মুসলিম পরিবারের জন্য ৪০ টি পরামর্শ (পর্ব-০২)
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১২ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৪৯:০৭ বিকাল
পরিবার, বিয়ে, দাম্পত্য সম্পর্ক, সন্তান প্রতিপালন সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার, অন্তত আমার মতো আবিয়াইত্তার জন্য। কিন্তু মানুষের কাছ থেকে ভালো ভালো পরামর্শগুলো সংগ্রহ করে সবার মাঝে বিলিয়ে তো দিতে পারি। তাই মুসলিম পরিবারের জন্য ৪০ টি পরামর্শ নিয়ে হাজির হলাম। পরামর্শগুলো দিয়েছেন ‘শেখ মুহাম্মদ আল মুনাজি’। আমি ইংরেজি থেকে বঙ্গানুবাদ করেছি মাত্র। তাহলে চলুন দেখে আসি সে পরামর্শগুলো কী।
মুসলিম পরিবারের জন্য ৪০ টি পরামর্শ (পর্ব-০১)
৪। মসজিদের পাশাপাশি ঘরেও নামাজ পড়া
কেন ঘরে নামাজ পড়তে হবে? তার কারণ হচ্ছে, মসজিদের পাশাপাশি যদি ঘরেও নামাজ পড়া হয়, যেমন-সুন্নত, নফল, তাহলে সে ঘরে ইবাদতের একটা আবহ তৈরি হবে এবং বজায়ে থাকবে ধারাবাহিকতা। এ ছাড়াও মুসলমানরা যখন দুর্বল অবস্থায় থাকে অথবা প্রকাশ্যে নামাজ পড়তে গেলে কাফির মুশরিকদের রোষানলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ঘরেই নামাজ পড়বে।
তবে বিনা ওজরে ফরজ নামাজ মসজিদে জামাতের সহিত না পড়ে ঘরে পড়া কোনোভাবেই সমীচীন হতে পারেনা। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যীক্ত আযান শুনলো, অথচ জামাতে হাযির হলোনা, তার নামাযই নাই। তবে কোনো ওযর থাকলে ভিন্ন কথা।” (দারু কুতনি, আবু দাউদ)
৫। পরিবারের সদস্যদের আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ প্রদান
আয়েশা রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহা বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তেন। বিতর নামাজের সময় হলে আমাকেও ডেকে বলতেন, হে আয়েশা, ওঠো, বিতর পড়ে নাও। (মুসলিম ৬/২)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ্ এমন ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ করেন, যে রাতে ওঠে নামাজ পড়ে, তারপর তার স্ত্রীকে নামাজ পড়তে জাগিয়ে দেয়। যদি স্ত্রী ওঠতে না চায় তাহলে চোখে পানি ছিটিয়ে দেয়। (আহমদ, আবু দাউদ, সহিস আল যামী, ৩৪৮৮)
স্ত্রীদের দান খয়রাত করতে উৎসাহ দিতে হবে। নারীদের উদ্দেশ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হে নারীগণ, তোমরা বেশি বেশি করে দান খয়রাত করো, কেননা আমাকে দেখানো হয়েছে যে, জাহান্নামের অধিক সংখ্যক বাসিন্দাই নারী”। (বুখারী, আল ফাতহ ১/৪০৫)
রমজানের ফরজ ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে নফল রোজা রাখতে পরিবারের সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ অভ্যস্ততা গড়ে তুলতে পারলে আল্লাহ্র সাথে তাদের সম্পর্ক বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
৬। সকল কাজের শুরু এবং শেষ আল্লাহ্র নাম নিয়ে করা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যদি কেউ ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ। লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। ......শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায় এবং অন্য শয়তান তাকে বলে, কিভাবে তুমি এই লোকটিকে বিপথগামী করবে যে কিনা নির্দেশনা মত চলে এবং (রাসূলের শেখানো দোয়া পড়ে) নিজেকে নিরাপদ করে নিয়েছে?” (আবু দাউদ)
৭। শয়তানকে বিতাড়িত করতে ঘরে নিয়মিত সূরা বাকারা পাঠ করা
রাসূল স বলেছেন, “তোমরা ঘরকে কবর বানিওনা। যে ঘরে সূরা বাকারা তেলাওয়াত করা হয়, সে ঘর থেকে শয়তান দূরে থাকে”। (মুসলিম ১/৫৩৯)
হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে; অর্থাৎ সারারাত সে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে। (সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম)
৮। পরিবারের সদস্যদের ইসলামিক জ্ঞান প্রদান
পরিবারের সদস্যদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পরিবার প্রধানের উপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “ওহে বিশ্বাসীগণ, নিজেদের এবং তোমাদের পরিবারকে এমন আগুন থেকে বাঁচাও, যার জ্বালানী হবে মানুষ এবং পাথর”। (আল কুরআন ৬৬/৬)
এ আয়াতখানি হচ্ছে পরিবারকে শিক্ষাদানের মূলনীতি। যা কিছু ভালো তা উপভোগ করতে দেয়া আর যা কিছু মন্দ তা থেকে বিরত রাখা।
এ সম্পর্কে মুফাসসিরে কেরামের অনেক অভিমত পাওয়া যায়। যেমন, কাতাদাহ (র.) বলেন, “পরিবার প্রধানের উচিৎ আল্লাহ্র আনুগত্য করতে তাদের নির্দেশ দেওয়া, এবং আল্লাহ্র অবাধ্য হতে নিষেধ করা। আল্লাহ্র নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের নির্দেশনা দেওয়া এবং নির্দেশগুলো পালন করতে তাদের সহযোগিতা করা”।
দাহহাক এবং মুকাতিল (র.) বলেন, “একজন মুসলিমের কর্তব্য তার পরিবারকে শিক্ষাদান করা। এমন কি নারী দাসী এবং আত্মীয় স্বজনকেও। আল্লাহ্ যা করতে বলেছেন তা পালন করবে আর যা করতে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকা”।
আত তারাবী (র.) বলেন, “আমাদের অবশ্যই স্ত্রী-সন্তানদের ধার্মিকতা এবং সদগুণাবলী শিক্ষা দিতে হবে। যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী চাকরানীদের শিক্ষা দিতে জোর দিয়ে থাকেন, যারা ছিল দাসী, তাহলে তুমি কি করে ভাবো, তোমার স্ত্রী-সন্তানরা শিক্ষা থেকে বিরত থাকবে”?
কর্মব্যস্ততার কারণে কেউ হয়তো তার পরিবারকে শিক্ষা-দীক্ষা দিতে ভুলে যায়, তাহলে তার জন্য সমধান হবে সে সময়গুলোকে ভাগ করে নেবে। কিছু সময় পরিবারের জন্য আর কিছু সময় আত্মীয়-স্বজনের জন্য রেখে দেবে। বাড়িতে একটা স্টাডি সার্কেল বানিয়ে নেয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রাখবে। বৈঠকের সময় সুচী তাদের স্মরণ করিয়ে দেবে এবং নিয়মিত আসছে কিনা এ ব্যাপারটি নিশ্চিত করবে।
আলেম ওলামাগণ তাদের ওয়াজ-নসিহত শুধু পুরুষের জন্য সীমাবদ্ধ না রেখে বিশেষ সময়, দিন নির্দিষ্ট করে মহিলাদেরকেও ইসলামী শিক্ষা প্রদান করতে হবে। যেমন, আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীস, “মহিলারা রাসূলের নিকট আরজ করলেন, আপনার আশে পাশে পুরুষরা সবসময় ভীড় করে যার কারণে আমরা আপনার নিকট হাজির হতে পারিনা। সুতরাং আমাদের জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করুন, যেন আমরা আপনার নিকট আসতে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জন্য দিন নির্দিষ্ট করে দিলেন আর তারা আসত এবং রাসূল তাদের শিক্ষা দিতেন”।
কুরআন হাদীস সম্পর্কে সম্যক ধারণা দানের পর নির্ভরযোগ্য তাফসীর ও হাদিসের গ্রন্থ থেকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, বাস্তব উদাহরণসহ তাদের নিকট সহজবোধ্য করে শিক্ষাদান করতে হবে।
ফিকহের কিছু আহকাম তাদের শেখানো খুবই জরুরী যেমন: পবিত্রতার নিয়মনীতি, রজ:স্রাবের পূর্বাপর বিধিনিষেধ, সালাত, যাকাত, রোজা এবং হজ্ব ; খাওয়া-দাওয়া, পান, পরিধান, সাজসজ্জা, ফিতরা, মাহরাম এবং গায়রে মাহরাম পরিচিতি ইত্যাদি।
নির্ভরযোগ্য, ন্যায়নিষ্ঠ ইসলামী প্রবক্তাদের পাবলিক লেকচারে মহিলা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিত হতে স্মরণ করিয়ে দেয়া যাতে তাদের জ্ঞানের দুয়ার খুলে যায়। টিভি রেডিওতে ইসলাম বিষয়ক প্রোগ্রামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। সময় সুযোগ করে নারীদের ইসলামিক বুক স্টোরে নিয়ে যাওয়া অথবা নিজেই সংগ্রহ এনে দেয়া। তবে তা যেনো অবশ্যই পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে করা হয়।
৯। ঘরেই ইসলামিক গ্রন্থাগার তৈরি করা
ঘরে ইসলামিক গ্রন্থাগার পরিবারের সদস্যদের পূর্নাঙ্গ ইসলাম বুঝতে এবং ইসলামের বিধি বিধানের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে। এটা খুবই ব্যয়বহুল হবেনা তবে বাছাইকৃত বই সংগ্রহে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। তাদের বেশি বেশি উৎসাহ দিবে বই পড়তে।
বইগুলো রাখা যেতে পারে পরিপাটি স্থানে, বেডরুম অথবা বিশ্রাগারের উপযুক্ত কোন জায়গায়, যেখানে থেকে সহজে যে কেউ যেকোনো সময় বই নিয়ে পড়তে পারে। একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার তৈরিতে প্রয়োজন, বই রাখার পাশাপাশি একটা রেফারেন্স লিস্ট তাতে অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে করে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করতে পারে এবং শিশুরা তাদের পড়াশোনায় ব্যবহার করতে পারে।
১০। হোম অডিও লাইব্রেরি
প্রত্যেকের ঘরেই অডিও প্লেয়ার থেকে থাকবে, হয়তো কেউ তা ভালো কাজে ব্যবহার করছে আর কেউবা মন্দ কাজে। এটা দিয়ে আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার মত কাজও করা যায়, কিন্তু কিভাবে? আল্লাহ্কে খুশি করার যেতে পারে একটি ‘হোম অডিও লাইব্রেরি’র মাধ্যমে, যার মধ্যে বাজবে ধর্মপ্রচারক, খতীব, লেকচারার, ফকীহ, ইসলামী স্কলারদের ক্যাসেট।
যাতে করে গান শোনার পরিবর্তে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে আগ্রহী হবে, ইসলাম সম্পর্কে আরো বেশি থেকে বেশি জানতে উন্মুখ হয়ে থাকবে, মাসআলা জেনে হারাম হারামের পার্থক্য করে চলতে পারবে, সর্বোপরি ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারবে।
চলবে......
বিষয়: বিবিধ
১৫৪১ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এর মূল লেখক যা বলেছেন আমিও তাই অনুবাদ করলাম আরকি। যারা এইসব সমস্যা মনে করবে তারা রাখবেনা, আর পুলিশি নির্যাতনে ভয় পায়না, অথবা নানান কৌশল করে রাখতে পারে তারা রাখবে।
ধন্যবাদ জনাব শেখ ভাই।
আলহামদুলিল্লাহ্ জেনে খুশি হলাম । তবে ভালোলাগা কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে।
আলহামদুলিল্লাহ
আমাদের বাসায় অন্্য
গুলার সাথে ৯ নং টা ও আছে
আলহামদুলিল্লাহ্, শুনে বেশ ভালো লাগল। তবে সাবধানে থাকবেন কিন্তু, মামারা এলে কিন্তু জিহাদী বই বলে হই ছই ফেলে দেবে।
অনেক ধন্যবাদ, আমার পাড়ায় এসে পায়ের ধূলো দেয়ার জন্য।
উপলব্দি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিলে সে যদি বিরক্ত হয় তাহলে তার কাছে উত্তম হওয়া যাবে কি ?
স্ত্রীদের তাদের নিজেদের অর্থ সংসারে ব্যয় করাটা আবশ্যক নয় বলে তাদের পক্ষে দান করা খুবই সম্ভব। এতে সে সওয়াব কামাতে পারে দুহাতে ।
সংসারের ঘানি টানতে টানতে সব টাকা চলে যায় স্বামীর। দান করার সুযোগই তো থাকে না ।
এতে কি সে সওয়াব কামানো থেকে বন্চিত হয় না ?
স্ত্রীদের নিজেদের অর্থ সংসারে ব্যয় না করলে কোথায় করবে? কথা হচ্ছে যে, স্বামী তাকে ব্যয় করতে বাধ্য করবেনা, কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, সংসারেই যদি ব্যয় না করে তাহলে করবে কোথায়? সংসারটাতো তারও, স্বামীর একার নয়!
সংসারের ঘানি টানতে টানতে সব টাকা চলে যায় স্বামীর। দান করার সুযোগই তো থাকে না ।
এতে কি সে সওয়াব কামানো থেকে বন্চিত হয় না ?
আগে নিজের ঘরে বাত্তি, তারপর প্রতিবেশির ঘরে। নিজ এবং প্রতিবেশিকে দেয়ার পর যা থাকবে তাই অন্যদের দান করবে। আর হ্যাঁ, স্বামী যে স্ত্রো সন্তানের জন্য ব্যায় করছে, তাতে দানের চেয়ে হাজারগুণ বেশি সওয়াব হবে। কারণ এখানে ব্যয় অত্যাবশ্যক।
উত্তম অথবা বিরক্ত, যাই হন না কেন, আপনার কাজ তাকে জাগিয়ে দেয়া, যাতে পরকালে আপনাকে জাগিয়ে দেন নি বলে জবাদিহি করতে না হয়।
আরামের ঘুমের সময় ডাকাডাকি করলে যে কেউই বিরক্ত হবে , আর বসের কথা তো বলাই বাহুল্য ।
যে কাজ করলো তার সওয়াব বেশী নাকি যে কাজও করলো + দান কয়রাত করলো তার সওয়াব বেশী ?
সওয়াব বেশি কম মানুষের জান্নাত জাহান্নাম ঠেকাবেনা, এইসব মানুষের বাড়তি পাওনা। কেউ যদি খুব বেশি মুত্তাকি হয় আর কেউ আল্লাহ্র নির্দেশ মত চলে কিন্তু ঐ ব্যক্তির মত উচু লেভেলের মুত্তাকি নয়, দুজনি জান্নাতে যাবে, কিন্তু বেশি মুত্তাকি বেশি মর্যাদা পাবে।
বিরক্ত হলেও আপনাকে ডাক্তে হবে, তবে বিরক্ত হওয়ার মত করে নয়। আপ্নিতো আগেই তাকে নামাজ পড়ার গুরুত্ব বুঝাবেন, তাকে ডাকবেন মোলায়েম কন্ঠে, গায়ে ধাক্কা দিয়ে নয় বরং মাথায় কপালে হাত বুলিয়ে। সর্বোপরি কথা হল, পাশের জনকে নামাজের জন্য না ডাক্লে আপনি আল্লাহ্র কাছে জবাবদিহি করবেন। এখন কোন টা বেছে নেবেন, আল্লাহ্র জবাবদিহি, নাকি তাকে ণা ডেকে তার অসুন্তুষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচানো?
আল্লাহ কি শুধু পুরুষ মানুষদেরই জবাবদিহিতা চাইবেন ? জ্ঞান ও বুদ্ধি কি আল্লাহ নারীদেরকেও দেন নি ?
কাফেরদের ব্যাপারে পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ তায়ালা বেশ কয়েকবার বলেছেন যে , তাদের যতই বোঝানো হোক না কেন তারা ঈমান আনবে না ।
তারা ঈমান না আনায় রাসূল (সাঃ) বিমর্ষ হয়ে গেলে আল্লাহ উনাকে এই বলে স্বান্তনা দিয়েছেন যে এরকম আগের নবী-রাসূলদের বেলাতেও হয়েছে । এবং এদের ঈমান না আনাতে নবীজীর জীবন দিয়ে দেবার কোন মানে হয় না । আল্লাহ হেদায়েত দান করলেই তবে সে সৌভাগ্য হবে।
আর দান খয়রাত করেই জাহান্নাম থেকে পরিত্রান পেতে হবে বিষয়টা এমনও নয়, রাসূল তাদের মাঝে দান খয়রাতের অভ্যস্ততা তৈরি করার জন্যই জোর দিয়েছেন, তার মানে এইনা সব কিছু বাদ বাদ দিয়ে দান খয়রাত করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি মিলবে।
আর যার নিজের নাই, স্বামীর নাই, সে কোন দুঃখে দান করতে যাবে? যদি ধরেও নেই দান খয়রাত মহিলাদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবে তাহলে যেসব মহিলা দান করার সামর্থ রাখেনা, তারা জাহান্নামে পচে মরবে?
চাহিদা বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন আমি বুঝতে পারছিনা। স্ত্রীর প্রতি যা কিছু প্রোভাইড করার স্বামীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়, তাতো করবেই, আরো যদি কোন যৌক্তিক, রুচিশীল, সীমারেখার মধ্যে চাহিদা স্ত্রীর থাকে তাহলে স্বামীর সামর্থের প্রতি খেয়াল রেখে স্ত্রীর চাহিদা মেটাবে, কেননা তারা দুজন দুজনাকে ভালবাসে, ভালবেসে দিতেই পারে। আর যদি স্বামী একা বহন করতে না পারে তাহলে তাদের দুজনার পরামর্শের ভিত্তিতে স্ত্রী এমন কিছু করবে যাতে কিছু আয় হয় এবং নিজের চাহিদা নিজেই মেটাতে পারে। তবে তা যেনো অবশ্যই শরীয়ত সম্মত হয়।
কাফেরদের ব্যাপারে পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ তায়ালা বেশ কয়েকবার বলেছেন যে , তাদের যতই বোঝানো হোক না কেন তারা ঈমান আনবে না ।
এটাতো আপনি বুঝবেন, আপনার স্ত্রীর আচরণ কখন কুফরির পর্যায়ে চলে যায়, যদি সেরকম হয় তাহলে আপনি তাকে ডাকবেন কিন্তু জোর করবেন না। বাস
আলহামদুলিল্লাহ্, আপনার মূল্যায়ন শুনে আমি খুবই প্রীত হলাম।
আমার চেষ্টা, আপনার সহযোগিতা পাশে আছেই বলেই তো।
আল্লাহ্ আপনাকেও অনেক অনেক ভালো রাখুন।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূল্যায়নসমেত দারুণ মন্তব্যটি করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে । আমার বাড়ি নোয়াখালি না ।
বাহিরে আছেন বলেই কথাটা এতো জোর দিয়ে বলতে পারলেন! দেশে ঘরে বই রাখা কঠিন ব্যাপার রে পনি!
শুনে খুব খুশি হলাম, আপনাদের ঘরে এইসব আছে। শুকরিয়া।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনি আবার ঘটক হবেন কি করে আপনি নিজেই তো আবিয়্যাতা ।
জী ভাইয়া এসব ভাবলে মনে হয় আমরা অনেক ভাল অনেক নিরাপদ আছি । আলহামদুল্লিলাহ !
ঘটকালি করার জন্য বিয়াত্তা অইতে অইব, হেইডা তো আঁর আগে জানা আছিল না
আল্লাহ্ যেন আমার লেখার হাতকে আরো প্রশস্ত করে দেন, সেই দোয়া কামনা করছি।
হ্যাঁ, ঠিকি বলেছেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখলে খাপে খাপ হয়।
খুশি হলাম ভালো লেগেছে জেনে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন