুও আমি চলে আসলাম! সত্যিই অনেক খারাপ লাগল।
ভাত খেতে এগুলোর দুষ্টামি কিলা কিলি এখনো চোখে ভাসে আর হাসি। বাচ্চাদের মধ্যে আল্লাহ কত মায়া দিয়েছেন।
আপনার মাকে নিয়েও একদিন লিখুন না! উনাকে আল্লাহ জান্নাত দানে ধন্য করুন
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
আল্লাহ আপনার মাকে নেক হায়াত ও শান্তিতে রাখনু । আমীন ।
পলাইনা ভাইয়া কেন বিয়ের পর মায়ের টান কমবে কেন !!!!!!!!বউ কি তখন মায়ের কাজ গুলো করে দিবে !! নাকি আপনার প্রতি মায়ের ভালবাসা তখন কমে যাবে?
পলাইনা ভাইয়া লিখাটা হৃদয়ে দাগ কাটার মত ।
কিন্তু একটা কথার জন্য ধন্যবাদ দিব না ।
"মাকে ছেড়ে কোথাও যাব না ,কখনো যাব না "।
খাট্টা মিছা কতা। হাই হাইলে মায়েরে এক্কেবারে না হইলেও ভালা মতনই ভুইল্লা যাইবেন!
আমার মায়ের জন্য আপনার দোয়া আল্লাহর দরবারে পৌছে যাক। আমিন।
বউ মায়ের অনেক কাজই করে দেবে। বউ আসলে অনেক কাজ থেকে অবসর নেবে যা এখন করে। তবে বউয়ের সাথে কখনো বেশি ক্যাচাল হয়ে যায়, সে ছেড়ে যাবে বা যেতে পারে কিন্তু মা কখনো ছেড়ে যাবেনা।
আসলে একটা অপ্রিয় সত্য হচ্ছে এই যে, বউ আসলে মায়ের প্রতি টান অনেক কমে যায়। কিচ্ছু করার নাই!
আপনার হৃদয়ে দাগ কেটেছে, তাই আমি তৃপ্ত হলাম।
বিয়ের আগেই আপনার এই অবস্থা বিয়ের পর আপনাকে খুজেই পাওয়া যাবে না তখন বলবেন বউই সব মা কিছু না ----- যেমন বাংলা সিনেমায় বলে না তোমার জন্যই আমার জন্ম ....।
এই ধরনের ছেলেদের আমার দুই চক্ষে দেখতে ইচ্ছা করে না - আমার ভাইয়া এমন হলে তাকে আমি মারতে মারতে মেরেই ফেলতাম ।
'মাগো মা
বউয়েরে কিছু কইয়ো না
বউয়ের ভাগ্যে দালান কোঠা
তোমার ভাগ্যে কিচ্ছু না"।
দুই চোখ দিয়ে দেখতে না চান, আর শত চোখ, আমি উচিত কথা বলে ফেলি। এটাই আমার সমস্যা! বিয়ের পরেও মায়ের প্রতিভালবাসা থাকবে ইনশা আল্লাহ। কিন্তু কিছুটা যে কমে যাবে এটা আমি অস্বীকার করবো কেন!
আপনার ভাইয়ারও কমে গেছে। কেউ সেটা কমে গেলেও প্রকাশ করে না, আর কেউ গোপন করে রাখতে পারেনা। পার্থক্য এখানেই। আপ্নিও বিয়ে করেন, প্রথম কিছু দিন জামাইর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি আসতে শুধু শুহদু মন চাইবে কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পর বলবেন, এটাই তো আমার আসল বাড়ি, কত দিক খেয়াল রাখতে, বাপের বাড়ি গিয়ে বেড়ালে নিজ হাতে গড়া সোনার সংসারের কি হবে, তাই কালে ভদ্রেও মায়ের কাছে যাওয়া হবেনা। বড় বড় কথা বইলেন না। বিয়েটা একবার করেন। তখন বুঝা যাবে।
আপনার ভাইয়্যা এমন নয়, তারপরেও কি তারে কম মারেন? সেদিনও তো মারলেন!
বিয়ের পর মায়ের প্রতি ভালবাসা কমবে কেন !! হয়ত এখন যে ভাবে মায়ের খোজ খবর রাখেন সেটা পারবেন না তার মানে এটা নয় ভালবাসা কমে যাবে ।
আমার ভাইয়া এরকম বলেই মারতে পারি আমার ভাইয়া কতটা ভাল সেটা না দেখলে বুঝবেন না । আমাদের দেশে সাধারনত যে ছেলেরা বেশী মা বোনকে আদর করে তারা স্ত্রীদের কাছে ভাল হতে পারে না, আমার ভাইয়া আমার ভাবীর কাছে ও একজন ভাল স্বামী ।
ও তাইলে আপনার পৈতৃক নিবাস ঢাকায়। এই জন্যইতো বলি, মাইয়াডা এতো কাট খোট্টা কেন! ঢাকাইয়্যারা তো একেক্টা আস্তো আস্তো বদ! কথা বললেও যেন ধমকায়।
আমার ভাইয়ার পাজি একটা বোন আছে আর তার সাপোর্ট আছে ভাবীর তাই আমার ভাবীর উপর কেউ আসতে পারবে না ।
মায়ের প্রতি ভালোবাসা অনেক, কিন্তু প্রকাশটায় একটু ভিন্নতা আছে। আপনাদের মত শহুরে ছেলেমেয়েদের বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরার মত ভালোলাগা আমরা প্রকাশ করতে পারিনা, তবে ভালবাসি এটা নানান ভাবেই বুঝিয়ে দেই।
ও তাহলে আপনি ঢাকাইয়্যা। একদিন ঢাকাইয়্যা ভাষায় অতীত স্মৃতিচারণ একটা লেখা লিখার অনুরোধ থাকল।
উনারা নেইতো কি হয়েছে। আমরা নিশ্চয় আছি, আপ্নারা দুচারদিন আমাদের দাওয়াত করে খাওয়াবেন না!
আমি এতো সুন্দর মূল্যায়ন পাওয়ার যোগ্য কি! শুক্ররিয়া।
আপনার কান্নায় খোদা তায়ালা নিশ্চয়ই খুশি হবেন।
আপনার মা কি বেচেঁ আছেন? ক্ষমা করবেন, জানিনা বলেই প্রশ্নটা সরাসরি করেছি।
আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন এবং আমি যেন তাই করতে পারি যাতে প্রিয়জন খুশি হয়।
জাযাকাল্লাহু খাইর
আগের বিষয়টি নিয়ে গরফ গলতে শুরু করেছে।
আগে সুস্থ হয়ে নিন। তারপর ব্লগে আসবেন লিখবেন
পৃথিবীর সকল মায়েরই ভালোবাসা এমন। অনেক অনেক ধন্যবাদ
ঐ আমার সাথে যা হয়েছে তাই একটু লিখলাম আরকি।
ভালোলাগা শেষ হয়ে যাবেনাতো? দেইখেন আবার!
পৃথিবীর সকল মাকে আপনি দেখেছেন? ওহ! কিভাবে বলে, সকল মায়েরই ভালোবাসা এমন!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ না!!!!
০ এত ম্যা ম্যা করেন ক্যারে ? বিয়ে করার অব্যহতি পরে তো এই মাকেই বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে রেখে আসবেন । আর বিয়ের পর তো মায়ের চেয়ে বউই বেশী দরকারী হয়ে যায় , তাই না ? শুধু মা কেন , আত্মীয় স্বজন সবাই সেটা মেনে নিবে - প্রাইভেসী বলে কথা !
বৃদ্ধাশ্রমে মাকে রেখে এসে আপনি বলতে থাকবেন - ''রাব্বির 'হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানি ছোয়াগিরোয়া ''
বাবা-মাকে অবহেলা করার পরিণাম কখনো ভাল হয়না! বউ এবং নিজের আত্মীয় স্বজন, সবার মাঝে ব্যালেন্স করে চলার সক্ষমতা অর্জন করে নিতে হবে। নেওয়া উচিত।
কাউকে রেখে আর কাউকে বাদ দিয়ে কিছু করা মোটেও ঠিক হবেনা। \
আল্লাহর পরে বাবা-মায়ের অবস্থান, তাদের সেবা করা যেমন অতীব গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বউয়ের সার্বিক যৌক্তিক প্রয়োজন পূর্ণ করাও ফরজ। সুতরাং, এইসব আজাইরা কথা শুনতে আমার ভাল লাগে না, 'মায়ের জন্য বউকে তালাক দেয়া যায়'।
এটা কি শুনতে ভাল লাগে ?
লিখাটি পড়ে আসলেই ভালো লেগেছে, নিজেকেও খুঁজে নিলাম কিছুটা! সবার কাছেই সবার আপনজনদের ঠিকানা,নীড় -প্রিয় স্থান, প্রিয় ভ্রমণ বার বার মন ফিরে যেতে যায় সেথায়!
অনেক অনেক দোআ ও শুভাকামনা আগামীর জন্য!
ভালো কি তাহলে নকলেও লাগে! যাই হোক, আমার ক্ষেত্রে আসলটাই যখন লেগেছে তখন আলহামদুলিল্লাহ্।
কখনো কখনো সে ভাললাগা টান নষ্ট হয়ে যায়। প্রভূর কাছে খুব করে দোয়া করি, তিনি যেন এই ভালবাসা চির জাগ্রত রাখেন।
মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছি
আর মা ও চলে গেলেন বছর দেরেক আগে,
জিবনে দুইটা মৃত্যু সামনে থেকে দেখেছি, একটা বাবার আর অন্যটা মায়ের
মন্তব্য করতে লগইন করুন